Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

See Our Articles In Different Styles... Grid View List View

মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৩

শবে বরাত ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা

Views:

A+ A-

 শবে বরাত ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা



শবে বরাত ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা

শবে বরাত আভিধানিক অর্থ অনুসন্ধান
শব ফারসি শব্দ অর্থ রাত বা রজনী বরাত শব্দটিও মূলে ফারসি অর্থ ভাগ্য দুশব্দের একত্রে অর্থ হবেভাগ্য-রজনী
বরাত শব্দটি আরবি ভেবে অনেকেই ভুল করে থাকেন কারণ বরাত বলতে আরবি ভাষায় কোন শব্দ নেই
যদি বরাত শব্দটি আরবি বারাআত শব্দের অপভ্রংশ ধরা হয় তবে তার অর্থ  হবে— সম্পর্কচ্ছেদ বা বিমুক্তিকরণ কিন্তু কয়েকটি কারণে  অর্থটি এখানে অগ্রাহ্যমেনে নেয়া যায় না-
. আগের শব্দটি ফারসি হওয়ায় বরাত শব্দটিও ফারসি হবেএটাই স্বাভাবিক
. শাবানের মধ্যরজনীকে আরবি ভাষার দীর্ঘ পরম্পরায় কেউই বারাআতের রাত্রি হিসাবে আখ্যা দেননি
. রমযান মাসের লাইলাতুল ক্বাদরকে কেউ-কেউ লাইলাতুল বারাআত হিসাবে নামকরণ করেছেনশাবানের মধ্য রাত্রিকে নয়

আরবি ভাষায়  রাতটিকে কি বলা হয়?
আরবি ভাষায়  রাতটিকে লাইলাতুন নিছফি মিন শাবান শাবান মাসের মধ্য রজনী — হিসাবে অভিহিত করা হয়


শাবানের মধ্যরাত্রির কি কোন ফযীলত বর্ণিত হয়েছে?

শাবান মাসের মধ্য রাত্রির ফযীলত সম্পর্কে কিছু হাদীস বর্ণিত হয়েছে:
.আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহাবলেনএক রাতে আমি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে খুঁজে না পেয়ে তাঁকে খুঁজতে বের হলামআমি তাকে বাকী গোরস্তানে পেলাম তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনতুমি কি মনে করআল্লাহ  তাঁর রাসূল তোমার উপর জুলুম করবেনআমি বললামহে আল্লাহর রাসূলআমি ধারণা করেছিলাম যে আপনি আপনার অপর কোন স্ত্রীর নিকট চলে গিয়েছেন তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামবললেনমহান আল্লাহ তাAvলা শাবানের মধ্যরাত্রিতে নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হন এবং কালব গোত্রের ছাগলের পালের পশমের চেয়ে বেশী লোকদের ক্ষমা করেন
হাদীসটি ইমাম আহমাদ তার মুসনাদে বর্ণনা করেন (/২৩৮)তিরমিযি তার সুনানে (/১২১,১২২বর্ণনা করে বলেন হাদীসটিকে ইমাম বুখারী দুর্বল বলতে শুনেছি অনুরূপভাবে হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (/৪৪৪হাদীস নং ১৩৮৯বর্ণনা করেছেন হাদীসটির সনদ দুর্বল বলে সমস্ত মুহাদ্দিসগণ একমত

. আবু মূসা আল আশআরী (রাদিয়াল্লাহু আনহুথেকে বর্ণিততিনি বলেনরাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামবলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা শাবানের মধ্যরাত্রিতে আগমণ করেমুশরিক  ঝগড়ায় লিপ্ত ব্যক্তিদের ব্যতীততাঁর সমস্ত সৃষ্টিজগতকে ক্ষমা করে দেন
হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (/৪৫৫হাদীস নং ১৩৯০),এবং তাবরানী তার মুজামুল কাবীর (২০/১০৭,১০৮গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন
আল্লামা বূছীরি বলেনইবনে মাজাহ বর্ণিত হাদীসটির সনদ দুর্বল তাবরানী বর্ণিত হাদীস সম্পর্কে আল্লামা হাইসামী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহিমাজমা আয যাওয়ায়েদ (/৬৫গ্রন্থে বলেনঃ ত্বাবরানী বর্ণিত হাদীসটির সনদের সমস্ত বর্ণনাকারী শক্তিশালী হাদীসটি ইবনে হিব্বানও তার সহীহতে বর্ণনা করেছেন  ব্যাপারে দেখুনমাওয়ারেদুজ জামআনহাদীস নং (১৯৮০)পৃঃ (৪৮৬)

. আলী ইবনে আবী তালিব (রাদিয়াল্লাহু আনহুথেকে বর্ণিততিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামবলেছেনঃ যখন শাবানের মধ্যরাত্রি আসবে তখন তোমরা সে রাতের কিয়াম তথা রাতভর নামায পড়বেআর সে দিনের রোযা রাখবেকেননা সে দিন সুর্যাস্তের সাথে সাথে আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেনক্ষমা চাওয়ার কেউ কি আছে যাকে আমি ক্ষমা করব রিযিক চাওয়ার কেউ কি আছে যাকে আমি রিযিক দেব সমস্যাগ্রস্ত কেউ কি আছে যে আমার কাছে পরিত্রাণ কামনা করবে আর আমি তাকে উদ্ধার করব এমন এমন কেউ কি আছেএমন এমন কেউ কি আছেফজর পর্যন্ত তিনি এভাবে বলতে থাকেন
হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (/৪৪৪হাদীস নং ১৩৮৮বর্ণনা করেছেন আল্লামা বূছীরি (রাহমাতুল্লাহি আলাইহিতার যাওয়ায়েদে ইবনে মাজাহ (/১০গ্রন্থে বলেনহাদীসটির বর্ণনাকারীদের মধ্যে ইবনে আবি সুবরাহ রয়েছেন যিনি হাদীস বানাতেন তাই হাদীসটি বানোয়াট

উল্লিখিত আলোচনায় এটা স্পষ্ট যেশাবানের মধ্যরাত্রির ফযীলত বিষয়ে যে সব হাদীস বর্ণিত হয়েছে তার সবগুলোই দুর্বল অথবা  বানোয়াটআর তাই গ্রাহ্যতারহিত

প্রাজ্ঞ আলেমগণ  ব্যাপারে একমত যেদুর্বল হাদীস দ্বারা কোন আহকামবিধান প্রমাণ করা যায় না দুর্বল হাদীসের উপর আমল করার জন্য কয়েকটি শর্ত লাগিয়েছেন তারা শর্তগুলো নিম্নরূপ -
. হাদীসটির মূল বক্তব্য অন্য কোন সহীহ হাদীসের বিরোধীতা করবেনাবরং কোন শুদ্ধ ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হতে হবে
. হাদীসটি একেবারেই দুর্বল অথবা বানোয়াট হলে চলবে না
. হাদীসটির উপর আমল করার সময় এটা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামথেকে প্রমাণিত বলে বিশ্বাস করা যাবে না কারণ রাসূল থেকে প্রমাণিত বলে বিশ্বাস করলে রাসূলের উপর মিথ্যাচারিতার পাপ হবেফলে জাহান্নাম অবধারিত হয়ে পড়বে
. হাদীসটি ফাদায়িল তথা কোন আমলের ফযীলত বর্ণনা সংক্রান্ত হতে হবে আহকাম (ওয়াজিবমুস্তাহাবহারামমাকরূহ) ইত্যাদি সাব্যস্তকারী না হতে হবে
. বান্দা  তার প্রভুর মাঝে একান্ত ব্যক্তিগত কোন আমলের ক্ষেত্রে হাদীসটির নির্ভরতা নেয়া যাবে তবে  হাদীসের উপর আমল করার জন্য একে অপরকে আহবান করতে পারবে না

এই শর্তাবলীর আলোকে যদি উপরোক্ত হাদীসগুলো পরীক্ষা করে দেখি তাহলে দেখতে পাই যেউপরোক্ত হাদীসসমূহের মধ্যে শেষোক্ত  আলী (রাদিয়াল্লাহু আনহু)বর্ণিত হাদীসটি বানোয়াট সুতরাং তার উপর আমল করা উম্মাতের আলেমদের ঐক্যমতে জায়েয হবে না
প্রথম হাদীসটি দুর্বলদ্বিতীয় হাদীসটিও অধিকাংশ আলেমের মতে দুর্বলযদিও কোন-কোন আলেম এর বর্ণনাকারীগণকে শক্তিশালী বলে মত প্রকাশ করেছেন কিন্তু কেবলমাত্র বর্ণনাকারী শক্তিশালী হলেই হাদীস বিশুদ্ধ হওয়া সাব্যস্ত হয়না
মোট কথাঃ প্রথম  দ্বিতীয় হাদীস দুটি দুর্বল খুব দুর্বল বা বানোয়াট নয় সে হিসেবে যৎকিঞ্চিৎ প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে যে  রাত্রির ফযীলত রয়েছে
এই সূত্রেই অনেক হাদীসবিদ শাবানের মধ্যরাতের ফযীলত রয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছেনতাঁদের মধ্যে রয়েছেনঃ
ইমাম আহমাদ (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) [ইবনে তাইমিয়া তার ইকতিদায়ে ছিরাতে মুস্তাকীমে (/৬২৬তা উল্লেখ করেছেন]
ইমাম আওযায়ী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) [ইমাম ইবনে রাজাব তার লাতায়েফুল মাআরিফ গ্রন্থে (পৃঃ১৪৪তার থেকে তা বর্ণনা করেছেন]
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) [ইকতিদায়ে ছিরাতে মুস্তাকীম /৬২৬,৬২৭মাজমু ফাতাওয়া ২৩/১২৩১৩১,১৩৩,১৩৪]
ইমাম ইবনে রাজাব আল হাম্বলী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) [তার লাতায়েফুল মাআরিফ পৃঃ১৪৪ দ্রষ্টব্য]
প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস আল্লামা নাসিরুদ্দিন আল-আলবানী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) [ছিলছিলাতুল আহাদীস আস্সাহীহা /১৩৫-১৩৯]
উপরোক্ত মুহাদ্দিসগনসহ আরো অনেকে  রাত্রিকে ফযীলতের রাত বলে মত প্রকাশ করেছেন
কিন্তু আমরা যদি উপরে উল্লিখিত প্রথম  দ্বিতীয় হাদীসটি পাঠ করে দেখি তাহলে দেখতে পাব আল্লাহ  তাআলা নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হয়ে তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আহবান জানাতে  থাকেন হাদীসদ্বয়ে  বক্তব্যই উপস্থাপিত হয়েছে মুলত সহীহ হাদীসে সুস্পষ্ট এসেছে যেআল্লাহ তাআলা প্রতি রাতের শেষাংশে শেষ তৃতীয়াংশে- নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হয়ে আহবান জানাতে থাকেন এমন কেউ কি আছে যে আমাকে ডাকবে আর আমি তার ডাকে সাড়া দেবএমন কেউ কি আছে যে আমার কাছে কিছু চাইবে আর আমি তাকে দেবআমার কাছে ক্ষমা চাইবে আর আমি তাকে ক্ষমা করে দেব?” [বুখারীহাদীস নং ১১৪৫মুসলিম হাদীস নং ৭৫৮]
সুতরাং আমরা  হাদীসদ্বয়ে অতিরিক্ত কোন কিছুই দেখতে পাচ্ছি না সুতরাং  রাত্রির বিশেষ কোন বিশেষত্ব আমাদের নজরে পড়ছে না এজন্যই শাইখ আব্দুল আজীজ ইবনে বায (রাহমাতুল্লাহি আলাইহিসহ আরো অনেকে  রাত্রির অতিরিক্ত ফযীলত অস্বীকার করেছেন

 রাত্রি উদযাপন  এতদসংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর:

▪ প্রথম প্রশ্নঃ  রাত্রি কি ভাগ্য রজনী

উত্তরঃ না রাত্রি ভাগ্য রজনী নয়মূলতঃ  রাত্রিকে ভাগ্য রজনী বলার পেছনে কাজ করছে সূরা আদ-দুখানের    আয়াত দুটির ভূল ব্যাখ্যা তা হলোঃ
إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُبَارَكَةٍ إِنَّا كُنَّا مُنْذِرِينَ* فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ -  سورة الدخان:3ـ4
আয়াতদ্বয়ের অর্থ হলোঃ অবশ্যই আমরা তা (কোরআনএক মুবারক রাত্রিতে অবতীর্ণ করেছিঅবশ্যই আমরা সতর্ককারী রাত্রিতে যাবতীয় প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরকৃত হয়
 আয়াতদ্বয়ের তাফসীরে অধিকাংশ মুফাসসির বলেনঃ  আয়াত দ্বারা রমযানের লাইলাতুল ক্বাদরকেই বুঝানো হয়েছে যে লাইলাতুল কাদরের চারটি নাম রয়েছেলাইলাতুল কাদরলাইলাতুল বারাআতলাইলাতুচ্ছফ.লাইলাতুল মুবারাকাহ শুধুমাত্র ইকরিমা (রাহমাতুল্লাহি আলাইহিথেকে বর্ণিত হয়েছেতিনি বলেন আয়াত দ্বারা শাবানের মধ্যরাত্রিকে বুঝানো হয়েছে এটা একটি অগ্রহণযোগ্য বর্ণনা

আল্লামা ইবনে কাসীর (রাহমাতুল্লাহি আলাইহিবলেন, আলোচ্য আয়াতে মুবারক রাত্রি বলতে লাইলাতুল ক্বাদর বুঝানো হয়েছেযেমন আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ
إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ - سورةالقدر:1
আমরা  কোরআনকে ক্বাদরের রাত্রিতে অবতীর্ণ করেছি (সূরা আল-কাদরঃ১)

আল্লাহ তাআলা আরও বলেনঃ
شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ سورة البقرة:185
রমযান এমন একটি মাস যাতে কোরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে (সূরা আলবাকারাহঃ১৮৫)

যিনি  রাত্রিকে শাবানের মধ্যবর্তী রাত বলে মত প্রকাশ করেছেনযেমনটি ইকরিমা থেকে বর্ণিত হয়েছেতিনি অনেক দূরবর্তী মত গ্রহণ করেছেনকেননা কোরআনের সুস্পষ্ট বাণী তা রমযান মাসে বলে ঘোষণা দিয়েছে (তাফসীরে ইবনে কাসীর (/১৩৭)
অনুরূপভাবে আল্লামা শাওকানীও  মত প্রকাশ করেছেন (তাফসীরে ফাতহুল ক্বাদীর (/৭০৯)

সুতরাং ভাগ্য রজনী হলো লাইলাতুল ক্বাদর যা রমযানের শেষ দশদিনের বেজোড় রাত্রিগুলো আর এতে করে এও সাব্যস্ত হলো যে আয়াতের তাফসীরে ইকরিমা (রাহমাতুল্লাহি আলাইহিমতভেদ করলেও তিনি শাবানের মধ্য তারিখের রাত্রিকে লাইলাতুল বারাআত নামকরণ করেননি

▪ দ্বিতীয় প্রশ্নঃ শাবানের মধ্যরাত্রি উদযাপন করা যাবে কিনা?

উত্তরঃ শাবানের মধ্যরাত্রি পালন করার কি হুকুম  নিয়ে আলেমদের মধ্যে তিনটি মত রয়েছে:
এক. শাবানের মধ্য রাত্রিতে মাসজিদে জামাতের সাথে নামায  অন্যান্য ইবাদত করা জায়েয  প্রসিদ্ধ তাবেয়ী খালেদ ইবনে মিদানলুকমান ইবনে আমের সুন্দর পোশাক পরেআতর খোশবুশুরমা মেখে মাসজিদে গিয়ে মানুষদের নিয়ে  রাত্রিতে নামায আদায় করতেন  মতটি ইমাম ইসহাক ইবনে রাহওয়ীয়াহ থেকেও বর্ণিত হয়েছে (লাতায়েফুল মাআরেফ পৃঃ১৪৪)
তারা তাদের মতের পক্ষে কোন দলীল পেশ করেননি আল্লামা ইবনে রাজাব (রাহমাতুল্লাহি আলাইহিতাদের মতের পক্ষে দলীল হিসাবে বলেনঃ তাদের কাছে  ব্যাপারে ইসরাইলি তথা পূর্ববর্তী উম্মাতদের থেকে বিভিন্ন বর্ণনা এসেছিলসে অনুসারে তারা আমল করেছিলেন তবে পূর্বে বর্ণিত বিভিন্ন দুর্বল হাদীস তাদের দলীল হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকবে
দুইশাবানের মধ্যরাত্রিতে ব্যক্তিগতভাবে ইবাদত বন্দেগী করা জায়েয ইমাম আওযায়ীশাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াএবং আল্লামা ইবনে রজব (রাহমাতুল্লাহি আলাইহিম মত পোষণ করেন
তাদের মতের পক্ষে তারা যে সমস্ত হাদীস দ্বারা  রাত্রির ফযীলত বর্ণিত হয়েছে সে সমস্ত সাধারণ হাদীসের উপর ভিত্তি করে ব্যক্তিগতভাবে ইবাদত করাকে জায়েয মনে করেন
তিন ধরণের ইবাদত সম্পূর্ণরূপে বিদআত  চাই তা ব্যক্তিগতভাবে হোক বা সামষ্টিকভাবে ইমাম আতা ইবনে আবি রাবাহইবনে আবি মুলাইকামদীনার ফুকাহাগণইমাম মালেকের ছাত্রগণ অন্যান্য আরো অনেকেই  মত পোষণ করেছেন এমনকি ইমাম আওযায়ী যিনি শাম তথা সিরিয়াবাসীদের ইমাম বলে প্রসিদ্ধ তিনিও  ধরনের ঘটা করে মাসজিদে ইবাদত পালন করাকে বিদআত বলে ঘোষণা করেছেন
তাদের মতের পক্ষে যুক্তি হলো :

. রাত্রির ফযীলত সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোন দলীল নেই রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাত্রিতে কোন সুনির্দিষ্ট ইবাদত করেছেন বলে সহীহ হাদীসে প্রমাণিত হয়নি অনুরূপভাবে তার কোন সাহাবী থেকেও কিছু বর্ণিত হয়নি তাবেয়ীনদের মধ্যে তিনজন ব্যতীত আর কারো থেকে বর্ণিত হয়নি
আল্লামা ইবনে রজব (রাহমাতুল্লাহি আলাইহিবলেনঃ শাবানের রাত্রিতে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামঅথবা তার সাহাবাদের থেকে কোন নামায পড়া প্রমাণিত হয়নি যদিও শামদেশীয় সুনির্দিষ্ট কোন কোন তাবেয়ীন থেকে তা বর্ণিত হয়েছে (লাতায়েফুল মাআরিফঃ১৪৫)
শাইখ আব্দুল আযীয ইবনে বায (রাহমাতুল্লাহি আলাইহিবলেনঃ  রাত্রির ফযীলত বর্ণনায় কিছু দুর্বল হাদীস এসেছে যার উপর ভিত্তি করা জায়েয নেইআর  রাত্রিতে নামায আদায়ে বর্ণিত যাবতীয় হাদীসই বানোয়াটআলেমগণ  ব্যাপারে সতর্ক করে গেছেন

হাফেজ ইবনে রজব (রাহমাতুল্লাহি আলাইহিযিনি কোন কোন তাবেয়ীনদের থেকে  রাত্রির ফযীলত রয়েছে বলে বর্ণনা করেছেনতিনি বলেছেনঃ  সমস্ত তাবেয়ীনদের কাছে দলীল হলো যে তাদের কাছে  ব্যাপারে ইসরাইলি কিছু বর্ণনা এসেছে
তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি যেযারা  রাত পালন করেছেন তাদের দলীল হলোযে তাদের কাছে ইসরাইলি বর্ণনা এসেছেআমাদের প্রশ্নঃ ইসরাইলি বর্ণনা  উম্মাতের জন্য কিভাবে দলীল হতে পারে?

যে সমস্ত তাবেয়ীনগণ থেকে  রাত উদযাপনের সংবাদ এসেছে তাদের সমসাময়িক প্রখ্যাত ফুকাহা  মুহাদ্দিসীনগণ তাদের  সব কর্মকান্ডের নিন্দা করেছেন যারা তাদের নিন্দা করেছেন তাদের মধ্যে প্রখ্যাত হলেনঃ ইমাম আতা ইবনে আবি রাবাহযিনি তার যুগের সর্বশ্রেষ্ট মুফতি ছিলেনআর যার সম্পর্কে সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহুমাবলেছিলেনঃ তোমরা আমার কাছে প্রশ্নের জন্য একত্রিত হওঅথচ তোমাদের কাছে ইবনে আবি রাবাহ রয়েছে
সুতরাং যদি  রাত্রি উদযাপনকারীদের পক্ষে কোন দলীল থাকততাহলে তারা আতা ইবনে আবি রাবাহর বিপক্ষে তা অবশ্যই পেশ করে তাদের কর্মকাণ্ডের যথার্থতা প্রমাণ করার চেষ্টা করতেনঅথচ এরকম করেছেন বলে প্রমাণিত হয়নি

. পূর্বেই বর্ণিত হয়েছে যেযে সমস্ত দুর্বল হাদীসে  রাত্রির ফযীলত বর্ণিত হয়েছেতাতে শুধুমাত্র সে রাত্রিতে আল্লাহর অবতীর্ণ হওয়া এবং ক্ষমা করা প্রমাণিত হয়েছেএর বাইরে কিছুই বর্ণিত হয়নি মুলতঃ  অবতীর্ণ হওয়া  ক্ষমা চাওয়ার আহবান প্রতি রাতেই আল্লাহ তাআলা করে থাকেন যা সুনির্দিষ্ট কোন রাত বা রাতসমূহের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়
এর বাইরে দুর্বল হাদীসেও অতিরিক্ত কোন ইবাদত করার নির্দেশ নেই

. আর যারা  রাত্রিতে ব্যক্তিগতভাবে আমল করা জায়েয বলে মন্তব্য করেছেন তাদের মতের পক্ষে কোন দলীল নেইকেননা  রাত্রিতে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামথেকে বা তার সাহাবা কারো থেকেই ব্যক্তিগত কিংবা সামষ্টিক কোন ভাবেই কোন প্রকার ইবাদত করেছেন বলে বর্ণিত হয়নি
এর বিপরীতে শরীয়তের সাধারণ অনেক দলীল  রাত্রিকে ইবাদতের জন্য নির্দিষ্ট করাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করছেতম্মধ্যে রয়েছেঃ
আল্লাহ বলেনঃ 
আজকের দিনে আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম (সূরা আল-মায়েদাহঃ )
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামবলেছেনঃ 
(যে ব্যক্তি আমাদের দ্বীনের মধ্যে এমন নতুন কিছুর উদ্ভব ঘটাবে যা এর মধ্যে নেইতা তার উপর নিক্ষিপ্ত হবে) (বুখারীহাদীস নং ২৬৯৭)
তিনি আরো বলেছেনঃ 
(যে ব্যক্তি এমন কোন কাজ করবে যার উপর আমাদের দ্বীনের মধ্যে কোন নির্দেশ নেই তা অগ্রহণযোগ্য) (মুসলিমহাদীস নং ১৭১৮)
শাইখ আব্দুল আজীজ ইবনে বায (রাহমাতুল্লাহি আলাইহিবলেনঃ আর ইমাম আওযায়ী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহিযে রাতে ব্যক্তিগত ইবাদত করা ভাল মনে করেছেনআর যা হাফেয ইবনে রাজাব পছন্দ করেছেনতাদের  মত অত্যন্ত আশ্চার্যজনক বরং দুর্বলকেননা কোন কিছু যতক্ষন পর্যন্ত না শরীয়তের দলীলের মাধ্যমে জায়েয বলে সাব্যস্ত হবে ততক্ষন পর্যন্ত কোন মুসলিমের পক্ষেই দ্বীনের মধ্যে তার অনুপ্রবেশ ঘটাতে বৈধ হবে না চাই তা ব্যক্তিগতভাবে করুক বা সামষ্টিকদলবদ্ধভাবে চাই গোপনে করুক বা প্রকাশ্য কারণ বিদআতকর্ম অস্বীকার করে এবং তা থেকে সাবধান করে যে সমস্ত প্রমাণাদি এসেছে সেগুলো সাধারণভাবে তার বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছে (আত্তাহযীর মিনাল বিদআঃ১৩)

শাইখ আব্দুল আযীয ইবনে বায (রাহমাতুল্লাহি আলাইহিআরো বলেনঃ সহীহ মুসলিমে আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আনহুথেকে বর্ণিত হয়েছেরাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামবলেছেনঃ 
তোমরা জুমআর রাত্রিকে অন্যান্য রাত থেকে ক্বিয়ামনামাযের জন্য সুনির্দিষ্ট করে নিও নাআর জুমআর দিনকেও অন্যান্য দিনের থেকে আলাদা করে রোযার জন্য সুনির্দিষ্ট করে নিও নাতবে যদি কারো রোযার দিনে সে দিন ঘটনাচক্রে এসে যায় সেটা ভিন্ন কথা (সহীহ মুসলিমহাদীস নং ১১৪৪১৪৮) 
যদি কোন রাতকে ইবাদতের জন্য সুনির্দিষ্ট করা জায়েয হতো তবে অবশ্যই জুমআর রাতকে ইবাদতের জন্য বিশেষভাবে সুনির্দিষ্ট করা জায়েয হতোকেননা জুমআর দিনের ফযীলত সম্পর্কে হাদীসে এসেছে যে
সুর্য যে দিনগুলোতে উদিত হয় তম্মধ্যে সবচেয়ে শ্রেষ্ট দিনজুমআর দিন (সহীহ মুসলিমহাদীস নং ৫৮৪)
সুতরাং যেহেতু রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামজুমআর দিনকে বিশেষভাবে ক্বিয়াম/নামাযের জন্য সুনির্দিষ্ট করা থেকে নিষেধ করেছেন সেহেতু অন্যান্য রাতগুলোতে অবশ্যই ইবাদতের জন্য সুনির্দিষ্ট করে নেয়া জায়েয হবে না তবে যদি কোন রাত্রের ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোন দলীল এসে যায় তবে সেটা ভিন্ন কথা আর যেহেতু লাইলাতুল ক্বাদর এবং রমযানের রাতের ক্বিয়াম/নামায পড়া জায়েয সেহেতু রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামথেকে  রাতগুলোর ব্যাপারে স্পষ্ট হাদীস এসেছে

▪ তৃতীয় প্রশ্নঃ শাবানের মধ্যরাত্রিতে হাজারী নামায পড়ার কী হুকুম?

উত্তরঃ শাবানের মধ্যরাত্রিতে একশত রাকাত নামাযের প্রতি রাকাতে দশবার সূরা কুল হুওয়াল্লাহ (সূরা ইখলাসদিয়ে নামাজ পড়ার যে নিয়ম প্রচলিত হয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে বিদআত 

 নামাযের প্রথম প্রচলন:
 নামাযের প্রথম প্রচলন হয় হিজরী ৪৪৮ সনে ফিলিস্তিনের নাবলুস শহরের ইবনে আবিল হামরা নামীয় একলোক বায়তুল মুকাদ্দাস আসেন তার তিলাওয়াত ছিল সুমধুর তিনি শাবানের মধ্যরাত্রিতে নামাযে দাঁড়ালে তার পিছনে এক লোক এসে দাঁড়ায়তারপর তার সাথে তৃতীয় জন এসে যোগ দেয়তারপর চতুর্থ জন তিনি নামায শেষ করার আগেই বিরাট একদল লোক এসে তার সাথে যুক্ত হয়ে পড়ে
পরবর্তী বছর এলেতার সাথে অনেকেই যোগ দেয়  নামায আদায় করে এতে করে মাসজিদুল আক্সাতে  নামাযের প্রথা চালু হয় কালক্রমে  নামায এমনভাবে আদায় হতে লাগে যে অনেকেই তা সুন্নাত মনে করতে শুরু করে (ত্বারতুসীঃ হাওয়াদেস  বিদআ পৃঃ১২১১২২ইবনে কাসীরঃ বিদায়া ওয়ান নিহায়া ১৪/২৪৭ইবনুল কাইয়েমঃ আল-মানারুল মুনিফ পৃঃ৯৯)

 নামাযের পদ্ধতি:
প্রথা অনুযায়ী  নামাযের পদ্ধতি হলোপ্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাস দশবার করে পড়ে মোট একশত রাকাত নামায পড়া যাতে করে সূরা ইখলাস ১০০০ বার পড়া হয় (এহইয়ায়ে উলুমুদ্দীন (/২০৩) 

 ধরণের নামায সম্পূর্ণ বিদআত কারণ  ধরণের নামাযের বর্ণনা কোন হাদীসের কিতাবে আসেনি কোন কোন বইয়ে  সম্পর্কে যে সকল হাদীস উল্লেখ করা হয় সেগুলো কোন হাদীসের কিতাবে আসেনি আর তাই আল্লামা ইবনুল জাওযী (মাওদুআত /১২৭-১৩০)হাফেয ইরাকী (তাখরীজুল এহইয়া)ইমাম নববী (আল-মাজমু /৫৬)আল্লামা আবু শামাহ (আল-বায়স পৃঃ৩২-৩৬)শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যা, (ইকতিদায়ে ছিরাতুল মুস্তাকীম /৬২৮)আল্লামা ইবনে আররাক (তানযীহুশ শরীয়াহ /৯২)ইবনে হাজার আল-আসকালানীআল্লামা সূয়ূতী (আল-আমর বিল ইত্তেবা পৃঃ৮১আল-লাআলিল মাসনূআ /৫৭)আল্লামা শাওকানী (ফাওয়ায়েদুল মাজমু পৃঃ৫১সহ আরো অনেকেই  গুলোকে বানোয়াট হাদীস” বলে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন


 ধরণের নামাযের হুকুম:
সঠিক জ্ঞানের অধিকারী আলেমগণের মতে  ধরণের নামায বিদআতকেননা  ধরনের নামায আল্লাহর রাসূলও পড়েননি তার কোন খলীফাও পড়েননি সাহাবাগণও পড়েননি হেদায়াতের ইমাম তথা আবু হানিফামালেকশাফেয়ীআহমাদসাওরীআওযায়ীলাইসসহ অন্যান্যগণ কেউই  ধরণের নামায পড়েননি বা পড়তে বলেননি
আর  ধরণের নামাযের বর্ণনায় যে হাদীসসমূহ কেউ কেউ উল্লেখ করে থাকেন তা উম্মাতের আলেমদের ইজমা অনুযায়ী বানোয়াট (এর জন্য দেখুনঃ ইবনে তাইমিয়ার মাজমুল ফাতাওয়া ২৩/১৩১,১৩৩,১৩৪ইকতিদায়ে ছিরাতে মুস্তাকীম /৬২৮আবু শামাহঃ আল-বায়েছ পৃঃ ৩২-৩৬রশীদ রিদাঃ ফাতাওয়া /২৮আলী মাহফুজইবদা‘ পৃঃ২৮৬,২৮৮ইবনে বাযঃ আত্তাহযীর মিনাল বিদআ পৃঃ১১-১৬)

▪ চতুর্থ প্রশ্নঃ শাবানের মধ্যরাত্রির পরদিন কি রোযা রাখা যাবে?

উত্তরঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামথেকে বহু সহীহ হাদীসে প্রমাণিত হয়েছে যেতিনি শাবান মাসে সবচেয়ে বেশী রোযা রাখতেন (এর জন্য দেখুনঃ বুখারীহাদীস নং ১৯৬৯১৯৭০মুসলিমহাদীস নং ১১৫৬১১৬১মুসনাদে আহমাদ /১৮৮সুনানে আবু দাউদহাদীস নং ২৪৩১সহীহ ইবনে খুযাইমাহাদীস নং ২০৭৭সুনানে তিরমিঝিহাদীস নং ৬৫৭)
সে হিসাবে যদি কেউ শাবান মাসে রোযা রাখেন তবে তা হবে সুন্নাত শাবান মাসের শেষ দিন ছাড়া বাকী যে কোন দিন রোযা রাখা জায়েয বা সওয়াবের কাজ তবে রোজা রাখার সময় মনে করতে হবে যেরাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেহেতু শাবান মাসে রোজা রেখেছিলেন তাকে অনুসরন করে রোযা রাখা হচ্ছে
অথবা যদি কারও আইয়ামে বিদের নফল রোযা তথা মাসের ১৩,১৪,১৫  তিনদিন রোযা রাখার নিয়ম থাকে তিনিও রোযা রাখতে পারেন কিন্তু শুধুমাত্র শাবানের পনের তারিখ রোযা রাখা বিদআত হবে কারণ শরীয়তে  রোযার কোন ভিত্তি নেই
আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর রাসূলের পরিপূর্ণ পদাঙ্ক অনুসরন করে চলার তৌফিক দিন আমীন

টীকা:7. যদি শাবানের মধ্যরাত্রিকে উদযাপন করা বা ঘটা করে পালন করা জায়েয হতো তাহলে অবশ্যই রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যাপারে আমাদের জানাতেন বা তিনি নিজেই তা করতেন আর এমন কিছু তিনি করে থাকতেন তাহলে সাহাবাগণ অবশ্যই তা উম্মাতের কাছে বর্ণনা করতেন তারা নবীদের পরে জগতের শ্রেষ্টতম মানুষসবচেয়ে বেশী নসীহতকারীকোন কিছুই তারা গোপন করেননি (আত্তহযীর মিনাল বিদা১৫,১৬)
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমাদের কাছে স্পষ্ট হলো যেকুরআনহাদীস  গ্রহণযোগ্য আলেমদের বাণী থেকে আমরা জানতে পারলাম শাবানের মধ্য রাত্রিকে ঘটা করে উদযাপন করা চাই তা নামাযের মাধ্যমে হোক অথবা অন্য কোন ইবাদতের মাধ্যেমে অধিকাংশ আলেমদের মতে জগন্যতম বিদআত শরীয়তে যার কোন ভিত্তি নেই বরং তা সাহাবাদের যুগের পরে প্রথম শুরু হয়েছিল যারা সত্যের অনুসরণ করতে চায় তাদের জন্য দ্বীনের মধ্যে আল্লাহ  তাঁর রাসূল যা করতে বলেছেন তাই যথেষ্ট


লেখক: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
সম্পাদনা: মুহাম্মদ শামসুল হক সিদ্দিক
সূত্র: ইসলামহাউজ


Related Video:

শবে বরাত (কুরআন হাদীসের আলোকে লাইলাতুল বরাত) ~ শাইখ মতিউর রহমান মাদানী


শবে বরাত ও বিদ’আত ~ শাইখ মতিউর রহমান মাদানী





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন