Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

See Our Articles In Different Styles... Grid View List View

বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী

Views:

A+ A-

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী


আল্লাহ তাআলা বলেন,
﴿إِنَّ ٱللَّهَ وَمَلَٰٓئِكَتَهُۥ يُصَلُّونَ عَلَى ٱلنَّبِيِّۚ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ صَلُّواْ عَلَيۡهِ وَسَلِّمُواْ تَسۡلِيمًا ٥٦﴾ (الاحزاب: ٥٦)  
“নিশ্চয় আল্লাহ ও তাঁর ফিরিশতাগণ নবীর নবীর প্রতি সালাত-দরুদ পেশ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি সালাত পেশ করো এবং তাঁকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।” (সূরা আহযাব ৫৬ আয়াত) 
1/1405 وَعَنْ عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاص، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: أَنَّه سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: «مَنْ صَلَّى عَلَيَّ صَلاَةً، صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ بِهَا عَشْراً» . رواه مسلم
১/১৪০৫। ‘আব্দুল্লাহ ইবনে ‘আমর ‘আস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিততিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, “যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করবেআল্লাহ তার দরুন তার উপর দশবার দুরুদ পাঠ করবেন।” (মুসলিম) [1]

Read More---

একজন সফল অভিভাবকের গুণাবলি

Views:

A+ A-

একজন সফল অভিভাবকের গুণাবলি




পরিবারের নেতৃত্ব দেন একজন পুরুষ। আল কুরআন পুরুষের ঘাড়েই গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের দায়িত্বভার অর্পণ করেছে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে পুরুষের নেতৃত্ব আদিকাল থেকে চলে-আসা একটি কালচার, যা প্রাকৃতিক কারণেই ঘটে থাকে। পুরুষের মনোগঠন, সপ্রতিভ আচরণ, দৃঢ়চিত্ততা, সাহসিকতা, প্রতিকূল পরিবেশে – আবেগ নয়- বরং বুদ্ধিচালিত হয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের যোগ্যতা, অধিকন্তু শীত-বর্ষা-হেমন্ত-বসন্ত রোদ-বৃষ্টি, আলো-অন্ধকার সকল পরিস্থিতিতে দেহ সঞ্চালিত করে রুটি-রুজির ব্যবস্থা করার শারীরিক ক্ষমতা পুরুষকে সমাসীন করেছে নেতৃত্বের আসনে। তাই পুরুষকেই পালন করতে হবে একটি পরিবারের মূল গার্ডিয়ানের ভূমিকা।


বর্তমান বিশ্বে হাতে-গোণা কয়েকটি দেশ ব্যতীত, সকল দেশেই নারীসমাজ ভোগ করছে, অধিকার ও দায়িত্বের ক্ষেত্রে, পুরুষের মতোই সমান সুযোগ-সুবিধা। তবু সাধারণ ব্যাকরণ ও তিক্ত-সত্য হল, সকল সমাজেই, এখনো, পুরুষরা পালন করে যাচ্ছে নেতৃত্ব প্রদানের মূল ভূমিকা। প্রত্যন্ত গ্রামের মাতব্বর-প্রধানদের থেকে শুরু করে প্রশাসনের বিস্তীর্ণ ময়দানে নেতৃত্বের ভূমিকায় অবতীর্ণদের অধিকাংশই পুরুষ। পৃথিবীর যেকোনো দেশে মন্ত্রীপরিষদ অথবা পার্লামেন্ট মেম্বারদের অধিকাংশই পুরুষ। পুরুষের জেনেটিক অবগঠন নেতৃত্বানুকুল। সে হিসেবে বর্তমান নারীবাদীদের কেউ কেউ মাতৃগর্ভে থাকাকালীন নারী-এব্রয়ও-তে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সাধন করে পুরুষের সাথে সমতা আনার দাবি উত্থাপন করেছেন, সেটা যদি করাও হয় তাহলেও তা হবে ঐশী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধাচরণ, প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে বিপরীতে অবস্থান যা কখনো মানবতার জন্য কল্যাণকর হবে না, হওয়ার প্রশ্নই আসে না। এর বড় প্রমাণ মানুষ প্রকৃতিগত বিধানের বিরুদ্ধে যেখানে যা করেছে তার সবগুলোই মানবতা, প্রকৃতি ও পরিবেশের জন্য অকল্যাণকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।

Read More---

ধূমপান একটি অপরাধ : কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে

Views:

A+ A-

 ধূমপান একটি অপরাধ : কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে


ধূমপান একটি অপরাধ : কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে

আমরা সকলে জানি ধূমপান স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। কথাটা অনেকে সেচ্ছায় বলেন অনেকে বলেন বাধ্য হয়ে। যাই হোক ধুমপানের ক্ষতির তুলনায় শ্লোগানটা খুবই হাল্কা। কারণ ধূমপান শুধু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর, আত্নার জন্য ক্ষতিকর, স্বভাব-চরিত্রের জন্য ক্ষতিকর, পরিবার-পরিজন প্রতিবেশী সমাজ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। আমার কাছে এর চেয়ে বড় ক্ষতির দিক হলো ধুমপানের মাধ্যমে ইসলামের নীতি আদর্শ লংঘন। আমি অনেক ধর্মপ্রান লোকজনকে দেখেছি তারা ধূমপান করেন। এমনকি বাংলাদেশের এক শহরের এক মসজিদে দেখেছি ইমাম সাহেব নামাজের ইমামতি শেষে মসজিদে বসেই সিগারেট ধরিয়ে পান করলেন। ঐ অঞ্চলের এক ইমাম সাহেবকে দেখেছি জুমার দিন মসজিদের মিম্বরে বসে বক্তৃতা দিচ্ছেন আর সিগারেট টানছেন। এ সকল ধর্মপ্রান মানুষ ও ধর্মীয় নেতাদের যখন আপনি বলবেন ধূমপান জায়েজ নয় তখন তারা তা মানতে চান না। অনেক যুক্তির সাথে তারা এ টাও বলেন মক্কা শরীফের মত পবিত্র স্থানেও ধূমপান করতে দেখেছি, যদি জায়েযই না হতো তা হলে কি ..। মুলত এদের উদ্দেশ্যেই আমার এ লেখা।
তারা বলেন : আল-কুরআনে তো বলা হয়নি 'তোমরা ধূমপান করো না।' হাদীসে রাসূলে কোথাও নেই যে, 'ধূমপান করা যাবে না', তা হলে ধূমপান ইসলামী শরীয়তে নিষিদ্ধ হলো কিভাবে?
এ প্রশ্নটির সন্তোষজনক উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবে এ প্রবেন্ধ।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন-
وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَائِثَ. (الأعراف : ১৫৭)
"তিনি তোমাদের জন্য হালাল করে দেন ভাল ও উত্তম বস্তু আর হারাম করে দেন খারাপ ও ক্ষতিকর বস্তু।" (সুরা আল-আরাফ : ১৫৭)


Read More---

পানাহারের আদব

Views:

A+ A-

 পানাহারের আদব




পানাহারের আদব

আল্লাহর বান্দাদের উপর যতগুলি অনুগ্রহ আছে তার মাঝে অন্যতম প্রধান অনুগ্রহ হল পানাহার। মানুষের শরীর গঠন,বর্দ্ধন ও টিকে থাকার মূল উপাদান হচ্ছে পানাহার। এই নেয়ামতের দাবি হল এর দাতার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। আর এ কৃতজ্ঞতা আল্লাহর প্রশংসা এবং তাঁর দেয়া বিধান পালন করার মাধ্যমে আদায় করা যেতে পারে।এ নেয়ামতের আরো একটি দাবি হচ্ছে, এর সহায়তায় আল্লাহর নাফরমানি করা যাবে না।
পানাহারের অনেকগুলো আদব ও বিধান রয়েছে, যাকে দুইভাবে ভাগ করা যেতে পারে :

প্রথমত : যে বিষয়গুলোর গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক। 

যেমন:
১) খাদ্য এবং পানীয় জাতীয় জিনিসের এহতেরাম করা আর এই বিশ্বাস রাখা যে এগুলি আল্লাহর নেয়ামত যা আল্লাহ তাআলা তাকে দিয়েছেন।
২) খাদ্য জাতীয় জিনিসকে অবহেলা-অসম্মান না করা ;ডাস্টবিন ও ময়লা আবর্জনার ভিতরে না ফেলা।
৩) খাবার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা। বিশুদ্ধ অভিমত হল: খাবার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা ওয়াজিব, কেননা অনেকগুলো সহীহ এবং সুস্পষ্ট হাদীস এ নির্দেশই করে। আর এ নির্দেশের বিপরীত কোন হাদীস নেই। এ মতের বিরুদ্ধে সর্বসম্মত ঐক্যমত্যও সৃষ্টি হয়নি যে, এর প্রকাশ্য অর্থ থেকে বের করে দেবে। আর যে ব্যক্তি পানাহারের সময় বিসমিল্লাহ বলবে না তার পানাহারে শয়তান শরীক হবে।
বিসমিল্লাহ ওয়াজিব হওয়ার প্রমাণ সমূহ :―  
عن عمر بن أبي سلمة أن النبي صلى الله عليه وسلم قال له: «يا غلام، سمّ اللّه، وكل بيمينك، وكل مما يليك». البخاري ( 4958) 
আমর বিন আবু সালামা থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেছেন:হে বৎস! বিসমিল্লাহ বল এবং ডান হাত দিয়ে খাও। আর খাবার পাত্রের যে অংশ তোমার সাথে লাগানো সে অংশ থেকে খাও।[১]
Read More---

পথের হক

Views:

A+ A-

পথের হক




পথের হক

عن أبي سعيد الخدري- رَضِيَ اللهُ عَنْهُ- أنَّ النَّبِيَّ- صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ- قَالَ : إيَّاكُمْ وَ الْجُلُوْسَ فِي الطُّرُقَاتِ، فَقَالُوْا: يَا رَسُوْلَ اللهِ، مَا لَنَا مِنْ مَجَالِسِنَا بُدٌّ نَتَحَدَّثُ فِيْهَا، فَقَالَ : فَإذَا أبَيْتُمْ إلاَّ الْمَجْلِسَ فَأعْطُوا الطَّرِيْقَ حَقَّهُ. قَالُوْا: وَمَا حَقُّ الطَّرِيْقِ يَا رَسُوْلَ اللهِ ؟ قَالَ: غَضُّ الْبَصَرِ، و كَفُّ الأذى، وَ رَدُّ السَّلاَمِ، وَ الْأمْرُ بِالْمَعْرُوْفِ وَ النَّهْيُ عَنِ الْمُنْكَرِ. (متفق عليه)
আবু সাঈদ খুদরী রা. বর্ণনা করেন যে, রাসূল সা. বলেন, তোমরা রাস্তায় বসে থাকা থেকে বিরত থাক। সাহাবিগণ রা. আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসূল ! আমাদের প্রয়োজনীয় কথার জন্য রাস্তায় বসার বিকল্প নেই। রাসূল সা. বললেন, যদি তোমাদের একান্ত বসতেই হয়, তাহলে রাস্তার হক আদায় কর। তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল ! রাস্তার হক কি ? তিনি বললেন, চক্ষু অবনত করা, কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা, সালামের উত্তর প্রদান করা, সৎকাজের আদেশ ও মন্দ কাজে নিষেধ করা।[১]

হাদিস বর্ণনাকারীঃ
তিনি হচ্ছেন বিশিষ্ট সাহাবি সা'দ, উপনাম আবু সাঈদ। পিতা মালেক। পিতামহ সানান। তিনি ছিলেন আনসার অন্তর্গত খুদুর গ্রামের অধিবাসী। মদিনার আনসারদের একটি গ্রামের নাম হল খুদুর। সেই গ্রামেই তার জন্ম, সে জন্য তাকে বলা হয় খুদরী। পিতা মালেক রা. উহুদের যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন। তিনি ইসলামের ঐতিহাসিক খন্দক তথা পরিখার যুদ্ধে ও বাইআতে রিজওয়ানে অংশগ্রহণ করেছেন। রাসূল থেকে এক হাজার একশ সত্তুরটি হাদিস বর্ণনা করেছেন তিনি। ফিকাহ বিশারদ হিসেবে তার রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি। ৭৪ হিজরিতে তিনি ইন্তেকাল করেন।

Read More---

জামা‌‘আতের সাথে নামায আদায়

Views:

A+ A-

 জামা‌‘আতের সাথে নামায আদায়




অনুবাদকের কথা

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য যিনি আমাদেরকে হেদায়েতের পথে চলার তাওফীক দিয়েছেনতাঁর মেহেরবানী ব্যতীত হেদায়াত পাওয়া এবং তার উপর টিকে থাকা একটিও সম্ভব নয়। সালাত ও সালাম রাসূল সা. এর প্রতি যিনি আমাদেরকে জান্নাতের পথের সন্ধান দিয়েছেন। ইসলামের পাঁচটি রোকনের মধ্যে দ্বিতীয় রোকন হচ্ছে নামায। নামায পরিত্যাগকারী ইসলামের গন্ডী থেকে বেরিয়ে যায়তাই নামায নিয়মিত আদায় করা প্রত্যেক ঈমানদার ব্যক্তির উপর ফরয। পুরষদের ক্ষেত্রে জামাআতের সাথে নামায পড়া ওয়াজিবএ বিষয়টি ভালভাবে বুঝার জন্য এবং তার সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয় গুলো একত্রিত করে অসংখ্য দলীল প্রমাণের ভিত্তিতে একটি চমৎকার বই রচনা করেছেন সৌদী আরবের বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন অসংখ্য পুস্তকের লেখক ড: সায়ীদ ইবন আলী ইবন ওয়াহাফ আল-ক্বাহতানী, বাংলা ভাষা ভাষী মুসলিম ভাই-বোনদের জন্য বইটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে মনে করে বইটি অনুবাদের কাজে হাত দিয়েছিঅনুবাদের কাজ সম্পন্ন করে আপনাদের হাতে বইটি তুলে দিতে পেরে সবার আগে মহান আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় করছিবইয়ের কলেবর অনেক বড় হয়ে যাবে এই আশংকায় পার্শ্ব টীকা সব অনুবাদ করা হয়নিকেবলমাত্র গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্ব টীকাগুলোই অনুবাদ করা হয়েছেবইটি পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাসবইটি আপনাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য নানাভাবে যাদের সহযোগিতা পেয়েছি আল্লাহ তাআলা তাদের সবাইকে উত্তম প্রতিদান দান করুনপরিশেষে মানুষ ভুলের উর্ধে নয় আমি তাদেরই একজনতাই পুস্তিকাটি পড়ে আপনাদের নজরে যেকোন ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে এবং আমাদেরকে জানালে আমরা তা সাদরে গ্রহণ করে পরবর্তী সংস্করণে সংশোধনের চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। অবশেষে মহান রবের কাছে এই কামনা করছি যেতিনি যেন লেখকঅনুবাদকপাঠক সবাইকে তাঁর জান্নাতের জন্য কবুল করে নেনআমীনআমাদের প্রিয় নবীর উপর আল্লাহ তাআলা অফুরন্ত সালাত ও সালাম বর্ষণ করুন এবং তাঁর পরিবার বর্গের প্রতি এবং তার সকল সাহাবাদের প্রতি।
 ১২/৮/১৪২৬ হিঃ
মোহাম্মদ বায়েজীদ
২৬/৯/২০০৫ খৃঃ
রিয়াদসৌদী আরব 
                                                                   
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
ভূমিকা
নিশ্চয় প্রশংসা সব আল্লাহরই জন্য,  আমরা তাঁরই প্রশংসা করি এবং তাঁর কাছেই সাহায্য চাই এবং তাঁর কাছেই ক্ষমা প্রার্থনা করিআমাদের নিজেদের পক্ষ হতে সকল অনিষ্ট হতেআমাদের পাপ কাজ হতে তাঁর কাছে আশ্রয় চাইযাকে আল্লাহ তাআলা পথ দেখান তাকে কেহ গোমরা করতে পারে না আর যাকে তিনি পথ ভ্রষ্ট করেন তাকে কেহ হেদায়াত দিতে পারে নাআমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যেআল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য মাবুদ নাইতিনি একক তার কোন শরীক নাইআমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যেমুহাম্মদ তার বান্দাহ ও রাসূলআল্লাহ তাআলা তার উপর সালাত ও অপরিসিম শান্তি বর্ষন করুন এবং তার পরিবার পরিজনের প্রতি ও তার সাথীদের প্রতি এবং ক্বেয়ামাত পর্যন্ত যারা উত্তমভাবে তাদের অনুসরন করবেন তাদের প্রতি।
অতঃপর:-এটি হল জামাআতে নামায আদায় সংক্রান্ত একটি ছোট্ট পুস্তিকা; যাতে আমি বর্ণনা করেছি: জামাআতে নামাযের অর্থউহার হুকুমউহার উপকারিতাসমূহউহার ফযীলতউহার দিকে পথচলার ফযীলতউহার দিকে পথ চলার আদবসমূহদুইজন দ্বারা উহা সম্পাদন হওয়াএক রাকাআত পেলেই জামাআত পাওয়াইমামের সাথে প্রথম জামাআত ছুটে যাওয়া ব্যক্তির জন্য দ্বিতীয় জামাআত শরীয়ত সম্মতযে ব্যক্তি নামায পড়ে ফেলেছে সে যদি জামাআত পায় তবে তাদের সাথে পুনরায় নফল হিসাবে আদায় করবেমাসবুক ব্যক্তি ইমামকে যে অবস্থায় পাবে সে অবস্থায়ই নামাযে প্রবেশ করবে কিন্তু রুকু না পেলে উহা রাকাআত হিসাবে গণ্য হবে নাবাকী নামায ইমাম সালাম ফিরালে তখন আদায় করবে। প্রত্যেক মাসআলা আমি দলীল সহ উল্লেখ করেছিআমি আমাদের শায়েখ সম্মানিত ইমাম আব্দুল আযীয বন আব্দুল্লাহ ইবন বায (রাহ:) এর অনেক আলোচনা এবং বিভিন্ন মাসআলার ক্ষেত্রে তার অগ্রাধিকার প্রদান হতে অনেক উপকার লাভ করেছিআল্লাহ তাআলা শান্তিময় জান্নাতে তাকে সুউচ্চ মর্যাদা দান করুনআল্লাহ তাআলার কাছে কামনা করছি তিনি যেন এইকাজটুকু কবুল করেনবরকতময় করেনশুধুমাত্র তার জন্য একনিষ্ঠ করেন এবং আমাকে এর দ্বারা দুনিয়ার জীবনে ও মৃত্যুর পরে কল্যাণ দান করেন এবং যার কাছেই এটা পৌঁছবে তাকেও কল্যাণ দান করেননিশ্চয়ই তিনি উত্তম দানশীলপ্রত্যাশার মহান স্থলতিনিই আমাদের জন্য যথেষ্টতিনিই উত্তম ব্যবস্থাপকমহান আল্লাহ তাআলা ব্যতীত কারও কোন শক্তি ও ক্ষমতা নাইআল্লাহ তাআলা সালাত ও সালাম এবং বরকত দান করুন তার বান্দাহ ও রাসূল এবং তার সৃষ্টিকুলের মধ্যে সর্বোত্তম সৃষ্টি আমাদের নবী ও ইমাম এবং আমাদের আদর্শ মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহর সা. প্রতি এবং তাঁর পরিবারের উপর ও তাঁর সাহাবাদের উপর এবং যারা কেয়ামাত পর্যন্ত উত্তমভাবে তাদের অনুসরণ করবে তাদের উপর।
      লেখক
      ২৭/২/১৪২১হি:
                   
Read More---

বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩

নিয়ত অনুসারে নিয়তি ও পরিণতি

Views:

A+ A-

 নিয়ত অনুসারে নিয়তি ও পরিণতি



নিয়ত অনুসারে নিয়তি ও পরিণতি

عَنْ عُمَرَ بْنِ اْلَخطَّابِ رَضيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ يَقُوْلُ: إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَ إِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى اللهِ وَ رَ سُوْلِهِ فَهِجْرَتٌهُ إِلَى اللهِ وَ رَسُوْلِهِ، وَ مَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ لِدُنْيا يُصِيْبُهَا أَوِامْرَأَةٍ يَتَزَوَّجُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ.
উমর ইবনুল খাত্তাব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি : কর্ম মাত্রই নিয়তের উপর নির্ভরশীল। এবং প্রত্যেকের প্রাপ্য-ফল হবে তাই, যা সে নিয়ত করেছে। অতএব, কারো হিজরত আল্লাহ ও রাসূলের উদ্দেশ্যে হলে বস্তুত তার হিজরত আল্লাহ ও রাসূলের উদ্দেশ্যেই গণ্য হবে। আর যার হিজরত দুনিয়া-প্রাপ্তি অথবা কোন নারীকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে হবে, তার হিজরত তারই প্রতি হয়েছে বলে গণ্য হবে।[১]

হাদিস বর্ণনাকারী : খলিফা, আমিরুল মোমিনীন আবু হাফস উমর ইবনুল খাত্তাব ইবনে নুফায়েল ইবনে আব্দুল উজ্জা আল-কোরাইশী আল-আদাবী। তিনি জন্ম লাভ করেন নবুয়্যতের ত্রিশ বৎসর পূর্বে। ইসলাম গ্রহণের পূর্বে মুসলমানদের প্রতি ছিলেন কঠোর মনোভাব পোষণকারী। অত:পর ইসলাম গ্রহণ করেন। তাঁর ইসলাম গ্রহণের ফলে মুসলমানদের কাঙ্ক্ষিত বিজয় ও মুক্তির দুয়ার খুলে যায়। আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ র. বলেন :
وما عبدنا الله جهرة حتى أسلم عمر.
উমর ইসলাম আনার পূর্বে আমরা প্রকাশ্যে আল্লাহর এবাদত করিনি।[২]
তিনি ছিলেন দীর্ঘকায়, বিশাল অবয়ব ও রক্তিম বর্ণের অধিকারী। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ফারুক (পার্থক্যকারী) উপাধিতে ভূষিত করেন। কেননা, আল্লাহ তাআলা তার ইসলাম গ্রহণের মধ্য দিয়ে হক ও বাতিলের মাঝে পার্থক্য নির্ণয় করে দিয়েছিলেন। তিনি হিজরতের পাঁচ বছর পূর্বে ইসলাম গ্রহণ করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সমস্ত যুদ্ধেই তিনি উপস্থিত ছিলেন। ১৩ হিজরিতে আবু বকর সিদ্দিক রা.-এর মনোনয়ন ও পৃষ্ঠপোষকতায় তাঁর মৃত্যুর পর খলিফা নিযুক্ত হন। তাঁর খেলাফতকালেই সিরিয়া, মিশর, বায়তুল মুকাদ্দাস ও ইরাক বিজিত হয়। হিজরি সন প্রবর্তন করেন তিনিই। নথি তৈরির রীতিও তারই মাধ্যমে চালু হয়। এমনিভাবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের প্রচলন সর্বপ্রথম তিনিই করেছেন। মুসলিম উম্মার প্রতি তার দরদ ছিল অগাধ ; ব্যক্তিগতভাবে তিনি সকলের প্রয়োজনের প্রতি সদা দৃষ্টি রাখতেন, খুঁজে খুঁজে তাদের প্রয়োজন পূরণে তৎপর থাকতেন। সত্য ও সততায় তিনি ছিলেন কঠোর। যে পথ বেয়ে চলতেন তিনি, শয়তান তা থেকে পালিয়ে ভিন্ন পথে পলায়ন করত। দীর্ঘ দশ বছর ব্যাপী তিনি মুসলিম উম্মাহর নেতৃত্ব ও খেলাফতের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি শাহাদাত বরণ করেন ২৩ হি: সনে, তখন তাঁর বয়স ছিল ৬৩ বছর।

* শাব্দিক আলোচনা :
إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ : এখানে আমল-এর উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের কর্ম ও কথন। বাক্যটির গঠন ও শৈলী 'সীমাবদ্ধকরণ' অর্থের প্রতি নির্দেশ করে। অর্থাৎ নিয়ত ব্যতীত কোন কর্মফল নেই। نية ্ল-النيات এর বহুবচন ; আভিধানিক অর্থ : এরাদা, ইচ্ছা।

নিয়তের পারিভাষিক অর্থ
Read More---

ইসলামে হালাল উপার্জন : গুরুত্ব ও তাৎপর্য

Views:

A+ A-

  ইসলামে হালাল উপার্জন : গুরুত্ব ও তাৎপর্য



ইসলামে হালাল উপার্জন : গুরুত্ব ও তাৎপর্য

ইসলাম পরিপূর্ণ এক জীবন ব্যবস্থার নাম। এতে মানবজীবনের ব্যক্তিগত পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের যাবতীয় বিষয়ের সমাধানে হিকমতপূর্ণ বিধানের বর্ণনা রয়েছে। এটি মানুষের জন্য যা কল্যাণকর ও হিতকর সে বিষয় বৈধ করত: সবিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে এবং যাবতীয় অকল্যাণ ও ক্ষতিকর বিষয় হতে মানবজাতিকে সর্তক করেছে। অতএব, ইসলাম মানবজাতির জন্য কল্যাণের আঁধার হিসেবে শান্তির বার্তা নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে। মানবদেহের জীবনীশক্তি হিসেবে রক্তের যে গুরুত্ব রয়েছে, মানবজীবনে অর্থের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তাও তেমনি তাৎপর্যপূর্ণ। ফলে অর্থ মানব জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর এর জন্য প্রয়োজন মেধা, শ্রম ও সময়ের যথোপযুক্ত ব্যবহার। জীবন নির্বাহের এ মাধ্যমটিই পেশা হিসেবে পরিগণিত। মহান আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নির্ধারিত ফরজ ইবাদত (যেমন নামায) সম্পন্ন করার পর জীবিকা অন্বেষনে জমীনে ছড়িয়ে পড়তে নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে সর্বশ্রেষ্ঠ জীব নিজেই জীবিকা অর্জনে ব্রতী হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের পরিশ্রম লব্দ উপার্জনকে সর্বোত্তম উপার্জন বলে আখ্যায়িত করেছেন। তবে নিশ্চয় উপার্জনের পন্থা শরীয়াত নির্ধারিত পন্থায় হতে হবে। এমন উপার্জনকে ইসলাম অবৈধ ঘোষনা করেছে, যাতে প্রতারনা, মিথ্যা, ধোঁকাবাজি, জনসাধারণের অকল্যাণ সর্বোপরি জুলুম রয়েছে। দুনিয়ার জীবনে অবৈধ পন্থায় উপার্জন করে সুখ-সাচ্ছন্দ লাভ করলেও পরকালীন জীবনে রয়েছে এর জন্য জবাবদিহিতা ও সুবিচার। সে লক্ষে ইসলাম হালাল উপার্জনের অপরিসীম গুরুত্ব প্রদান করেছে। নিম্নে এসম্পর্কে আলোচনা প্রদত্ত হলো:

উপার্জনের গুরুত্ব

খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, মানুষের মৌলিক অধিকার। এগুলোর যোগান দিতে মানুষকে বেছে নিতে হয় সম্পদ উপার্জনের নানাবিধ পন্থা। জীবিকা নির্বাহের জন্য মানুষ যেসব পেশা অবলম্বন করে তা হলো: কৃষি, ব্যবসা-বানিজ্য, চাকুরী, শিল্প প্রভৃতি। উপার্জনের মাধ্যম ব্যতীত কোন ব্যক্তির পক্ষেই উপর্যুক্ত মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়। মানুষকে মহান আল্লাহ সৃষ্টির শ্রেষ্ট জীব হিসেবে সৃষ্টি করেই ক্ষান্ত হননি; বরং তাদের যাবতিয় মৌলিক অধিকারও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সে লক্ষে তিনি মহাশুণ্যের সব সৃষ্টিকে মানুষের সেবায় নিয়োজিত করেছেন। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে:
﴿هُوَ ٱلَّذِي خَلَقَ لَكُم مَّا فِي ٱلۡأَرۡضِ جَمِيعٗا ثُمَّ ٱسۡتَوَىٰٓ إِلَى ٱلسَّمَآءِ فَسَوَّىٰهُنَّ سَبۡعَ سَمَٰوَٰتٖۚ وَهُوَ بِكُلِّ شَيۡءٍ عَلِيمٞ ٢٩﴾ [البقرة:29]
‘‘তিনিই সেই মহান সত্তা, যিনি পৃথিবীর সবকিছু তোমাদের (ব্যবহারের জন্য) তৈরী করেছেন।’’[1]

তবে এক্ষেত্রে তিনি মানুষকে দিয়েছেন পূর্ণ স্বাধীনতা যা তার ইখতিয়ারভুক্ত একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। ফলে প্রত্যেকে স্ব-স্ব যোগ্যতা, মেধা, শ্রম ও সময়ের যথোপযুক্ত ব্যবহারের মাধ্যেমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রয়াস চালায়।

মানবজীবনে অর্থনীতির গুরুত্ব অপরিসীম। এটি মানুষের জীবন নির্বাহের অন্যতম চালিকা শক্তি হিসেবে সমাদৃত, মানব জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে পরিগণিত। মহান আল্লাহ মানুষকে এর গুরুত্ব অনুধাবন বোধগম্য করার নিমিত্তে পবিত্র কুরআনে সালাতের পাশাপাশি যাকাত তথা অর্থের উল্লেখ ৮২ স্থানে করেছেন। শুধু তাই নয়, মহান আল্লাহ অর্থনৈতিক বিধানও নির্দেশ করেছেন। ফলে কুরআনুল কারিমকে একটি অর্থবিদ্যার মহাকোষ বললেও অত্যুক্তি হবে না। মানুষ কিভাবে উপার্জন করবে, কোন পন্থায় তা ব্যয় করবে এবং উপার্জনের ক্ষেত্রে যাবতীয় অর্জনীয় ও বর্জনীয় গুণাবলীর সম্পর্কে এর সুষ্পষ্ট নির্দেশনা বিদ্যমান। তাইতো ব্যক্তির উপার্জিত সম্পদে তিনি যাকাত ফরয করেছেন, যেন সম্পদ এক শ্রেণির লোকদের মাঝে সীমাবদ্ধ না থাকে। আল্লাহ তা‘আলা ফরয ইবাদত সমাপনান্তে জীবিকা নির্বাহে উপার্জন করার লক্ষ্যে যমিনে ছড়িয়ে পড়তে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন:
﴿فَإِذَا قُضِيَتِ ٱلصَّلَوٰةُ فَٱنتَشِرُواْ فِي ٱلۡأَرۡضِ وَٱبۡتَغُواْ مِن فَضۡلِ ٱللَّهِ وَٱذۡكُرُواْ ٱللَّهَ كَثِيرٗا لَّعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ﴾ [الجمعة:10]
‘‘সালাত সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করবে, এবং আল্লাহকে অধিক স্মরন করবে যাতে তোমরা সফলকাম হও[2]।’’
Read More---

মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০২৩

নারীর হজ ও উমরা

Views:

A+ A-

নারীর হজ ও উমরা





সূচীপত্র
ভূমিকা 

হজের অর্থ : 
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত : 
মহিলাদের হজের গুরুত্ব: 
হজের শর্তসমূহ: 
এক. আর্থিক সক্ষমতা 
আর্থিক সংগতি বলতে কি বুঝায়? তার পরিমাণ কত ?

মাহরাম কারা?
এক. বংশীয় মাহরাম 
দুই. দুধ খাওয়া জনিত মাহরাম 
তিন. বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে মাহরাম 
মাহরাম-এর কিছু শর্ত: 

হজের আদবসমূহ: 
আল্লাহর দরবারে আমল কবুল হওয়ার জন্য শর্ত সমূহ 
হজ শুরু করার আগে যা করণীয় 
এক. হজ শুরু করার আগে আপনাকে কয়েকটি কাজ করতে হবে 
দুই. হজের সফরে আপনাকে কয়েকটি জিনিস সাথে নিতে হবে 
তিন. হজের সফরে যাওয়ার সময় আপনার বিশেষ করণীয় 
মহিলা হাজী সাহেবার জন্য যা বর্জনীয় 
এহরামের আগে ও পরে সর্বাবস্থায় বর্জনীয় বিষয়সমূহ 

এহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজসমূহ 
যদি কেউ নিষিদ্ধ বিষয়গুলো করে ফেলে তার কি করা উচিত ?
মহিলা হাজী সাহেবার এহরামের পোশাক 
মহিলা হাজী সাহেবারা কীভাবে হজ এবং উমরা সম্পন্ন করবেন 
উমরা অথবা হজের এহরাম হওয়ার আগে মহিলাদের
জন্য যা কিছু মুস্তাহাব 
এহরাম অবস্থায় মহিলাদের পোশাক 
তাওয়াফের ব্যাপারে মহিলাদের বিশেষ কিছু নির্দেশনা 
তামাত্তু হজকারী হাজী সাহেবার জন্য হজের কার্যাবলী 
তামাত্তু হজ আদায়কারী হাজী সাহেবাদের কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত রূপ 
'ইফরাদ' অথবা 'কিরান'
হজ আদায়কারী হাজী সাহেবাদের কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত রূপ 
'কিরান' হজ আদায়কারী এবং 'ইফরাদ' হজ আদায়কারীর মধ্যে পার্থক্য 
Read More---

হজ, উমরা ও যিয়ারতের পদ্ধতি [মাসনূন দো‘আ সহ]

Views:

A+ A-

হজ, উমরা ও যিয়ারতের পদ্ধতি [মাসনূন দো‘আ সহ]



ভূমিকা
সমস্ত প্রশংসা সারা বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহরই জন্য। পবিত্র ও বরকতময় অগণিত স্ত্ততি আল্লাহর জন্যই নিবেদিত। আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা যিনি সম্মানিত ঘরকে মানুষের মিলনকেন্দ্র ও নিরাপদ স্থানে পরিণত করেছেন, যে ঘরের প্রতি রয়েছে আল্লাহর মু’মিন বান্দাদের হৃদয়ের আকর্ষণ।
দরূদ ও সালাম প্রিয় নবী মুস্তাফার উপর যিনি ঔ সকল ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোত্তম যারা আল্লাহর ঘরে হজ ও উমরা পালন করেছেন, যাকে সারা জগতের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আমানতের দায়িত্ব আদায় করেছেন, উম্মাতকে নসীহত করেছেন, আল্লাহর পথে সর্বাত্মক জিহাদ করেছেন, আল্লাহ তাঁকে দ্বীন ইসলাম সহকারে পাঠিয়েছেন। তা দিয়ে তিনি বান্দাহদেরকে সঠিক পথের দিশা দিয়েছেন এবং কুফর ও শির্কের অন্ধকার থেকে তাদেরকে মুক্ত করে ইসলামের প্রদীপ্ত সূর্যালোকে নিয়ে এসেছেন। 
আল্লাহ তা’আলা বলেন :
﴿ وَكَذَٰلِكَ أَوۡحَيۡنَآ إِلَيۡكَ رُوحٗا مِّنۡ أَمۡرِنَاۚ مَا كُنتَ تَدۡرِي مَا ٱلۡكِتَٰبُ وَلَا ٱلۡإِيمَٰنُ وَلَٰكِن جَعَلۡنَٰهُ نُورٗا نَّهۡدِي بِهِۦ مَن نَّشَآءُ مِنۡ عِبَادِنَاۚ وَإِنَّكَ لَتَهۡدِيٓ إِلَىٰ صِرَٰطٖ مُّسۡتَقِيمٖ ٥٢ ﴾ [الشورى: ٥٢] 
‘‘আর এভাবে আমি আপনার কাছে অহী প্রেরণ করেছি যা আমার নির্দেশের অন্তর্গত। আপনি তো জানতেন না কিতাব কি এবং ঈমান কি ! কিন্তু আমি একে এমনই এক আলোকবর্তিকায় পরিণত করেছি যদ্বারা আমার বান্দাদের থেকে যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দান করি। আর আপনিতো নিশ্চয়ই সরল পথের দিকে পথ প্রদর্শনই করেন।’’[সুরা আশ্ শুরা: ৫২]
হে আল্লাহ আপনি যে শরীয়ত প্রদান করেছেন সে জন্য আপনার প্রশংসা। আপনি যে নির্দেশ দিয়েছেন সে জন্য আপনার প্রশংসা। আপনি যা সহজ করেছেন এবং নির্ধারণ করে দিয়েছেন সে জন্য আপনার প্রশংসা।
Read More---

রোজার আদব

Views:

A+ A-

 রোজার আদব



রোজার আদব 

আদব হল মানুষের জীবনের সৌন্দর্য। ইবাদত-বন্দেগির আদবসমূহ ইবাদতকে উজ্জ্বল ও স্বচ্ছ করে দেয়। তাই প্রত্যেকটি ইবাদতের রয়েছে কিছু আদব-কায়দা বা শিষ্টাচার। কিছু আদব হল অবশ্য পালনীয় যা বাস্তবায়ন না করলে ইবাদতটি গ্রহণযোগ্য হবে না, আর কিছু হল মোস্তাহাব অর্থাৎ যা পালন করলে ইবাদতটি পরিপূর্ণতার সহায়ক হয় এবং ইবাদতের মাঝে কোন ক্ষতি হয়ে গেলে তা কাটিয়ে উঠা যায় ও পরিপূর্ণ সওয়াব পাওয়া যায়। তাই আমরা এখানে সিয়ামের কতিপয় আদব আলোচনা করব। আমরা যদি এ আদবসমূহ মান্য করে সিয়াম আদায় করতে পারি তবে আল্লাহর ফজলে আমরা সিয়ামের পূর্ণ সওয়াব বা প্রতিদান লাভ করতে সক্ষম হব।

(১) ইসলামকে জীবনের সকল ক্ষেত্রে অনুসরণ করা :

সিয়াম পালনকারী তো বটেই প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য হল আল্লাহ যা কিছু আদেশ করেছেন তা পালন করা। আর যা কিছু করতে তিনি নিষেধ করেছেন তার প্রত্যেকটি বর্জন করা। এর নামই হল ইসলাম বা স্রষ্টার কাছে মানুষের পূর্ণ আত্মসমর্পণ। একজন মুসলিম যেমন কখনো নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ করতে পারে না তেমনি অন্য মানুষের খেয়াল-খুশি বা তাদের রচিত বিধানের অনুগত হতে পারে না। যদি হয় তবে তা স্রষ্টার কাছে আত্মসমর্পণ করা হল না। যদি এমনভাবে জীবনকে পরিচালিত করা যায় তবে তাকেই বলা হবে পরিপূর্ণ ইসলাম। আর পরিপূর্ণ ইসলামে প্রবেশ করতে আল্লাহর রাব্বুল আলামিন আদেশ করেছেন মানুষকে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন :
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ. (البقرة : ২০৮)
'হে মোমিনগণ ! তোমরা সর্বাত্মকভাবে ইসলামে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কর না। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।' সূরা বাকারা : ২০৮
ইসলামকে পূর্ণাঙ্গভাবে অনুসরণ করার নামই হল তাকওয়া। যে তাকওয়া অবলম্বন করতে আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বার বার নির্দেশ দিয়েছেন। এ তাকওয়ার দাবি হল আল্লাহর আনুগত্য করা হবে, অবাধ্য হওয়া যাবে না, তাকে স্মরণ করা হবে ভুলে যাওয়া চলবে না, তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হতে হবে অকৃতজ্ঞ (কাফির) হওয়া যাবে না। ঈমানদারের সবচেয়ে বড় কর্তব্য হল, শিরক ও রিয়া মুক্ত থেকে খালেস আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ইবাদতসমূহ সম্পাদন করা। এর মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত হল পাঁচ ওয়াক্ত সালাত। সালাত বাদ দিয়ে সিয়ামের কি মূল্য আছে ? দৈনিক পাঁচবার সালাত আদায় করতে হবে জামাতের সাথে। জামাতের সাথে সালাত আদায়ের মাধ্যমে মুনাফেকি থেকে মুক্তির সনদ নিতে হবে। এরপর যথা সময় জাকাত আদায় করতে হবে। সত্যিকার হকদারকে জাকাত প্রদান করতে হবে। এমনিভাবে যে সামর্থ্য রাখে তার হজ ও ওমরাহ আদায় করতে হবে। সাথে সাথে উত্তম চরিত্রের মাধ্যমে সকলের সাথে আচরণ করতে হবে। মাতা-পিতার সাথে ভাল আচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক সু-দৃঢ় রাখা, প্রতিবেশীর সাথে সদাচরণ, সাধ্য-মত সৎকাজের আদেশ ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখার দায়িত্ব পালন করতে হবে। এমনিভাবে জাদু-টোনা, সুদি কারবার, মিথ্যা কথা, ধোঁকাবাজি, ঘুসসহ সকল প্রকার দুর্নীতি, মাদক সেবন, ব্যভিচার, সৃষ্টি জীবকে কষ্ট দেয়া ও গান-বাদ্য পরিহার করতে হবে। মানুষের অধিকারগুলো যথাযথভাবে আদায় করতে হবে।
Read More---

সালাত আদায়ের পদ্ধতি

Views:

A+ A-

 সালাত আদায়ের পদ্ধতি



ভূমিকা

নিশ্চয় সকল প্রশংসার মালিক আল্লাহ তাআলাআমরা তার প্রশংসা করিতার নিকট সাহায্য চাইতার নিকট ইস্তেগফার করি। আমরা আমাদের প্রবৃত্তির অনিষ্ট ও কুকর্মের বদ আছর থেকে তার নিকট চাই। তিনি যাকে হিদায়াত করেনতাকে কেউ গোমরাহ করতে পারে নাআর যাকে তিনি গোমরাহ করেনতাকে কেউ সুপথ দেখাতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যেআল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেইতিনি এক-তার কোন শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যেমুহাম্মদ আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহ তার উপর এবং তার বংশধর ও সাহাবাদের উপর এবং কিয়ামত পর্যন্ত যারা তাদের সুন্দরভাবে অনুসরণ করবেতাদের সকলের উপর অসংখ্য-অগনন দরুদ ও সালাম বর্ষণ করুন।
অতঃপর: সিফাতুস সালাত’ তথা সালাতের নিয়ম-পদ্ধতি সংক্রান্ত এটা একটা ছোট পুস্তিকাএতে আমি তাকবির থেকে আরম্ভ করে সালাম পর্যন্ত কুরআন ও হাদিসের দৃষ্টিকোন থেকে সালাতের নিয়ম-পদ্ধতি বর্ণনা করেছি। এ পুস্তিকা লেখার ক্ষেত্রে আমি আমাদের শায়খ আল্লামা আব্দুল আজিজ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ ইব্‌ন বাজ এর দরস ও তাকরির থেকে অনেক উপকৃত হয়েছি। আল্লাহ তাকে জান্নাতে সুউচ্চ স্থান দান করুন।
দোয়া করছি আল্লাহ আমাদের এ ক্ষুদ্র আমলকে বরকতময় করুন এবং একে একমাত্র তার সন্তুষ্টির জন্য কবুল করুন। এর দ্বারা আমাকে উপকৃত করুন জীবনে ও মরণে এবং প্রত্যেক পাঠককে। তিনি দোয়া কবুলকারী ও মনোবাঞ্চনা পূর্ণকারী।

লেখক
শুক্রবারের প্রথম প্রহর
১৮/০৮/১৪২০হি.
Read More---

শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩

নামাযে প্রচলিত ভুল-ত্রুটি (ওযুর ভুল-ত্রুটি সহ)

Views:

A+ A-

 নামাযে প্রচলিত ভুল-ত্রুটি (ওযুর ভুল-ত্রুটি সহ)



ভূমিকা: সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত ছালাত আদায় করার ক্ষেত্রে মুমিন সর্বাধিক সতর্ক হবে। যথাসম্ভব নির্ভূলভাবে ছালাত সম্পাদন করতে সচেষ্ট হবে। ছালাতের ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত এবং ছালাতের পূর্বাপর বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে বিশুদ্ধভাবে পালন করবে। তার ছালাত নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ছালাতের সাথে মিলছে কি না তা নিশ্চিত হয়ে নিবে। কিন্তু বাস্তব অবস্থা কি? বর্তমানে মুসলমানদের ছালাতের অবস্থা দেখলে মনে হয়না যে তারা ছালাতের মত শ্রেষ্ঠ ইবাদতটি আদায় করছেন না কি করছেন? দেখা যায় অধিকাংশ লোকের ছালাত বিভিন্ন ধরণের ভুলে ভরা।
আমরা নিম্নে এমন কিছু ভুল-ত্রুটির উল্লেখ করছি যেগুলো মুছল্লীদের মধ্যে দেখা যায়; অথচ তা থেকে সতর্ক থাকা সকলের জন্য জরুরী।

১) তাড়াহুড়া করে ওযু করাঃ 
নামায ধরার জন্য তাড়াহুড়া করে ওযু করার কারণে অনেক সময় কোন কোন স্থানে পানি পৌঁছে না। শুকনা রয়ে যায় বিভিন্ন অঙ্গের কোন কোন স্থান। অথচ কোন স্থান শুকনা থেকে গেলে সেই ওযু দিয়ে ছালাত বিশুদ্ধ হবে না।

২) পেশাব ও পায়খানার চাপ রেখে ছালাত আদায় করাঃ 
রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
 لَا صَلَاةَ بِحَضْرَةِ الطَّعَامِ وَلَا هُوَ يُدَافِعُهُ الْأَخْبَثَانِ
“খাদ্য উপস্থিত হলে এবং দুটি নাপাক বস্তুর (পেশাব-পায়খানা) চাপ থাকলে ছালাত হবে না। (মুসলিম)

৩) দ্রুততার সাথে দৌড়িয়ে নামাযে শরীক হওয়াঃ 
অনেকে ইমামের সাথে তাকবীরে তাহরীমা পাওয়ার জন্য বা রুকু পাওয়ার জন্য দৌড়িয়ে বা দ্রুত হেঁটে ছালাতে শামীল হয়। অথচ এটা নিষিদ্ধ। 
রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
 إِذَا أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ فَلَا تَأْتُوهَا تَسْعَوْنَ وَأْتُوهَا تَمْشُونَ عَلَيْكُمُ السَّكِينَةُ فَمَا أَدْرَكْتُمْ فَصَلُّوا وَمَا فَاتَكُمْ فَأَتِمُّوا 
“যখন নামাযের ইকামত প্রদান করা হয় তখন তাড়াহুড়া করে নামাযের দিকে আসবে না। বরং ধীর-স্থীর এবং প্রশান্তির সাথে হেঁটে হেঁটে আগমণ করবে। অতঃপর নামাযের যতটুকু অংশ পাবে তা আদায় করবে। আর যা ছুটে যাবে তা (ইমামের সালামের পর) পূর্ণ করে নিবে।” (বুখারী ও মুসলিম)
Read More---