Views:
A+
A-
উত্তর:
স্ত্রী উপভোগের কারণে কি গোসল ফরজ হবে?
স্ত্রী উপভোগের কারণে কি গোসল ফরজ হবে?
প্রশ্ন: আমার প্রশ্ন হচ্ছে স্ত্রী তার স্বামীর সাথে থাকার পরে কখন তার উপর গোসল ফরজ হবে? গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- তারা সহবাসে লিপ্ত হয়নি। যা ঘটেছে সেটা হচ্ছে তারা হাত দিয়ে একে অপরকে উপভোগ করেছে। পরবর্তী দিনের রোজা শুরু করার আগে কি গোসল করা তাদের উপর ফরজ?
উত্তর:
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত দুইটি বিষয়ের কোন একটি পাওয়া গেলে গোসল ফরজ হবে।
১. খতনার স্থানদ্বয় তথা যৌনাঙ্গদ্বয় একত্রিত হওয়া: অর্থাৎ প্রবেশ-করানো সংঘটিত হওয়া। এটাই সঙ্গম বা সহবাস। বীর্যপাত হওয়া শর্ত নয়।
যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
“যদি খতনার স্থানদ্বয় মিলিত হয় এবং পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ ভিতরে ডুবে যায় তাহলে বীর্যপাত হোক বা না-হোক গোসল ফরজ হবে।” [সুনানে আবু দাউদ, সহিহ আবু দাউদ (২০৯)]
যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
“যদি খতনার স্থানদ্বয় মিলিত হয় এবং পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ ভিতরে ডুবে যায় তাহলে বীর্যপাত হোক বা না-হোক গোসল ফরজ হবে।” [সুনানে আবু দাউদ, সহিহ আবু দাউদ (২০৯)]
২. বীর্যপাত হওয়া: এমনকি সেটা যদি যৌনাঙ্গদ্বয় একত্রিত হওয়া ব্যতিরেকে হাত দিয়ে সম্ভোগ করার কারণে সংঘটিত হয়ে থাকে সেক্ষেত্রেও গোসল ফরজ হবে। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
“পানির কারণে পানি অপরিহার্য।” [সহিহ মুসলিম, ১৫১]।
পানি তথা বীর্য নির্গত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গোসল ফরজ হয়।
“পানির কারণে পানি অপরিহার্য।” [সহিহ মুসলিম, ১৫১]।
পানি তথা বীর্য নির্গত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গোসল ফরজ হয়।
পক্ষান্তরে রোজার বিষয়টি হচ্ছে- রোজার শুদ্ধতার জন্য সুবহে সাদিক শুরু হওয়ার আগে ফরজ গোসল করে নেয়া আবশ্যকীয় নয়। এমনকি যদি জুনুবি (গোসল ফরজ) অবস্থায় কেউ রোজা শুরু করে তাতেও রোজা শুদ্ধ হবে।[দেখুন রোজার ৭০টি মাসয়ালা] তবে ফজরের নামাজ যেন ঠিক সময়ে পড়া যায় সে জন্য দেরি না করে গোসল করে নেয়া কর্তব্য।
আল্লাহই ভাল জানেন। আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক।
মুফতী: শাইখ মুহাম্মদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ
সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন