Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

See Our Articles In Different Styles... Grid View List View

শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৩

তাওহীদের বিশ্বাস

Views:

A+ A-

তাওহীদের বিশ্বাস



তাওহীদের বিশ্বাস

১ম অধ্যায়
তাওহীদ

১। আল্লাহ তা'আলা এরশাদ করেছেন,
وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ
"আমি জিন এবং মানব জাতিকে একমাত্র আমার ইবাদত করার জন্যই সৃষ্টি করেছি।" (যারিয়াত . ৫৬)।
২। আল্লাহ তা'আলা আরো এরশাদ করেছেন,
وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَسُولًا أَنِ اُعْبُدُوا اللَّهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوتَ (النحل: ৩৬)
"আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসূল পাঠিয়েছি। [তাঁর মাধ্যমে এ নির্দেশ দিয়েছি] তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো, আর তাগুতকে বর্জন করো।" (নাহল: ৩৬)
Read More---

শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৩

সুন্নাহের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

Views:

A+ A-

 সুন্নাহের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা





সুন্নাহের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

ভূমিকা
  إِنَّ الْحَمْدُ للهِ ، نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِيْنُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ ، وَنَعُـوْذُ بِاللهِ مِنْ شُرُوْرِ أَنْفُسِنَا ، وَمِنْ سَيِّئَاتِ أَعْمَالِنَا ، مَنْ يَّهْدِهِ اللهُ فَلاَ مُضِلَّ لَهُ ، وَمَنْ يُّضْلِلِ اللهُ فَلاَ هَادِيَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ 
নিশ্চয় যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য আমরা তারই প্রশংসা করি, তার কাছে সাহায্য চাই, তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি। আল্লাহর নিকট আমরা আমাদের প্রবৃত্তির অনিষ্টতা ও আমাদের কর্মসমূহের খারাবী থেকে আশ্রয় কামনা করি। আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেন, তাকে গোমরাহ করার কেউ নাই। আর যাকে গোমরাহ করেন তাকে হেদায়েত দেয়ার কেউ নাই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্যিকার ইলাহ নেই, তিনি একক, তার কোন শরিক নাই। আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। সালাত ও সালাম নাযিল হোক তার উপর, তার পরিবার-পরিজন ও তার সাহাবীদের উপর এবং যারা কিয়ামত পর্যন্ত সঠিকভাবে তাদের অনুসরণ করেন তাদের উপর।
Read More---

অধ্যয়ন ও জ্ঞানসাধনা (১ম পর্ব)

Views:

A+ A-

অধ্যয়ন ও জ্ঞানসাধনা (১ম পর্ব)



অধ্যয়ন ও জ্ঞানসাধনা (১ম পর্ব)

লেখকের কথা 
الحمد لله وكفى وسلام على عباده الذين اصطفى اما بعد.
আল্লাহ তাআলার শোকর আদায় ও রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামর প্রতি শত কোটি দরূদ ও সালাম পাঠ করছি। আল্লাহ তাআলা পাঠকদের সঙ্গে এক ধরনের আত্মার বন্ধন তৈরি করে দিয়েছেন। সেই বন্ধনের টানে অযোগ্যতা ও শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তিনি আমাকে ক্ষুদ্র উপঢৌকন দিয়ে পাঠকের আতিথেয়তার দুয়ারে উপস্থিত করেন। হয়ত পরম অতিথিপরায় আত্মীয় (পাঠকগণ) উপঢৌকনের ক্ষুদ্রতা ও স্বল্পমূল্যতা সত্ত্বেও আমাকে সাদরে বরণ করেন এবং তাদের উদার হৃদয়ে আমাকে স্থান দেন। পাঠকদের এই উদারতাই আমাকে বারবার লিখতে অনুপ্রাণিত করেসাহস যোগায় মনে। আল্লাহ তাআলার করুণা এবং পাঠকগণের উদারতায় আবার তাদের সামনে হাজির হলাম। এবারের আয়োজন আলেম-তালেবে ইলমদের জন্য। ইলমের ফযীলতআলেমের মর্যাদাপাঠ ও পঠন পদ্ধতিশিক্ষাগ্রহণ এবং শিক্ষাপ্রদানে নববী আদর্শউস্তাদ-শাগরেদদের সঙ্গে যাপিত আচরণইলম সংশ্লিষ্ট জিনিসপত্রের সঙ্গে আচরণ ইত্যাদি বিষয় বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
Read More---

অধ্যয়ন ও জ্ঞানসাধনা (২য় পর্ব)

Views:

A+ A-

অধ্যয়ন ও জ্ঞানসাধনা (২য় পর্ব)



১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

অধ্যয়ন ও জ্ঞানসাধনা (২য় পর্ব)

২য় পরিচ্ছেদ:
ইলম অন্বেষণের বিভিন্ন ঘটনা
রাখালের ইলম: পৃথিবীর যাবতীয় ইলম ছয়টি বস্তুর মধ্যে!
মাঠে এক রাখালের সঙ্গে ঈসা (আ.)-এর সঙ্গে সাক্ষাত হলো। তিনি রাখালকে বললেনহে যুবক! তুমি গোটা জীবন এই পশুচারণের মধ্যে কাটিয়ে দিলে! যদি জীবনকে ইলম অন্বেষণের কাজে ব্যয় করতে হবে কতই না উত্তম হতো! জবাবে রাখাল বললেনহে আল্লাহর নবী! আমি ইলম ভাণ্ডার থেকে ছয়টি বস্তু গ্রহণ করেছি এবং সে অনুযায়ী আমল করি। যথা-
এক. ما دام الحلال موجوداً لا آكل حراماً ‘যতক্ষণ হালাল বস্তুর অস্তিত্ব আছে ততক্ষণ পর্যন্ত হারাম ভক্ষণ করি না।
দুই. ما دام الصدق موجوداً لا أكذب যতক্ষণ সত্য বলার সুযোগ আছে ততক্ষণ মিথ্যার আশ্রয় নিই না।
তিন. ما دمت أرى عيبي لا أنشغل بعيوب الآخرين ‘যতক্ষণ আমার নিজের মধ্যে দোষ আছে ততক্ষণ অন্যের দোষ তালাশ করি না।
চার. حيث لم أجد إبليس قد مات لا أئتمن وساوسه ‘যতক্ষণ ইবলিশকে মৃত না দেখব ততক্ষণ পর্যন্ত তার চক্রান্ত ও কুমন্ত্রণা থেকে নিজেকে নিরাপদ ভাবব না।
পাঁচ. যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর খাজানা খালি না হতে দেখব ততক্ষণ পর্যন্ত মাখলুকের খাজানার প্রতি লালায়িত হবো না। আর এখন পর্যন্ত আল্লাহর খাজানা শূন্য হয়নি। অতএব আমাকে মাখলুকের প্রতিও ধাবিত হতে হয় না।
Read More---

যে ব্যক্তি কোন মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছেন তার জন্য কি তওবা আছে?

Views:

A+ A-

যে ব্যক্তি কোন মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছেন তার জন্য কি তওবা আছে?

প্রশ্ন: জনৈক ব্যক্তির জিন্দেগী রাশি রাশি পাপে ভরপুর। বর্তমানে সে এক জটিল রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসা নেয়ার বহু চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়নি। ডাক্তার বলেছেন, এই রোগের কোন চিকিৎসা নেই। এ পর্যায়ে এসে তিনি অত্যন্ত অনুতপ্ত এবং গুনাহ থেকে তওবা করতে ইচ্ছুক। যে রোগ থেকে মুক্তির আশা নেই এমন মরণব্যাধিতে আক্রান্ত এই ব্যক্তির তওবা কী শুদ্ধ হবে?

উত্তর:

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।


যে ব্যক্তি জীবনের ব্যাপারে নিরাশ হয়ে গেছে তার তওবা শুদ্ধ হবে। 
তার এ নিরাশার কারণ কোন রোগ হোক যেমন- ক্যান্সার। অথবা হত্যার শাস্তি তথা শিরোচ্ছেদের মুখোমুখি হওয়া এবং জল্লাদ তলোয়ার নিয়ে তার মাথার উপরে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে হোক। অথবা বিবাহিত ব্যক্তির ব্যভিচারের শাস্তি তথা ‘পাথর নিক্ষেপে মৃত্যুদণ্ড’ কার্যকর করার জন্য পাথর স্তূপ করার কারণে হোক। এদের সবার তওবা শুদ্ধ হবে। কেননা মৃত্যুর গড়গড়া শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা তওবা কবুল করেন। দলিল হচ্ছে আল্লাহ তাআলার বাণী: 
“অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন, যারা ভুলবশতঃ মন্দ কাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদের তওবা আল্লাহ কবুল করেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, রহস্যবিদ।”[সূরা নিসা, আয়াত ১৭]। 
“অনতিবিলম্বে তওবা করে” এ কথার অর্থ হলো- মৃত্যুর আগে তওবা করে। যেহেতু আল্লাহ তাআলা বলেছেন: 
“আর এমন লোকদের জন্য তওবা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে, এমন কি যখন তাদের কারো মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন বলতে থাকে আমি এখন তওবা করছি।” [সূরা নিসা, আয়াত ১৮]
Read More---

তিনি একজন ভাল মুসলিমা হতে চান

Views:

A+ A-

 তিনি একজন ভাল মুসলিমা হতে চান



প্রশ্ন: আমি প্রকৃত ইসলামের অনুসারী নারী হতে চাই। আমি কিভাবে শুরু করতে পারি। আমি এখনও সে রকম খারাপ নই। তবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের সবগুলো পড়া হয় না। এখনো পুরোপুরি ইসলামি পোশাক পরিধান করি না। আমি এখন কিভাবে শুরু করব।

উত্তর:

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। 

প্রকৃত ইসলাম মানে ইসলামের সকল হুকুম-আহকাম মেনে চলা। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- নামায। যেহেতু নামায হচ্ছে- ইসলাম ধর্মের ভিত্তিমূল। কেয়ামতের দিন বান্দাকে সর্বপ্রথম নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। নামায হচ্ছে- ঈমানদার ও কাফেরের মাঝে পার্থক্যকারী অঙ্গীকার। সুতরাং যে ব্যক্তি নামায ত্যাগ করে সে কাফের। তাই আপনার অপরিহার্য কর্তব্য হচ্ছে- যথাসময়ে নামায আদায় করা এবং এ ব্যাপারে কোনরূপ অবহেলা না-করা। 

এরপর শরিয়তের অন্যসব বিধিবিধান পালন করাও আপনার কর্তব্য। যেমন- হিজাব। যেসব উপায় উপকরণ গ্রহণ করলে ইসলামি বিধিবিধান পালন করা সহজ হয় তার মধ্যে রয়েছে- কুরআন তেলাওয়াত করা, নবীর সিরাত পড়া, নেককারদের জীবনী ও তাদের বিভিন্ন ঘটনা পড়া এবং আমরা আপনাকে কিছু মুসলিম সৎ বান্ধবী নির্বাচন করার উপদেশ দিচ্ছি। সৎসর্গের মাধ্যমে আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি ইসলামের উপর অবিচল থাকতে পারবেন।  

প্রিয় বোন, আপনার উচিত হবে- আত্মসমালোচনা করা। আল্লাহ তাআলা বলেছেন: 
“মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত, আগামী কালের জন্যে সে কি প্রেরণ করে, তা চিন্তা করা। আল্লাহকে ভয় করতে থাক। তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে খবর রাখেন।”[সূরা হাশর, ৫৯:১৮] 
Read More---

আপনি কিভাবে শয়তান থেকে বাঁচবেন

Views:

A+ A-

 আপনি কিভাবে শয়তান থেকে বাঁচবেন




আপনি কিভাবে শয়তান থেকে বাঁচবেন

আল্ হামদু লিল্লাহ্ ওয়াছ্ ছালাতু ওয়াস্ সালামু আলা রাসূলিল্লাহ্।
সম্মানিত পাঠক-পাঠিকা! আল্লাহ আপনাকে এবং আমাকে শয়তান থেকে রক্ষা করুন। শয়তান মানুষের প্রথম এবং শেষ শত্রু প্রকাশ্য শত্রু। তার কুমন্ত্রণা ও অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য মানুষ মাত্রেই প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু অস্ত্র যদি ধারালো না হয় বা সঠিকভাবে নিক্ষিপ্ত না হয় তবে শত্রু লক্ষ্যভ্রষ্ট হবে। তাই শয়তান নামক শত্রু থেকে বাঁচার জন্য মহান ক্ষমতাধর আল্লাহ্ তা‘আলার এলাহী অস্ত্রই হচ্ছে সবচেয়ে বড় মাধ্যম।
মনে রাখবেন, এই শয়তান থেকে বাঁচতে হলে মনগড়া রক্ষা-কবচ ব্যবহার করলে হবে না। যেমন তাবীয-কবচ, সুতা, তাগা, রিং প্রভৃতি। কেননা এগুলো ব্যবহার করা শির্ক। 
যেমন রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেন, “যে ব্যক্তি তাবীয ব্যবহার করবে সে শির্ক করবে।” (আহমাদ)

আমরা আপনাদের সামনে ইসলামে অনুমোদিত সেই সমস্ত মাধ্যম উল্লেখ করছি যা দ্বারা আপনি শয়তানকে বিতাড়িত ও পরাজিত করতে পারবেন। তার চক্রান্ত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।
Read More---

মূর্তি বনাম ভাস্কর্য : সমকালীন বিতর্ক

Views:

A+ A-

মূর্তি বনাম ভাস্কর্য : সমকালীন বিতর্ক


মূর্তি বনাম ভাস্কর্য : সমকালীন বিতর্ক

একটি বিতর্ক : মূর্তি না ভাস্কর্য ?
বিমানবন্দর গোল চক্করে লালনের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হচ্ছিল। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বাধার মুখে কর্তৃপক্ষ তা গত ১৫ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে সরিয়ে নেয়। এরপর এ নিয়ে সৃষ্টি হয় তুমুল বিতর্ক। কিছু লোক এটি পুনস্থাপনের পক্ষে আন্দোলন শুরু করে। আবার অনেকে এখানে হজ মিনার নির্মাণের পক্ষে আন্দোলন আরম্ভ করে।
এদিকে কিছু সংখ্যক বুদ্ধিজীবী বলছেন, 'বিমান বন্দর গোল চক্করে যা নির্মাণ করা হচ্ছিল ওটা মূর্তি নয়; ভাস্কর্য।' তারা 'মূর্তি' ও 'ভাস্কর্য'কে আলাদাভাবে সজ্ঞায়িত করতে চান। বুঝাতে চান দুটো এক জিনিস নয়। তাদের কথা, ইসলামে মূর্তি নিষিদ্ধ হলেও ভাস্কর্য নিষিদ্ধ নয়।


এ বিষয়টি আলোচনা করতে কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করা হবে :

আভিধানিক অর্থে ভাস্কর্য :
ভাস্কর্য অর্থ : Sculpture (স্কালপচার)। যে আকৃতি বা ছবি খোদাই করে তৈরি করা হয় তা-ই ভাস্কর্য। যেমন বলা হয় 'ভাস্কর্য বিদ্যা' এর অর্থ, The art of carving বা খোদাই বিদ্যা। যিনি এ বিদ্যা অর্জন করেছেন তাকে বলা হয় ভাস্কর (Sculptor) অর্থাৎ যিনি খোদাই করে আকৃতি বা ছবি নির্মাণ করেন। যেমন আছে অক্সফোর্ড অভিধানে- One who carves images or figures. অর্থাৎ যে ছবি অথবা আকৃতি খোদাই করে তৈরি করে। পক্ষান্তরে মূর্তি অর্থ ছায়া বা এমন আকৃতি-শরীর, যার ছায়া আছে।
ভাস্কর্য ও মূর্তির আভিধানিক অর্থে স্পষ্ট পার্থক্য দেখা গেল। এককথায় যে সকল আকৃতি খোদাই করে তৈরি করা হয় তা ভাস্কর্য- রৌদ্র বা আলোর বিপরীতে যার ছায়া পড়ে না। আর যে সকল আকৃতি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়, রৌদ্রে বা আলোর বিপরীতে যার ছায়া প্রকাশ পায়, তা হল মূর্তি। বিভিন্ন অভিধানে এভাবেই বলা হয়েছে।
Read More---

কালেমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর অর্থ, শর্তসমূহ এবং ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে তার প্রভাব

Views:

A+ A-

কালেমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর অর্থ, শর্তসমূহ এবং ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে তার প্রভাব




ভূমিকা
الحمد لله رب العالمين و العاقبة للمتقين والصلاة و السلام على رسوله الأمين وعلى آله و صحبه أجمعين و بعد ،
বর্তমান পৃথিবীর এক পঞ্চমাংশ মানুষ মুসলিম হলেও প্রকৃত মুসলিম ও ঈমানদারের সংখ্যা উল্লেখিত অংকের যে বহুগুণ নীচে তা অস্বীকার করার উপায় নেইকারণ অনেক লোক নামধাম দিয়ে ইসলাম ও ঈমানের দাবী করলেও প্রকৃত অর্থে তারা শির্কের বেড়াজাল থেকে নিজদের মুক্ত করতে পারেনি। আল্লাহ তাআলা বলেন,
﴿ وَمَا يُؤۡمِنُ أَكۡثَرُهُم بِٱللَّهِ إِلَّا وَهُم مُّشۡرِكُونَ ١٠٦ ﴾ [يوسف: ١٠٦]
‘‘অনেক মানুষ আল্লাহর উপর ঈমান আনলেও তারা কিন্তু মুশরিক’’। (সূরা ইউসূফআয়াত ১০৬)


অনেক মানুষ তাদের জীবনে কোনো এক সময় ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’’ এ কালেমার মৌখিক স্বীকৃতি দান করেই নিজদেরকে খাটি ঈমানদার মনে করে থাকেযদিও তাদের কাজ কর্ম ঈমান আক্বীদার সম্পূর্ণ পরিপন্থী হোক না কেন এর কারণ হলো ঐ ব্যক্তিরা কেন আল্লাহ্‌র উপর ঈমান এনেছেঅথবা তাদের নিকট ঈমান কি দাবী করে এবং কি কাজ করলে ঈমানের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে যাবে এসম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল নয়।
 গনেশ নামে কোনো ব্যক্তি একেশ্বরবাদে বিশ্বাস করার পরেও কালি পূজা করে বলে অথবা লক্ষ্ণীর নিকট কল্যাণ কামনা করে বলে তাকে মুশরিক বলা হয়। আবার ‘আবদুল্লাহ্ নামক কোনো ব্যক্তি আল্লাহ্‌র একত্ববাদে বিশ্বাস করার পর যদি গোর পূজা বা পীর পূজা করে অথবা খাজাকে সাজদা করে বা মৃত ব্যক্তির নিকট কল্যাণ কামনা করে তাহলে গনেশের মধ্যে ও এ আব্দুল্লার মধ্যে পার্থক্য কোথায়মূলতঃ এদের দুজনের নামে পার্থক্য থাকলেও উভয়ের কর্ম এবং পথ কিন্তু একই দ্বিতীয় ব্যক্তি তার জীবনের কোনো এক সময় ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’’ এ কালেমা সাক্ষ্য দান করে থাকলেও তা ছিল একান্তই গতানুগতিকভাবেই সে তা করেছে, তাই সে তাওহীদের রাজপথকে পরিহার করে ঘুরপাক খাচ্ছে শির্কের অন্ধকার গলিতে অন্তত মুসলিমদের জীবনে এমনটি যেন না ঘটে এ দৃষ্টিকে সামনে রেখে লেখক এই পুস্তিকাটিতে কালেমা ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’’ এর অর্থ এবং এর দাবী ইত্যাদি প্রসঙ্গে তথ্য ভিত্তিক জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেছেন নির্ভেজাল ইসলামী আক্বীদাহ নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য বইটিকে মাইল ফলক হিসাবে ধরা যায় বইটির অপরিসীম গুরুত্ব অনুধাবন করে বাংলা ভাষায় বইটি অনুবাদ করার জন্য আমি প্রয়াসী হই
যথাসময়ে অনুবাদের কাজ শেষ করতে পেরে আমি আল্লাহ্‌র শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি বইটি পড়ে একজন পাঠক ও যদি সঠিক ঈমানী চেতনায় উজ্জীবিত হতে পারেন তাহলে আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা সার্থক হবে বলে মনে করি আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে খাঁটি ঈমানদার হয়ে তাঁর সান্নিধ্য লাভ করার তাওফীক দান করুন। (আমীন)
মুহাম্মদ মতিউল ইসলাম ইবন আলী আহমাদ

Read More---

বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৩

অন্তর বিধ্বংসী বিষয়: প্রবৃত্তির অনুসরণ

Views:

A+ A-

 অন্তর বিধ্বংসী বিষয়: প্রবৃত্তির অনুসরণ




ভূমিকা
الحمد لله رب العالمين، والصلاة والسلام على نبينا محمد، وعلى آله وصحبه أجمعين.
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের যিনি সমগ্র জাহানের প্রতিপালক। আর সালাত ও সালাম নাযিল হোক আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর, যিনি সমস্ত নবীগণের সেরা ও সর্বশ্রেষ্ঠ। আরও সালাত ও সালাম নাযিল হোক তার পরিবার, পরিজন ও সাথী-সঙ্গীদের উপর।
অবশ্যই মনে রাখতে হবে, প্রবৃত্তির অনুসরণ মানুষকে যাবতীয় কল্যাণ হতে বিরত রাখে এবং মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধিকে খর্ব করে। প্রবৃত্তির অনুসরণ দ্বারা মানুষ থেকে দুশ্চরিত্র গুলোই বের হয়ে আসে এবং অশ্লীল ও নোংরা কর্ম প্রকাশ পায়। প্রবৃত্তি মানবতাকে দুর্বল করে এবং অন্যায় অপকর্মের পথকে উন্মুক্ত করে।
Read More---

মুক্তিপ্রাপ্ত দলের পাথেয় (১ম পর্ব)

Views:

A+ A-

মুক্তিপ্রাপ্ত দলের পাথেয় (১ম পর্ব)




ভূমিকা
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম
(পরম দয়ালু, করুণাময় আল্লাহর নামে শুরু করছি)
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের। আমরা তাঁর প্রশংসা করছি, তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করছি এবং তাঁর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি । অন্তরের অনিষ্ট (কুমন্ত্রণা) এবং মন্দ আমল হতে তাঁর আশ্রয় প্রার্থনা করছি। যাকে আল্লাহ হিদায়েত দান করেন তাকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে নাআর যে গোমরাহ হয়ে যায় তাকে কেউ হিদায়েত দিতে পারে না
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি
আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোনো মাবুদ নেই এবং তাঁর কোনো শরিক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল
পূর্ব যুগে মানুষের দু:খ-দুর্দশা বিশেষত: মুসলমানদের কষ্ট-মুসিবত, যুদ্ধ-ফেতনা ইত্যাদির কারণ অনুসন্ধান করে দেখা গেছে তাওহিদ সম্পর্কে জ্ঞানের অপ্রতুলতা, উদাসীনতা ও নানা শিরকি কাজে জড়িয়ে পড়াই ছিল এর মূল কারণ। শিরকমুক্ত তাওহিদের চর্চ-অনুশীলন না থাকার সুযোগটি শয়তান গ্রহণ করেছে  এবং তাদের বিভ্রান্ত করে বিভিন্ন বিপদে ফেলতে সক্ষম হয়েছে তাই আমরা এ ছোট্ট বইটিতে তাওহিদশিরকসহ ইসলামের বেশ কিছু মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্ট করেছি। এবং বইয়ের মাধ্যমেই বিশ্বের সকল ইসলাম অনুসারীকে যাবতীয় শিরকি কর্মকাণ্ড হতে বিরত থেকে খালেছ তাওহিদের ছায়াতলে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি পাঠকের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি বিষয় সংক্ষেপে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি যাতে তারা বিষয়গুলো সহজে বুঝতে পারে
এটি রচনার মাধ্যমে আমরা -মুক্তি প্রাপ্ত দলের আক্বিদাহ ও সাহায্যপ্রাপ্ত দলের রাস্তা- খোঁজার চেষ্টা করেছি যাতে ঐ রাস্তায় চলে জয়যুক্ত ও কামিয়াব হতে পারি
মহান আল্লাহর নিকট আকুল আবেদন, হে আল্লাহ তুমি আমাদেরকে নাযাতপ্রাপ্ত দলের অন্তর্ভূক্ত করে নাও
Read More---

মুক্তিপ্রাপ্ত দলের পাথেয় (২য় পর্ব)

Views:

A+ A-

 মুক্তিপ্রাপ্ত দলের পাথেয় (২য় পর্ব)



১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

মুক্তিপ্রাপ্ত দলের পাথেয় 

আকীদা আগে না হুকুমত আগে ?

মক্কা মোকাররমার প্রসিদ্ধ দারুল হাদিসে এক আলোচনায় বিশ্ব বরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ প্রখ্যাত শায়খ মুহাম্মাদ কুতুব অতি গুরুত্বপূর্ণ এ প্রশ্নটির জবাব দিয়েছিলেন, আমরা এখানে সে উত্তরটি সম্মনীত পাঠক সমীপে উপস্থাপন করছি
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল: বর্তমানে কিছুলোক বলে থাকেন, ইসলামি হুকুমত প্রতিষ্ঠিত হলে ইসলাম পুনরুজ্জীবিত হত আবার অন্যেরা বলেন: ইসলাম আবারো তাজা হবে যদি আকীদাকে সহিহ করার মেহনত করা হয় এবং জামাআত সুসংগঠিত করা হয়। এর কোনটা সত্য ?
Read More---

বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৩

অন্তর-বিধ্বংসী বিষয়সমূহ : ঝগড়া-বিবাদ

Views:

A+ A-

 অন্তর-বিধ্বংসী বিষয়সমূহ : ঝগড়া-বিবাদ





ভূমিকা

الحمد لله رب العالمين، والصلاة والسلام على أشرف المرسلين، نبينا محمد، وعلى آله وأصحابه أجمعين.

ঝগড়া-বিবাদ এমন একটি কঠিন ব্যাধি ও মহা মুসিবত, যা মানুষের অন্তরকে করে কঠিন আর জীবনকে করে ক্ষতি ও হুমকির সম্মুখীন।

ওলামায়ে কেরামগণ এর ক্ষতির দিক বিবেচনার বিষয়টি সম্পর্কে উম্মতদের খুব সতর্ক করেন এবং এ নিয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি করেন। এটি এমন একটি দুশ্চরিত্র যাকে সলফে সালেহীনরা খুব ঘৃণা করত এবং এ থেকে অনেক দূরে থাকত। আব্দুল্লাহ বিন আমর রা. বলেন, একজন কুরআন ওয়ালা বা জ্ঞানীর জন্য যে ঝগড়া করে তার সাথে ঝগড়া করা অনুরূপভাবে কোন মূর্খের সাথে তর্ক করা কোন ক্রমেই উচিত নয়। তার জন্য উচিত হল, ঝগড়া- বিবাদ পরিহার করা। ইব্রাহিমে নখয়ী রহ. বলেন, সালফে সালেহীন ঝগড়া-বিবাদকে অধিক ঘৃণা করত।

তবে এ বিষয়ে প্রথমে আমাদের কয়েকটি বিষয় জানা অপরিহার্য।

এক. ঝগড়া-বিবাদ বলতে আমরা কি বুঝি?
দুই. আলেম ওলামারা কেন ঝগড়া-বিবাদকে অধিক ঘৃণা করেন?
তিন. প্রসংশনীয় বিবাদ আর নিন্দনীয় বিবাদ কোনটি? উভয়টির উদাহরণ কি?
চার. ঝগড়া বিবাদ করা কি মানুষের স্বভাবের সাথে জড়িত নাকি তা তার উপার্জন।
Read More---

সহীহ সুন্নাহ’র আলোকে জান্নাতের বৈশিষ্ট্য (১ম পর্ব)

Views:

A+ A-

 

সহীহ সুন্নাহ’র আলোকে জান্নাতেরই বৈশিষ্ট্য (১ম পর্ব)





দ্বিতীয় সংস্করণের ভূমিকা

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য এবং তিনি স্বয়ং সম্পূর্ণ; শান্তি বর্ষিত হউক তাঁর ঐসব বান্দাদের উপর, যাদেরকে তিনি মনোনীত করেছেন; আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ক ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই; আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল। আর আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য, পুনরুত্থান সত্য, কিয়ামত সত্য, সিরাত (পুলসিরাত) সত্য, হিসাব-নিকাশ সত্য এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা কিছু বলেছেন, তার সবকিছুই সত্য। 
অতঃপর:
যখন  " وصف الجنة و النار من صحيح الأخبار "(সহীহ হাদিসের আলোকে জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা) নামক গ্রন্থের পাণ্ডুলিপি প্রকাশ পায়, তখন আমি দেখলাম যে, তার ব্যাপারে এবং তার বাইরে অন্যান্য গ্রন্থ ও পাণ্ডুলিপির ব্যাপারে মানুষের সবিশেষ আকর্ষণ, যেগুলোতে শুধু সহীহ হাদিসই সংকলিত হয়েছে এবং তার মধ্য থেকে এই বিশাল একটি সংখ্যা বিতরণ করা হয়ে গেছে; আর এটা বার্তা বহন করে নির্ভেজাল জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক জাগরণের; আমাদের কাছে স্পষ্ট হলো যে, একজনন সত্যিকার মুসলিম যুবক এমন নয় যে, তার নিকট প‍ঁচা ও মূল্যবান সবকিছু যাই পেশ করা হবে তা সমভাবে গ্রহণ করবে; বরং সে বাছাই ও পছন্দ করে গ্রহণ করবে; কারণ, জীবন সংক্ষিপ্ত, আর জ্ঞানের পরিধি অনেক ব্যাপক।
Read More---

সহীহ সুন্নাহ’র আলোকে জান্নাতের বৈশিষ্ট্য (২য় পর্ব)

Views:

A+ A-

 

সহীহ সুন্নাহ’র আলোকে জান্নাতের 

বৈশিষ্ট্য (২য় পর্ব)



১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

চতুর্দশ পরিচ্ছেদ

জান্নাতবাসীদের খাদ্য ও পানীয়
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿ وَفَٰكِهَةٖ مِّمَّا يَتَخَيَّرُونَ ٢٠ وَلَحۡمِ طَيۡرٖ مِّمَّا يَشۡتَهُونَ ٢١ ﴾ [الواقعة: ٢٠،  ٢١]
আর তাদের ঈপ্সিত পাখীর গোশ্ত নিয়ে আর তাদের জন্য থাকবে ডাগর চক্ষুবিশিষ্টা হূর[1]

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা আরও বলেন:
﴿ هَٰذَا ذِكۡرٞۚ وَإِنَّ لِلۡمُتَّقِينَ لَحُسۡنَ مَ‍َٔابٖ ٤٩ جَنَّٰتِ عَدۡنٖ مُّفَتَّحَةٗ لَّهُمُ ٱلۡأَبۡوَٰبُ ٥٠ مُتَّكِ‍ِٔينَ فِيهَا يَدۡعُونَ فِيهَا بِفَٰكِهَةٖ كَثِيرَةٖ وَشَرَابٖ ٥١ ﴾ [ص: ٤٩،  ٥١]                                                                                                                          
এ এক স্মরণ। মুত্তাকীদের জন্য রয়েছে উত্তম আবাস— চিরস্থায়ী জান্নাতযার দরজাসমূহ তাদের জন্য উন্মুক্ত সেখানে তারা আসীন হবে হেলান দিয়েসেখানে তারা বহুবিধ ফলমূল ও পানীয় চাইবে।[2]
আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:
﴿ إِنَّ ٱلۡأَبۡرَارَ يَشۡرَبُونَ مِن كَأۡسٖ كَانَ مِزَاجُهَا كَافُورًا ٥ عَيۡنٗا يَشۡرَبُ بِهَا عِبَادُ ٱللَّهِ يُفَجِّرُونَهَا تَفۡجِيرٗا ٦ ﴾ [الانسان: ٥،  ٦]                                                                                                                   
নিশ্চয় সৎকর্মশীলেরা পান করবে এমন পূর্ণপাত্র-পানীয় থেকে যার মিশ্রণ হবে কাফূর— এমন একটি প্রস্রবণ যা থেকে আল্লাহর বান্দাগণ পান করবেতারা এ প্রস্রবণকে যথেচ্ছা প্রবাহিত করবে[3]
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা আরও বলেন:
﴿مَنۡ عَمِلَ سَيِّئَةٗ فَلَا يُجۡزَىٰٓ إِلَّا مِثۡلَهَاۖ وَمَنۡ عَمِلَ صَٰلِحٗا مِّن ذَكَرٍ أَوۡ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤۡمِنٞ فَأُوْلَٰٓئِكَ يَدۡخُلُونَ ٱلۡجَنَّةَ يُرۡزَقُونَ فِيهَا بِغَيۡرِ حِسَابٖ٤٠﴾ [غافر:٤٠]                                                                                                                          
কেউ মন্দ কাজ করলে সে শুধু তার কাজের অনুরূপ শাস্তিই প্রাপ্ত হবে। আর যে পুরুষ কিংবা নারী মুমিন হয়ে সৎকাজ করবে তবে তারা প্রবেশ করবে জান্নাতেসেখানে তাদেরকে দেয়া হবে অগণিত রিযিক।[4]
আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:
﴿ يُطَافُ عَلَيۡهِم بِصِحَافٖ مِّن ذَهَبٖ وَأَكۡوَابٖۖ وَفِيهَا مَا تَشۡتَهِيهِ ٱلۡأَنفُسُ وَتَلَذُّ ٱلۡأَعۡيُنُۖ وَأَنتُمۡ فِيهَا خَٰلِدُونَ ٧١ ﴾ [الزخرف: ٧١]                                                                                                                                                          
স্বর্ণের থালা ও পানপাত্র নিয়ে তাদেরকে প্রদক্ষিণ করা হবে; সেখানে মন যা চায় এবং যাতে নয়ন তৃপ্ত হয় তাই থাকবে। আর সেখানে তোমরা স্থায়ী হবে।[5]
Read More---