Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

See Our Articles In Different Styles... Grid View List View

সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

রমজান বিষয়ক একগুচ্ছ ফাইল

Views:

A+ A-
Read More---

বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

রমযান মাসের সমাপ্তি

Views:

A+ A-

 রমযান মাসের সমাপ্তি



রমযান মাসের সমাপ্তি

ভাইয়েরা আমার! অতি শীঘ্রই রমযান মাস আমাদের নিকট থেকে বিদায় নিচ্ছে ও নতুন একটি মাস আসছে, কিন্তু রমযান মাস আমাদের জন্য সাক্ষী থাকবে। এ মাসে যে ব্যক্তি ভাল আমল করতে পেরেছে, সে যেন আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে ও শুভ পরিণামের অপেক্ষায় থাকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ ভাল আমলকারীর আমল নষ্ট করেন না। আর যে ব্যক্তি এ মাসে অন্যায় কাজ করেছে, সে যেন তার প্রভূর কাছে খালেছ তওবা করে। আল্লাহ তাআলা তওবাকারীর তওবা কবুল করেন। তিনি আমাদের জন্য এ পোশাক শেষে এমন কিছু ইবাদত নির্ধারণ করে দিয়েছেন, যার দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন হয়, বৃদ্ধি পায় ঈমানী শক্তি, সমৃদ্ধ হয় আমলনামা। যেমন সদকাতুল ফিতর আদায় করা এবং  ঈদের চাঁদ উঠার পর থেকে ঈদের সালাত আদায় পর্যন্ত তাকবীর পাঠ করা। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন :
Read More---

রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪

রাসূল যেভাবে রমজান যাপন করেছেন (১ম পর্ব)

Views:

A+ A-

 রাসূল যেভাবে রমজান যাপন করেছেন (১ম পর্ব)


পূর্ব কথা

তাকওয়া অর্জন সিয়াম সাধনার মুখ্য উদ্দেশ্য। আত্মার পরিশুদ্ধি, পার্থিবতায় সর্বাঙ্গ আরোপণ থেকে চেতনা ও মনোজগত বিমুক্তিকরণ, বস্তুকেন্দ্রিকতার রাহুগ্রাস থেকে নিজেকে স্বাধীন করে পরকালমুখীনতার সার্বক্ষণিক চর্চা ও লালন সুগম করে দেয় তাকওয়া অর্জনের পথ-পথান্তর। তবে, তার জন্য শর্ত হল, সিয়াম সাধনার প্রতিটি ক্ষণ যাপিত হতে হবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রোজা-যাপন ও সিয়াম-সাধনার উসওয়া-আদর্শ চেতনায়, অনুভূতিতে, আন্তর ও বহির আচরণে জাগ্রত রেখে, সার্বক্ষণিকভাবে।


রোজা যাপন অবস্থায় মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্বীয় প্রতিপালকের সান্নিধ্যে নিজের আবেগ-অনুভূতি-আচরণ উন্মীলিত করার আকার-প্রকৃতি, উম্মত বিষয়ে তাঁর পদক্ষেপ ও কর্মচাঞ্চল্যের ধরন-ধারণ, রোজা যাপনকালে পবিত্র স্ত্রীদের বিষয়ে নানাবিধ কর্মযজ্ঞ্তইত্যাদির পথ ধরে সিয়াম-সাধনার যে পূর্ণাঙ্গ নববী রূপ মূর্তিমান হয়েছে তার জন্য প্রাজ্ঞ লেখক ও বিদগ্ধ শরিয়তবিদ ফায়সাল বিন আলী আল বাদানিকে ধন্যবাদ জানিয়ে খাটো করতে চাই না। প্রখ্যাত গ্রন্থ : হজ পালন অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নান্দনিক আচরণ-এর আদলে রচিত গ্রন্থ 'যেভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান যাপন করেছেন' মাহে রমজান বিষয়ে একটি অভূতপূর্ব রচনা যা রোজা পালন অবস্থায় নববী জীবনের অজানা বহু অধ্যায় উন্মীলিত করেছে মনোজ্ঞ ভাষায়। তারুণ্যদীপ্ত শক্তিমান বঙ্গানুবাদক কাউসার বিন খালেদের ভাষান্তরে বইটি বাংলা ভাষাভাষী পাঠকের হাতে তুলে দিতে পেরে আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
Read More---

রাসূল যেভাবে রমজান যাপন করেছেন (২য় পর্ব)

Views:

A+ A-

 রাসূল যেভাবে রমজান যাপন করেছেন (২য় পর্ব)


১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ

রমজানে প্রিয় সহধর্মিণীদের সাথে রাসূলের আচরণ

সহধর্মিণীদের সাথে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আচরণ বিশ্লেষণ করলে আমাদের সামনে ফুটে উঠবে তার আচরণের অসাধারণ এক ভারসাম্য, জীবনের সূচনা থেকে সমাপ্তি অবধি যা তিনি বজায় রেখেছেন অত্যন্ত সার্থকতার সাথে। রাসূল নিজ গুণ সম্পর্কে বলেন :
إنَّ أتقاكم وأعلمكم بالله أنا.
তোমাদের মাঝে সর্বাধিক আল্লাহভীরু ও আল্লাহ সম্পর্কে জ্ঞাত হলাম আমি।[১৮৯]


ভিন্ন এক হাদিসে তিনি এরশাদ করেন :
قد علمتم أني أتقاكم لله وأصدقكم وأبركم.
তোমরা জেনেছ যে, আমি তোমাদের মাঝে সর্বাধিক আল্লাহভীরু, সত্যবাদী ও সৎ।[১৯০]

হাদিসে আরো এসেছে,
أنا أتقاكم لله وأعلمكم بحدود الله.
আমি তোমাদের মাঝে সর্বাধিক আল্লাহভীরু এবং আল্লাহ প্রবর্তিত সীমারেখা সম্পর্কে জ্ঞাত।[১৯১] 
আল্লাহর সাথে রাসূলের আচরণের আলোচনার নানা-পর্বে এ বিষয়ে পাঠককে ধারণা দিতে আমরা প্রয়াস পেয়েছি।

পক্ষান্তরে স্ত্রী ও সহধর্মিণীদের সাথে তার আচরণ কেমন ছিল- সে সম্পর্কে রাসূলের হাদিস :
خيركم خيركم لأهله، وأنا خيركم لأهلي.
তোমাদের মাঝে সর্বোত্তম সে, যে তার পরিবারের নিকট উত্তম। আমি তোমাদের মাঝে আমার পরিবারের নিকট সর্বাধিক উত্তম ব্যক্তি।[১৯২]-পর্যালোচনা করলেই আমরা জানতে পারব। রাসূল তার স্ত্রীদের সাথে কীরূপ আচরণ করতেন, বক্ষ্যমাণ পরিচ্ছেদে আমরা সে বিষয়ে আলোচনার প্রয়াস পাব।
Read More---

শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪

সুস্বাগত মাহে রমযান

Views:

A+ A-

 সুস্বাগত মাহে রমযান


সুস্বাগত মাহে রমযান

বাড়িতে বিশেষ কোনো বিশেষ মেহমান আসার তারিখ থাকলে আমরা পূর্ব থেকেই নানা প্রস্তুতি নেই। ঘরদোর পরিষ্কার করি। বিছানাপত্র সাফ-সুতরো করি। পরিপাটি করি বাড়ির পরিবেশ। নিশ্চিত করি মেহমানের যথাযথ সম্মান ও সন্তুষ্টি রক্ষার সার্বিক ব্যবস্থা। তারপর অপেক্ষা করতে থাকি মেহমানকে সসম্মানে বরণ করে নেবার জন্য। আমাদের দুয়ারেও আজ কড়া নাড়ছে এক বিশেষ অতিথি। এমন অতিথি যার আগমনে সাড়া পড়ে যায় যমীনে ও আসমানে! আনন্দের হিল্লোল বয়ে যায় সমগ্র সৃষ্টি জগতে! আল্লাহর হাবীবের মুখেই শুনুন সে কথা-
« إذا كَانَ أَوَّلُ ليْلَةٍ من شَهرِ رَمَضَانَ صُفِّدَتِ الشَّياطِينُ ومَرَدَةُ الجِنِّ، وغُلِّقَتْ أبوَابُ النَّارِ فَلَمْ يُفْتَحْ منْهَا بَابٌ، وفُتِحَتْ أَبوَابُ الجَنَّةِ فلمْ يُغْلَقْ منْها بَابٌ، ويُنَادِي مُنَادٍ: يا بَاغِيَ الخَيرِ: أَقْبِلْ، ويا بَاغِيَ الشَّر: أَقْصِرْ، ولله عُتَقَاءُ مِنَ النَّار وذَلكَ كُلَّ لَيْلَةٍ » .
যখন রমযানের প্রথম রাত্রি আগমন করে শয়তান এবং অবাধ্য জিনদের শৃঙ্খলিত করা হয়জাহান্নামের সকল দরোজা বন্ধ করে দেয়া হয়খোলা রাখা হয় না কোন দ্বারজান্নাতের দুয়ারগুলো অর্গলমুক্ত করে দেয়া হয়বদ্ধ রাখা হয় না কোন তোরণ। এদিকে একজন ঘোষক ঘোষণা করেন, হে পুণ্যের অনুগামীঅগ্রসর হও। হে মন্দ-পথযাত্রী থেমে যাও আবার অনেক ব্যক্তিকে আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। আর এমনটি করা হয় রমযানের প্রতি রাতেই’[1]

   

Read More---

ফিতরা প্রদানের সময়সীমা ও বণ্টন পদ্ধতি

Views:

A+ A-

 ফিতরা প্রদানের সময়সীমা ও বণ্টন পদ্ধতি


ফিতরা প্রদানরে সময়সীমা ও বণ্টন পদ্ধতি

আলহামদুলিল্লাহ, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসূলিল্লাহ, আম্মা বাদঃ
ঈদের নামাযের পূর্বে ফিতরা প্রদান করা যেমন ইসলামের একটি সুন্দর বিধান, তেমন তা সঠিক সময়ে ও সঠিক নিয়মে বণ্টন করাও গুরুত্বপূর্ণ বিধান। কিন্তু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফিতরা বণ্টনের নিয়ম ভিন্ন ভিন্ন লক্ষ্য করা যায়। তন্মধ্যে একটি বহুল প্রচলিত নিয়ম হচ্ছে: লোকেরা তাদের ফিতরা মসজিদের ইমাম কিংবা গ্রামের সর্দারের কাছে ঈদের নামাযের পূর্বে আর অনেকে নামাযের পরে জমা করে দেয়। ফিতরা দাতারা ধান, গম, চাল এবং অনেকে টাকা দ্বারা ফিতরা দিয়ে থাকেন। অতঃপর ইমাম কিংবা সর্দার সাহেব কিছু দিন পর সেই জমা কৃত ফিতরা বিক্রয় করে দেন। তার পর তিনি সেই মূল্য অর্থাৎ টাকা-পয়সা বিতরণ শুরু করেন। ফিতরা যারা নিতে আসেন তাদের মধ্যে ফকীর-মিসকিন, মাদরাসার ছাত্র এবং ইসলামী প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলিও থাকে। এরা অনেকে কাছাকাছি অঞ্চলের হয় আর অনেকে দূরেরও হয়। সাধারণত: এই পদ্ধতিতেই বেশির ভাগ স্থানে ফিতরা বণ্টন করা হয়ে থাক। কোথাও একটু ব্যতিক্রম থাকলে সেটা অবশ্য আলাদা কথা।
Read More---

সদকাতুল ফিতর

Views:

A+ A-

 সদকাতুল ফিতর


সদকাতুল ফিতর

সম্মানিত ভাইয়েরা আমার!  আল্লাহ তাআলা রমজান মাসের শেষে একটি বিধান দিয়েছেন। অর্থাৎ ঈদের সালাত আদায়ের পূর্বে ‘সদকাতুল ফিতর’ আদায় করা। আজকের মজলিসে এ বিষয়ে কথা বলব। এর বিধান, উপকারীতা, শ্রেণী, পরিমাণ, অপরিহার্যতা, আদায় করার সময় ও স্থান সম্পর্কে আলোচনা করব।
Read More---

জাকাতের গুরুত্ব, ফজিলত ও ব্যয়ের খাতসমূহ

Views:

A+ A-

 জাকাতের গুরুত্ব, ফজিলত ও ব্যয়ের খাতসমূহ


জাকাতের গুরুত্ব, ফযিলত ও ব্যয়ের খাতসমূহ

জাকাত এর সংজ্ঞা: 
জাকাত শব্দের অর্থ শুচিতা ও পবিত্রতা, শুদ্ধি ও বৃদ্ধি।
পরিভাষায় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শরিয়ত নির্ধারিত পরিমাণ সম্পদের নির্দিষ্ট অংশ কুরআনে বর্ণিত আট প্রকারের কোন এক প্রকার লোক অথবা প্রত্যেককে দান করে মালিক বানিয়ে দেয়াকে জাকাত বলে। 


Read More---

জাকাত

Views:

A+ A-

 জাকাত


জাকাত

কুরআনের আলোকে যাকাতের বিধান 

প্রিয় ভইয়েরা! কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন :
]وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاءَ وَيُقِيمُوا الصَّلاةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ وَذَلِكَ دِينُ الْقَيِّمَةِ[ (البينة:৫)
'তাদের এ মর্মে আদেশ করা হয়েছে যে, তারা নিবিষ্ট মনে একান্তভাবে শুধুমাত্র আল্লাহর এবাদত করবে, যথাযথভাবে সালাত আদায় করবে, জাকাত প্রদান করবে, আর এটাই হলো সুপ্রতিষ্ঠিত দ্বীন।'[১]


আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন :
]وَأَقِيمُوا الصَّلاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَأَقْرِضُوا اللَّهَ قَرْضاً حَسَناً وَمَا تُقَدِّمُوا لِأَنْفُسِكُمْ مِنْ خَيْرٍ تَجِدُوهُ عِنْدَ اللَّهِ هُوَ خَيْراً وَأَعْظَمَ أَجْراً[ (المزمل:২০)
'তোমরা যথানিয়মে সালাত আদায় কর, জাকাত প্রদান কর, আল্লাহ তাআলাকে উত্তম ঋণ দাও, আর তোমরা নিজেদের কল্যাণে যা অগ্রে প্রেরণ করবে, তা আল্লাহর কাছ থেকে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ প্রতিদান হিসাবে প্রাপ্ত হবে।'[২]

আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন :
]وَمَا آتَيْتُمْ مِنْ رِباً لِيَرْبُوَ فِي أَمْوَالِ النَّاسِ فَلا يَرْبُو عِنْدَ اللَّهِ وَمَا آتَيْتُمْ مِنْ زَكَاةٍ تُرِيدُونَ وَجْهَ اللَّهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الْمُضْعِفُونَ[ (الروم:৩৯)
'তোমরা মানুষের সম্পদ বৃদ্ধির নিমিত্তে যে সুদ ভিত্তিক লেনদেন করে থাক, প্রকৃত পক্ষে তা আল্লাহর নিকট কোন লাভজনক নয়। পক্ষান্তরে তোমরা যে জাকাত প্রদান কর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায়, (তা বৃদ্ধি পায়) ফলত জাকাত প্রদানকারীগণ মুনাফাকে দ্বিগুণ করে নেয়।'[৩]
Read More---

সিয়াম, তারাবীহ ও যাকাত বিষয়ে কয়েকটি অধ্যায়

Views:

A+ A-

 সিয়াম, তারাবীহ ও যাকাত বিষয়ে কয়েকটি অধ্যায়


ভূমিকা

সকল প্রশংসার মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা, আমরা তার প্রশংসা করি, তার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি, তার নিকট ইস্তেগফার করি এবং তার নিকট তওবা করি। আমরা আমাদের নফসের কু-প্রবৃত্তি ও আমাদের আমলের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর নিকট পানাহ চাই তিনি যাকে হিদায়েত করেন তার কোন গোমরাহকারী নেই, তিনি যাকে গোমরাহ করেন তার কোন হিদায়েতকারী নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তিনি এক তার কোন শরিক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহ দরূদ ও সালাম প্রেরণ করুন তার উপর, তার পরিবারের উপর, তার সাথীদের উপর এবং কিয়ামত পর্যন্ত সঠিকভাবে যারা তাদের  অনুসরণ করবে তাদের সকলের উপর।
অতঃপর:
Read More---

যাকাত ও যাকাতের উপকারিতা প্রসঙ্গে

Views:

A+ A-

 যাকাত ও যাকাতের উপকারিতা প্রসঙ্গে



যাকাত ইসলামের পাঁচটি ফরযের একটি। কালিমায়ে শাহাদাত ও সালাতের পর যাকাতের স্থান। কুরআন-হাদিস ও মুসলিমের ইজমা দ্বারা এর ফরযিয়্যাত প্রমাণিত। যাকাতের ফরযিয়্যাত অস্বীকারকারী কাফের ও ইসলাম থেকে বহিষ্কৃত মুরতাদ। তাকে তওবার জন্য বলা হবে, যদি তওবা করে গ্রহণ করা হবে, অন্যথায় তাকে হত্যা করা। আর যাকাতের ব্যাপারে যে কৃপণতা করল অথবা কম আদায় করল সে যালেমদের অন্তর্ভুক্ত ও আল্লাহর শাস্তির উপযুক্ত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿وَلَا يَحۡسَبَنَّ ٱلَّذِينَ يَبۡخَلُونَ بِمَآ ءَاتَىٰهُمُ ٱللَّهُ مِن فَضۡلِهِۦ هُوَ خَيۡرٗا لَّهُمۖ بَلۡ هُوَ شَرّٞ لَّهُمۡۖ سَيُطَوَّقُونَ مَا بَخِلُواْ بِهِۦ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِۗ وَلِلَّهِ مِيرَٰثُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۗ وَٱللَّهُ بِمَا تَعۡمَلُونَ خَبِيرٞ ١٨٠﴾ [سورة آل عمران:180] 

“আর আল্লাহ যাদেরকে তাঁর অনুগ্রহ থেকে যা দান করেছেন তা নিয়ে যারা কৃপণতা করে তারা যেন ধারণা না করে যে, তা তাদের জন্য কল্যাণকর। বরং তা তাদের জন্য অকল্যাণকর। যা নিয়ে তারা কৃপণতা করেছিল, কিয়ামত দিবসে তা দিয়ে তাদের বেড়ি পরানো হবে। আর আসমানসমূহ ও যমীনের উত্তরাধিকার আল্লাহরই জন্য। আর তোমরা যা আমল কর সে ব্যাপারে আল্লাহ সম্যক জ্ঞাত”। সূরা আলে-ইমরান: (১৮০)

Read More---

সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

মীলাদুন্নবী উপলক্ষে মিলিয়ন মিলিয়ন দরূদ জমা করার বিদ‘আত প্রসঙ্গ

Views:

A+ A-

 মীলাদুন্নবী উপলক্ষে মিলিয়ন মিলিয়ন দরূদ জমা করার বিদ‘আত প্রসঙ্গ



মীলাদুন্নবী উপলক্ষে মিলিয়ন মিলিয়ন দরূদ জমা করার বিদআত প্রসঙ্গ

প্রশ্ন : মীলাদুন্নবী উপলক্ষে নিম্নে বর্ণিত পদ্ধতিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর মিলিয়ন মিলিয়ন দরূদ জমা করার বিধান জানতে চাই। প্রত্যেক ব্যক্তি তার পরিচিতদের নিকট নির্দিষ্ট সংখ্যক দরূদ ভাগ করে দেয়, অতঃপর তার পরিচিত, বন্ধু-বান্ধব ও নিজ পরিবারের দরূদ পাঠের সংখ্যা জমা করে। উদাহরণত : কোন এক ছাত্র গ্রামে গিয়ে প্রত্যেক বাড়ির দরোজা নক করে তাদের পরিবার কাছে ১০০০ (এক হাজার) অথবা তার চেয়ে অধিক সংখ্যক দরূদ পাঠের অনুরোধ করে, আর বলে আপনাদের সংখ্যা জানার জন্য এক সপ্তাহ পর আমি আবার আসছি। তাদের কেউ এক হাজার পুরো করে, কেউ অধিক পড়ে। এভাবে মিলিয়ন, আধা মিলিয়ন দরূদ জমা করে। আবার মাদরাসার ছাত্রদের প্রত্যেককে ৫০০ (পাঁচশত) বার দরূদ পড়ার দায়িত্ব দেয়া হয়। এভাবে তিন মিলিয়ন দরূদ জমা করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে যোগদান করার বিধান কী ? এভাবে দরূদ জমা করার বিধান কী ? সংক্ষেপে উত্তর আশা করছি, আল্লাহ আপনাদের তাওফিক বৃদ্ধি করুন।
Read More---

যৌতুক : এক অভিশপ্ত সামাজিক ব্যাধি, বহু কবীরা গুনাহর সমষ্টি

Views:

A+ A-

 যৌতুক : এক অভিশপ্ত সামাজিক ব্যাধি, বহু কবীরা গুনাহর সমষ্টি




আমাদের সমাজে যৌতুক গ্রহণের অপর কারণটি হচ্ছে, আল্লাহর প্রতি ভয়হীনতা এবং শরীয়তের বিধানের প্রতি অবজ্ঞা ও উদাসীনতা। নারীর মর্যাদা দান ও নারীর আর্থিক অধিকার সুরক্ষায় ইসলাম যে বিধিবিধান দিয়েছে তার প্রতি সাধারণ পর্যায়ের সম্মানবোধ থাকলে কোনো বরের পরিবারের পক্ষেই যৌতুক গ্রহণের কোনো উদ্যোগ থাকার কথা ছিল না। অথচ যৌতুক গ্রহণের সঙ্গে এ সম্মানবোধের কোনো সম্পর্ক নেই। বিশেষত যৌতুকের নামে ‘দেনা-পাওনা ধার্য করা এবং তা উসূল করার নির্মম পর্যায়গুলোতে ন্যূনতম স্তরের মানুষির কোনো আলামত দৃশ্যত থাকে না। এটা শরীয়তের বিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যশীল হওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। তাই অন্তরে আল্লাহর ভয় থাকলে এটা সম্ভব হওয়ার কথা নয়।

 

Read More---

আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করার গুরুত্ব

Views:

A+ A-

 আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করার গুরুত্ব

 


ভূমিকা

 

  إِنَّ الْحَمْدُ للهِ ، نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِيْنُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ ، وَنَعُـوْذُ بِاللهِ مِنْ شُرُوْرِ أَنْفُسِنَا ، وَمِنْ سَيِّئَاتِ أَعْمَالِنَا ، مَنْ يَّهْدِهِ اللهُ فَلاَ مُضِلَّ لَهُ ، وَمَنْ يُّضْلِلِ اللهُ فَلاَ هَادِيَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ

যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য আমরা তাঁরই প্রশংসা করি, তার কাছে সাহায্য চাই, তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি। আল্লাহর নিকট আমরা আমাদের প্রবৃত্তির অনিষ্টটা ও আমাদের কর্মসমূহের খারাবী থেকে আশ্রয় কামনা করি। আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেন, তাকে গোমরাহ করার কেউ নেই। আর যাকে গোমরাহ করেন তাকে হেদায়েত দেয়ার কেউ নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনও সত্যিকার ইলাহ নেই, তিনি একক, তার কোনো শরিক নাই। আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। সালাত ও সালাম নাযিল হোক তার উপর, তার পরিবার-পরিজন ও তার সাহাবীদের উপর এবং যারা কিয়ামত অবধি এহসানের সাথে তাদের অনুসরণ করেন তাদের উপর।

Read More---

রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

বিদায় হজের খুতবা : কিছু আলোকপাত

Views:

A+ A-

 বিদায় হজের খুতবা : কিছু আলোকপাত


বিদায় হজের খুতবা : কিছু আলোকপাত

হজের যাবতীয় বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে তাওহীদ প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে। হজের বিধানাবলির মধ্যে রয়েছে আল্লাহ তাআলার পবিত্রতা ঘোষণা করাতাঁর স্তুতি জ্ঞাপন করাতাঁর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করাতাঁর আদেশ পালন করাএকত্ববাদের ঘোষণা দেয়া এবং তাঁর যে কোনো অংশীদারিত্বকে অস্বীকার করা। হজের শ্লোগানতুল্য তালবিয়ায় যেমন বলা হয়,  
« لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَك ».
আমি হাযিরহে আল্লাহআমি হাযির। তোমার কোন শরীক নেইআমি হাযির। নিশ্চয় যাবতীয় প্রশংসা ও নিয়ামত তোমার এবং রাজত্বওতোমার কোন শরীক নেই।’ [বুখারী : ৫৯১৫মুসলিম : ১১৮৪] 
এভাবেই এ বাক্যে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হতে থাকে তাওহীদের ঘোষণা। জমাট বাধা শিরকের অন্ধকার দূর করার জন্য এ বিশাল আহ্বান হাজীদের সঙ্গে ধ্বনিত থেকে থাকে। যাতে মানুষের স্বভাব এবং প্রকৃতি হয় সুস্থ ও পরিচ্ছন্ন। পূর্বে যেমন তা ছিল পৌত্তলিকতা থেকে পবিত্র তাওহীদের দীপ্তিতে তা দীপ্তিময় হয়। অহীর আলোয় তা হয় আলোকিত এবং পরাক্রমশালী এক সত্তার দাসত্বে তা হয় অটল। তেমনিভাবে তা সব ধরনের তাগুত এবং মূর্তিকে ছুড়ে ফেলে দেয়। ঈমানী কল্পনাকে সুদৃঢ় করে অতএব এক আল্লাহ তাআলা ছাড়া এমন কোনো মা‘বুদ নেই ইবাদত ও আনুগত্যের মাধ্যমে সৃষ্টিজীব যার অভিমুখী থেকে পারে। এক আল্লাহ তাআলার দিক ছাড়া এমন কোনো দিক নেই যেখান থেকে তারা তাদের আচরণআখলাকতাদের শরীয়তের নীতিমালা কিংবা বিধানাবলী পেতে পারে। এক আল্লাহ তাআলার পন্থা ছাড়া তাদের এমন কোনো পন্থা নেই যা তাদের জীবন এবং তাদের কার্যাদি পরিচালনা করতে পারে আল কুরআনুল কারীমে বলা হয়েছে,
﴿ وَمَا مِنۡ إِلَٰهٍ إِلَّآ إِلَٰهٞ وَٰحِدٞۚ ﴾ [المائ‍دة: ٧٣] 
এক ইলাহ ছাড়া কোনো (সত্য) ইলাহ নেই।’{সূরা আল-মায়িদাআয়াত : ৭৩}
বিদায়ী হজের বছর জিলহজ মাসের ৮ তারিখ। মক্কা মুকাররমার কোল থেকে মিনার পাথুরে অঞ্চলের উদ্দেশ্যে এক ঝাঁক নববী মশাল যাত্রা শুরু করল। সেখানেই রাত্রিযাপন করল। যাতে ৯ তারিখ আরাফার দিকে রওনা করা যায়। সেখানে সূর্য হেলে যাওয়ার পর নানা জনপদ থেকে দলে দলে দুর্গম গিরি ডিঙ্গিয়ে আসা লাখো জনতার উদ্দেশে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দেন। এমন সারগর্ভ ও ব্যাপক খুতবা দান করেনযা প্রতিটি হৃদয় ও কর্ণকে প্রজ্ঞা ও বিধানেঅনুগ্রহ ও বিশ্বাসে এবং দয়া ও সদাচারে পূর্ণ করে দিয়েছে। এ থেকে প্রতিটি অন্তুর খুঁজে পেয়েছে আত্মশুদ্ধির যাবতীয় উপায়হেদায়েতের সকল প্রকার এবং জাতিঘাতি সব ব্যাধি থেকে সুরক্ষার পন্থা। 
Read More---