Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

See Our Articles In Different Styles... Grid View List View

মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সফরের বিধান

Views:

A+ A-


সফরের বিধান

সফর তিন প্রকার:
এক - প্রশংসনীয় সফর :
যে সফর আল্লাহর আদেশ বা নিষেধ র্কাযকর করার উদ্দেশ্যে হয় যেমন-হজ-ওমরা পালন অথবা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদদ্বীনের দাওয়াতইলমেদ্বীন শিক্ষাআত্মীয়তার সর্ম্পক বজায় রাখা অথবা দ্বীনি ভাইদের সাথে সাক্ষাত ইত্যাদি উদ্দেশ্যে সফর করা
দুই - নিন্দনীয় সফর :
এমন কোন খারাব উদ্দেশ্যে সফর করাযার অনুমতি ইসলামী শরীয়ত প্রদান করেনি। যেমন- কোন পীরবুজুর্গ বা ওলীর মাযার ও কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে সফর করা। অথবা হারাম বা নিষিদ্ধ ব্যবসার উদ্দেশ্যে সফর করা। যেমন- মদ বা নেশা জাতীয় কোন বস্তু ক্রয়-বিক্রয় বা আমদানি-রপ্তানি ইত্যাদি উদ্দেশ্যে সফর করা।  ছাড়াও যে কোন অসৎ কাজঅশ্লীল বিনোদন ও ফাসাদ সৃষ্টি করা ইত্যাদি উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করা
তিন- বৈধ সফর :
দুনিয়াবী কোন বৈধ কাজের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করা। যেমন- বৈধ কোন ব্যবসা বাণিজ্যহালাল ও রুচিশীল বিনোদন ইত্যাদি। এ ধরনের সফর কখনো কখনো প্রশংসনীয় সফরের অন্তর্ভূক্ত হয়। যখন এর সাথে ভাল নিয়্যত এবং শরীয়ত সম্মত কোন উদ্দেশ্য জড়িত থাকে এতে সাওয়াবও লাভ হয়। যেমন- টাকা উর্পাজনের উদ্দেশ্য নিজেকে কারো মুখাপেক্ষী না করামানুষের নিকট হাত পাতা হতে বিরত থাকা এবং ছেলে-মেয়েদের জন্য হলাল খাদ্যের জোগাড়- ইত্যাদি


সফরের বৈশিষ্ট 
ু2291
একজন পর-পুরুষ একজন মহিলার সাথে কোন মুহরিম ছাড়া একাকী হতে পারবে না। এবং কোন মহিলা মুহরিম ছাড়া সফর করতে পারবে না। একথা বলার পর এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললইয়া রাসুলাল্লাহ ! আমার স্ত্রী হজ্বের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন আর আমি অমুক যুদ্ধে তালিকাভুক্ত হয়েছি। (এখন আমি কি করবো?) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনতুমি চলে যাও এবং তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্ব কর (মুসলিম-২২৯১)
৬- যদি কোন প্রকার কষ্ট না হয় মানুষ তার সফর বৃহস্পতিবারে আরম্ভ করতে চেষ্টা করবে। কারণরাসুল সাঅধিকাংশ সময় বৃহস্পতিবারে সফর করতেন
৭- তার পরিবার পরিজন এবং সাথী-সঙ্গীদের বিদায় দিবেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তার সাহবীরা এরকমই করতেন। এসর্ম্পকে হাদীসে বর্ণিত আছে মুকীম মুসাফিরকে বলবে -
 أستودع الله دينك وأمانتك وخواتيم عملك
আর মুসাফির মুকীমকে বলবে - أستودعك الله الذي لا تضيع ودائعه

সফর চলাকালে ও সফর থেকে ফিরে এসে করনীয় 

এমন কিছু শিষ্টাচার আছে যেগুলো সফরের মধ্যে এবং সফর হতে ফিরে এসে পালন করা উচিত
১-আল্লাহর যিকির দ্বারা সফর আরম্ভ করবে। আরোহণের সময়বিশেষ করে সফরের শুরুতে হাদীসে বর্ণিত দুআ সমুহ পড়বে। ইবনে ওমর রা. হতে বর্ণিত তিনি বলেনরাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন সফরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তার উটকে প্রস্তুত করতেন তখন তিনবার আল্লাহু আকবর বলতেন অতঃপর তিনি বলতেন-
سبحان الذي سخر لنا هذا وما كنا له مقرنين وإنا إلى ربنا لمنقلبون. اللهم إنا نسألك في سفرنا هذا البر والتقوى ومن العمل ما ترضى، اللهم هون علينا سفرنا هذا واطو عنا بعده، اللهم أنت الصاحب في السفر والخليفة في الأهل، اللهم إنا نعوذ بك من وعثاء السفر وكآبة المنظر وسوء المنقلب في المال والأهل. رواه مسلم-
২-জামাতের মধ্য হতে একজনকে আমীর নিযুক্ত করবে
قال صلى الله عليه وسلم: إذا خرج ثلاثة في سفر فليؤمروا أحدهم. رواه أبوداود-2241
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনযখন এক সাথে তিন জন সফরে বের হবে তখন একজনকে আমীর নিযুক্ত করবে (আবু দাউদ -২২৪১)
৩-যখন কোন উঁচা স্থানে আরোহন করেবে তখন সুন্নাত হল আল্লাহ আকবর বলবে। আর যখন নিচের দিকে অবতরণ করবে তখন সুবহানাল্লাহ বলবে
قال جابر رضي الله عنه كنا إذا صعدنا كبرنا وإذا نزلنا سبحنا. رواه البخاري -2771
যাবের রা. বলেন আমরা যখন উপর দিকে আরোহন করতাম আল্লাহু আকবর(الله أكبر) বলতাম আর যখন নিচে অবতরণ করতাম সুবহানাল্লাহ (سبحان الله)বলতাম।(বুখারী-২৭৭১)
৪-যখন কোন ঘরে অবতরণ করবে তখন সুন্নাত হল খাওলা বিনতে হাকিমের হাদীসে উল্লে¬খিত দুআটি পাঠ করবে -
عن خولة بنت حكيم رضي الله عنها  أنها سمعت النبي صلي الله عليه وسلم يقول من نزل منزلا ثم قال أعوذ بكلمات الله التامات من شر ما خلق لم يضره شيء حتي يرتحل من منزله ذلك. رواه البخاري -4881
তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -কে বলতে শুনেছেন যে ব্যক্তি কোন স্থানে অবতরণ করার পর এ দুআ পড়বে
 أعوبذ بكلمات الله التامات من شر ما خلق.
কোন কিছুই তার ক্ষতি করতে পারবে না। যতক্ষণ সে ঐ স্থান ত্যাগ না করে
৫-যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রয়োজন শেষে পরিবার পরিজনের নিকট ফিরে আসবে। রাসুল বলেন -
السفر قطعة من العذاب يمنع أحدكم طعامه وشرابه و نومه فإذا قضى نهمته فليعجل إلى أهله. رواه البخاري -1677
সফর আযাবের একটি অংশ সফর একজন মানুষকে ঠিকমত খেতে দেয়নাপান করতে দেয়না এবং ঘুমাতে দেয়না। তাই যখন প্রয়োজন পুরণ হয়ে যাবে সে যেন তার পরিবার পরিজনের নিকট তাড়াতাড়ি ফিরে আসে। (বুখারী-১৬৭৭)
৬-যখন তার নিজ শহরে ফিরে আসবে তখন শুরুতে যে দুআ পড়ছিল তা আবার পুনরায় পড়বে। তবে- آيبون تائبون عابدون لربنا حامدون বাড়াবে
৭-সফর হতে প্রত্যাবর্তন করা মাত্রই মসজিদে প্রবেশ করে দুই রাকাত সালাত আদায় করবে। কাব ইবনে মালেক রা. ঘটনা সম্বলিত হাদীসে বর্ণিত :
أن رسول الله صلي الله عليه وسلم كان إذا قدم من سفر بدأ بالمسجد فركع ركعتين. رواه البخاري -4066
তিনি বলেন যখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সফর হতে ফিরে আসতেন প্রথমে তিনি মসজিদে প্রবেশ করতেন। এবং দুই রাকাত সালাত আদায় করতেন (বুখারী-৪০৬৬)


ওয়েব গ্রন্থনা : আবুল কালাম আযাদ আনোয়ার /সার্বিক যত্ন : আবহাছ এডুকেশনাল এন্ড রিসার্চ সোসাইটি, বাংলাদেশ

সমাপ্ত

অনুবাদক : জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের
ترجمة : ذاكر الله أبو الخير
সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান
مراجعة : عبد الله شهيد عبدالرحمن
সূত্র : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ, সৌদিআরব



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন