Views:
A+
A-
নারী-পুরুষে দেখাদেখি, নির্জনে অবস্থান ও সহাবস্থান সংক্রান্ত বিবিধ ফাতওয়া (২য় পর্ব)
শিল্প-কারখানা ও অফিস-আদালতে নারী-পুরুষে সহাবস্থানের বিধান
প্রশ্ন: শিল্প-কারখানায় অথবা অনিসলামিক অফিসসমূহে পুরুষদের মতো করে নারীদের কাজকারবার ও লেনদেনের বিধান কী? আর ঐ জীবনের বিধান কী হবে, যে ভয়াবহ রোগের কারণে ধ্বংসের মুখোমুখি হয়েছে, উল্লিখিত এ পরিস্থিতিতে সে রোগের চিকিৎসার বিষয়টি মুসলিম নারীকে বেপর্দা করার দিকে নিয়ে যায়, যদিও ইসলামী তথা মুসলিম দেশসমূহের ডাক্তারগণ সবই পুরুষ?
উত্তর: অমুসলিমদের দেশে অমুসলিম পুরুষদের সাথে অমুসিলম নারীদের মেলামেশা বা সহাবস্থানের বিধানের ব্যাপারে কথা হলো, তা অবৈধ, বরং তাদের জন্য এর চেয়ে আরও বড় অপরাধ হলো আল্লাহ তা‘আলাকে অস্বীকার করা। সুতরাং তাদের মাঝে এ ধরনের অশ্লীল কাজ সংঘটিত হওয়ার বিষয়টিকে অযৌক্তিক ভাবার কিছু নেই। আর ইসলামী দেশে মুসলিম পুরুষদের সাথে মুসিলম নারীদের মেলামেশা বা সহাবস্থানের বিষয়টি একেবারেই হারাম এবং যেখানে এ ধরনের সহাবস্থান পরিলক্ষিত হবে, সেখানকার প্রশাসন বা দায়িত্বশীলগণের জন্য আবশ্যকীয় করণীয় হলো, তারা নারী ও পুরুষদেরকে আলাদা আলাদা বিভাগে কাজ করাবেন। কেননা নারী ও পুরুষের মাঝে মেলামেশা ও সহাবস্থানের মধ্যে নৈতিক ও চারিত্রিক বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ, যা ন্যূনতম বুদ্ধি ও বিবেকবান ব্যক্তির নিকটও অস্পষ্ট নয়। আর চিকিৎসার জন্য পুরুষ কর্তৃক মুসলিম নারীকে জরুরি প্রয়োজনে (শরীরের কোনো অঙ্গ) নগ্ন করতে হয় এবং এমতাবস্থায় পুরুষ ব্যতীত কোনো নারী চিকিৎসক পাওয়া না যায়, তখন এটা বৈধ হবে, কিন্তু সম্ভব হলে তা হতে হবে তার স্বামীর উপস্থিতিতে এবং তার শরীর থেকে ততটুকু পরিমাণ জায়গাই বস্ত্রমুক্ত করবে, যতটুকু নগ্ন করা চিকিৎসার প্রয়োজনে জরুরি হয়, আর এটা বৈধ হওয়ার ক্ষেত্রে মূলনীতি হলো এমন কতগুলো দলীল, যা জরুরি মুহূর্তে উম্মতের জন্য শরী‘আতকে শিথিল করে দিয়েছে এবং সংকট দূর করেছে। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿مَا يُرِيدُ ٱللَّهُ لِيَجۡعَلَ عَلَيۡكُم مِّنۡ حَرَجٖ﴾ [المائدة: ٦]
“আর আল্লাহ তোমাদের ওপর কোনো সংকীর্ণতা করতে চান না”। [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৬]
আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:
﴿وَمَا جَعَلَ عَلَيۡكُمۡ فِي ٱلدِّينِ مِنۡ حَرَجٖۚ﴾ [الحج: ٧٨]
“আর তিনি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা রাখেন নি”। [সূরা আল-হজ, আয়াত: ৭৮]
স্থায়ী ফতোয়া বোর্ড