Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

See Our Articles In Different Styles... Grid View List View

মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

পুন্যের অসংখ্য পথ

Views:

A+ A-

 পুন্যের অসংখ্য পথ


পুণ্যের পথ অনেক
আল্লাহ তাআলা বলেন,
﴿ وَمَا تَفۡعَلُواْ مِنۡ خَيۡرٖ فَإِنَّ ٱللَّهَ بِهِۦ عَلِيمٞ ﴾ [البقرة: ٢١٥] 
অর্থাৎ “তোমরা যে কোন সৎকাজ কর না কেনআল্লাহ তা সম্যকরূপে অবগত।”(সূরা বাক্বারা ২১৫ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
﴿وَمَا تَفۡعَلُواْ مِنۡ خَيۡرٖ يَعۡلَمۡهُ ٱللَّهُۗ ﴾ [البقرة: ١٩٧] 
অর্থাৎ “তোমরা যে সৎকাজ করআল্লাহ তা জানেন।” (আল-বাক্বারাহ: ১৯৭ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
﴿ فَمَن يَعۡمَلۡ مِثۡقَالَ ذَرَّةٍ خَيۡرٗا يَرَهُۥ ٧ ﴾ [الزلزلة: ٧] 
অর্থাৎ “কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করে থাকলেও সে তা দেখতে পাবে।” (সূরা যিলযাল ৭ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
﴿ مَنۡ عَمِلَ صَٰلِحٗا فَلِنَفۡسِهِۦۖ ﴾ [الجاثية: ١٥] 
অর্থাৎ “যে সৎকাজ করেসে নিজ কল্যাণের জন্যই তা করে।” (সূরা জাসিয়াহ ১৫ আয়াত)
এ বিষয়ে আয়াত অনেক রয়েছে এবং হাদীসও অগণিত রয়েছে। তার মধ্যে কিছু আমরা বর্ণনা করব। 

1/119 عَنْ أَبِي ذَرٍّ جُنْدبِ بنِ جُنَادَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قُلْتُ : يَا رَسُولَ الله، أيُّ الأَعْمَالِ أفْضَلُ ؟ قَالَ: «الإيمانُ باللهِ وَالجِهادُ في سَبيلِهِ».قُلْتُ : أيُّ الرِّقَابِ أفْضَلُ ؟ قَالَ: «أنْفَسُهَا عِنْدَ أهلِهَا وَأكثَرهَا ثَمَناً».قُلْتُ : فإنْ لَمْ أفْعَلْ ؟ قَالَ: «تُعِينُ صَانِعاً أَوْ تَصْنَعُ لأََِخْرَقَ».قُلْتُ : يَا رَسُولَ الله، أرأيْتَ إنْ ضَعُفْتُ عَنْ بَعْضِ العَمَلِ ؟ قَالَ: «تَكُفُّ شَرَّكَ عَنِ النَّاسِ؛ فإنَّهَا صَدَقَةٌ مِنْكَ عَلَى نَفْسِكَ».مُتَّفَقٌ عليه
১/১১৯। আবূ যার্র জুনদুব ইবন জুনাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন যেআমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন্ আমল সর্বোত্তম?’ তিনি বললেন, ‘‘আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা ও তাঁর পথে জিহাদ করা।’’ আমি বললাম, ‘কোন্ গোলাম (কৃতদাস) স্বাধীন করা সর্বোত্তম?’ তিনি বললেন, ‘‘যে তার মালিকের দৃষ্টিতে সর্বশ্রেষ্ঠ ও অধিক মূল্যবান।’’ আমি বললাম, ‘যদি আমি এ সব (কাজ) করতে না পারি।’ তিনি বললেন, ‘‘তুমি কোন কারিগরের সহযোগিতা করবে অথবা অকর্মন্যের কাজ করে দেবে।’’ আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনি বলুনযদি আমি (এর) কিছু কাজে অক্ষম হই (তাহলে কি করব)?’ তিনি বললেন, ‘‘তুমি মানুষের উপর থেকে তোমার মন্দকে নিবৃত্ত কর। তাহলে তা হবে তোমার পক্ষ থেকে তোমার নিজের জন্য সাদকাহস্বরূপ।’’[1]

2/120 عَنْ أَبِي ذَرٍّ أيضاً رضي الله عنه : أنَّ رَسُولَ الله ﷺ، قَالَ: «يُصْبحُ عَلَى كُلِّ سُلامَى منْ أَحَدِكُمْ صَدَقةٌ : فَكُلُّ تَسبيحَةٍ صَدَقَةٌ، وَكُلُّ تَحمِيدةٍ صَدَقَة، وَكُلُّ تَهْلِيلَةٍ صَدَقَةٌ، وَكُلُّ تَكبيرَةٍ صَدَقَةٌ، وَأمْرٌ بِالمعرُوفِ صَدَقةٌ، ونَهيٌ عَنِ المُنْكَرِ صَدَقةٌ، وَيُجزِىءُ مِنْ ذلِكَ رَكْعَتَانِ يَركَعُهُما مِنَ الضُّحَى». رواه مسلم
২/১২০। আবূ যার্র রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেই বর্ণিতরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘তোমাদের মধ্যে প্রত্যেকের প্রত্যেক (হাড়ের) জোড়ের পক্ষ থেকে প্রাত্যহিক (প্রদেয়) সাদকাহ রয়েছে। সুতরাং প্রত্যেক তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ বলা) সাদকাহপ্রত্যেক তাহমীদ (আলহামদু লিল্লাহ বলা) সাদকাহপ্রত্যেক তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলা) সাদকাহপ্রত্যেক তাকবীর (আল্লাহু আকবার বলা) সাদকাহ এবং ভাল কাজের আদেশ প্রদান ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করা সাদকাহ। এ সব কাজের পরিবর্তে চাশ্তের দুরাক্আত নামায যথেষ্ট হবে।’’[2]
3/121 عَنْهُ، قَالَ : قَالَ النَّبيُّ ﷺ: «عُرِضَتْ عَلَيَّ أعْمَالُ أُمَّتِي حَسَنُهَا وَسَيِّئُهَا فَوَجَدْتُ في مَحَاسِنِ أعْمَالِهَا الأذَى يُمَاطُ عَنِ الطَّريقِ، وَوَجَدْتُ في مَسَاوِىءِ أَعمَالِهَا النُّخَاعَةَ تَكُونُ في المَسْجِدِ لاَ تُدْفَنُ». رواه مسلم
৩/১২১। ঐ আবূ যার্র রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেই বর্ণিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আমার উম্মতের ভালমন্দ কর্ম আমার কাছে পেশ করা হল। সুতরাং আমি তাদের ভাল কাজের মধ্যে ঐ কষ্টদায়ক জিনিসও পেলামযা রাস্তা থেকে সরানো হয়। আর তাদের মন্দ কর্মসমূহের তালিকায় মসজিদে ঐ কফও পেলামযার উপর মাটি চাপা দেওয়া হয়নি।’’[3]
* মাটি চাপা দেওয়ার কথা তিনি এই জন্য বলেছেন যেসে যুগে মসজিদের মেঝে মাটিরই ছিল। বর্তমানে পাকা মেঝে কাপড় অথবা পানি দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে।
4/122 وَعَنْهُ : أَنَّ نَاساً قَالُوا : يَا رَسُولَ الله، ذَهَبَ أهلُ الدُّثُور بالأُجُورِ، يُصَلُّونَ كَمَا نُصَلِّي، وَيَصُومُونَ كَمَا نَصُومُ، وَيَتَصَدَّقُونَ بِفُضُولِ أمْوَالِهِمْ، قَالَ: «أَوَلَيسَ قَدْ جَعَلَ اللهُ لَكُمْ مَا تَصَدَّقُونَ بِهِ: إنَّ بِكُلِّ تَسْبِيحَةٍ صَدَقةً، وَكُلِّ تَكبيرَةٍ صَدَقَةً، وَكُلِّ تَحمِيدَةٍ صَدَقَةً، وَكُلِّ تَهْلِيلَةٍ صَدَقَةً، وَأمْرٌ بالمَعْرُوفِ صَدَقَةٌ، وَنَهيٌ عَنِ المُنْكَرِ صَدَقَةٌ، وفي بُضْعِ أَحَدِكُمْ صَدَقَةٌ» قَالُوا : يَا رَسُولَ اللهِ، أيَأتِي أَحَدُنَا شَهْوَتَهُ وَيَكُونُ لَهُ فِيهَا أجْرٌ ؟ قَالَ: «أرَأيتُمْ لَوْ وَضَعَهَا في حَرامٍ أَكَانَ عَلَيهِ وِزرٌ ؟ فكذَلِكَ إِذَا وَضَعَهَا في الحَلالِ كَانَ لَهُ أَجْرٌ». رواه مسلم
৪/১২২। উক্ত বর্ণনাকারী থেকেই বর্ণিতকিছু সাহাবী বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! ধনীরাই তো বেশী নেকীর অধিকারী হয়ে গেল। তারা নামায পড়ছে যেমন আমরা নামায পড়ছিতারা রোযা রাখছে যেমন আমরা রাখছি এবং (আমাদের চেয়ে তারা অতিরিক্ত কাজ এই করছে যে,) নিজেদের প্রয়োজন-অতিরিক্ত মাল থেকে তারা সাদকাহ করছে।’ তিনি বললেন, ‘‘আল্লাহ কি তোমাদের জন্য সাদকাহ করার মত জিনিস দান করেননিনিঃসন্দেহে প্রত্যেক তাসবীহ সাদকাহপ্রত্যেক তাকবীর সাদকাহপ্রত্যেক তাহলীল সাদকাহভাল কাজের নির্দেশ দেওয়া সাদকাহ ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করা সাদকাহ এবং তোমাদের স্ত্রী-মিলন করাও সাদকাহ।’’ সাহাবীগণ বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কেউ স্ত্রী-মিলন করে নিজের যৌনক্ষুধা নিবারণ করেতবে এতেও কি তার পুণ্য হবে?’ তিনি বললেন, ‘‘কি রায় তোমাদেরযদি কেউ অবৈধভাবে যৌন-মিলন করেতাহলে কি তার পাপ হবে? (নিশ্চয় হবে।) অনুরূপ সে যদি বৈধভাবে (স্ত্রী-মিলন করে) নিজের কামক্ষুধা নিবারণ করেতাহলে তাতে তার পুণ্য হবে।’’[4]
5/123 وعَنْهُ، قَالَ : قَالَ لِي النَّبيُّ ﷺ: «لاَ تَحْقِرنَّ مِنَ المَعرُوفِ شَيئاً وَلَوْ أَنْ تَلقَى أَخَاكَ بِوَجْهٍ طَليقٍ». رواه مسلم
৫/১২৩। উক্ত আবূ যার্র রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিততিনি বলেন যেনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, ‘‘তুমি পুণ্যের কোনো কাজকে তুচ্ছ মনে করো না। যদিও তুমি তোমার (মুসলিম) ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করতে পার।’’ (অর্থাৎ হাসিমুখে সাক্ষাৎ করাও পুণ্যের কাজ)।[5]
6/124 عَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ : قَالَ رَسُول الله ﷺ: «كُلُّ سُلامَى مِنَ النَّاسِ عَلَيهِ صَدَقَةٌ، كُلَّ يَومٍ تَطلُعُ فِيهِ الشَّمْسُ : تَعْدِلُ بَينَ الاثْنَينِ صَدَقةٌ، وتُعِينُ الرَّجُلَ في دَابَّتِهِ، فَتَحْمِلُهُ عَلَيْهَا أَوْ تَرفَعُ لَهُ عَلَيْهَا مَتَاعَهُ صَدَقَةٌ، وَالكَلِمَةُ الطَيِّبَةُ صَدَقَةٌ، وبكلِّ خَطْوَةٍ تَمشيهَا إِلَى الصَّلاةِ صَدَقَةٌ، وتُميطُ الأذَى عَنِ الطَّريقِ صَدَقَةٌ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
ورواه مسلم أيضاً من رواية عائشة رَضي الله عنها، قَالَتْ : قَالَ رَسُول الله ﷺ: «إنَّهُ خُلِقَ كُلُّ إنْسَانٍ مِنْ بَنِي آدَمَ عَلَى سِتِّينَ وثلاثمئة مفْصَل، فَمَنْ كَبَّرَ اللهَ، وحَمِدَ الله، وَهَلَّلَ اللهَ، وَسَبَّحَ الله، وَاسْتَغْفَرَ الله، وَعَزَلَ حَجَراً عَنْ طَريقِ النَّاسِ، أَوْ شَوْكَةً، أَوْ عَظماً عَن طَريقِ النَّاسِ، أَوْ أمَرَ بمَعْرُوف، أَوْ نَهَى عَنْ مُنكَر، عَدَدَ السِّتِّينَ والثَّلاثِمئَة فَإنَّهُ يُمْسِي يَومَئِذٍ وقَدْ زَحْزَحَ نَفسَهُ عَنِ النَّارِ».
৬/১২৪। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘প্রতিদিন যাতে সূর্য উদয় হয় (অর্থাৎ প্রত্যেক দিন) মানুষের প্রত্যেক গ্রন্থির পক্ষ থেকে প্রদেয় একটি করে সাদকাহ রয়েছে। (আর সাদকাহ শুধু মাল খরচ করাকেই বলে নাবরং) দুজন মানুষের মধ্যে তোমার মীমাংসা করে দেওয়াটাও সাদকাহকোন মানুষকে নিজ সওয়ারীর উপর বসানো অথবা তার উপর তার সামান উঠিয়ে নিয়ে সাহায্য করাও সাদকাহভাল কথা বলা সাদকাহনামাযের জন্য কৃত প্রত্যেক পদক্ষেপ সাদকাহ এবং রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস দূরীভূত করাও সাদকাহ।’’
এটিকে ইমাম মুসলিম আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকেও বর্ণনা করেছেনতিনি বলেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘আদম সন্তানের মধ্যে প্রত্যেক মানুষকে ৩৬০ গ্রন্থির উপর সৃষ্টি করা হয়েছে। (আর প্রত্যেক গ্রন্থির পক্ষ থেকে প্রদেয় সাদকা রয়েছে।) সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহু আকবার’ বলল, ‘আল-হামদু লিল্লাহ’ বলল, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলল, ‘সুবহানাল্লাহ’ বলল, ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বললমানুষ চলার রাস্তা থেকে পাথরকাঁটা অথবা হাড় সরালকিম্বা ভাল কাজের আদেশ করল অথবা মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করল, (এবং সব মিলে ৩৬০ সংখ্যক পুণ্যকর্ম করল)সে ঐদিন এমন অবস্থায় সন্ধ্যা করল যেসে নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে দূর করে নিল।’’[6]
7/125 وَعَنْهُ، عَنِ النَّبيّ ﷺ، قَالَ: «مَنْ غَدَا إِلَى المَسْجِد أَوْ رَاحَ، أَعَدَّ اللهُ لَهُ في الجَنَّةِ نُزُلاً كُلَّمَا غَدَا أَوْ رَاحَ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
৭/১২৫। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতেই বর্ণিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি সকাল অথবা সন্ধ্যায় মসজিদে যায়তার জন্য আল্লাহ মেহমানীর উপকরণ প্রস্তুত করেন। সকাল বা সন্ধা যখনই সে সেখানে যায়তখনই তার জন্য ঐ মেহমানীর উপকরণ প্রস্তুত করা হয়।’’[7]
8/126 وعَنْهُ، قَالَ : قَالَ رَسُول الله ﷺ: «يَا نِسَاءَ المُسْلِمَاتِ، لاَ تَحْقِرنَّ جَارَةٌ لِجَارَتِهَا وَلَوْ فِرْسِنَ شاةٍ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
৮/১২৬। উক্ত আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেই বর্ণিতরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘হে মুসলিম নারীগণ! কোন প্রতিবেশিনী যেন প্রতিবেশিনীর (উপঢৌকনকে) অবশ্যই তুচ্ছ না ভাবে। যদিও তা ছাগলের খুর হয়।’’[8]
9/127 وَعَنْهُ، عَنِ النَّبيّ ﷺ، قَالَ: «الإيمانُ بِضْعٌ وَسَبعُونَ أَوْ بِضعٌ وسِتُونَ شُعْبَةً : فَأفْضَلُهَا قَولُ : لاَ إِلٰهَ إلاَّ اللهُ، وَأَدْنَاهَا إمَاطَةُ الأذَى عَنِ الطَّريقِ، والحياءُ شُعبَةٌ مِنَ الإيمان». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
৯/১২৭। উক্ত আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতেই বর্ণিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘ঈমানের সত্তর অথবা ষাটের বেশী শাখা রয়েছে। তার মধ্যে সর্বোত্তম (শাখা) লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা এবং সর্বনিম্ন (শাখা) রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস (পাথর কাঁটা ইত্যাদি) দূরীভূত করা। আর লজ্জা ঈমানের একটি শাখা।’’[9]
10/128 وعَنْهُ : أنَّ رَسُول الله ﷺ، قَالَ: «بَينَما رَجُلٌ يَمشي بِطَريقٍ اشْتَدَّ عَلَيهِ العَطَشُ، فَوَجَدَ بِئراً فَنَزَلَ فِيهَا فَشرِبَ، ثُمَّ خَرَجَ فإذَا كَلْبٌ يَلْهَثُ يأكُلُ الثَّرَى مِنَ العَطَشِ، فَقَالَ الرَّجُلُ : لَقَدْ بَلَغَ هَذَا الكَلْبُ مِنَ العَطَشِ مِثلُ الَّذِي كَانَ قَدْ بَلَغَ مِنِّي، فَنَزَلَ البِئْرَ فَمَلأَ خُفَّهُ مَاءً ثُمَّ أمْسَكَهُ بفيهِ حَتَّى رَقِيَ، فَسَقَى الكَلْبَ، فَشَكَرَ الله لَهُ، فَغَفَرَ لَهُ»قالوا : يَا رَسُول اللهِ، إنَّ لَنَا في البَهَائِمِ أَجْراً ؟ فقَالَ: «في كُلِّ كَبِدٍ رَطْبَةٍ أجْرٌ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ .
وفي رواية للبخاري: «فَشَكَرَ اللهُ لَهُ، فَغَفَرَ لَهُ، فأدْخَلَهُ الجَنَّةَ»وفي رواية لهما: «بَيْنَما كَلْبٌ يُطِيفُ بِرَكِيَّةٍ قَدْ كَادَ يقتلُهُ العَطَشُ إِذْ رَأَتْهُ بَغِيٌّ مِنْ بَغَايَا بَنِي إسْرَائِيل، فَنَزَعَتْ مُوقَها فَاسْتَقَتْ لَهُ بِهِ فَسَقَتْهُ فَغُفِرَ لَهَا بِهِ».
১০/১২৮। উক্ত আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতেই বর্ণিতরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘একদা এক ব্যক্তি পথ চলছিল। তাকে খুবই পিপাসা লাগল। অতঃপর সে একটি কূপ পেল। সুতরাং সে তাতে নেমে পানি পান করল। অতঃপর বের হয়ে দেখতে পেল যে, (ওখানেই) একটি কুকুর পিপাসার জ্বালায় জিভ বের করে হাঁপাচ্ছে ও কাদা চাটছে। লোকটি (মনে মনে) বলল, ‘পিপাসার তাড়নায় আমি যে পর্যায়ে পৌঁছেছিলামকুকুরটিও সেই পর্যায়ে পৌঁছেছে।’ অতএব সে কূপে নামল তারপর তার চামড়ার মোজায় পানি ভর্তি করল। অতঃপর সে তা মুখে ধরে উপরে উঠল এবং কুকুরটিকে পানি পান করাল। আল্লাহ তাআলা তার এই আমলকে কবুল করলেন এবং তাকে ক্ষমা করে দিলেন।’’
সাহাবীগণ বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! চতুষ্পদ জন্তুর প্রতি দয়া প্রদর্শনেও কি আমাদের সওয়াব হবে?’ তিনি বললেন, ‘‘প্রত্যেক জীবের প্রতি দয়া প্রদর্শনে নেকী রয়েছে।’’
বুখারীর অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, ‘‘আল্লাহ তাআলা তার এই আমলকে কবুল করলেন। অতঃপর তাকে ক্ষমা করে জান্নাতে প্রবেশ করালেন।’’
বুখারী-মুসলিমের আর এক বর্ণনায় আছে, ‘‘কোন এক সময় একটি কুকুর একটি কূপের চারিপাশে ঘোরা-ফিরা করছিল। পিপাসা তাকে মৃতপ্রায় করে তুলেছিল। (এই অবস্থায়) হঠাৎ বনী ঈস্রাঈলের বেশ্যাদের মধ্যে এক বেশ্যা তাকে দেখতে পেল। অতঃপর সে তার চামড়ার মোজা খুলে তা হতে (কূপ থেকে) পানি উঠিয়ে তাকে পান করাল। সুতরাং এই আমলের কারণে তাকে ক্ষমা করা হল।’’[10]
11/129 وَعَنْهُ، عَنِ النَّبيّ ﷺ، قَالَ: «لَقدْ رَأيْتُ رَجُلاً يَتَقَلَّبُ في الجَنَّةِ في شَجَرَةٍ قَطَعَهَا مِنْ ظَهْرِ الطَرِيقِ كَانَتْ تُؤذِي المُسْلِمِينَ». رواه مسلم
وفي رواية: «مَرَّ رَجُلٌ بِغُصْنِ شَجَرَةٍ عَلَى ظَهرِ طَرِيقٍ، فَقَالَ : وَاللهِ لأُنْحِيَنَّ هَذَا عَنِ المُسْلِمينَ لاَ يُؤذِيهِمْ، فَأُدخِلَ الجَنَّةَ».وفي رواية لهما: «بَيْنَمَا رَجُلٌ يَمْشي بِطَريقٍ وَجَدَ غُصْنَ شَوكٍ عَلَى الطريقِ فأخَّرَه فَشَكَرَ اللهُ لَهُ، فَغَفَرَ لَهُ».
১১/১২৯। উক্ত আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতেই বর্ণিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আমি এক ব্যক্তিকে জান্নাতে ঘোরাফেরা করতে দেখলাম। যে (পৃথিবীতে) রাস্তার মধ্য হতে একটি গাছ কেটে সরিয়ে দিয়েছিলযেটি মুসলিমদেরকে কষ্ট দিচ্ছিল।’’[11]
অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘এক ব্যক্তি রাস্তার উপর পড়ে থাকা একটি গাছের ডালের পাশ দিয়ে পার হল। সে বলল, ‘আল্লাহর কসম! আমি এটিকে মুসলিমদের পথ থেকে অবশ্যই সরিয়ে দেবযাতে তাদেরকে কষ্ট না দেয়। সুতরাং তাকে (এর কারণে) জান্নাতে প্রবেশ করানো হল।’’
বুখারী-মুসলিমের আর এক বর্ণনায় আছে, ‘‘একদা এক ব্যক্তি রাস্তা চলছিল। সে রাস্তার উপর একটি কাঁটাদার ডাল দেখতে পেল। অতঃপর সে তা সরিয়ে দিল। আল্লাহ তাআলা তার এই আমল কবুল করলেন এবং তাকে ক্ষমা করে দিলেন।’’
12/130 وعَنْهُ، قَالَ : قَالَ رَسُول الله ﷺ: «مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الوُضُوءَ، ثُمَّ أَتَى الجُمُعَةَ فَاسْتَمَعَ وَأنْصَتَ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْن الجُمُعَةِ وَزِيادَةُ ثَلاثَةِ أيَّامٍ، وَمَنْ مَسَّ الحَصَا فَقَدْ لَغَا». رواه مسلم
১২/১৩০। উক্ত আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতেই বর্ণিতরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে ওযূ করলঅতঃপর জুমআহ পড়তে এল এবং মনোযোগ সহকারে নীরব থেকে খুতবাহ শুনলসে ব্যক্তির এই জুমআহ ও (আগামী) জুমআর মধ্যেকার এবং অতিরিক্ত আরো তিন দিনের (ছোট) পাপসমূহ মাফ করে দেওয়া হল। আর যে ব্যক্তি (খুৎবাহ্ চলাকালীন সময়ে) কাঁকর স্পর্শ করলসে অনর্থক কর্ম করল।’’ (অর্থাৎ সে জুমআর সওয়াব বরবাদ করে দিল।)[12]
13/131 وعَنْهُ : أنَّ رَسُولَ الله ﷺ، قَالَ: «إِذَا تَوَضَّأ العَبْدُ المُسْلِمُ، أَو المُؤمِنُ فَغَسَلَ وَجْهَهُ خَرَجَ مِنْ وَجْهِهِ كُلُّ خَطِيئَةٍ نَظَرَ إِلَيْهَا بِعَينيهِ مَعَ المَاءِ، أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ المَاءِ، فَإِذا غَسَلَ يَدَيْهِ خَرَجَ مِنْ يَدَيهِ كُلُّ خَطِيئَة كَانَ بَطَشَتْهَا يَدَاهُ مَعَ المَاءِ، أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ المَاءِ، فَإِذَا غَسَلَ رِجْلَيهِ خَرَجَتْ كُلُّ خَطِيئَةٍ مشتها رِجْلاَهُ مَعَ المَاء أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ المَاءِ حَتَّى يَخْرُجَ نَقِيّاً مِنَ الذُّنُوبِ». رواه مسلم
১৩/১৩১। উক্ত আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতআল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘মুসলিম বা মুমিন বান্দা যখন ওযূর উদ্দেশ্যে তার মুখমণ্ডল ধৌত করেতখন ওযূর পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে প্রত্যেক সেই গোনাহ বের হয়ে যায়যা সে দুই চক্ষুর দৃষ্টির মাধ্যমে করে ফেলেছিল। অতঃপর যখন সে তার হাত দুটিকে ধৌত করেতখন পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে প্রত্যেক সেই গোনাহ বের হয়ে যায়যা সে উভয় হাত দ্বারা ধারণ করার মাধ্যমে করে ফেলেছিল। অতঃপর যখন সে তার পা দুটিকে ধৌত করেতখন পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে প্রত্যেক সেই গোনাহ বের হয়েযা সে তার দুপায়ে চলার মাধ্যমে করে ফেলেছিল। শেষ অবধি সমস্ত গোনাহ থেকে সে পবিত্র হয়ে বের হয়ে আসে।’’[13]
14/132 وعَنْهُ، عَن رَسُولِ الله ﷺ، قَالَ: «الصَّلَوَاتُ الخَمْسُ، وَالجُمُعَةُ إِلَى الجُمُعَةِ، وَرَمَضَانُ إِلَى رَمَضَانَ مُكَفِّراتٌ لِمَا بَيْنَهُنَّ إِذَا اجْتُنِبَتِ الكَبَائِرُ». رواه مسلم
১৪/১৩২। উক্ত আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতেই বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাযএক জুমআহ থেকে আর এক জুমআহ এবং এক রমযান থেকে আর এক রমযান, এগুলো এর মধ্যকার (সংঘটিত সাগীরা) গোনাহ মুছে ফেলেযদি কাবীরা গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা যায় তাহলে (নতুবা নয়)।’’[14]
15/133 وعَنْهُ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ الله ﷺ: «ألا أَدُلُّكُمْ عَلَى مَا يَمْحُو اللهُ بِهِ الخَطَايَا وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ؟» قَالُوا : بَلَى، يَا رَسُولَ اللهِ، قَالَ: «إِسْبَاغُ الوُضُوءِ عَلَى المَكَارِهِ، وَكَثْرَةُ الخُطَا إِلَى المَسَاجِدِ، وَانْتِظَارُ الصَّلاةِ بَعْدَ الصَّلاةِ فَذلِكُمُ الرِّبَاطُ». رواه مسلم
১৫/১৩৩। উক্ত আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতেই বর্ণিতরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আমি কি তোমাদেরকে এমন কাজ বলে দেব নাযার দ্বারা আল্লাহ তাআলা পাপসমূহকে নিশ্চিহ্ন করে দেন এবং মর্যাদা বর্ধন করেন?’’ সাহাবীগণ বললেন, ‘অবশ্যই বলুনহে আল্লাহর রাসূল!’ তিনি বললেন, ‘‘কষ্টের সময় পূর্ণরূপে ওযূ করামসজিদের দিকে বেশী বেশী পদক্ষেপ করা (অর্থাৎ দূর থেকে আসা) এবং এক নামাযের পর দ্বিতীয় নামাযের অপেক্ষা করা। সুতরাং এই হল (নেকী ও সওয়াবে) সীমান্ত পাহারা দেওয়ার মত।’’[15]
16/134 وعَنْ أَبِي مُوسى الأَشعَرِيِّ رضي الله عنه، قَالَ : قَالَ رَسولُ الله ﷺ: «مَنْ صَلَّى البَرْدَيْنِ دَخَلَ الجَنَّةَ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
১৬/১৩৪। আবূ মূসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি দুই ঠান্ডা (অর্থাৎ ফজর ও আসরের) নামায পড়বেসে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’’[16]
17/135 وعَنْهُ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ الله ﷺ: «إِذَا مَرِضَ العَبْدُ أَوْ سَافَرَ كُتِبَ لَهُ مِثْلُ مَا كَانَ يَعْمَلُ مُقِيماً صَحِيحاً». رواه البخاري
১৭/১৩৫। উক্ত আবূ মূসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যখন বান্দা অসুস্থ হয় অথবা সফরে থাকেতখন তার জন্য ঐ আমলের মতই (সওয়াব) লেখা হয়যা সে গৃহে থেকে সুস্থ শরীরে সম্পাদন করত।’’[17]
18/136 وعن جَابرٍ رضي الله عنه، قَالَ : قَالَ رسولُ الله ﷺ: «كُلُّ مَعْرُوفٍ صَدَقَةٌ». رواه البخاري
১৮/১৩৬। জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘প্রত্যেক নেকীর কাজ সাদকাহস্বরূপ।’’[18]
19/137 وعَنْهُ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ الله ﷺ: «مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَغْرِسُ غَرْساً إلاَّ كَانَ مَا أُكِلَ مِنْهُ لَهُ صَدَقَةً، وَمَا سُرِقَ مِنهُ لَهُ صَدَقَةً، وَلاَ يَرْزَؤُهُ أَحَدٌ إلاَّ كَانَ لَهُ صَدَقَةً». رواه مسلم
وفي رواية لَهُ: «فَلاَ يَغْرِسُ المُسْلِمُ غَرْساً فَيَأْكُلَ مِنْهُ إنْسَانٌ وَلاَ دَابَّةٌ وَلاَ طَيْرٌ إلاَّ كَانَ لَهُ صَدَقة إِلَى يَومِ القِيَامةِ».وفي رواية لَهُ: «لاَ يَغرِسُ مُسْلِمٌ غَرساً، وَلاَ يَزرَعُ زَرعاً، فَيَأكُلَ مِنهُ إنْسَانٌ وَلاَ دَابَةٌ وَلاَ شَيءٌ، إلاَّ كَانَتْ لَهُ صَدَقَةً».
১৯/১৩৭। উক্ত জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে কোন মুসলিম কোন গাছ লাগায়অতঃপর তা থেকে যতটা খাওয়া হয়তা তার জন্য সাদকাহ হয়তা থেকে যতটুকু চুরি হয়তা তার জন্য সাদকাহ হয় এবং যে কোনো ব্যক্তি তার থেকে কিছু গ্রহণ করেসেটাও তার জন্য সাদকাহ হয়ে যায়।’’[19]
মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘মুসলিম যে গাছ লাগায়, আর তা থেকে কোনো মানুষকোনো জন্তু এবং কোনো পাখী যা কিছু খায়তা কিয়ামত পর্যন্ত তার জন্য সাদকাহ হয়ে যায়।’’
মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘মুসলিম যে গাছ লাগায় এবং ফসল বুনে অতঃপর তা থেকে কোনো মানুষকোন জন্তু অথবা অন্য কিছু খায়তবে তা তার জন্য সাদকাহ হয়ে যায়।’’
19/138 ورويَاه جميعاً مِنْ رواية أَنَسٍ رضي اللَّه عنه قولُهُ: «يرْزَؤُهُ»أي : يَنْقُصهُ .
১৯/১৩৮। উক্ত হাদীসটি বুখারী-মুসলিম উভয়েই আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেছেন যাতে يَرْزَؤُهُ শব্দ আছে, যার অর্থ ‘কোনো কিছু কমিয়ে ফেলে’।[20]
20/139 وعَنْهُ، قَالَ : أَرَادَ بَنُو سَلِمَةَ أَن يَنتَقِلُوا قُربَ المَسجِدِ فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ الله ﷺ، فَقَالَ لهم: «إنَّهُ قَدْ بَلَغَني أنَّكُمْ تُرِيدُونَ أنْ تَنتَقِلُوا قُربَ المَسجِد ؟»فقالُوا : نَعَمْ، يَا رَسُول اللهِ قَدْ أَرَدْنَا ذلِكَ . فَقَالَ: «بَنِي سَلِمَةَ، دِيَارَكُمْ، تُكْتَبْ آثَارُكُمْ، ديَارَكُمْ تُكْتَبْ آثَارُكُمْ»رواه مسلم . وفي روايةٍ: «إنَّ بِكُلِّ خَطوَةٍ دَرَجَةً». رواه مسلم . رواه البخاري أيضاً بِمَعناه مِنْ رواية أنس رضي الله عنه .
২০/১৩৯। উক্ত জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতেই বর্ণিত যেবনু সালেমাহ মাসজিদের নিকটে স্থান পরিবর্তন করার ইচ্ছা করল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এই সংবাদ পৌঁছল। সুতরাং তিনি তাদেরকে বললেন, ‘‘আমি খবর পেয়েছি যেতোমরা স্থান পরিবর্তন করে মাসজিদের নিকট আসার ইচ্ছা করছ?’’ তারা বলল, ‘হ্যাঁহে আল্লাহর রাসূল! আমরা এর ইচ্ছা করেছি।’ তিনি বললেন, ‘‘হে বনূ সালেমাহ! তোমরা তোমাদের (বর্তমান) গৃহেই থাকোতোমাদের পদচিহ্নসমূহ লেখা হবে। তোমরা আপন গৃহেই থাকোতোমাদের পদচিহ্নসমূহ লেখা হবে।’’ (মুসলিম) অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘নিশ্চয় তোমাদের প্রত্যেক পদক্ষেপের বিনিময়ে একটি মর্যাদা বৃদ্ধি হবে।’’[21]
১৪০। ইমাম বুখারী (রহঃ)ও ঐ মর্মে আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেছেন।[22]
20/141 وعَنْ أَبِي الْمُنذِر أُبيِّ بنِ كَعْب رضي الله عنه، قَالَ : كَانَ رَجُلٌ لا أعْلَمُ رَجلاً أبْعَدَ مِنَ المَسْجِدِ مِنْهُ، وَكَانَ لاَ تُخْطِئُهُ صَلاةٌ، فَقيلَ لَهُ أَوْ فَقُلْتُ لَهُ: لَوِ اشْتَرَيْتَ حِمَاراً تَرْكَبُهُ في الظَلْمَاء وفي الرَّمْضَاء ؟ فَقَالَ: مَا يَسُرُّنِي أنَّ مَنْزِلي إِلَى جَنْبِ المَسْجِدِ إنِّي أريدُ أنْ يُكْتَبَ لِي مَمشَايَ إِلَى المَسْجِدِ وَرُجُوعِي إِذَا رَجَعْتُ إِلَى أهْلِي، فَقَالَ رَسُولُ الله ﷺ: «قَدْ جَمَعَ اللهُ لَكَ ذلِكَ كُلَّهُ». رواه مسلموفي رواية: «إنَّ لَكَ مَا احْتَسَبْتَ».
২১/১৪১। আবুল মুনযির উবাই ইবনে কাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিততিনি বলেন যেএকটি লোক ছিল। আমি জানি না যেঅন্য কারো বাড়ি তার বাড়ির চেয়ে দূরে ছিল। তা সত্ত্বেও তার কোনো নামায ছুটত না। অতঃপর তাকে বলা হল অথবা আমি (কাব) তাকে বললাম যে, ‘তুমি যদি একটি গাধা কিনে আঁধারে ও ভীষণ রোদে তার উপর সওয়ার হয়ে আসতে, (তাহলে তা তোমার পক্ষে ভাল হত?)’ সে বলল, ‘আমি এটা পছন্দ করি না যেআমার বাড়ি মসজিদ সংলগ্নে হোক। কারণ আমি তো এই চাই যে, (দূর থেকে) আমার পায়ে হেঁটে মসজিদ যাওয়া এবং ওখান থেকেই পুনরায় বাড়ী ফিরাসবকিছু যেন আমার নেকীর খাতায় লেখা যায়।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তার কথা শুনে) বললেন, ‘‘আল্লাহ তাআলা এ সমস্ত তোমার জন্য একত্র করে দিয়েছেন।’’
অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘নিশ্চয় তোমার জন্য সেই সওয়াবই রয়েছেযার তুমি আশা করেছ।’’[23]
22/142 عَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ : قَالَ رَسُول الله ﷺ: «أرْبَعُونَ خَصْلَةً: أعْلاَهَا مَنيحَةُ العَنْزِ، مَا مِنْ عَامِلٍ يَعْمَلُ بِخَصْلَة مِنْهَا؛ رَجَاءَ ثَوَابِهَا وتَصْدِيقَ مَوْعُودِهَا، إلاَّ أدْخَلَهُ اللهُ بِهَا الجَنَّةَ». رواه البخاري
২২/১৪২। আবূ মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ ইবন ইবনে ‘আমর ইবনে ‘আস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘চল্লিশটি সৎকর্ম আছে তার মধ্যে উচ্চতম হলদুধ পানের জন্য (কোন দরিদ্রকে) ছাগল সাময়িকভাবে দান করা। যে কোনো আমলকারী এর মধ্য হতে যে কোন একটি সৎকর্মের উপর প্রতিদানের আশা করে ও তার প্রতিশ্রুত পুরস্কারকে সত্য জেনে আমল করবেতাকে আল্লাহ তার বিনিময়ে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’’[24]
23/143 عَن عَدِي بنِ حَاتمٍ رضي الله عنه، قَالَ : سَمِعتُ النَّبيّ ﷺ، يَقُولُ: «اتَّقُوا النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ. وَفي رِوَايَةٍ لَّهُمَا عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ الله ﷺ: «مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إلاَّ سَيُكَلِّمُهُ رَبُّهُ لَيْسَ بَينَهُ وَبَيْنَهُ تَرْجُمَانٌ، فَيَنْظُرُ أَيْمَنَ مِنْهُ فَلاَ يَرَى إلاَّ مَا قَدَّمَ، وَيَنْظُرُ أَشْأَمَ مِنْهُ فَلاَ يَرى إلاَّ مَا قَدَّمَ، وَيَنظُرُ بَيْنَ يَدَيهِ فَلاَ يَرَى إلاَّ النَّار تِلقَاءَ وَجْهِهِ، فَاتَّقُوا النَّارَ وَلَو بِشِقِّ تَمْرَةٍ، فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَبِكَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ».
২৩/১৪৩। আদী ইবনে হাতেম রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনআমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ‘‘তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচোযদিও খেজুরের এক টুকরো সাদকাহ করে হয়!’’ (বুখারী-মুসলিম)
উক্ত আদী হতে বুখারী-মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছেরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘তোমাদের প্রত্যেকের সঙ্গে তার প্রতিপালক কথা বলবেনতার ও তাঁর মাঝে কোনো আনুবাদক থাকবে না। (সেখানে) সে তার ডানদিকে তাকাবেসুতরাং সেদিকে তা-ই দেখতে পাবে যা সে অগ্রিম পাঠিয়েছিল এবং বামদিকে তাকাবেসুতরাং সেদিকেও নিজের কৃতকর্ম দেখতে পাবে। আর সামনে তাকাবেসুতরাং তার চেহারার সামনে জাহান্নাম দেখতে পাবে। অতএব তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচোযদিও খেজুরের এক টুকরো সাদকাহ করে হয়। আর যে ব্যক্তি এরও সামর্থ্য রাখে নাসে যেন ভাল কথা বলে বাঁচে।’’[25]
24/144 عَن أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ : قَالَ رَسُولُ الله ﷺ: «إنَّ اللهَ لَيَرْضَى عَنِ العَبْدِ أنْ يَأكُلَ الأَكْلَةَ، فَيَحمَدَهُ عَلَيْهَا، أَوْ يَشْرَبَ الشَّرْبَةَ، فَيَحْمَدَهُ عَلَيْهَا». رواه مسلم
২৪/১৪৪। আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা ঐ বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হনযে খাবার খায়অতঃপর তার উপর আল্লাহর প্রশংসা করে অথবা পানি পান করেঅতঃপর তার উপর আল্লাহর প্রশংসা করে।’’[26]
25/145 عَنْ أَبِي مُوسَى رضي الله عنه، عَنِ النَّبيّ ﷺ، قَالَ: «عَلَى كلّ مُسْلِمٍ صَدَقَةٌ».قَالَ : أرأيتَ إنْ لَمْ يَجِدْ ؟ قَالَ: «يَعْمَلُ بِيَدَيْهِ فَيَنْفَعُ نَفْسَهُ وَيَتَصَدَّقُ» قَالَ : أرأيتَ إن لَمْ يَسْتَطِعْ ؟ قَالَ: «يُعِينُ ذَا الحَاجَةِ المَلْهُوفَ» قَالَ : أرأيتَ إنْ لَمْ يَسْتَطِعْ، قَالَ: «يَأمُرُ بِالمعْرُوفِ أوِ الخَيْرِ»قَالَ : أرَأيْتَ إنْ لَمْ يَفْعَلْ ؟ قَالَ: «يُمْسِكُ عَنِ الشَّرِّ، فَإِنَّهَا صَدَقَةٌ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ .
২৫/১৪৫। আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘প্রত্যেক মুসলিমর উপর সাদকাহ করা জরুরী।’’ আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু আনহু জিজ্ঞাসা করলেন, ‘যদি সে সাদকাহ করার মত কিছু না পায় তাহলে?’ তিনি বললেন, ‘‘সে তার হাত দ্বারা কাজ করে (অর্থ উপার্জন করবে) অতঃপর তা থেকে সে নিজে উপকৃত হবে এবং সাদকাও করবে।’’ পুনরায় আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘যদি সে তাও না পারে?’ তিনি বললেন, ‘‘যে কোন অভাবী বিপন্ন মানুষের সাহায্য করবে।’’ আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘যদি সে তাও না পারে?’ তিনি বললেন, ‘‘সে মানুষকে ভাল কাজের নির্দেশ দেবে।’’ আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘যদি সে এটাও না পারে?’ তিনি বললেন, ‘‘সে (অপরের) ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকবে। কারণসেটাও হল সাদকাহস্বরূপ।’’[27]




[1] সহীহুল বুখারী ২৫১৮মুসলিম ৮৪নাসায়ী ৩১২৯ইবনু মাজাহ ২৫২৩আহমাদ ২০৮২৪২০৯৩৮২০৯৮৯দারেমী ২৭৩৮
[2] মুসলিম ৭২০আবূ দাউদ ১২৮৫১২৮৬
[3] মুসলিম ৫৫৩ইবনু মাজাহ ৩৬৮৩আহমাদ ২১০৩৯২১০৫৭
[4] মুসলিম ১০০৬আবূ দাউদ ১৫০৪ইবনু মাজাহ ৯২৭আহমাদ ২০৯১৭২০৯৫৮২১০৩৮
[5] মুসলিম ২৬২৬তিরমিযী ১৮৩৩ইবনু মাজাহ ৩৩৬২দারেমী ২০৭৯
[6] সহীহুল বুখারী ২৯৮৯২৭০৭২৮৯১মুসলিম ৯০০৯ আহমাদ ২৭৪০০৮১৫৪
[7] সহীহুল বুখারী ৬৬২মুসলিম ৪৬৭৬৬৯আহমাদ ১০২৩০
[8] সহীহুল বুখারী ৬০১৭২৫৬৬মুসলিম ১০৩০তিরমিযী ২১৩০আহমাদ ৭৫৩৭৮০০৫৯২৯৭১০০২৯
[9] সহীহুল বুখারী ৯মুসলিম ৩৫তিরমিযী ২৬১৪নাসায়ী ৫০০৪৫০০৫৫০০৬আবূ দাউদ ৪৬৭৬ইবনু মাজাহ ৫৭আহমাদ ৯০৯৭৯৪১৭৯৪৫৫১০১৩৪
[10] সহীহুল বুখারী ২৩৬৩১৭৪২৪৬৬৬০০৯মুসলিম ২২৪৪আবূ দাউদ ২৫৫০আহমাদ ৮৬৫৭১০৩২১১০৩৭৩মুওয়াত্তা মালেক ১৭২৯
[11] সহীহুল বুখারী ৬৫৪৭২১৬১৫২৪৭২২৬৮৯২৮২৯৫৭৩৩মুসলিম ৪৩৭৪৩৯১৯১৪তিরমিযী ২২৫১০৬৩১৯৫৮নাসায়ী ৫৪০৬৭১আবূ দাউদ ৫২৪৫ইবনু মাজাহ ৯৭৯আহমাদ ৭১৮৫৭৬৮০৭৭৮২১৫১২৯৫
[12] মুসলিম ৫৮৭তিরমিযী ৪৯৮আবূ দাউদ ১০৫০,ইবনু মাজাহ ১০১০আহমাদ ৯২০০
[13] মুসলিম ২৪৪তিরমিযী ২আহমাদ ৭৯৬০,মুওয়াত্তা মালেক ৭১৮দারেমী ৬৩
[14] মুসলিম ২৩৩তিরমিযী ২১৪ইবনু মাজাহ ১০৮৬আহমাদ ৭০৮৯৮৪৯৮৮৯৪৪
[15] মুসলিম ২৫১তিরমিযী ৫২নাসায়ী ১৪৩আহমাদ ৭১৬৮৭৬৭২৭৯৩৫৭৯৬১
[16] সহীহুল বুখারী ৫৭৪মুসলিম ৬৩৫আহমাদ ১৬২৮৯
[17] সহীহুল বুখারী ২৯৯৬আবূ দাউদ ৩০৯১আহমাদ ১৯১৮০১৯২৫৪
[18] সহীহুল বুখারী ৬০২১তিরমিযী ১১৭০আহমাদ ১৪২৯৯১৪৪৬৩
[19] মুসলিম ১৫৫২আহমাদ ১৩৮৫৯১৪৭৭৯দারেমী ২৬১০
[20] সহীহুল বুখারী ২৩২০৬০১২মুসলিম ১৫৫২তিরমিযী ১৩৮২আহমাদ ১২০৮৬১২৫৮৭১২৯৭৬১৩১৪১
[21] মুসলিম ৬৬৫আহমাদ ১৪১৫৬১৪৫৭৪১৪৭৭২
[22] সহীহুল বুখারী ৬৫৬
[23] মুসলিম ৬৬৩আবূ দাউদ ৫৫৭ইবনু মাজাহ ৭৮৩আহমাদ ২০৭০৯দারেমী ১২৮৪
[24] সহীহুল বুখারী ৬৬৩১ইবনু মাজাহ ১৬৮৩আহমাদ ৬৪৫২৬৭৯২৬৮১৪
[25] সহীহুল বুখারী ৬০২৩১৪১৩৩৫১৫৬৫৩৯৬৫৬৩৭৪৪৩৭৫২২মুসলিম ১০১৬নাসায়ী ২৫৫২২৫৫৩আহমাদ ১৭৭৮২
[26] মুসলিম ২৭৩৪তিরমিযী ১৮১৬আহমাদ ১১৫৬২১১৭৫৮
[27] সহীহুল বুখারী ১৪৪৫৬০২২মুসলিম ১০০৮নাসায়ী ২৫৩৮আহমাদ ১৯০৩৭১৯১৮৭দারেমী ২৭৪৭
_________________________________________________________________________________

সংকলন : ইমাম মুহিউদ্দীন আবু যাকারিয়া ইয়াহইয়া ইবন শরফ আন-নাওয়াবী রহ.
হাদীসের শুদ্ধাশুদ্ধি নির্ণয় : শাইখ মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী রহ. 
অনুবাদক : বিশিষ্ট আলেমবর্গ 
অনুবাদ সম্পাদনা : আব্দুল হামীদ ফাইযী
সূত্র : ইসলামহাউজ


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন