Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

See Our Articles In Different Styles... Grid View List View

শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪

সুস্বাগত মাহে রমযান

Views:

A+ A-

 সুস্বাগত মাহে রমযান


সুস্বাগত মাহে রমযান

বাড়িতে বিশেষ কোনো বিশেষ মেহমান আসার তারিখ থাকলে আমরা পূর্ব থেকেই নানা প্রস্তুতি নেই। ঘরদোর পরিষ্কার করি। বিছানাপত্র সাফ-সুতরো করি। পরিপাটি করি বাড়ির পরিবেশ। নিশ্চিত করি মেহমানের যথাযথ সম্মান ও সন্তুষ্টি রক্ষার সার্বিক ব্যবস্থা। তারপর অপেক্ষা করতে থাকি মেহমানকে সসম্মানে বরণ করে নেবার জন্য। আমাদের দুয়ারেও আজ কড়া নাড়ছে এক বিশেষ অতিথি। এমন অতিথি যার আগমনে সাড়া পড়ে যায় যমীনে ও আসমানে! আনন্দের হিল্লোল বয়ে যায় সমগ্র সৃষ্টি জগতে! আল্লাহর হাবীবের মুখেই শুনুন সে কথা-
« إذا كَانَ أَوَّلُ ليْلَةٍ من شَهرِ رَمَضَانَ صُفِّدَتِ الشَّياطِينُ ومَرَدَةُ الجِنِّ، وغُلِّقَتْ أبوَابُ النَّارِ فَلَمْ يُفْتَحْ منْهَا بَابٌ، وفُتِحَتْ أَبوَابُ الجَنَّةِ فلمْ يُغْلَقْ منْها بَابٌ، ويُنَادِي مُنَادٍ: يا بَاغِيَ الخَيرِ: أَقْبِلْ، ويا بَاغِيَ الشَّر: أَقْصِرْ، ولله عُتَقَاءُ مِنَ النَّار وذَلكَ كُلَّ لَيْلَةٍ » .
যখন রমযানের প্রথম রাত্রি আগমন করে শয়তান এবং অবাধ্য জিনদের শৃঙ্খলিত করা হয়জাহান্নামের সকল দরোজা বন্ধ করে দেয়া হয়খোলা রাখা হয় না কোন দ্বারজান্নাতের দুয়ারগুলো অর্গলমুক্ত করে দেয়া হয়বদ্ধ রাখা হয় না কোন তোরণ। এদিকে একজন ঘোষক ঘোষণা করেন, হে পুণ্যের অনুগামীঅগ্রসর হও। হে মন্দ-পথযাত্রী থেমে যাও আবার অনেক ব্যক্তিকে আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। আর এমনটি করা হয় রমযানের প্রতি রাতেই’[1]

   

Read More---

ফিতরা প্রদানের সময়সীমা ও বণ্টন পদ্ধতি

Views:

A+ A-

 ফিতরা প্রদানের সময়সীমা ও বণ্টন পদ্ধতি


ফিতরা প্রদানরে সময়সীমা ও বণ্টন পদ্ধতি

আলহামদুলিল্লাহ, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসূলিল্লাহ, আম্মা বাদঃ
ঈদের নামাযের পূর্বে ফিতরা প্রদান করা যেমন ইসলামের একটি সুন্দর বিধান, তেমন তা সঠিক সময়ে ও সঠিক নিয়মে বণ্টন করাও গুরুত্বপূর্ণ বিধান। কিন্তু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফিতরা বণ্টনের নিয়ম ভিন্ন ভিন্ন লক্ষ্য করা যায়। তন্মধ্যে একটি বহুল প্রচলিত নিয়ম হচ্ছে: লোকেরা তাদের ফিতরা মসজিদের ইমাম কিংবা গ্রামের সর্দারের কাছে ঈদের নামাযের পূর্বে আর অনেকে নামাযের পরে জমা করে দেয়। ফিতরা দাতারা ধান, গম, চাল এবং অনেকে টাকা দ্বারা ফিতরা দিয়ে থাকেন। অতঃপর ইমাম কিংবা সর্দার সাহেব কিছু দিন পর সেই জমা কৃত ফিতরা বিক্রয় করে দেন। তার পর তিনি সেই মূল্য অর্থাৎ টাকা-পয়সা বিতরণ শুরু করেন। ফিতরা যারা নিতে আসেন তাদের মধ্যে ফকীর-মিসকিন, মাদরাসার ছাত্র এবং ইসলামী প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলিও থাকে। এরা অনেকে কাছাকাছি অঞ্চলের হয় আর অনেকে দূরেরও হয়। সাধারণত: এই পদ্ধতিতেই বেশির ভাগ স্থানে ফিতরা বণ্টন করা হয়ে থাক। কোথাও একটু ব্যতিক্রম থাকলে সেটা অবশ্য আলাদা কথা।
Read More---

সদকাতুল ফিতর

Views:

A+ A-

 সদকাতুল ফিতর


সদকাতুল ফিতর

সম্মানিত ভাইয়েরা আমার!  আল্লাহ তাআলা রমজান মাসের শেষে একটি বিধান দিয়েছেন। অর্থাৎ ঈদের সালাত আদায়ের পূর্বে ‘সদকাতুল ফিতর’ আদায় করা। আজকের মজলিসে এ বিষয়ে কথা বলব। এর বিধান, উপকারীতা, শ্রেণী, পরিমাণ, অপরিহার্যতা, আদায় করার সময় ও স্থান সম্পর্কে আলোচনা করব।
Read More---

জাকাতের গুরুত্ব, ফজিলত ও ব্যয়ের খাতসমূহ

Views:

A+ A-

 জাকাতের গুরুত্ব, ফজিলত ও ব্যয়ের খাতসমূহ


জাকাতের গুরুত্ব, ফযিলত ও ব্যয়ের খাতসমূহ

জাকাত এর সংজ্ঞা: 
জাকাত শব্দের অর্থ শুচিতা ও পবিত্রতা, শুদ্ধি ও বৃদ্ধি।
পরিভাষায় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শরিয়ত নির্ধারিত পরিমাণ সম্পদের নির্দিষ্ট অংশ কুরআনে বর্ণিত আট প্রকারের কোন এক প্রকার লোক অথবা প্রত্যেককে দান করে মালিক বানিয়ে দেয়াকে জাকাত বলে। 


Read More---

জাকাত

Views:

A+ A-

 জাকাত


জাকাত

কুরআনের আলোকে যাকাতের বিধান 

প্রিয় ভইয়েরা! কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন :
]وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاءَ وَيُقِيمُوا الصَّلاةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ وَذَلِكَ دِينُ الْقَيِّمَةِ[ (البينة:৫)
'তাদের এ মর্মে আদেশ করা হয়েছে যে, তারা নিবিষ্ট মনে একান্তভাবে শুধুমাত্র আল্লাহর এবাদত করবে, যথাযথভাবে সালাত আদায় করবে, জাকাত প্রদান করবে, আর এটাই হলো সুপ্রতিষ্ঠিত দ্বীন।'[১]


আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন :
]وَأَقِيمُوا الصَّلاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَأَقْرِضُوا اللَّهَ قَرْضاً حَسَناً وَمَا تُقَدِّمُوا لِأَنْفُسِكُمْ مِنْ خَيْرٍ تَجِدُوهُ عِنْدَ اللَّهِ هُوَ خَيْراً وَأَعْظَمَ أَجْراً[ (المزمل:২০)
'তোমরা যথানিয়মে সালাত আদায় কর, জাকাত প্রদান কর, আল্লাহ তাআলাকে উত্তম ঋণ দাও, আর তোমরা নিজেদের কল্যাণে যা অগ্রে প্রেরণ করবে, তা আল্লাহর কাছ থেকে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ প্রতিদান হিসাবে প্রাপ্ত হবে।'[২]

আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন :
]وَمَا آتَيْتُمْ مِنْ رِباً لِيَرْبُوَ فِي أَمْوَالِ النَّاسِ فَلا يَرْبُو عِنْدَ اللَّهِ وَمَا آتَيْتُمْ مِنْ زَكَاةٍ تُرِيدُونَ وَجْهَ اللَّهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الْمُضْعِفُونَ[ (الروم:৩৯)
'তোমরা মানুষের সম্পদ বৃদ্ধির নিমিত্তে যে সুদ ভিত্তিক লেনদেন করে থাক, প্রকৃত পক্ষে তা আল্লাহর নিকট কোন লাভজনক নয়। পক্ষান্তরে তোমরা যে জাকাত প্রদান কর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায়, (তা বৃদ্ধি পায়) ফলত জাকাত প্রদানকারীগণ মুনাফাকে দ্বিগুণ করে নেয়।'[৩]
Read More---

সিয়াম, তারাবীহ ও যাকাত বিষয়ে কয়েকটি অধ্যায়

Views:

A+ A-

 সিয়াম, তারাবীহ ও যাকাত বিষয়ে কয়েকটি অধ্যায়


ভূমিকা

সকল প্রশংসার মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা, আমরা তার প্রশংসা করি, তার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি, তার নিকট ইস্তেগফার করি এবং তার নিকট তওবা করি। আমরা আমাদের নফসের কু-প্রবৃত্তি ও আমাদের আমলের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর নিকট পানাহ চাই তিনি যাকে হিদায়েত করেন তার কোন গোমরাহকারী নেই, তিনি যাকে গোমরাহ করেন তার কোন হিদায়েতকারী নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তিনি এক তার কোন শরিক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহ দরূদ ও সালাম প্রেরণ করুন তার উপর, তার পরিবারের উপর, তার সাথীদের উপর এবং কিয়ামত পর্যন্ত সঠিকভাবে যারা তাদের  অনুসরণ করবে তাদের সকলের উপর।
অতঃপর:
Read More---

যাকাত ও যাকাতের উপকারিতা প্রসঙ্গে

Views:

A+ A-

 যাকাত ও যাকাতের উপকারিতা প্রসঙ্গে



যাকাত ইসলামের পাঁচটি ফরযের একটি। কালিমায়ে শাহাদাত ও সালাতের পর যাকাতের স্থান। কুরআন-হাদিস ও মুসলিমের ইজমা দ্বারা এর ফরযিয়্যাত প্রমাণিত। যাকাতের ফরযিয়্যাত অস্বীকারকারী কাফের ও ইসলাম থেকে বহিষ্কৃত মুরতাদ। তাকে তওবার জন্য বলা হবে, যদি তওবা করে গ্রহণ করা হবে, অন্যথায় তাকে হত্যা করা। আর যাকাতের ব্যাপারে যে কৃপণতা করল অথবা কম আদায় করল সে যালেমদের অন্তর্ভুক্ত ও আল্লাহর শাস্তির উপযুক্ত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿وَلَا يَحۡسَبَنَّ ٱلَّذِينَ يَبۡخَلُونَ بِمَآ ءَاتَىٰهُمُ ٱللَّهُ مِن فَضۡلِهِۦ هُوَ خَيۡرٗا لَّهُمۖ بَلۡ هُوَ شَرّٞ لَّهُمۡۖ سَيُطَوَّقُونَ مَا بَخِلُواْ بِهِۦ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِۗ وَلِلَّهِ مِيرَٰثُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۗ وَٱللَّهُ بِمَا تَعۡمَلُونَ خَبِيرٞ ١٨٠﴾ [سورة آل عمران:180] 

“আর আল্লাহ যাদেরকে তাঁর অনুগ্রহ থেকে যা দান করেছেন তা নিয়ে যারা কৃপণতা করে তারা যেন ধারণা না করে যে, তা তাদের জন্য কল্যাণকর। বরং তা তাদের জন্য অকল্যাণকর। যা নিয়ে তারা কৃপণতা করেছিল, কিয়ামত দিবসে তা দিয়ে তাদের বেড়ি পরানো হবে। আর আসমানসমূহ ও যমীনের উত্তরাধিকার আল্লাহরই জন্য। আর তোমরা যা আমল কর সে ব্যাপারে আল্লাহ সম্যক জ্ঞাত”। সূরা আলে-ইমরান: (১৮০)

Read More---

সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

মীলাদুন্নবী উপলক্ষে মিলিয়ন মিলিয়ন দরূদ জমা করার বিদ‘আত প্রসঙ্গ

Views:

A+ A-

 মীলাদুন্নবী উপলক্ষে মিলিয়ন মিলিয়ন দরূদ জমা করার বিদ‘আত প্রসঙ্গ



মীলাদুন্নবী উপলক্ষে মিলিয়ন মিলিয়ন দরূদ জমা করার বিদআত প্রসঙ্গ

প্রশ্ন : মীলাদুন্নবী উপলক্ষে নিম্নে বর্ণিত পদ্ধতিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর মিলিয়ন মিলিয়ন দরূদ জমা করার বিধান জানতে চাই। প্রত্যেক ব্যক্তি তার পরিচিতদের নিকট নির্দিষ্ট সংখ্যক দরূদ ভাগ করে দেয়, অতঃপর তার পরিচিত, বন্ধু-বান্ধব ও নিজ পরিবারের দরূদ পাঠের সংখ্যা জমা করে। উদাহরণত : কোন এক ছাত্র গ্রামে গিয়ে প্রত্যেক বাড়ির দরোজা নক করে তাদের পরিবার কাছে ১০০০ (এক হাজার) অথবা তার চেয়ে অধিক সংখ্যক দরূদ পাঠের অনুরোধ করে, আর বলে আপনাদের সংখ্যা জানার জন্য এক সপ্তাহ পর আমি আবার আসছি। তাদের কেউ এক হাজার পুরো করে, কেউ অধিক পড়ে। এভাবে মিলিয়ন, আধা মিলিয়ন দরূদ জমা করে। আবার মাদরাসার ছাত্রদের প্রত্যেককে ৫০০ (পাঁচশত) বার দরূদ পড়ার দায়িত্ব দেয়া হয়। এভাবে তিন মিলিয়ন দরূদ জমা করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে যোগদান করার বিধান কী ? এভাবে দরূদ জমা করার বিধান কী ? সংক্ষেপে উত্তর আশা করছি, আল্লাহ আপনাদের তাওফিক বৃদ্ধি করুন।
Read More---

যৌতুক : এক অভিশপ্ত সামাজিক ব্যাধি, বহু কবীরা গুনাহর সমষ্টি

Views:

A+ A-

 যৌতুক : এক অভিশপ্ত সামাজিক ব্যাধি, বহু কবীরা গুনাহর সমষ্টি




আমাদের সমাজে যৌতুক গ্রহণের অপর কারণটি হচ্ছে, আল্লাহর প্রতি ভয়হীনতা এবং শরীয়তের বিধানের প্রতি অবজ্ঞা ও উদাসীনতা। নারীর মর্যাদা দান ও নারীর আর্থিক অধিকার সুরক্ষায় ইসলাম যে বিধিবিধান দিয়েছে তার প্রতি সাধারণ পর্যায়ের সম্মানবোধ থাকলে কোনো বরের পরিবারের পক্ষেই যৌতুক গ্রহণের কোনো উদ্যোগ থাকার কথা ছিল না। অথচ যৌতুক গ্রহণের সঙ্গে এ সম্মানবোধের কোনো সম্পর্ক নেই। বিশেষত যৌতুকের নামে ‘দেনা-পাওনা ধার্য করা এবং তা উসূল করার নির্মম পর্যায়গুলোতে ন্যূনতম স্তরের মানুষির কোনো আলামত দৃশ্যত থাকে না। এটা শরীয়তের বিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যশীল হওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। তাই অন্তরে আল্লাহর ভয় থাকলে এটা সম্ভব হওয়ার কথা নয়।

 

Read More---

আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করার গুরুত্ব

Views:

A+ A-

 আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করার গুরুত্ব

 


ভূমিকা

 

  إِنَّ الْحَمْدُ للهِ ، نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِيْنُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ ، وَنَعُـوْذُ بِاللهِ مِنْ شُرُوْرِ أَنْفُسِنَا ، وَمِنْ سَيِّئَاتِ أَعْمَالِنَا ، مَنْ يَّهْدِهِ اللهُ فَلاَ مُضِلَّ لَهُ ، وَمَنْ يُّضْلِلِ اللهُ فَلاَ هَادِيَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ

যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য আমরা তাঁরই প্রশংসা করি, তার কাছে সাহায্য চাই, তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি। আল্লাহর নিকট আমরা আমাদের প্রবৃত্তির অনিষ্টটা ও আমাদের কর্মসমূহের খারাবী থেকে আশ্রয় কামনা করি। আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেন, তাকে গোমরাহ করার কেউ নেই। আর যাকে গোমরাহ করেন তাকে হেদায়েত দেয়ার কেউ নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনও সত্যিকার ইলাহ নেই, তিনি একক, তার কোনো শরিক নাই। আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। সালাত ও সালাম নাযিল হোক তার উপর, তার পরিবার-পরিজন ও তার সাহাবীদের উপর এবং যারা কিয়ামত অবধি এহসানের সাথে তাদের অনুসরণ করেন তাদের উপর।

Read More---

রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

বিদায় হজের খুতবা : কিছু আলোকপাত

Views:

A+ A-

 বিদায় হজের খুতবা : কিছু আলোকপাত


বিদায় হজের খুতবা : কিছু আলোকপাত

হজের যাবতীয় বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে তাওহীদ প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে। হজের বিধানাবলির মধ্যে রয়েছে আল্লাহ তাআলার পবিত্রতা ঘোষণা করাতাঁর স্তুতি জ্ঞাপন করাতাঁর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করাতাঁর আদেশ পালন করাএকত্ববাদের ঘোষণা দেয়া এবং তাঁর যে কোনো অংশীদারিত্বকে অস্বীকার করা। হজের শ্লোগানতুল্য তালবিয়ায় যেমন বলা হয়,  
« لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَك ».
আমি হাযিরহে আল্লাহআমি হাযির। তোমার কোন শরীক নেইআমি হাযির। নিশ্চয় যাবতীয় প্রশংসা ও নিয়ামত তোমার এবং রাজত্বওতোমার কোন শরীক নেই।’ [বুখারী : ৫৯১৫মুসলিম : ১১৮৪] 
এভাবেই এ বাক্যে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হতে থাকে তাওহীদের ঘোষণা। জমাট বাধা শিরকের অন্ধকার দূর করার জন্য এ বিশাল আহ্বান হাজীদের সঙ্গে ধ্বনিত থেকে থাকে। যাতে মানুষের স্বভাব এবং প্রকৃতি হয় সুস্থ ও পরিচ্ছন্ন। পূর্বে যেমন তা ছিল পৌত্তলিকতা থেকে পবিত্র তাওহীদের দীপ্তিতে তা দীপ্তিময় হয়। অহীর আলোয় তা হয় আলোকিত এবং পরাক্রমশালী এক সত্তার দাসত্বে তা হয় অটল। তেমনিভাবে তা সব ধরনের তাগুত এবং মূর্তিকে ছুড়ে ফেলে দেয়। ঈমানী কল্পনাকে সুদৃঢ় করে অতএব এক আল্লাহ তাআলা ছাড়া এমন কোনো মা‘বুদ নেই ইবাদত ও আনুগত্যের মাধ্যমে সৃষ্টিজীব যার অভিমুখী থেকে পারে। এক আল্লাহ তাআলার দিক ছাড়া এমন কোনো দিক নেই যেখান থেকে তারা তাদের আচরণআখলাকতাদের শরীয়তের নীতিমালা কিংবা বিধানাবলী পেতে পারে। এক আল্লাহ তাআলার পন্থা ছাড়া তাদের এমন কোনো পন্থা নেই যা তাদের জীবন এবং তাদের কার্যাদি পরিচালনা করতে পারে আল কুরআনুল কারীমে বলা হয়েছে,
﴿ وَمَا مِنۡ إِلَٰهٍ إِلَّآ إِلَٰهٞ وَٰحِدٞۚ ﴾ [المائ‍دة: ٧٣] 
এক ইলাহ ছাড়া কোনো (সত্য) ইলাহ নেই।’{সূরা আল-মায়িদাআয়াত : ৭৩}
বিদায়ী হজের বছর জিলহজ মাসের ৮ তারিখ। মক্কা মুকাররমার কোল থেকে মিনার পাথুরে অঞ্চলের উদ্দেশ্যে এক ঝাঁক নববী মশাল যাত্রা শুরু করল। সেখানেই রাত্রিযাপন করল। যাতে ৯ তারিখ আরাফার দিকে রওনা করা যায়। সেখানে সূর্য হেলে যাওয়ার পর নানা জনপদ থেকে দলে দলে দুর্গম গিরি ডিঙ্গিয়ে আসা লাখো জনতার উদ্দেশে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দেন। এমন সারগর্ভ ও ব্যাপক খুতবা দান করেনযা প্রতিটি হৃদয় ও কর্ণকে প্রজ্ঞা ও বিধানেঅনুগ্রহ ও বিশ্বাসে এবং দয়া ও সদাচারে পূর্ণ করে দিয়েছে। এ থেকে প্রতিটি অন্তুর খুঁজে পেয়েছে আত্মশুদ্ধির যাবতীয় উপায়হেদায়েতের সকল প্রকার এবং জাতিঘাতি সব ব্যাধি থেকে সুরক্ষার পন্থা। 
Read More---

রমজান ও পরবর্তী সময়ে করণীয়

Views:

A+ A-

 রমজান ও পরবর্তী সময়ে করণীয়

  
রোজার তাৎপর্য 

রোজা ইসলামের চতুর্থ স্তম্ভ এবং ইসলামি শরিয়তের গুরুত্বপূর্ণ এবাদত। আল্লাহ তাআলা বলেন :—
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ ﴿১৮৩﴾ البقرة
হে ইমানদারগণ ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে তোমরা মুত্তাকী হতে পার। সূরা বাকারা : ১৮৩
উল্লেখিত আয়াতে রোজা ফরজ হওয়ার সাথে সাথে এর উদ্দেশ্য সম্পর্কেও জানতে পারি। আর তা হল তাকওয়া অর্জন। সুতরাং বুঝতে হবে শুধুমাত্র দিনের বেলায় পানাহার বর্জন করার নামই রোজা নয় বরং রোজা হল পানাহার বর্জন করার সাথে সাথে সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সর্ব প্রকার পাপাচার, অন্যায় ও অশ্লীলতা থেকে বিরত রেখে আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা। কিন্তু পরিতাপের বিষয় আজ রোজার প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানা না থাকার কারণে যেভাবে আমাদের নৈতিক পরিবর্তন হওয়ার কথা ছিল সেভাবে হচ্ছে না। তাই আমরা সংক্ষিপ্তাকারে কোরআন ও হাদিসের আলোকে রোজার তাৎপর্যও বিভিন্ন মাসআলা-মাসায়েল তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আল্লাহ তাআলা আমাদের প্রচেষ্টাকে কবুল করুন এবং যাদের সহায়তায় আমরা এ কাজ করেছি আল্লাহ তাদের দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ দান করুন। 


Read More---

সালাত পরবর্তী দুয়া ও জিকির সমূহ

Views:

A+ A-

 সালাত পরবর্তী দুয়া ও জিকির সমূহ


সালাত পরবর্তী দুয়া ও জিকির সমূহ

 আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহ।
আমাদের সমাজে দেখা যায়, ফরজ নামায হয়ে গেলে ইমাম-মুক্তাদীগণ সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করে থাকেন। অথবা শুরু হয় বেদাআতী পদ্ধতি সম্মিলিত জিকির। অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে সকল দুয়া ও জিকির নিয়মিত পাঠ করতেন সেগুলোর কোন গুরুত্ব নাই। ইমাম সাহেব নিজেও এসব দুয়া ও জিকিরগুলো পাঠ করেন না, মুসল্লীদেরকেও শেখান না বা পড়তে উৎসাহিত করেন না। তাইতো বলা হয়, সুন্নত যেখান থেকে উঠে যায় বেদআত সেখানে জায়গা দখল করে। আর আমাদের সমাজে এটাই হয়েছে। আল্লাহ যেন আমাদেরকে বিদআত বর্জন করে সুন্নত অনুসরণ করার তাওফীক দান করেন। আমীন।


Read More---

যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা

Views:

A+ A-

 যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা


টাকা-পয়সা নয়; খাদ্য দ্রব্য ফিতরা দেয়া সুন্নাত।
ধান নয়; চাল দিয়ে ফিতরা দেয়া কর্তব্য।

ফিতরা
 (একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ)

এ প্রবন্ধে যে সকল বিষয় আলোচিত হয়েছে:
১) ভূমিকা
২) ফিতরা কাকে বলে?
৩) ফিতরার হুকুম (বিধান)।
৪) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে কি দ্বারা এবং কি পরিমাণ ফিতরা দেওয়া হত?
৫) ধানের না চালের ফিতরা?
৬) ধান দ্বারা ফিতরা আদায় না হওয়ার ব্যাপারে উপমহাদেশের কয়েকজন বরেণ্য উলামায়ে কেরামের ফতোয়া।
৭) যারা ধান দ্বারা ফিতরা দেয়া জায়েয মনে করেন।
৮) খাদ্য দ্রব্য দ্বারা ফিতরা না দিয়ে টাকা-পয়সা দ্বারা ফিতরা দেওয়া
৯) অর্ধ সা’ র ফিতরা
১০) সা সম্পর্কে দুটি কথা
Read More---

মাহে রামাজানের বিশটি স্পেশাল আমল

Views:

A+ A-

 মাহে রামাজানের বিশটি স্পেশাল আমল


ভূমিকা: বছর ঘুরে আবারো রামাজান আমাদের দুয়ারে কড়া নাড়ছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হিজরতের দ্বিতীয় বর্ষে রামাজানের রোযা ফরজ হওয়ায় আল্লাহর রাসুল ও তার সাহাবীদের জীবনে আমাদের মতো এত বেশি রমজানের রোযা ও ইবাদতের সুযোগ আসে নি। কিন্তু যে কয়টি রমজান তাঁরা পেয়েছেন, সেগুলোর সদ্ব্যবহার করে তারা সফলকাম হয়েছেন। তাদের মতো সফলতা পেতে এবং রমজান ও সিয়াম সাধনাকে সার্থক করতে হলে পরিকল্পিত প্রয়াস চালাতে হবে।
ঈমানদারেরও আমল ও ইবাদতের মৌসুম হলো মাহে রমজানুল মুবারক। অন্য সময়ের ইবাদতের ঘাটতি পুশিয়ে নেওয়ার সর্বোত্তম সময় এটি। আর সেজন্য এই মাসে অন্য সাধারণ আমলের ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি রমজানের বিশেষ আমল বা কর্মসূচীগুলোর প্রতি যত্নবান হতে হবে।


Read More---

শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

প্রশ্নোত্তরে সিয়াম (১ম পর্ব)

Views:

A+ A-

 প্রশ্নোত্তরে সিয়াম (১ম পর্ব)


১ম পর্ব | ২য় পর্ব

সূচীপত্র

বিষয়

১. সিয়াম : অর্থ ও হুকুম
২. রমযান মাসের ফযীলত
৩. সিয়াম পালনের ফযীলত
৪. সিয়ামের শিক্ষা ও উপকারিতা
৫. সিয়াম ত্যাগকারীর শাস্তি
৬. চাঁদ দেখা
৭. সিয়াম কাদের উপর ফরয
৮. সিয়াম অবস্থায় যা অবশ্য করণীয়
৯. সিয়ামের সুন্নাত আদব
১০. সিয়ামের নিয়ত : সময় ও পদ্ধতি
১১. সিয়ামের প্রকারভেদ
১২. সিয়াম ভঙ্গ হওয়ার কারণসমূহ
১৩. যেসব কারণে সওম মাকরূহ হয়ে যায়
১৪. সিয়াম অবস্থায় যেসব কাজ মুবাহ অর্থাৎ বৈধ
১৫. সিয়ামের কাযা ও কাফফারার বিধান
১৬. অসুস্থ ব্যক্তির সিয়াম
১৭. অতি বৃদ্ধ, অচল ও চিররোগীদের সিয়াম
১৮. মুসাফিরের সিয়াম
১৯. গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের সিয়াম
২০. ঋতুবতী মহিলাদের সিয়াম
২১. তারাবীহর সলাত
২২. বিতরের সালাত
২৩. লাইলাতুল কদর
২৪. ই'তিকাফ
২৫. ফিত্‌রা
২৬. ঈদ : সংজ্ঞা, প্রচলন ও হুকুম আহকাম
    ১-খাবার গ্রহণ
    ২-মেয়েদের ঈদের সলাতে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে
    ৩-ঈদের সলাত শুরু ও শেষ সময়
    ৪-ঈদের সলাতের স্থান
    ৫-ঈদের সলাতে আযান ও ইকামাত নেই
    ৬-ঈদের সলাতে ভিতরকার অতিরিক্ত তাকবীর সংখ্য
    ৭-ঈদের সলাত আদায়ের পদ্ধতি
    ৮-ঈদের খুৎবা
    ৯-ঈদের জামাআত না পেলে
    ১০-ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়
    ১১-ঈদে যা বর্জনীয়
২৭. নফল সিয়াম
    ১-শাওয়াল মাসের ৬টি রোযা
    ২-যিলহাজ্জ মাসের ১ম দশকের সিয়াম
    ৩-আরাফার দিনের সিয়াম
    ৪-মুহাররম মাসের সওম
    ৫-আশুরার সওম
    ৬- প্রতি চন্দ্রমাসে ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে সিয়াম
    ৭-সাপ্তাহিক সোম ও বৃহস্পতিবারের সিয়াম
    ৮-শাবান মাসের সিয়াম
    ৯-এক দিন পর পর সিয়াম
    ১০-বিবাহে অসমর্থ যুবকদের সিয়াম
Read More---

প্রশ্নোত্তরে সিয়াম (২য় পর্ব)

Views:

A+ A-

 প্রশ্নোত্তরে সিয়াম (২য় পর্ব)


১ম পর্ব | ২য় পর্ব

১৩শ অধ্যায়
مكروهات الصوم
যেসব কারণে সওম মাকরূহ হয়ে যায়

প্রশ্ন ৫৪ : সওম মাকরূহ হওয়ার অর্থ কি?
উত্তর : মাকরূহ শব্দের অর্থ অপছন্দনীয়। আর সওমের মাকরূহ হল সিয়াম পালন অবস্থায় যেসব কাজ করা অপছন্দনীয়। এ জাতীয় কাজ সিয়াম ভঙ্গ করে না কিন্তু এসব চর্চা করা কখনো কখনো সিয়াম বিনষ্টের কাছাকাছি নিয়ে যায়। এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকা উচিত।
প্রশ্ন ৫৫ : কী কী কারণে সিয়াম মাকরূহ হয়?
উত্তর : সিয়াম অবস্থায় নিম্ন বর্ণিত যে কোন কাজ করলে সিয়াম মাকরূহ হয়ে যায় :
(১) অযুর সময় গড়গড়া করে কুলি করা, জোড় দিয়ে নাকে পানি টানা। এতে গলা বা নাক দিয়ে ভিতরে পানি প্রবেশ করার সম্ভাবনা থেকে যায়।
(২) বিনা প্রয়োজনে খাদ্যের স্বাদ দেখা। তবে প্রয়োজন হলে দেখতে পারে।
(৩) থুথু কফ মুখে জমিয়ে গিলে ফেলা। অল্প অল্প থুথু গিলে ফেললে কোন অসুবিধা নেই।
(৪) যৌন অনুভূতি নিয়ে স্ত্রীকে চুম্বন ও আলিঙ্গন করা, বার বার তার দিকে তাকানো, বার বার সহবাসের কল্পনা করা। কারণ এসব কার্যক্রমে বীর্যপাত ঘটা বা সহবাসে লিপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
প্রশ্ন ৫৬ : বিনা প্রয়োজনে যদি কোন মহিলা স্বীয় বাচ্চাকে রোযা অবস্থায় খাদ্য চিবিয়ে দেয় তবে তার হুকুম কী?
উত্তর : রোযা মাকরূহ হবে অর্থাৎ অন্য লোকে যদি খাদ্য চিবিয়ে দেয়ার মতো থাকে বা অন্য কোন উপায়ে যদি শিশুকে খাদ্য চিবিয়ে দেয়া যায়, তাহলে রোযাদার মহিলার জন্য চিবিয়ে দেয়া মাকরূহ হবে।
বি:দ্র:- প্রয়োজনবশত: চিবিয়ে দিলে তা মাকরূহ হবে না বরং চিবিয়ে দেয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে যাতে পেটে খাদ্যের কিছু অংশ চলে না যায়।
Read More---

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪

সালাতে বিনয়ী হওয়ার তেত্রিশ উপায় (২য় পর্ব)

Views:

A+ A-

 সালাতে বিনয়ী হওয়ার তেত্রিশ উপায় (২য় পর্ব)


১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

১৮- সালাতের পর হাদিসে বর্ণিত দোআ:
এ দো‘আগুলো অন্তরে সালাতের প্রতি মনোযোগ সৃষ্টি ও সালাত দ্বারা বরকত লাভ ও উপকার লাভে সাহায্য করে।
আর এতে কোন সন্দেহ নেই যে, প্রথম ইবাদতকে সংরক্ষণ করা ও তার হেফাযত করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে সে ইবাদতের সাথে সাথে অন্য দ্বিতীয় কিছু ইবাদত করে নেওয়া। সালাতের পর যিকিরসমূহের মধ্যে চিন্তা করা দ্বারা বিষয়টি আরও ভালোভাবে বুঝে আসবে। কারণ, সে প্রথমে ক্ষমা প্রার্থনা দিয়ে শুরু করবে; সালাত শেষ করার সাথে সাথে সালাতে তার যে সব দুর্বলতা- অমনোযোগীতা, খুশুহীনতা প্রকাশ পেয়েছে এবং সালাতে তার যে সব ভুলত্রুটি দেখা দিয়েছে, তার জন্য তিনবার এস্তেগফার পড়বে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, নফল সালাত আদায় করবে, কারণ, নফল সালাত দ্বারা ফরযের ঘাটতি পূরণ করা হয়ে থাকে এবং সালাতে খুশু না থাকার ক্ষতিপূরণ হয়ে থাকে। 
সালাতের খুশু‘ বা বিনয়াবনত অবস্থা আনয়নকারী উপায়গুলোর কথা উল্লেখ করার পর, দ্বিতীয় পর্যায়ে সে সব বিষয়ের আলোচনা করব, যে কর্মগুলো মানুষকে খুশু থেকে ফিরিয়ে রাখে, অন্য মনষ্ক করে এবং সুন্দর করে সালাত আদায় করা হতে বিরত রাখে
দ্বিতীয় প্রকার: সালাতে খুশুর পথে বাধা হয়, প্রতিবন্ধক তৈরী করে, অথবা খুশু বিনষ্ট করে এমন যাবতীয় কাজ থেকে বিরত থাকা। যেমন,  
Read More---

ভিডিও: বাংলা ওয়াজ কালেকশন - শাইখ মতিউর রহমান মাদানী (ফ্রি ডাউনলোড)

Views:

A+ A-

 ভিডিও: বাংলা ওয়াজ কালেকশন - শাইখ মতিউর রহমান মাদানী (ফ্রি ডাউনলোড)

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু



Qualification
1. Secondary School Diploma from Madarasa Islahul Muslimeen Bhadu, Malda, West Bengal
3. B.A (Hadith), from Islamic University, Medina Monawwara, KSA

Read More---

শাইখ মতিউর রহমান মাদানী লেকচার সমগ্র - ফ্রি ডাউনলোড

Views:

A+ A-

শাইখ মতিউর রহমান মাদানী লেকচার সমগ্র - ফ্রি ডাউনলোড

ইনশাআল্লাহ শেইখ মতিউর রহমান মাদানীর নতুন লেকচার খুব শিগ্রহী আপলোড করা হবে।
Qualification
1. Secondary School Diploma from Madarasa Islahul Muslimeen Bhadu, Malda, West Bengal
3. B.A (Hadith), from Islamic University, Medina Monawwara, KSA
বক্তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, এইখানে ক্লিক করুন।

NEW: Torrent এর মাধ্যমে সব ফাইল এক সাথে ডাউনলোড করুন এই লিংক থেকে।
কিভাবে টরেন্ট দিয়ে ফাইল ডাউনলোড করবেন, এই ভিডিওটি দেখুন - http://vimeo.com/19545251 অথবাএইখানে ক্লিক করুন।

Read More---

রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪

বিবাহের কতিপয় সুন্নাত সমূহ

Views:

A+ A-

 বিবাহের কতিপয় সুন্নাত সমূহ


বিবাহের কতিপয় সুন্নাত সমূহ

যে সকল ভাইয়েরা/বোনেরা বিবাহ উপযুক্ত বা যাহারা বিবাহ নিয়ে ভাবছেন তাদের অথবা যারা অভিবাবক আছেন তারা জেনে নিন:

বিবাহের কতিপয় সুন্নত সমূহঃ

(১) মাসনূন বিবাহ সাদা সিধে ও অনাড়ম্বর হবে, যা অপচয়, অপব্যয়, বেপর্দা ও বিজাতীয় সংস্কৃতি মুক্ত হবে এবং তাতে যৌতুকের শর্ত বা সামর্থের অধিক মহরানার শর্ত থাকবেনা। (তাবারানী আউসাত, হাদিস নং- ৩৬১২)

(২) সৎ ও খোদাভীরু পাত্র-পাত্রীর সন্ধান করে বিবাহের পূর্বে পয়গাম পাঠানো। কোন বাহানা বা সুযোগে পাত্রী দেখা সম্ভব হলে, দেখে নেয়া মুস্তাহাব। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে ঘটা করে পাত্রী দেখানোর যে প্রথা আমাদের সমাজে প্রচলিত তা সুন্নতের পরিপন্থী ও পরিত্যাজ্য। (বুখারী হাদিস নং-৫০৯০, ইমদাদুল ফাতাওয়া-৪: ২০০)


Read More---

হিল্লা বিয়ে

Views:

A+ A-

হিল্লা বিয়ে


হিল্লা বিয়ে

ভূমিকা 
হিল্লা : উপায়, গতি, ব্যবস্থা, আশ্রয় ও অবল

ম্বন বিভিন্ন অর্থে আভিধানিকভাবে ব্যবহার হয়। পরিভাষায় হিল্লা বলা হয় : ‘কোন স্বামীর তিন তালাক প্রাপ্তা স্ত্রীকে এ শর্তে বিয়ে করা যে, বিয়ের পর সহবাস শেষে স্ত্রীকে তালাক দেবে, যেন সে পূর্বের স্বামীর জন্য হালাল হয়, সে তাকে পুনরায় বিয়ে করতে পারে’
। এ বিয়ে বাতিল ও অশুদ্ধ, এর ফলে নারী তিন তালাকদাতা স্বামীর জন্য হালাল হয় না। ইমাম ইব্‌ন তাইমিয়াহ রাহিমাহুল্লাহ বলেন : এর উদাহরণ হচ্ছে, কোন ব্যক্তি যখন তার স্ত্রীকে তিন তালাক প্রদান করে, তখন স্ত্রী তার উপর হারাম হয়ে যায়, যতক্ষণ না স্ত্রী সে ব্যতীত অন্য স্বামীকে বিয়ে করে। যেমন আল্লাহ কুরআনে উল্লেখ করেছেন, যেরূপ এসেছে তার নবীর সুন্নতে এবং যার উপর সকল উম্মতের ঐক্যমত। যখন কোন ব্যক্তি এ নারীকে তালাক দেয়ার নিয়তে বিয়ে করে, যেন সে তার পূর্বের স্বামীর জন্য হালাল হয়, তখন এ বিয়ে হারাম ও বাতিল বলে গন্য। এভাবে বিয়ে করার পর তাকে রাখুক বা আলাদা করুক, অথবা আকদের সময় শর্ত করুক বা তার আগে শর্ত করুক, অথবা শাব্দিক কোন শর্ত ছাড়া উভয়ের মধ্যে শুধু প্রস্তাব আকারে ছিল, আর পুরুষ ও নারীর অবস্থা এবং মোহর ছিল শর্তের ন্যায়, অথবা এসব কিছুই ছিল না বরং পুরুষ ইচ্ছা করছে তাকে বিয়ে করবে, অতঃপর তাকে তালাক দেবে যেন তিন তালাকদাতার জন্য সে হালাল হয়, নারী ও তার অভিভাবকের সম্পূর্ণ অজান্তে, তিন তালাকদাতা জানুক বা না জানুক, সর্বাবস্থায় এ তালাক বাতিল হবে। যদিও হিল্লাকারী এ ধারণা করে যে, এটা একটা ভাল কাজ এবং তাকে তার স্বামীর নিকট ফিরিয়ে দিলে তাদের উপর বিরাট অনুগ্রহ হবে, কারণ তালাকের কারণে তাদের নিজেদের, তাদের সন্তানের ও তাদের দাম্পত্য জীবন ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্বিসহ হয়েছে ইত্যাদি। ইসলামের দৃষ্টিতে এ বিয়ের কোন মূল্য নেই, এটা বিয়ে হিসেবে গণ্য হয় না, এ বিয়ের ফলে তিন তালাকদাতার তাকে বিয়ে করা বৈধ হবে না, যতক্ষণ না কোন ব্যক্তি তাকে চুক্তি, প্রতারণা ও লুকোচুরি ব্যতীত আগ্রহসহ বিয়ে করে, সহবাসে লিপ্ত হয়ে একে অপরের সাথে মেলামেশা করে, অতঃপর যখন তাদের মাঝে বিচ্ছেদ সৃষ্টি হয় মৃত্যুর কারণে, অথবা তালাক বা খোলা‌‌’ করার কারণে, তখনই শুধু প্রথম স্বামীর জন্য এ নারীকে বিয়ে করা বৈধ। আর যদি এ হিল্লাকারী তাকে তালাক না দিয়ে স্থায়ীভাবে রাখতে চায়, তাহলে নতুনভাবে আকদের মাধ্যমে বিয়ে করা জরুরী, কারণ পূর্বের আকদ ছিল বাতিল ও ফাসেদ, তা দ্বারা এ স্ত্রীর সাথে অবস্থান করা বৈধ নয়। এটাই কুরআন ও হাদিসের ভাষ্য। এটাই সাহাবায়ে কেরাম, সকল তাবেয়ি ও তাদের পরবর্তী আলেমদের অভিমত।


Read More---