Views:
A+
A-
প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ (১ম পর্ব)
প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ (১ম পর্ব)
بسم الله الرحمن الرحيم
পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
ভুমিকা
সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য। শ্রেষ্ঠ রাসূল আমাদের নবী মুহাম্মদ, তাঁর পরিবারবর্গ এবং সমস্ত সাহাবীদের উপর সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক...অতঃপর,
তাওহীদ বিষয়ক এ প্রশ্নোত্তরসমূহ চয়ন করেছি মহান আল্লাহর কালাম ও তাঁর রসূলের বাণী অতঃপর উত্তম জাতীর বিশিষ্ট আলেমগণের আলোচিত মাসয়ালা-মাসায়েল থেকে। আর আমাদের এ পুস্তিকা সংকলনের সম্মানজনক সূযোগ করে দিয়েছে রিয়াদ মহানগরীর শাফা এলাকার ‘দাওয়াত ও নির্দেশনা সহযোগী অফিসে’র জ্ঞান-গবেষণা বিভাগ। উদ্দেশ্য হচ্ছে পুস্তিকা প্রণয়ন করে মহামর্যাদাবান আল্লাহর দীন গ্রহণকারীদের জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করা এবং তা থেকে অন্যান্য মুসলিমদের ব্যাপাক ফায়দা অর্জন। এ পুস্তিকার নাম দেয়া’’ (التوحيد بين السائل والمجيب) [বা প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ]।
আমি যেহেতু জ্ঞান-গবেষণা বিভাগের সদস্য, সেহেতু এ পুস্তকটি প্রণয়ন করেছি শিক্ষাদানের সিলেবাস হিসেবে।
মহা-বরকতময় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, তিনি যেন আমাদের নেক প্রচেষ্টা কবুল করেন এবং উত্তম পুরষ্কার প্রদান করেন। আর ক্বিয়ামত দিবসে নেক আমলের পাল্লা ভারী করে দেন। আমাকে, আমার মাতা-পিতাকে এবং সকল মুমিনদেরকে বিচার দিবসে মাফ করে দেন। যারা মহা-মহিয়ান আল্লাহর দিকে ডাকে, সাহায্য করে, সৎকাজের আদেশ দান করে, সেদিকে দাওয়াত দেয়, আর যারা পাপকাজ করেন অপছন্দ ও তা থেকে নিষেধ করে তাদের প্রচেষ্টাকে আল্লাহ যেন বরকতময় করে দেন। আল্লাহ আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তাঁর পরিবারবর্গ এবং সাহাবীগণের উপর সন্তুষ্টি ও শান্তি বর্ষণ করুন।
লিপিবদ্ধ হয়েছে যার কলমে তিনি আল্লাহর ক্ষমার ভিখারী;
ড. ইব্রাহীম ইবন সালেহ আল-খুদ্বায়রী
বিচারপতি উচ্চতর আদালত, রিয়াদ,
রাজকীয় সৌদী আরব।
(আল্লাহ তাঁকে এবং তাঁর মাতা-পিতাকে
ও মুমিনদেরকে মাফ করে দিন।)
১৫/০৪/১৪২১ হিজরী।
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
{প্রশ্ন:১} সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী আল্লাহ আমাদেরকে কেন সৃষ্টি করেছেন এবং তার দলীল কী?
উত্তর: আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা শুধুমাত্র তাঁরই ইবাদাত বন্দেগী করার জন্যেই আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। দলীল হলো, আল্লাহর বাণী,
﴿ وَمَا خَلَقۡتُ ٱلۡجِنَّ وَٱلۡإِنسَ إِلَّا لِيَعۡبُدُونِ ٥٦ ﴾ [الذاريات: ٥٦]
‘‘আর আমি জ্বিন এবং মানুষকে এ জন্যই সৃষ্টি করেছি যে, তারা আমারই ‘‘ইবাদাত’ করবে’’। (সূরা আয-যারিয়াত: ৫৬)
উল্লেখ্য যে, ইবাদাতের অর্থ হলো: আদেশ, নিষেধ, সৃষ্টি ও ইবাদাতে আল্লাহকে একক জানতে হবে।