Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

See Our Articles In Different Styles... Grid View List View

বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪

নারী-পুরুষে দেখাদেখি, নির্জনে অবস্থান ও সহাবস্থান সংক্রান্ত বিবিধ ফাতওয়া (২য় পর্ব)

Views:

A+ A-

নারী-পুরুষে দেখাদেখি, নির্জনে অবস্থান ও সহাবস্থান সংক্রান্ত বিবিধ ফাতওয়া (২য় পর্ব)



১ম পর্ব | ২য় পর্ব

শিল্প-কারখানা ও অফিস-আদালতে নারী-পুরুষে সহাবস্থানের বিধান

প্রশ্ন: শিল্প-কারখানায় অথবা অনিসলামিক অফিসসমূহে পুরুষদের মতো করে নারীদের কাজকারবার ও লেনদেনের বিধান কী? আর ঐ জীবনের বিধান কী হবে, যে ভয়াবহ রোগের কারণে ধ্বংসের মুখোমুখি হয়েছেউল্লিখিত এ পরিস্থিতিতে সে রোগের চিকিৎসার বিষয়টি মুসলিম নারীকে বেপর্দা করার দিকে নিয়ে যায়, যদিও ইসলামী তথা মুসলিম দেশসমূহের ডাক্তারগণ সবই পুরুষ? 
উত্তর: অমুসলিমদের দেশে অমুসলিম পুরুষদের সাথে অমুসিলম নারীদের মেলামেশা বা সহাবস্থানের বিধানের ব্যাপারে কথা হলো, তা অবৈধ, বরং তাদের জন্য এর চেয়ে আরও বড় অপরাধ হলো আল্লাহ তা‘আলাকে অস্বীকার করা। সুতরাং তাদের মাঝে এ ধরনের অশ্লীল কাজ সংঘটিত হওয়ার বিষয়টিকে অযৌক্তিক ভাবার কিছু নেই। আর ইসলামী দেশে মুসলিম পুরুষদের সাথে মুসিলম নারীদের মেলামেশা বা সহাবস্থানের বিষয়টি একেবারেই হারাম এবং যেখানে এ ধরনের সহাবস্থান পরিলক্ষিত হবে, সেখানকার প্রশাসন বা দায়িত্বশীলগণের জন্য আবশ্যকীয় করণীয় হলো, তারা নারী ও পুরুষদেরকে আলাদা আলাদা বিভাগে কাজ করাবেন। কেননা নারী ও পুরুষের মাঝে মেলামেশা ও সহাবস্থানের মধ্যে নৈতিক ও চারিত্রিক বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ, যা ন্যূনতম বুদ্ধি ও বিবেকবান ব্যক্তির নিকটও অস্পষ্ট নয়। আর চিকিৎসার জন্য পুরুষ কর্তৃক মুসলিম নারীকে জরুরি প্রয়োজনে (শরীরের কোনো অঙ্গ) নগ্ন করতে হয় এবং এমতাবস্থায় পুরুষ ব্যতীত কোনো নারী চিকিৎসক পাওয়া না যায়, তখন এটা বৈধ হবে, কিন্তু সম্ভব হলে তা হতে হবে তার স্বামীর উপস্থিতিতে এবং তার শরীর থেকে ততটুকু পরিমাণ জায়গাই বস্ত্রমুক্ত করবে, যতটুকু নগ্ন করা চিকিৎসার প্রয়োজনে জরুরি হয়, আর এটা বৈধ হওয়ার ক্ষেত্রে মূলনীতি হলো এমন কতগুলো দলীল, যা জরুরি মুহূর্তে উম্মতের জন্য শরী‘আতকে শিথিল করে দিয়েছে এবং সংকট দূর করেছে। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿مَا يُرِيدُ ٱللَّهُ لِيَجۡعَلَ عَلَيۡكُم مِّنۡ حَرَجٖ﴾ [المائ‍دة: ٦]
“আর আল্লাহ তোমাদের ওপর কোনো সংকীর্ণতা করতে চান না” [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৬]
আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:
﴿وَمَا جَعَلَ عَلَيۡكُمۡ فِي ٱلدِّينِ مِنۡ حَرَجٖۚ﴾ [الحج: ٧٨]
“আর তিনি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা রাখেন নি” [সূরা আল-হজ, আয়াত: ৭৮]
স্থায়ী ফতোয়া বোর্ড
Read More---

নারী-পুরুষে দেখাদেখি, নির্জনে অবস্থান ও সহাবস্থান সংক্রান্ত বিবিধ ফাতওয়া (১ম পর্ব)

Views:

A+ A-

 নারী-পুরুষে দেখাদেখি, নির্জনে অবস্থান ও সহাবস্থান সংক্রান্ত বিবিধ ফাতওয়া (১ম পর্ব)


১ম পর্ব | ২য় পর্ব

সূচিপত্র
ক্রম   বিষয়
1.     ভূমিকা
2.     শিক্ষার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষে সহাবস্থানের বিধান
3.     স্কুল, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ছেলে-মেয়ের মাঝে মেলামেশার ভয়াবহ ঝুঁকি
4.     নারী-পুরুষ সম্মিলিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার বিধান
5.     নারী ও পুরুষে সহশিক্ষার ক্ষেত্রে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি
6.     আল্লাহর দিকে আহ্বানের উদ্দেশ্যে নারী-পুরুষ সম্মিলিত বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার বিধান
7.     নারী-পুরুষ সম্মিলিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার বিধান
8.     প্রাথমিক স্তরে নারী শিক্ষক কর্তৃক ছেলে সন্তানদেরকে পাঠদানের ভয়াবহ ক্ষতি
9.     নারীদের ফিতনা থেকে বাঁচার নিরাপদ উপায়
10.   দেবর খুবই বিপজ্জনক
11.   নিয়ত ভালোর যুক্তি দেখিয়ে নারীদের সাথে উঠাবসা করার বিধান
12.   পারিবারিক ড্রাইবার ও নারীগণ
13.   নারী পুরুষে সহাবস্থান হারাম
14.   পুরুষ ডাক্তার কর্তৃক অপরিচিত নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করার বিধান
15.   যানবাহনে নারী পুরুষে মেলামেশার বিধান
16.   নারী-পুরুষ সম্মিলিত বাজারে প্রবেশের বিধান
17.   শিল্প-কারখানা ও অফিস-আদালতে নারী-পুরুষে সহাবস্থানের বিধান
18.   নারী-পুরুষ সহাবস্থানে নারী’র কাজ করার বিধান
19.   ভাবির চেহারার দিকে দৃষ্টি দেওয়ার বিধান
20.   নারীদের চেহারার দিকে তাকানোর বিধান
21.   যৌন কামনা ব্যতীত হারাম শরীফে নারীদের দিকে তাকানো
22.   ইচ্ছাকৃতভাবে হারাম শরীফে নারীদের দিকে তাকানোর বিধান
23.   ছাত্র কর্তৃক ছাত্রীকে সালাম দেওয়ার বিধান
24.   টেলিভিশনে সৌন্দর্য প্রদর্শনকারিনী নারীদেরকে দেখার বিধান
25.   টেলিভিশনে নারীদের দিকে তাকানোর বিধান
26.   পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে নারীদের ছবির দিকে তাকানোর বিধান
27.   এসব ধারাবাহিক (নাটকীয়) অনুষ্ঠান দেখা হারাম
28.   পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে নারীদের দিকে তাকানোর বিধান
29.   অশ্লীল ম্যাগাজিন পাঠ করার বিধান
30.   নারীদের ছবি সংগ্রহ করার বিধান
31.   বিভিন্ন প্রকার প্রচার মাধ্যমে নারীদের দিকে তাকানোর বিধান
32.   টেলিফোনে নারী পুরুষে কথা বলার বিধান
33.   নারী ও পুরুষের মাঝে চিঠি আদান-প্রদান করার বিধান
34.   অপরিচিত বা পরনারীর সাথে নির্জনে অবস্থান করা হারাম
35.   বিবাহপূর্ব সম্পর্কের বিধান
36.   মাহরাম পুরুষ সঙ্গী ছাড়া কোনো নারী সফর করবে না
37.   মাহরাম পুরুষ ব্যতীত ভিন্ন এলাকা বা বিদেশ থেকে কাজের মেয়ে নিয়ে আসার বিধান
38.   মাহরাম পুরুষ ব্যতীত ভিন্ন শহরে নারীর অবস্থান করার বিধান
39.   শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদেরকে বিভিন্ন প্রদর্শনীতে ব্যবহার করার বিধান সম্পর্কে ফতোয়া
40.   আমার শ্যালিকারা খোলামেলা থাকাবস্থায় আমি তাদেরকে গাড়িতে করে গন্তব্যস্থানে পৌঁছায়ে দেই
41.   ভগিনীপতি বা দুলাভাই মাহরামদের কেউ নন
42.   পুরুষদের সাথে পর্দা পরিহিতা নারীর বসার বিধান
43.   অপরিচিত বা পরনারীদের সাথে মুসাফাহ (করমর্দন) করা নিষিদ্ধকরণের কারণ
44.   ভাবির সাথে মুসাফাহ (করমর্দন) করার বিধান
45.   মাহরাম নন এমন নারীদের সাথে মুসাফাহ (করমর্দন) করার বিধান
46.   অপরিচিত নারীর সাথে কৌশলে আড়াল করে মুসাফাহ করার বিধান
47.   বৃদ্ধা রমনীর সাথে মুসাফাহ (করমর্দন) করার বিধান
48.   মাহরাম নন এমন আত্মীয়স্বজন ও অন্যান্যদের সাথে মুসাফাহ করা এবং তাদেরকে চুম্বন করার বিধান
49.   মাহরাম নন এমন নারীদের সাথে বসার বিধান
50.   পুরুষ ব্যক্তি কর্তৃক তার কন্যাকে চুম্বন করা বৈধ

 



ভূমিকা
সমস্ত প্রশংসা এক আল্লাহর জন্য। সালাত ও সালাম নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি, যাঁর পরে আর কোনো নবী নেই।
অতঃপর:
Read More---

বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪

জান্নাতী রমণী (১ম পর্ব)

Views:

A+ A-

 জান্নাতী রমণী (১ম পর্ব)


কুরআন-সুন্নাহর আলোকে জান্নাতী নারীর পরিচয়
  
ভূমিকাঃ

আল্‌ হামদু লিল্লাহ ওয়াছ্‌ ছালাতু ওয়াস্‌ সালামু আলা রাসূলিল্লাহ্‌।
পুরুষের জন্য নারী সহোদরের মত মূল্যবান। সে তার জীবন সঙ্গী। একজন অপরজনের পরিপুরক। উভয়ের প্রতি আল্লাহ তাআলা নির্দিষ্ট বিধি-নিষেধ নাযিল করেছেন এবং তাদেরকে তাদের কর্মের উপর প্রতিফল প্রদানের অঙ্গিকার করেছেন। পূণ্যের ঠিকানা জান্নাতে পাপের ঠিকানা অন্যস্থানে। সেই জান্নাত লাভের আশায়  জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার কামনায় নারী-পুরুষ সকলকেই সেই পথ Aej¤^b করতে হবে।
আলোচ্য পুস্তকে একজন মুসলিম রমণী কিভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিল করে জান্নাত লাভে ধন্য হতে পারবে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। পবিত্র কুরআন, রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সুন্নাত এবং পূর্বসূরী নেক মনিষীদের বচন থেকে জান্নাতী রমণীর পরিচয়  গুণাবলী তুলে ধরা হয়েছে। প্রত্যেক মুমিন নারীর উচিত হচ্ছে উক্ত গুণাবলী সম্পর্কে জ্ঞান হাসিল করা এবং তদানুযায়ী নিজের জীবনকে গড়ে তোলা।
একজন নারীর জান্নাতী হওয়ার জন্য অবশ্যই ¯^vgxi সহযোগিতা আবশ্যক। তাই বিষয়টিকে পূর্ণতা দেয়ার জন্য ¯^vgx কিভাবে স্ত্রীর হক আদায় করবে? স্ত্রী জান্নাতের পথ পরিত্যাগ করে বক্রপথে চললে ¯^vgx কোন পদ্ধতি Aej¤^b করে তাকে সংশোধন করতে পারবে? ইত্যাদি বিষয়ে ¯^vgx‡KI নসীহত করা হয়েছে।
ইসলামের নির্দেশাবলীর জ্ঞান লাভ, তার প্রতি বিশ্বাস  কর্ম জীবনের বাস্তবায়নের জন্য প্রত্যেক নারী  পুরুষের নিম্ন লিখিত মূলনীতিটি সর্বাবস্থায় স্মরণ রেখে চলতে হবে। আর তা হচ্ছে, আল্লাহর বিধানের কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ এবং সর্বাবস্থায় রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর জীবনকে নিজের জন্য মডেল বা আদর্শরূপে গ্রহণ।  উপলক্ষে মহান আল্লাহ বলেন,
]وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَلا مُؤْمِنَةٍ إِذَا قَضَى اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَمْرًا أَنْ يَكُونَ لَهُمْ الْخِيَرَةُ مِنْ أَمْرِهِمْ وَمَنْ يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ ضَلَّ ضَلالا مُبِينًا[
আল্লাহ্‌ এবং তাঁর রাসূল কোন আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ  ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করার কোন অধিকার নেই। যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌  তাঁর রাসূলের আদেশ অমান্য করবে, সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হবে।[1]
Read More---

শরঈ পর্দা বলতে কী বুঝায়?

Views:

A+ A-

 শরঈ পর্দা বলতে কী বুঝায়?



ইতোপূর্বে আমি বিভিন্ন লেখায় পর্দার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছি। আলহামদুলিল্লাহ পর্দাকে অত্যাবশ্যক জ্ঞানে আমাদের কন্যা-জায়া-জননীরা পর্দা করেনও বটে। এখন ভাবনার বিষয় হলো, অধিকাংশ মা-বোন যে পর্দা রক্ষা করেন কিংবা যে পোশাকে নিজেকে পর্দাশীল ভাবেন তা কি শরীয়তের কাম্য পদ্ধতিতেই হয়? তারা যে পর্দা করেন তার কতটা শরীয়তের রূপরেখা মেনে করা হয়? বক্ষমাণ নিবন্ধে আমরা সে বিষয়টিই আলোচনার বিনীত প্রয়াস পাব ইনশাআল্লাহ।

প্রিয় মুসলিম বোন, এ সংক্ষিপ্ত আলোচনায় আমরা আপনার জন্য সে বিষয়টিই তুলে ধরতে চেয়েছি যা আপনাকে কল্যাণের পথ দেখাবে। যা হবে আপনার জীবন চলার পথে এক অতি দরকারি আলোকবর্তিকা। সে বোনদের জন্য যারা কি-না শরঈ পর্দা রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। যারা আল্লাহর হুকুম বা বিধানকে আল্লাহরই নির্দেশিত উপায়ে পালনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সবার আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলি, যারা গতানুগতিক পর্দা করেন, যা মূলত রব কর্তৃক নির্ধারিত একটি ফরযের অপভ্রংশ বা বিকৃতির নামান্তর তাদেরও বিনীতভাবে বলব, কুরআন ও সুন্নাহর আলোক বিধৌত আলোচনা পড়ে আপনিও খানিক নিজেকে মূল্যায়ন করুন। নিজের পর্দা ও পোশাক নিয়ে একটু পর্যালোচনা কিংবা আত্মসমালোচনা করুন। আখেরে তা আপনারই মঙ্গল বয়ে আনবে। যেমন ইহকালে তেমনি পরকালে। 


Read More---

কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে পর্দা

Views:

A+ A-

 কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে পর্দা

 




بسم الله الرحمن الرحيم
পরম করুণাময় কৃপানিধান আল্লাহর নামে শুরু করছি

الحمد لله نحمده و نستعينه و نستغفره و نعوذ به من شرورأنفسنا وسيئات أعمالنا من يهده الله فلا مضل له ومن يضلل فلا هادى له ونشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له و أن محمدا عبده و رسوله صلى الله عليه وعلى آله وأصحابه ومن تبعهم بإحسان وسلم تسليما كثيرا،
   আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নবীকুল শিরমনী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে হিদায়াত (পথ নির্দেশ) ও সত্য ধর্ম, (আনুগত্যের একমাত্র সত্য বিধান) সহ প্রেরণ করেছেন। যাতে তিনি রাব্বুল আলামীনের আদেশানুসারে মানব মন্ডলীকে কুফরের অন্ধকার থেকে ঈমানের আলোর দিকে বের করে নিয়ে আসেন। আল্লাহ তাআলা তাকে ইবাদতের মর্মার্থ বাস্তবায়িত করার জন্য পাঠিয়েছেন। এবং তা আল্লাহর বিধি-বিধানকে প্রবৃত্তির অনুসরণ ও শয়তানি খেয়ালখুশি চরিতার্থ করার উপর অগ্রাধিকার দিয়ে একান্ত বিনয়, নম্রতা ও আন্তরিকতার সাথে আল্লাহর আদেশাবলী পালন করা এবং নিষেধাবলী থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকার মাধ্যমে হয়ে থাকে ।

     মহান রাব্বুল আলামীন ইসলামি মতে নৈতিক চরিত্রের পরিপূর্ণতা সাধনের উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে প্রেরণ করেছেন। তিনি যেন উত্তম সদাচারের দিকে মানবগোষ্ঠীকে আহ্বান করেন এবং অশালীন-অশোভন রীতি-নীতি, কার্যকলাপ ও নৈতিকতা বিধ্বংসী উপায় উপকরণাদি থেকে ভীতি প্রদর্শন করেন। তিনি মানবজাতির সর্বাঙ্গীন কল্যাণের জন্যে সার্বজনীন, সর্ব যুগে প্রযোজ্য, সর্বদিক দিয়ে সুসম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ ধর্ম (জীবন বিধান) নিয়ে এই ভূমন্ডলে আবির্ভূত হয়েছেন। সুতরাং, এখন দ্বীন ইসলামের পরিপূর্ণতা বা শুদ্ধতার জন্যে কোনো সৃষ্টি বা মানব প্রচেষ্টার কোনোই প্রয়োজন নেই। কেননা, এটি মহাবিজ্ঞ, সর্বদ্রষ্টা মহান স্রষ্টার পক্ষ হতে অবতীর্ণ পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। যিনি বান্দার উপযোগী প্রত্যেক ব্যাপারে সর্বজ্ঞাতা ও তাদের প্রতি চির স্নেহশীল, মহাকরুণাময়।
Read More---

মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪

আকীকা এবং এ সংক্রান্ত কিছু বিধান

Views:

A+ A-

 আকীকা এবং এ সংক্রান্ত কিছু বিধান



আকীকা এবং এ সংক্রান্ত নীতিবালি
যে সুন্নত তাৎপর্য অনেক কিন্তু আমরা তার প্রতি গুরুত্ব দেই না আকীকা তার। ইসলাম কাল আসা আসা এই পূর্বের পূর্বের সাথে আপনার সামনে খোলা ওয়াসাল্লাম থেকে উত্তর দিয়েছেন। তিনি একটি নকশা তৈরি করেছেন, নিজে নিজে এবং অন্যদের বুদ্ধ করেছেন। কিন্তু সুন্নতি আজ বিস্মৃতপ্রায়। গণগণের অমলবাদ দিয়ে এর খাকে অংশে সংগঠিত করেছেন বিজাতীয় পরিস্কারাচ্ছন্ন শান্তি ও কুশল।
মহিলা ইসলামী মনস্তত্ত্ব আগাইয়া আকীকার গুরুত্ব অপরিসিম। এর প্রতি আমরা উন্নাসিকতা পুলিশি বিপদ নিজের ডেকে আনছি। অনেকটা অংশের ইঙ্গিত যেমন অনুমিত হয়, এর সঙ্গে শিশু পার্থিব ও অপার্থিব কল্যাণের সমষ্টি। আমরা নতুন জাতকের এটা-সেটা রোগ-বালাই যেমন থাকে। রোজই তার চিকিৎসার অধিকার, ব্যবহার করতে অনেক পথ অর্থ বাধ্য করতে হয়। হাজার টাকা আমরা অসন্তুষ্টি আর অভিযোগ নিয়ে শিশুসুখ-বিসুখের অক্ষর একাংশ করতে পারি আমি আকীকার মতো একটি আমল করতে না পারি, একটি বাদুটি ছাগল জবাইয়ের মাধ্যমে। যার মাধ্যমে অনেক বিপদাপদ পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে আমাদের প্রিয় আত্মজ।
সাধারণ ইসলাম তোকে নস্যি মোমুটিহীনদার ও আদর্শের আদর্শ অনুশীলনকারী ভাইয়েরা এ সুন্নতকে বড় অযত্নদ উপেক্ষা করেন। সতর্কতা ও তাৎপর্য সম্পর্কে না জানার কারণে অথবা যাপিত সদস্যদের সুন্নতের প্রতি উদাসীনতার অংশ হিসেবে। আমাদের ক্ষমা করুন।
এ পোর্টালের মাধ্যমে আমি আমাদের অনাদর ও উপক্ষায় অনালোচিত ও অচর্চিত এই সুন্নতের কথাই কথা বলে দেবার প্রয়াস চাই। গভীর বিন্যাসে আমি এ সংক্রান্ত বেশ- কিছু বিষয় ধরতে চেয়েছি। এ ক্ষেত্রে আমি বিভিন্ন নথিপত্রের সাহায্য নিয়েছি। বিশেষভাবে কিতাবটির কথায় অকৃতজ্ঞতার ডক্টর দেওয়া হয়, তাহা- হিসামুদ্দীন আফানা মুসলিম সংকলিত 'আহমুল আকীকা' নামক গ্রন্থ  এই চলুন মূল আলোচনা করা


Read More---

সন্তানের হক

Views:

A+ A-

সন্তানের হক



খুব ভালো
إن الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه أجمعين أما بعد :
আল্লাহ তা'আলা মানবিক জীবনকে সন্তানসন্তুতির মাধ্যমে ভার্সাম্যপূর্ণ এবং পছন্দ করেছেন। সন্তানের সন্তানসন্ততি কতবড় নিয়া মত তা যার সন্তান হয়নি তিনি সবচেয়ে বেশি উপলব্ধি করেন। মহান রাববুল আলামীন নারীদান তাদের উপর এক মহান দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। পিতা-মাতা সবচেয়ে বড় বড় বেদাতা হবেন যদি সন্তানকে আদর্শবান তার পক্ষে সমর্থন না করতে পারেন। কেননা হুয়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু লেখক থেকে দলীয় হাদিসে আসে, তিনি বলেন, পাঁচটি পদ্‌ পদ্‌ গুরুত্বপূর্ণ ওয়াসাল্লাম, 
«مَا مِنْ مَوْلُودٍ إِلاَّ يُولَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ، أَوْ يُنَصِّرَانِهِ، أَوْ يُمَجِّسِهِ»
নবজাতক তার স্বভাবজাত দ্বীন ইসলামের জন্ম গ্রহণ করে। অতঃপর তার মা-বাবা তাকে ইয়াহূদী, নাসারা অথবা অগ্নিপূজক হিসেবে শক্তিশালী তোলে [সহীহ: ১৩৫৮]। 
আমাদের সমাজ ব্যবস্থার দিন যেভাবে অপসংস্কৃতি, অনৈতিকতা এবং চরিত্র বিধ্বংসী সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে, সেখানে আমাদের সন্তানের দিন দোষ আছে তা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পালন করতে হবে। নারীকে লালন-পালন করা দাবী।  আমাদের উপর সন্তানদের যে বিষয়গুলো রয়েছে তা এখানে আলোচনা করা হয়েছে:


১. কানে আযান দেওয়া :  সন্তানে ইসলাম পর গোসল দিয়ে পরিষ্কার করে তার কানে আযান দেওয়া, তা ছেলের বা মেয়েকে। এটি তারমাতার উপর গুরুত্বপূর্ণ একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, শিশুর কানে সর্বপ্রথম শ্রেষ্ঠত্বের আওয়াজ নির্দেশ দেওয়া এবং ওত পেতে শয়তান যাতে তার ক্ষতি না করতে পারে। হাদিসে, 

عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ : رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم «أَذَّنَ فِي أُذُنِ حَسَنِ فِي أُذُنَ حَدَهِ بْنِ عَلَيْنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلَيْهِ» ُ بِالصَّلاَةِ»।
আবূফে রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে, তিনি বলেন, আমি আপ সাল্লাল্লাহু ওয়াসাল্লামকে হাসান ইবনে আলীর কানে আযান দিতে সমস্যাছি [সুনন আবূ দাউদ:৫১০৫]
২. সুন্দর নাম রাখা :  শিশুর জন্য সুন্দর নাম নির্বাচন করা পিতা-মাতার দায়িত্ব ও শ্রদ্ধা। নাম অর্থবহ রাখা শর্ত।  কেননা এলাকা, 
উঁচু উঁচু ওয়াসাল্লাম বলেছেন অনেক অসুন্দর নাম পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন।  [আবু দাউদ ৪৯৫২-৪৯৬১]
৩. আক্বিকা :  ইসলামী সংস্কৃতি বিষয়ক মহিলার আকীকা করা। কোর পার্টি থেকে ২টি ছাগল এবং মেয়ের পক্ষ থেকে কাছে, 
عَنْ سَمُرَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كُلُّ غُلَامٍ رَهِينَةٌ بِعَقِيقَتِهِ بِعَقِيقَتِهِ تُذْبَحُ السَّعْمْ عَقْيْهُ عَلَيْهِ» ُ رَأْسُهُ»
সামুরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে হতে দল, তিনি বলেন, সামনের নেতা পদে ওয়াসাল্লাম লেখক, সকল নবজাতক তার আক্কিকার আবদ্ধ। জন্মের সপ্তম দিন তার পার্টি থেকে জবেহ করা হবে। ঐ দিন তার নাম রাখা হবে। আর তার মাথা চুল কামানো হবে। [সুনান আবূ দাউদ: ২৮৩৮] 
৪. সদকাহ করা :  ছেলের বা মেয়ের সপ্তম রাতে চুল কাটা এবং চুলক রপ্য সদহ করা সুন্নাত। 
আলি রাদিয়াল্লাহ আনহু থেকে, গ্রুপু সাল্লাল্লাহু, ওয়াসাল্লাম হাসান রা. এর পক্ষ থেকে ১টি বকরী আকীকা এবং লেখক, হে ফাতেমা! তার মাথা মুন্ডন কর এবং চুল রৌপ্য সদকাহ কর। [সুনান আ-মিয্যায়ী: দো'আ করতে 
দো'আ 
Read More---