Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

See Our Articles In Different Styles... Grid View List View

শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ (১ম পর্ব)

Views:

A+ A-

 প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ (১ম পর্ব)


প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ (১ম পর্ব)

بسم الله الرحمن الرحيم
পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
ভুমিকা
সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য। শ্রেষ্ঠ রাসূল আমাদের নবী মুহাম্মদ, তাঁর পরিবারবর্গ এবং সমস্ত সাহাবীদের উপর সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক...অতঃপর,
তাওহীদ বিষয়ক এ প্রশ্নোত্তরসমূহ চয়ন করেছি মহান আল্লাহর কালাম ও তাঁর রসূলের বাণী অতঃপর উত্তম জাতীর বিশিষ্ট আলেমগণের আলোচিত মাসয়ালা-মাসায়েল থেকে। আর আমাদের এ পুস্তিকা সংকলনের সম্মানজনক সূযোগ করে দিয়েছে রিয়াদ  মহানগরীর শাফা এলাকার ‘দাওয়াত ও নির্দেশনা সহযোগী অফিসে’র জ্ঞান-গবেষণা বিভাগ। উদ্দেশ্য হচ্ছে পুস্তিকা প্রণয়ন করে মহামর্যাদাবান আল্লাহর দীন গ্রহণকারীদের জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করা এবং তা থেকে অন্যান্য মুসলিমদের ব্যাপাক ফায়দা অর্জন। এ পুস্তিকার নাম দেয়া’’ (التوحيد بين السائل والمجيب) [বা প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ]।
আমি যেহেতু জ্ঞান-গবেষণা বিভাগের সদস্য, সেহেতু এ পুস্তকটি প্রণয়ন করেছি শিক্ষাদানের সিলেবাস হিসেবে।

মহা-বরকতময় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, তিনি যেন আমাদের নেক প্রচেষ্টা কবুল করেন এবং উত্তম পুরষ্কার প্রদান করেন। আর ক্বিয়ামত দিবসে নেক আমলের পাল্লা ভারী করে দেন। আমাকে, আমার মাতা-পিতাকে  এবং সকল মুমিনদেরকে বিচার দিবসে মাফ করে দেন। যারা মহা-মহিয়ান আল্লাহর দিকে ডাকে, সাহায্য করে, সৎকাজের আদেশ দান করে, সেদিকে দাওয়াত দেয়, আর যারা পাপকাজ করেন অপছন্দ ও তা থেকে নিষেধ করে তাদের প্রচেষ্টাকে আল্লাহ যেন বরকতময় করে দেন। আল্লাহ আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তাঁর পরিবারবর্গ এবং সাহাবীগণের উপর সন্তুষ্টি ও শান্তি বর্ষণ করুন।

লিপিবদ্ধ হয়েছে যার কলমে তিনি আল্লাহর ক্ষমার ভিখারী;
ড. ইব্রাহীম ইবন সালেহ আল-খুদ্বায়রী
বিচারপতি উচ্চতর আদালত, রিয়াদ,
রাজকীয় সৌদী আরব।
(আল্লাহ তাঁকে এবং তাঁর মাতা-পিতাকে
ও মুমিনদেরকে মাফ করে দিন।)
১৫/০৪/১৪২১ হিজরী।



পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে

{প্রশ্ন:১} সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী আল্লাহ আমাদেরকে কেন সৃষ্টি করেছেন এবং তার দলীল কী?
উত্তর: আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা শুধুমাত্র তাঁরই ইবাদাত বন্দেগী করার জন্যেই আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। দলীল হলো, আল্লাহর বাণী,
﴿ وَمَا خَلَقۡتُ ٱلۡجِنَّ وَٱلۡإِنسَ إِلَّا لِيَعۡبُدُونِ ٥٦ ﴾ [الذاريات: ٥٦] 
‘‘আর আমি জ্বিন এবং মানুষকে এ জন্যই সৃষ্টি করেছি যে, তারা আমারই ‘‘ইবাদাত’ করবে’’। (সূরা আয-যারিয়াত: ৫৬)
উল্লেখ্য যে, ইবাদাতের অর্থ হলো: আদেশ, নিষেধ, সৃষ্টি ও ইবাদাতে আল্লাহকে একক জানতে হবে।
Read More---

প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ (২য় পর্ব)

Views:

A+ A-

 প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ (২য় পর্ব)




প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ (২য় পর্ব)

১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

{প্রশ্ন: ১০৬} জাদুর আভিধানিক এবং পারিভাষিক অর্থ কী?
উত্তর: আভিধানিক অর্থ হলো: সূক্ষ্ম কারচুপি। পারিভাষিক অর্থ হলো: মন্ত্র পাঠ করে ঝাড়া, গিরায় ফুঁক দেওয়া, তাবিজ করা এবং ঐ ধরনের অন্যান্য কাজ করা যা দ্বারা অন্যের ক্বলবে, শরীরে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। আর ঐ প্রতিক্রিয়ায় কেউ রোগাক্রান্ত হয়, পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতি হয়, কারো মৃত্যু ঘটে কিংবা স্বামী-স্ত্রী পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

{প্রশ্ন: ১০৭} জাদুর হুকুম কি? জাদুকরের শাস্তি এবং তার দলীল কী?
উত্তর: জাদু হারাম; কেননা তা ঈমান ও তাওহীদের পরিপন্থী কুফরী কাজ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿ وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنۡ أَحَدٍ حَتَّىٰ يَقُولَآ إِنَّمَا نَحۡنُ فِتۡنَةٞ فَلَا تَكۡفُرۡۖ فَيَتَعَلَّمُونَ مِنۡهُمَا مَا يُفَرِّقُونَ بِهِۦ بَيۡنَ ٱلۡمَرۡءِ وَزَوۡجِهِۦ﴾ [البقرة: ١٠٢] 
‘‘তারা কাউকেই জাদু শিখাতোনা একথা না বলে যে, আমরা পরীক্ষার জন্য অতএব তোমরা কুফরি করো না। অতঃপর তারা তাদের নিকট থেকে এমন জাদু শিখত, যা দ্বারা স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে’’। (সূরা আল-বাক্বারা; ১০২)
জাদুকরের শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড, আর দলীল হলো:
(১) জুনদুব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফু সনদে বর্ণিত আছে;
«حَدُّ السَّاحِرِ ضَرْبَةٌ بِالسَّيْفِ»
‘‘জাদুকরের দণ্ড হচ্ছে তরবারী দ্বারা (শিরচ্ছেদ)’’। (তিরমিযী-১৪৫০ হাকেম; ৪/৩৬০ বায়হাক্বী: ৮/১২৮)
(২) ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি তার খিলাফতকালে রাষ্ট্রিয় কর্মকর্তাদের নিকট ফরমান জারি করেছেন যে,  
«اقتلوا كل ساحر وساحرة»
‘‘তোমরা প্রত্যেক পুরুষ ও মহিলা জাদুকরদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আদেশ করেছেন’’। (বুখারী, আবুদাউদ, মুসন্নাফে আব্দুর রাযযাক)
(৩) উম্মুল মু’মিনীন হাফসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত আছে যে,  তাঁরই ঘরে আশ্রিত একটি মেয়ে তাঁকে জাদু করে, ফলে সে মেয়েটিকে হত্যা করার আদেশ দেওয়া হয় এবং তাকে হত্যা করা হয়। (মালেক তাঁর মুআত্তায় এবং বায়হাকী (৮/১৩৬) বর্ণনা করেন, দেখুন: মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ ৬/২৮০)
অতএব, জাদুকরকে হত্যার দলীল আল্লাহর রাসূলের তিনজন সাহাবী থেকে সহীহভাবে প্রমাণিত হল; তারা হলেন:- ওমর, তাঁর মেয়ে হাফসা এবং জুনদুব রাদ্বিয়াল্লাহ তা‘আলা আনহুম। (আল-বুখারী ফিত-তারিখ: ২/২২২, বায়হাকী: ৮/১৩৬)

{প্রশ্ন: ১০৮} মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত আছে যে, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«الْعِيَافَةُ، وَالطِّيَرَةُ، وَالطَّرْقُ مِنَ الجِبْتِ»
(আহমাদ ৩/৪৭৭, আবু দাউদ: ৩৯০৮, নাসায়ী ফিল কুবরা: ৮/২৭৫, আল-বাগায়ী ফি শারহীস সুন্নাহ; ১২/১৭৭)
হাদীসে উল্লেখিত শব্দগুলির ভাবার্থ কি?
উত্তর: (الْعِيَافَةُ) (আল-‘ইয়াফা) = পাখীর ডাক, পাখী উড়ানোর মাধ্যমে লক্ষণ গ্রহণ করা এবং পাখীর নড়াচড়া। পাখীর নাম, পাখীর ডাক এবং চলাচল অনুযায়ী শুভ বা অশুভ লক্ষণ মনে করা।
(الطَّرْقُ) (আত্তরক্ব) = যমীনের রেখা অথবা বালুর মধ্যে রেখাপাত। কিংবা জাদু মন্ত্রের প্রয়োজনে ঢিল ছুড়া অতঃপর তথাকথিত গায়েব আবিস্কার করা।
(الطِّيَرَةُ) (আত-ত্বিয়ারাহ) = শ্রুত অথবা দর্শিত অশুভ লক্ষণ।
(الجِبْتِ) (আল-জিবত) = জাদু-মন্ত্র, কিংবা শয়তানের সূর শব্দ ঝংকার।[33]

Read More---

আল-কোরআন ও সুন্নাহ হতে সংকলিত শরীয়তসম্মত উপায়ে ঝাড়-ফুঁক

Views:

A+ A-

 আল-কোরআন ও সুন্নাহ হতে সংকলিত শরীয়তসম্মত উপায়ে ঝাড়-ফুঁক 



শরীয়ত সম্মত উপায়ে ঝাড়-ফুঁক করার শর্তাবলী

১- ঝাড়-ফুঁক হতে হবে আল্লাহর কোরআন অথবা, তাঁর নামসমূহ  অথবা তাঁর গুনাবলীসমূহ দ্বারা
২- ঝাড়-ফুঁক হতে হবে আরবী বা অন্য যে কোনো ভাষায়, যার অর্থ জানা যায়
৩- এ কথায় দৃঢ় বিশ্বাস রাখতে হবে যে, (রোগ চিকিৎসায়) ঝাড়-ফুঁকের কোনোই ক্ষমতা নাই, বরং রোগ শিফা’র সকল ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলারই
৪- ঝাড়-ফুঁক যেন হারাম অবস্থায় না হয় অর্থাৎ নাপাক অবস্থায় অথবা, কবর বা পায়খানায় বসে ঝাড়-ফুঁক করা যাবে না

আল-কোরআনে বর্ণিত ঝাড়-ফুঁক সংক্রান্ত আয়াতসমূহ

১-  সূরা আল-ফাতিহা
﴿ بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ ١ ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ٢ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ ٣ مَٰلِكِ يَوۡمِ ٱلدِّينِ ٤ إِيَّاكَ نَعۡبُدُ وَإِيَّاكَ نَسۡتَعِينُ ٥ ٱهۡدِنَا ٱلصِّرَٰطَ ٱلۡمُسۡتَقِيمَ ٦ صِرَٰطَ ٱلَّذِينَ أَنۡعَمۡتَ عَلَيۡهِمۡ غَيۡرِ ٱلۡمَغۡضُوبِ عَلَيۡهِمۡ وَلَا ٱلضَّآلِّينَ ٧ ﴾ [الفاتحة: ١،  ٧] 
(১) “আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অতি দয়ালু (২) সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য, যিনি সকল সৃষ্টিজগতের একাম্ত পরিচালনাকারী ও মালিক (৩) যিনি পরম দয়ালু, অতিশয় করুণাময় (৪) যিনি বিচারদিনের মালিক (৫) আমরা একমাত্র আপনারই ‘ইবাদত করি আর আপনারই নিকট সাহায্য চাই (৬) আমাদেরকে সরলপথ প্রদান করুন তাদের পথে, যাদেরকে আপনি নে‘মত দান করেছেন (৭) তাদের পথে নয়, যারা আপনার পক্ষ হতে গযবপ্রাপ্ত (অর্থাৎ, ইহুদীগণ) আর তাদের পথেও নয়, যারা পথভ্রষ্ট (গোমরাহ) হয়েছে” (অর্থাৎ, খৃষ্টানগণ) আমীন    
Read More---

গানের বিধান : ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে

Views:

A+ A-

 গানের বিধান : ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে



গানের বিধান : ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে

الحمد لله رب العالمين، وصلى الله وسلم وبارك على نبينا محمد، وعلى آله وأصحابه ومن تبعهم بإحسان إلى يوم الدين، أما بعد:
আল্লাহ তাআলা মানব জাতীকে অতীব সুন্দর আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। চোখ, কান ও অন্তর দ্বারা মানবজাতীকে সৌন্দর্য মন্ডিত করেছেন। আর ক্বিয়ামতের দিন মানব জাতির প্রত্যেককে আল্লাহ তাআলার দরবারে হাজির হতে হবে এবং জিজ্ঞাসার সম্মূখীন হতে হবে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে স্বীয় মাখলুকের মধ্যে চিন্তা-ফিকির করার যে নির্দেশ মানুষকে দিয়েছেন সে অনুযায়ী যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহর মাখলুক সম্পর্কে চিন্তা- ফিকির করে, তবে সে অবশ্যই আল্লাহর সৃষ্টির মহত্ব, তার সৌন্দর্য মন্ডিত কারীগরি ও নিঁখুত আবিস্কারের পরিপূর্ণতা প্রত্যক্ষ করবে। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেন,
((وَفِي أَنفُسِكُمْ أَفَلَا تُبْصِرُونَ)) (الذاريات:২১).
তোমাদের নিজদের মধ্যেও। তোমরা কি চক্ষুষ্মান হবে না? (জারিয়াত: ২১)
আল্লাহ তাআলা মানুষকে যে সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারা সৃষ্টি করেছেন তার মধ্যে কান ও চোখ হল, মানুষের জন্য সর্বাধিক গুরুত্ব পূর্ণ অঙ্গ ও আল্লাহর নেয়ামতসমূহের অন্যতম। আল্লাহ তাআলা তার মহা গ্রন্থ আল-কুরআনে বলেন,
(( إِنَّا خَلَقْنَا الْإِنسَانَ مِن نُّطْفَةٍ أَمْشَاجٍ نَّبْتَلِيهِ فَجَعَلْنَاهُ سَمِيعًا بَصِيرًا)) (الإنسان:২).
আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিশ্র শুক্রবিন্দু থেকে, আমি তাকে পরীক্ষা করব, ফলে আমি তাকে বানিয়েছি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন।
Read More---

তাবিজ ও তাবিজ জাতীয় বস্তুর ব্যবহার

Views:

A+ A-

 তাবিজ ও তাবিজ জাতীয় বস্তুর ব্যবহার



তাবিজ ও তাবিজ জাতীয় বস্তুর ব্যবহার

এ শিরোনামের অধীন চারটি বিষয় আলোচনা করব: 
ইসলামের দৃষ্টিতে তাবিজ
কুরআন-হাদিসের তাবিজ
তাবিজ ঝুলানো কোন প্রকার শিরক
চিকিৎসা পদ্ধতিশরয়ী ঝাড়-ফুঁক ও তাবিজের পার্থক্য


ইসলামের দৃষ্টিতে তাবিজ

ইমরান বিন হুসাইন রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক ব্যক্তির হাতে তামা/ স্বর্ণের আংটি দেখে বললেন,
«وَيْحَكَ مَا هَذِهِ ؟ " قَالَمِنَ الْوَاهِنَةِ، قَالَ: " أَمَا إِنَّهَا لَا تَزِيدُكَ إِلَّا وَهْنًا، انْبِذْهَا عَنْكَ، فَإِنَّكَ لَوْ مِتَّ وَهِيَ عَلَيْكَ مَا أَفْلَحْتَ أَبَدًا»
ধ্বংস তোমারএটা কীসে বলল: অহেনার[1] অংশ তিনি বললেন: মনে রেখ, এটা তোমার দুর্বলতা ব্যতীত কিছু বৃদ্ধি করবে না, এটা তোমার থেকে ছুড়ে মার, কারণ তুমি যদি মারা যাও আর এটা তোমার উপর থাকেতুমি কখনো সফল হবে না[2]

উকবা বিন আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনআমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:
«مَنْ تَعَلَّقَ تَمِيمَةً، فَلَا أَتَمَّ اللَّهُ لَهُ، وَمَنْ تَعَلَّقَ وَدَعَةً، فَلَا وَدَعَ اللَّهُ لَهُ»
যে তামিমাহ[3] ঝুলালোআল্লাহ তাকে পূর্ণতা দেবেন নাআর যে শঙ্খ ঝুলালো আল্লাহ তাকে নিরাপত্তা দিবেন না[4]
Read More---

ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকুরী করার বিধান

Views:

A+ A-

 ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকুরী করার বিধন


ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকুরী করার বিধান

আমাদের দেশে ইনস্যুরেন্স বা বীমা কোম্পানিগুলো অধিকাংশই বাণিজ্যিক, যা সবই প্রতারণা ও সুদ নির্ভর। তাই এ সকল কোম্পানিতে চাকুরী করা বা তাতে অর্থ লগ্নি করা হারাম।
আন্তর্জাতিক ফিকহ একাডেমি (ওআইসির একটি শাখা সংস্থা) এবং সউদী আরবের উচ্চ উলামা পরিষদ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, সব ধরণের বাণিজ্যিক বীমা হারাম। চাই তা জীবন বীমা হোক বা সম্পদের বীমা হোক।

তার কারণ সমূহ নিম্নে উল্লেখ করা হল:

প্রথমত: বাণিজ্যিক জীবন বীমা হচ্ছে এমন একটি চুক্তি যাতে অর্থের বিনিময় হয়ে থাকে। কিন্তু তাতে আছে কঠিন ধোঁকার সম্ভাবনা। কেননা বীমাকারীর পক্ষে চুক্তির সময় একথা জানা সম্ভব নয় যে, কি পরিমাণ অর্থ সে প্রদান করবে এবং কি পরিমাণ গ্রহণ করবে। এমনও হতে পারে যে, সে হয়তো এক বা দু কিস্তি অর্থ প্রদান করল এবং তারপরেই কোন দুর্ঘটনা ঘটল। তখন বীমা কর্তৃপক্ষ শর্ত অনুযায়ী বিরাট পরিমাণ অর্থ দিতে বাধ্য থাকবে। হতে পারে কোন দুর্ঘটনাই ঘটল না। তখন বীমাকারী সকল কিস্তি পরিশোধ করতেই থাকবে। অথচ বেঁচে থাকতে সে শেষে কিছুই পাবে না; তার মৃত্যুর পর তার ওয়ারিছগণ পাবে।
Read More---

মা দিবস!

Views:

A+ A-

 মা দিবস!




মা দিবস!

আল হামদুলিল্লাহ্ ওয়াস্ সালাতু ওয়াস্ সালামু আলা রাসূলিল্লাহ আম্মা বাদ

‘মা দিবস’ অর্থ: সারা দিন, দিনমান, অহোরাত্র। তাই মা দিবস অর্থ দাঁড়ায়, মার জন্য একটি পুরো দিন। অর্থাৎ বছরের এক দিন মায়ের জন্য নিবেদন করবেন। তাঁর সেবায় কাটাবেন। তাঁকে খুশী রাখবেন। সেই দিনটিতে তাঁর পাশে থাকবেন। বিভিন্ন কার্য-কলাপের মধ্য দিয়ে সেই দিনটি পালন করবেন। কিছু লোকের পরিভাষায় একেই বলা হচ্ছে মা দিবস।
মায়ের জন্য এমন একটি দিন আবিষ্কারের পিছনে কারণ কি? তা খোঁজ করলে, জানা যায়, পৃথিবীতে মায়ের সন্তানাদি নাকি এতই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে যে, তাদের হাতে মায়ের সেবা করার মত ও  মায়ের পাশে থাকার মত কোন সময় নেই। অবশ্য অন্য কিছুর জন্য তাদের যথেষ্ট সময় থাকে! তাই প্রয়োজন হয়েছে একটি দিবসের। কারণ বছরে ৩৬৫ দিনের মধ্যে একটি দিনও যদি মায়ের জন্য নির্দিষ্ট না করা যায় তো, লোকেরা কী বলবে?! জগত কী ভাববে?! মায়ের সম্মানের কী হবে?! জননীর ঋণ শোধ হবে কী ভাবে?!
Read More---

ঘুষের ভয়াবহতা ও তা থেকে উত্তরণের উপায়

Views:

A+ A-

 ঘুষের ভয়াবহতা ও তা থেকে উত্তরণের উপায়



ঘুষের ভয়াবহতা ও তা থেকে উত্তরণের উপায়

ঘুষ একটি সামাজিক ব্যাধি। ঘুষ হচ্ছে স্বাভাবিক ও বৈধ উপায়ে যা কিছু পাওয়া যায় তার উপর অবৈধ পন্থায় অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করা। কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী তার দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়মিত বেতন/ভাতা পাওয়া সত্ত্বেও যদি বাড়তি কিছু অবৈধ পন্থায় গ্রহণ করে তাহলে তা ঘুষ হিসাবে বিবেচিত। অনেক সময় স্বীয় অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ঘুষ দেওয়া হয়। আবার অনেক সময় টাকা-পয়সা ছাড়াও উপহারের নামে নানা সমগ্রী প্রদান করা হয়। সুতরাং যেভাবেই হোকআর যে নামেই হোক তা ঘুষের অন্তর্ভুক্ত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى الرَّاشِي وَالْمُرْتَشِي»
“ঘুষ প্রদানকারী ও গ্রহণকারী উভয়ের উপরই আল্লাহর লা‘নত[1]।”


Read More---

বিদ‘আত ও এর মন্দ প্রভাব

Views:

A+ A-

 বিদ‘আত ও এর মন্দ প্রভাব



বিদ‘আত ও এর মন্দ প্রভাব

সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরা এবং বিদ‘আত থেকে সতর্ক থাকা ওয়াজিব

প্রশংসা সেই আল্লাহর যিনি আমাদের জন্য দ্বীনকে পরিপূর্ণ করেছেন, আমাদের উপর নেয়ামতকে সম্পূর্ণ করেছেন এবং ইসলামকে দ্বীন হিসাবে আমাদের জন্য মনোনীত করেছেন। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক তার সেই বান্দা ও রাসূলের উপর যাকে প্রেরণ করা হয়েছে তাঁর রবের আনুগত্যের দিকে আহ্বানকারী এবং বাড়াবাড়িবিদআত ও পাপ থেকে সতর্ককারী হিসেবে। আল্লাহ তাঁর উপরতাঁর পরিবার পরিজনসকল সাথীবর্গ এবং কিয়ামত পর্যন্ত তাঁর পথের অনুসারী ও তাঁর সুন্নাতের অনুসারীদের উপর রহমত বর্ষণ করুন।
অতঃপর,
সাপ্তাহিক উর্দু পত্রিকা (ইদারাত) এ প্রকাশিত একটি প্রবন্ধ দেখতে পেলাম যা ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি শিল্প এলাকা কানপুর থেকে প্রকাশিত হয়। এর প্রথম পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু ছিল: ‘‘সৌদী আরব ও এর আকীদা আঁকড়ে ধরা এবং বিদআত প্রতিরোধের সংগ্রাম করার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন’’। সালাফী আকীদার উপর এ অপবাদ দেওয়া দ্বারা লেখকের উদ্দেশ্য হলো আহলে সুন্নাতের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করা এবং বিদআত ও কুসংস্কারের উপর উৎসাহ দেওয়া ।
এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, এটি একটি খারাপ উদ্দেশ্য এবং ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ, যার উদ্দেশ্য হলো দ্বীন ইসলামের ক্ষতি করা এবং বিদআত ও ভ্রষ্টতা প্রচার করা। তারপর এ প্রবন্ধটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামের জন্ম দিবস পালনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে এবং একে কেন্দ্র করেই সৌদী আরবের আকীদা বাস্তবায়ন সম্পর্কে কথা বলেছে। কাজেই এ বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়াটাই ভালো মনে করছি। সুতরাং আমি বলব:
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং অন্য যে কারো জন্ম দিবস পালন করা জায়েয নেই বরং তা নিষেধ করা ওয়াজিবকারণ তা দ্বীনের মধ্যে একটি নব আবিষ্কৃত বিদআত যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো করেননিতিনি তাঁর নিজের জন্য বা তাঁর পূর্বে মৃত্যুবরণকারী কোনো নবীতাঁর মেয়েগণ বা স্ত্রীগণ বা তাঁর কোনো আত্মীয়-স্বজন অথবা কোনো সাহাবীর জন্ম দিবস পালন করার নির্দেশ দেননি। এমনকি তাঁর কোনো খালীফায়ে রাশেদ বা সাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহুম অথবা কোনো তাবেঈ এবং স্বর্ণযুগে সুন্নাতে মুহাম্মাদিয়ার কোনো আলেম তা করেননি। অথচ তারাই সুন্নাত সম্পর্কে সকলের চেয়ে বেশী অবগত এবং রাসলের মহব্বতের ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে এবং তাদের পরবর্তী লোকদের চেয়ে তাঁর বেশী অনুসরণকারী। যদি তা পালন করা ভালো হতো, তাহলে অবশ্যই তারা আমাদের চেয়ে আগে পালন করতেন।
Read More---

ভাষা ও মাতৃভাষা : আল্লাহর বিশেষ দান

Views:

A+ A-

 ভাষা ও মাতৃভাষা : আল্লাহর বিশেষ দান



ভাষা ও মাতৃভাষা : আল্লাহর বিশেষ দান

মানুষের প্রতি আল্লাহর যেসব নিয়ামত ও দানের কথা প্রাতস্মরণীয় ভাষা তার অন্যতম। বৈচিত্র্যময় ভাষা আর নিরূপম বাক প্রতিভার গুণে মানুষ অন্য সব প্রাণী থেকে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। গণমাধ্যমের চরমোৎকর্ষের এ যুগে নিত্যনতুন যোগাযোগ প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হচ্ছে। বাকপ্রতিভা থাকাতেই মানুষ সেসব কাজে লাগিয়ে লাভবান হতে পারছে। আল্লাহ মানুষকে বাকশক্তি দিয়েছেন বলেই এত সব আবিষ্কার স্বার্থক হচ্ছে। বাকশক্তির বদৌলতে মানুষ গান গেয়ে আমোদিত হয়। কবিতা আবৃত্তি করে নিজে তৃপ্ত হয় বক্তব্য দিয়ে শ্রোতাকে মুগ্ধ ও বিনোদিত করে। তাই ভাষার এ নেয়ামতের প্রতি ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেন,
﴿ ٱلرَّحۡمَٰنُ ١ عَلَّمَ ٱلۡقُرۡءَانَ ٢ خَلَقَ ٱلۡإِنسَٰنَ ٣ عَلَّمَهُ ٱلۡبَيَانَ ٤ ﴾ [الرحمن: ١،  ٤] 
‘পরম করুণাময়, তিনি শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন, তিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষ, তিনি তাকে শিখিয়েছেন ভাষা।’ {সূরা আর-রহমান, আয়াত : ১-৪}
Read More---

শির্কের হাকিকত ও তার প্রকারসমূহ কি?

Views:

A+ A-

 শির্কের হাকিকত ও তার প্রকারসমূহ কি?



শির্কের হাকিকত ও তার প্রকারসমূহ কি?

প্রশ্ন: আমি প্রায় পড়ি “এটা বড় শির্ক ওটা ছোট শির্ক”, কিন্তু বিষয়গুলো আমার নিকট স্পষ্ট নয়, আপনি কি আমাকে শির্কের হাকিকত এবং ছোট ও বড় শির্কের মাঝে পার্থক্য স্পষ্ট করে বলবেন? এ ফতোয়ায় তারই উত্তর প্রদান করা হয়েছে।

উত্তর:
আল-হামদুলিল্লাহ,
মুসলিম হিসেবে প্রত্যেকের জন্যই শির্কের অর্থ, ভয়াবহতা ও তার প্রকারসমূহ জানা ফরয ও অবশ্য জরুরি, তবেই তার তাওহীদ পরিপূর্ণ, ইসলাম নিরাপদ ও ঈমান বিশুদ্ধ হবে। অতএব আল্লাহর উপর ভরসা করে বলছি, তিনি আপনাকে তার হিদায়েতের তাওফিক দান করুন।
জেনে রাখুন, শির্কের আভিধানিক অর্থ অংশীদার সাব্যস্ত করা, অর্থাৎ কাউকে অপরের অংশীদার বানানো। সাধারণত দু’জনের মাঝে কোনো বস্তু বণ্টন করা হলে বলা হয়: أشرك بينهما ‘সে তাদের উভয়ের মাঝে শরীক করেছে’, অথবা বলা হয়: أشرك في أمره غيره ‘সে তার বিষয়ে অপরকে অংশীদার করেছে’, যখন বিষয়টি দু’জনের জন্য নির্ধারণ করা হয়।
শরীয়তের পরিভাষায় শির্ক: আল্লাহর রুবুবিয়াত অথবা তার ইবাদত অথবা তার নাম ও গুণাবলিতে অংশীদার বা সমকক্ষ নির্ধারণ করা।
আল্লাহ তা‘আলা কুরআনুল কারিমের বহু আয়াতে তার সমকক্ষ ও শরীক গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন, যারা তার সমকক্ষ নির্ধারণ করে, তাদের তিনি নিন্দা করেছেন, যেমন তিনি বলেন:
﴿فَلَا تَجۡعَلُواْ لِلَّهِ أَندَادٗا وَأَنتُمۡ تَعۡلَمُونَ ٢٢ ﴾ [البقرة: ٢٢] 
“সুতরাং তোমরা জেনে-বুঝে আল্লাহর জন্য সমকক্ষ নির্ধারণ করো না”।[1] 
Read More---

ফতোওয়া ঈমান: ঈমান সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১২০টি প্রশ্নোত্তর (২য় পর্ব)

Views:

A+ A-

 ফতোওয়া ঈমান: ঈমান সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১২০টি প্রশ্নোত্তর (২য় পর্ব)

১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

ফতোওয়া ঈমান: ঈমান সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১২০টি প্রশ্নোত্তর (২য় পর্ব)
মূল: শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমীন (রহ.)
অনুবাদক: মুহাঃ আব্দুল্লাহ আল-কাফী ও আব্দুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানী 


প্রশ্নঃ (৮১) কবরের উপর নির্মাণ কাজ করা কি?
উত্তরঃ কবরের উপর নির্মাণ কাজ করা হারাম। যেমন কবর পাকা করা, কবরের চার পাশে প্রাচীর নির্মাণ করা, গম্বুজ ইত্যাদি তৈরী করা ইত্যাদি। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কবর পাকা করতে নিষেধ করেছেন। কারণ এতে কবরবাসীকে অতিরিক্ত সম্মান করার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, কবরবাসীদেরকে উপাস্য হিসাবে গ্রহণ করারও ভয় রয়েছে। বর্তমানে অধিকাংশ কবরের অবস্থাই তাই। অধিকাংশ মানুষই কবরবাসীদেরকে আল্লাহর সাথে শরীক করে থাকে। আল্লাহর কাছে কিছু পাওয়ার আশায় কবরবাসীর উসীলায় দু’আ করে থাকে। কবরবাসীদের কাছে দু’আ করা এবং বিপদা-পদ দূর করার জন্য তাদের কাছে ফরিয়াদ করা বড় শির্কের অন্তর্ভুক্ত, যা মানুষকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়।

প্রশ্নঃ (৮২) মসজিদে দাফন করার বিধান কি?
উত্তরঃ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদে দাফন করতে এবং কবরের উপর মসজিদ নির্মাণ করতে নিষেধ করেছেন। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মৃত্যুর পূর্ব মূহুর্তেও কবরকে মসজিদে পরিণতকারীদের উপর লা’নত করেছেন এবং তাঁর উম্মতকে সতর্ক করেছেন। তিনি এটাও উল্লেখ করেছেন যে, কবরকে মসজিদে পরিণত করা ইহুদী-খৃষ্টানাদের কাজ। কারণ মসজিদে দাফন করা এবং কবরের উপর মসজিদ নির্মাণ করা শির্কের মাধ্যম ও বাহন। মসজিদে মৃত ব্যক্তিদেরকে দাফন করা হলে মানুষ বিশ্বাস করবে যে, দাফনকৃত ব্যক্তি কল্যাণ-অকল্যাণের ক্ষমতা রাখে অথবা তার এমন বৈশিষ্ট রয়েছে, যা তার আনুগত্যকে আবশ্যক করে। মুসলমানদের অপরিহার্য কর্তব্য হবে এই ভয়াবহ খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকা। মসজিদগুলো যেন সকল প্রকার শির্ক থেকে মুক্ত হয়ে ছহীহ আকীদা এবং নির্ভেজাল তাওহীদের প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয় সে চেষ্টা করা। আল্লাহ বলেন,
)وَأَنَّ الْمَسَاجِدَ لِلَّهِ فَلَا تَدْعُوا مَعَ اللَّهِ أَحَدًا(
“এবং মসজিদসমূহ আল্লাহ তাআ’লার জন্য। অতএব, আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে ডেকো না।” (সূরা জিনঃ ১৮) সুতরাং মসজিদসমূহ সকল প্রকার শির্কের চিহ্ন থেকে মুক্ত করতে হবে। তাতে একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করতে হবে, যাঁর কোন শরীক নেই। এটাই মুসলমানদের উপর ওয়াজিব।

Read More---

ফতোওয়া ঈমান: ঈমান সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১২০টি প্রশ্নোত্তর (১ম পর্ব)

Views:

A+ A-

 ফতোওয়া ঈমান: ঈমান সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১২০টি প্রশ্নোত্তর (১ম পর্ব)


ফতোওয়া ঈমান: ঈমান সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১২০টি প্রশ্নোত্তর (১ম পর্ব)
মূল: শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমীন (রহ.)
অনুবাদক: মুহাঃ আব্দুল্লাহ আল-কাফী ও আব্দুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানী 



প্রশ্নঃ (১) তাওহীদ কাকে বলে? উহা কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ তাওহীদ শব্দটি (وحد) ক্রিয়ামূল থেকে উৎপত্তি হয়েছে। এর আভিধানিক অর্থ কোন জিনিসকে একক হিসাবে নির্ধারণ করা। ‘না’ বাচক ও ‘হ্যাঁ’ বাচক উক্তি ব্যতীত এটির বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব নয়। 

অর্থাৎ একককৃত বস্ত ব্যতীত অন্য বস্ত হতে কোন বিধানকে অস্বীকার করে একককৃত বস্তর জন্য তা সাব্যস্ত করা। উদাহরণ স্বরূপ আমরা বলব, “আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মা’বূদ নেই” একথার সাক্ষ্য দেয়া ব্যতীত কোন ব্যক্তির তাওহীদ পূর্ণ হবে না। যে ব্যক্তি এই সাক্ষ্য প্রদান করবে, সে আল্লাহ ছাড়া অন্যান্য সকল বস্ত হতে উলুহিয়্যাতকে (ইবাদত) অস্বীকার করে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য তা সাব্যস্ত করবে। কারণ শুধুমাত্র নাফী বা ‘না’ বাচক বাক্যের মাধ্যমে কোন বস্তকে গুণাগুণ থেকে মুক্ত করা হয়। আর শুধুমাত্র ‘হ্যাঁ’ বাচক বাক্যের মাধ্যমে কোন বস্তর জন্য কোন বিধান সাব্যস্ত করলে সেই বিধানে অন্যের অংশ গ্রহণকে বাধা প্রদান করে না। যেমন উদাহরণ স্বরূপ যদি আপনি বলেন, ‘অমুক ব্যক্তি দাঁড়ানো’। এই বাক্যে আপনি তার জন্য দন্ডায়মান হওয়াকে সাব্যস্ত করলেন। তবে আপনি তাকে দন্ডায়মান গুণের মাধ্যমে একক হিসাবে সাব্যস্ত করলেন না। হতে পারে এই গুণের মাঝে অন্যরাও শরীক আছে। অর্থাৎ অমুক ব্যক্তির সাথে অন্যান্য ব্যক্তিগণও দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। আর যদি বল, “যায়েদ ব্যতীত আর কেউ দাঁড়ানো নেই” তবে আপনি দন্ডায়মান হওয়াকে শুধুমাত্র যায়েদের সাথে সীমিত করে দিলেন। এই বাক্যে আপনি দন্ডায়মানের মাধ্যমে যায়েদকে একক করে দিলেন এবং দাঁড়ানো গুণটিকে যায়েদ ব্যতীত অন্যের জন্য হওয়াকে অস্বীকার করলেন। এভাবেই তাওহীদের প্রকৃত রূপ বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। অর্থাৎ নাফী (না বোধক) ও ইছবাত (হ্যাঁ বোধক) বাক্যের সমন্বয় ব্যতীত তাওহীদ কখনো প্রকৃত তাওহীদ হিসাবে গণ্য হবে না। মুসলিম বিদ্বানগণ তাওহীদকে তিনভাগে বিভক্ত করেছেন।

১)      তাওহীদুর্‌ রুবূবীয়্যাহ
২)      তাওহীদুল উলুহীয়্যাহ
৩)      তাওহীদুল আসমা অস্‌ সিফাত

   কুরআন ও হাদীছ গভীরভাবে গবেষণা করে আলেমগণ এই সিদ্ধানে- উপনীত হয়েছেন যে, তাওহীদ উপরোক্ত তিন প্রকারের মাঝে সীমিত।

প্রথমতঃ তাওহীদে রুবূবীয়্যার বিস্তারিত পরিচয়ঃ

   সৃষ্টি, রাজত্ব, কর্তৃত্ব ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক হিসাবে বিশ্বাস করার নাম তাওহীদে রুবূবীয়্যাহ্‌।
Read More---