Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

See Our Articles In Different Styles... Grid View List View

মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪

শিশুর নাম নির্বাচন: ইসলামী দৃষ্টিকোণ

Views:

A+ A-

 শিশুর নাম নির্বাচন: ইসলামী দৃষ্টিকোণ



শিশুর নাম নির্বাচন: ইসলামী দৃষ্টিকোণ

শিশুর জন্মের পর তার জন্য একটি সুন্দর ইসলামী নাম রাখা প্রত্যেক মুসলিম পিতা-মাতার কর্তব্য। মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মুসলিমদের ন্যায় বাংলাদেশের মুসলিমদের মাঝেও ইসলামী সংস্কৃতি ও মুসলিম ঐতিহ্যের সাথে মিল রেখে শিশুর নাম নির্বাচন করার আগ্রহ দেখা যায়। এজন্য তাঁরা নবজাতকের নাম নির্বাচনে পরিচিত আলেম-ওলামাদের শরণাপন্ন হন। তবে সত্যি কথা বলতে কী এ বিষয়ে আমাদের পড়াশুনা একেবারে অপ্রতুল। তাই ইসলামী নাম রাখার আগ্রহ থাকার পরও অজ্ঞতাবশত আমরা এমনসব নাম নির্বাচন করে ফেলি যেগুলো আদৌ ইসলামী নামের আওতাভুক্ত নয়। শব্দটি আরবী অথবা কুরআনের শব্দ হলেই নামটি ইসলামী হবে তাতো নয়। কুরআনে তো পৃথিবীর নিকৃষ্টতম কাফেরদের নাম উল্লেখ আছে। ইবলিসফেরাউনহামানকারুনআবু লাহাব ইত্যাদি নাম তো কুরআনে উল্লেখ আছেতাই বলে কী এসব নামে নাম বা উপনাম রাখা সমীচীন হবে!?


ব্যক্তির নাম তার স্বভাব চরিত্রের উপর ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে বর্ণিত আছে। 
শাইখ বকর আবু যায়েদ বলেন, ঘটনাক্রমে দেখা যায় ব্যক্তির নামের সাথে তার স্বভাব ও বৈশিষ্ট্যের মিল থাকে। এটাই আল্লাহর তাআলার হেকমতের দাবী। যে ব্যক্তির নামের অর্থে চপলতা রয়েছে তার চরিত্রেও চপলতা পাওয়া যায়। যার নামের মধ্যে গাম্ভীর্যতা আছে তার চরিত্রে গাম্ভীর্যতা পাওয়া যায়। খারাপ নামের অধিকারী লোকের চরিত্রও খারাপ হয়ে থাকে। ভাল নামের অধিকারী ব্যক্তির চরিত্রও ভাল হয়ে থাকে।[1]
Read More---

স্বামী-স্ত্রীর অধিকার

Views:

A+ A-

 স্বামী-স্ত্রীর অধিকার



স্বামী-স্ত্রীর অধিকার

বিবাহ স্বামী-স্ত্রীর মাঝে একটি সুদৃঢ় বন্ধন। আল্লাহ তাআলা এর চির স্থায়িত্ব পছন্দ করেন, বিচ্ছেদ অপছন্দ করেন। এরশাদ হচ্ছে―
وَكَيْفَ تَأْخُذُونَهُ وَقَدْ أَفْضَى بَعْضُكُمْ إِلَى بَعْضٍ وَأَخَذْنَ مِنْكُمْ مِيثَاقًا غَلِيظًا. ﴿النساء :২০﴾
‘তোমরা কীভাবে তা (মোহরানা) ফেরত নিবে ? অথচ তোমরা পরস্পর শয়ন সঙ্গী হয়েছ। সাথে সাথে তারা তোমাদের থেকে চির বন্ধনের সুদৃঢ় অঙ্গিকারও নিয়েছে।’[১]
এ চুক্তিপত্র ও মোহরানার কারণে ইসলাম স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মাঝে কতক দায়দায়িত্ব ও অধিকার নিশ্চিত করেছে। যা বাস্তবায়নের ফলে দাম্পত্য জীবন সুখী ও স্থায়ী হবে—সন্দেহ নেই। সে সব অধিকারের প্রায় সবগুলোই সংক্ষেপ আকারে বর্ণিত হয়েছে কোরআনের নিুোক্ত আয়াতে—
وَلَهُنَّ مِثْلُ الَّذِي عَلَيْهِنَّ بِالْمَعْرُوفِ وَلِلرِّجَالِ عَلَيْهِنَّ دَرَجَةٌ وَاللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ. ﴿البقرة : ২২৭﴾
‘যেমন নারীদের উপর অধিকার রয়েছে, তেমন তাদের জন্যও অধিকার রয়েছে ন্যায্য-যুক্তিসংগত ও নীতি অনুসারে। তবে নারীদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব পুরুষদের। আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’[২]
আল্লাহ তাআলা এই আয়াতে বর্ণনা করেছেন যে, প্রত্যেকের উপর প্রত্যেকের অধিকার রয়েছে। যদিও আনুগত্য এবং রক্ষনা-বেক্ষন ও অভিভাবকত্বের বিবেচনায় শ্রেষ্ঠত্ব পুরুষদের।
এখানে আমরা স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মাঝে বিরাজমান কিছু গুরুত্বপূর্ণ অধিকার স্তর ও মানের ভিত্তিতে উল্লেখ করছি।
Read More---

সালাম ও তার বিধি-বিধান

Views:

A+ A-

 সালাম ও তার বিধি-বিধান






ভূমিকা


الحمد لله رب العالمين وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له وأشهد أن محمدًا عبده ورسوله  وعلى آله وأصحابه أجمعين، 

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি সমগ্র সৃষ্টিকুলের রব্ব। আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ক ইলাহ নেই তিনি একক তাঁর কোনো শরীক নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল। সালাত ও সালাম নাযিল হোক তার উপর তার পরিবার-পরিজন ও সকল সাহাবীর উপর। 

হে পাঠক ভাইয়েরা! ‘আসসালামু আলাইকুম ওরাহ মাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু’ আল্লাহ তোমাদের দয়া করুক! 

তোমরা অবশ্যই একটি কথা মনে রাখবে, মুসলিমদের মধ্যে সালামের প্রচার-প্রসার ইসলামের একটি মহান ঐতিহ্য ও বিশেষ সৌন্দর্য। আর সালাম পরস্পর সালাম বিনিময় করা একজন মুসলিমের উপর অপর মুসলিমের অধিকার ও দায়িত্ব। এ ছাড়াও সালাম বিনিময় করা ঈমানের জন্য আবশ্যকীয় বিষয়-মুসলিমদের মধ্যে পরস্পর মহব্বত ও ভালোবাসা- যা একজন মুসলিমকে জান্নাতে নিয়ে যায়, তা সৃষ্টির কারণ হয়। যেমন- আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলেন,   

«لا تدخلوا الجنة حتى تؤمنوا، ولا تؤمنوا حتى تحابوا، ألا أدلكم على شيء إذا فعلتموه تحاببتم؟ أفشوا السلام بينكم» رواه مسلم

“তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না। আর ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পরিপূর্ণ ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা একে অপরকে ভালবাসবে না, আর আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি জিনিস বাতলায়ে দেব যা করলে তোমরা পরস্পর পরস্পরকে ভালো বাসবে? এ কথার উত্তরে তিনি বলেন, তোমারা বেশি বেশি করে সালামকে প্রসার কর”। [বর্ণনায় মুসলিম] 

‘আস-সালাম’ আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ হতে একটি অন্যতম নাম এবং এটি জান্নাতের নামসমূহ হতে একটি জান্নাতের নাম। জান্নাতিরা জান্নাতে পরস্পরকে সালাম দ্বারা সম্বোধন করবেন এবং তাদের পরস্পরের শুভেচ্ছা বিনিময় হবে ‘সালাম’। মনে রাখবে, তুমি যখন একজন মুসলিম ভাইকে (السلام عليكم ورحمة الله وبركاته) বললে, এ কথার অর্থ হল, তুমি তোমার একজন মুসলিম ভাইয়ের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি, রহমত ও বরকতের জন্য দো‘আ করলে এবং তার জন্য যাবতীয় কল্যাণ কামনা করলে। সালামের আদান-প্রদান দ্বারা মুসলিমদের পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় ও শক্তিশালী হয় এবং পারস্পরিক মহব্বত বৃদ্ধি পায়। তাদের মধ্য হতে পারস্পরিক হিংসা বিদ্বেষ ও দুশমনি দূর হয়। সালামের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে মিল-মহব্বত ও ভালোবাসার বীজ বপন করা হয়। সালাম ব্যাপক করা দ্বারা একজন মুসলিম বিনয়ী হয়; তার মধ্যে কোন প্রকার অহংকার থাকে না। সে কারো উপর বড়াই করে না। যে ব্যক্তি সালাম দেয়, সে ছোট বড়, ধনী দরিদ্র, সম্মানী অসম্মানী, চেনা অচেনা সবাইকে সালাম দেয়। ফলে তার মধ্যে কোন প্রকার অহংকার থাকতে পারে না। কিন্তু যে অহংকারী সে সবাইকে সালাম দেয় না এবং সবার সালামের উত্তর দেয় না। ইসলামে সালামের অর্থ হল, নিরাপত্তা ও শান্তি। অর্থাৎ, তুমি যখন কোন ব্যক্তিকে সালাম দিলে এবং সে তোমার সালামের উত্তর দিল, এর অর্থ হল, সে তোমার জিম্মাদারী ও নিরাপত্তার অন্তর্ভুক্ত হল। তুমি এখন তার কোন ক্ষতি করবে না এবং তাকে কোন বিপদে ঠেলে দেবে না। সালাম বিনিময় করা ও সালামের উত্তর দেয়া গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও আমরা দেখি অধিকাংশ মানুষ সালাম দেয়া ও সালামের উত্তর দেয়ার বিষয়ে একেবারেই অমনোযোগী; সালাম বিনিময় করার ক্ষেত্রে তারা সম্পূর্ণ উদাসীন। এ সব দিক বিবেচনা করে, মুসলিম ভাইদের সালামের গুরুত্ব, ফযিলত ও সালামের বিধানগুলো স্মরণ করিয়ে দেয়া আমার দায়িত্ব। আমি আমার দায়িত্ব আদায়ের উপলব্ধি থেকে এ পুস্তিকাটিতে সালামের বিধান, ফযিলত ও গুরুত্বসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরছি; যাতে মুসলিম ভাইয়েরা এ দ্বারা উপকৃত হয়। এখানে যে সব বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, সালামকে প্রচার-প্রসার করার নির্দেশ সম্বলিত হাদিস, সালাম দেয়ার নিয়ম, সালাম দেয়ার আদব, একাধিক বার দেখা হলে একাধিক বার সালাম দেয়া উত্তম হওয়া,  ঘরে প্রবেশ করার সময় সালাম দেয়া মোস্তাহাব হওয়া, বাচ্চাদের সালাম দেয়ার প্রচলন, স্বামী তার স্ত্রীকে সালাম দেয়ার বিধান, নারীদের জন্য তার মুহরিম নিকট আত্মীয়কে সালাম দেয়া, কাফের ও অমুসলিমদের সালাম দেয়া হারাম হওয়া এবং তারা সালাম দিলে তার উত্তর দেয়ার নিয়ম, মজলিস থেকে উঠার সময় সালাম দেয়া মোস্তাহাব হওয়া, সাথীদের বিদায় দেয়ার সময় সালাম দেয়া মোস্তাহাব হওয়া, কারো ঘরে প্রবেশ করার পূর্বে অনুমতি চাওয়ার সময় সালামের প্রচলন ও সালাম দেয়ার নিয়ম, অনুমতি প্রার্থনাকারীকে যখন বলা হয়, তুমি কে? সে যেন বলে আমি অমুক, এ বিষয়ের উপর আলোচনা, যখন কোনো ব্যক্তি হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলে, তার উত্তর দেয়া, কারো সাথে দেখা হলে, তার সাথে মুসাফাহা করা ও হাসি মুখে সাক্ষাত করা মুস্তাহাব হওয়া, সালাম দেয়া ও সালামের উত্তর দেয়ার বিধান সম্পর্কে আলোচনা, কোন সময় সালাম দেয়া মাকরূহ তার আলোচনা, কার সালামের উত্তর দিতে হবে, আর কার সালামের উত্তর দিতে হবে না তার বিধান, সালামের উপকারিতা ও ফলাফলের আলোচনা, সালামের সাথে সম্পৃক্ত বিধানগুলোকে কাব্য আকারে আলোচনা করা ইত্যাদি। আমি এ পুস্তিকাটিকে "تذكير الأنام بأحكام السلام" করে নাম রেখেছি। পুস্তিকাটিকে আল্লাহর কালাম, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ এর হাদিস ও ইসলামী শরিয়তের জ্ঞানে সমৃদ্ধ জ্ঞানী গুণী ও গবেষকদের কথা দ্বারা সাজানো হয়েছে। আল্লাহর নিকট আমাদের কামনা, আল্লাহ্ তা‘আলা যেন এ পুস্তিকা দ্বারা আমাদের সবাইকে উপকার পৌছায়। বিশেষ করে, যারা এ কিতাবটি সংকলন করেছেন, চাপিয়েছেন, যারা প্রচার করার জন্য চেষ্টা করেছেন এবং যারা শুনেছেন ও তদনুযায়ী আমল করেছেন। আল্লাহর নিকট আমাদের প্রার্থনা এই যে, আল্লাহ যেন, আমাদের এ রিসালাটিকে তার সন্তুষ্টির কারণ হিসেবে আখ্যায়িত করেন, আল্লাহর জান্নাত লাভে ধন্য হওয়ার উপকরণ বা মাধ্যম বানায়। তিনিই আমাদের বিধায়ক, তিনিই সর্বোত্তম অভিভাবক। আমাদের নিজেদের কোন ক্ষমতা বা শক্তি নাই। যাবতীয় শক্তি ও ক্ষমতা কেবলই আল্লাহর। আর সালাত ও সালাম নাযিল হোক আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ এর উপর, তার পরিবার পরিজনের উপর এবং তার সমগ্র সাহাবীদের উপর। 
সংকলক
4/ 4/ 1411 হিজরী

Read More---

পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের কর্তব্য

Views:

A+ A-

 পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের কর্তব্য



পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের কর্তব্য

এ পৃথিবীর বুকে পিতা-মাতার সম্মান ও মর্যাদা নিঃসন্দেহে শীর্ষস্থানীয়। মহান আল্লাহ সমগ্র বিশ্ববাসীর একমাত্র উপাস্য ও অভিভাবক। আর পিতা-মাতা হ’ল শুধু তার সন্তানদের ইহকালীন জীবনের সাময়িক অভিভাবক। সুতরাং সন্তানদের কাজ হ’ল, মহান স্রষ্টা ও পালনকর্তা আল্লাহ তা‘আলার যাবতীয় হুকুমের সাথে পিতা-মাতার প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করা ও তাদের মান্য করা। সন্তান জন্মের পর বাল্য, শৈশব বা কৈশোর পর্যন্ত পিতা-মাতার তত্ত্বাবধানেই থাকে এবং সম্পূর্ণ অনুগত থাকে। অতঃপর যৌবনে ও সংসার জীবনের কোন কোন ক্ষেত্রে পিতা-মাতার সঙ্গে তার সন্তানদের মতভিন্নতা দেখা দিতে পারে, এটা স্বাভাবিক। সেজন্য মহাজ্ঞানী আল্লাহ তা‘আলা পিতা-মাতার সঙ্গে তার সন্তানদের বাল্য জীবনের ভালবাসার ন্যায়ই সারা জীবন তা মযবূত ও বহাল রাখার আদেশ দিয়েছেন। মহান আল্লাহ বলেন, 

Read More---

পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার

Views:

A+ A-

 পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার



পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার

“তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং তার সাথে কাউকে শরীক কর না আর পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার কর।” (সূরা নিসাঃ ৩৬)।


দীর্ঘ দিন সীমাহীন কষ্ট ও অবর্ণনীয় যাতনা সহ্য করে মা সন্তানকে গর্ভে ধারণ করেন। মায়ের পেটে সন্তান যতই বৃদ্ধি পেতে থাকে তার কষ্টের মাত্রা ততই বাড়তে থাকে। মৃত্যু যন্ত্রনা পার হয়ে যখন সন্তান ভূমিষ্ট হয় তখন এ নবজাতককে ঘিরে মায়ের সব প্রত্যশা এবং স্বপ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে। এই নবজাতকের ভিতর সে দেখতে পায় জীবনের সব রূপ এবং সৌন্দর্য। যার ফলে দুনিয়ার প্রতি তার আগ্রহ এবং সম্পর্ক আরো গভীরতর হয়। পরম আদর-যত্নে সে শিশুর প্রতিপালনে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে। নিজের শরীরের নির্যাস দিয়ে তার খাবারের ব্যাবস্থা করে। নিজে কষ্ট করে তাকে সুখ দেয়। নিজে ক্ষুর্ধাত থেকে তাকে খাওয়ায়। নিজে নির্ঘূম রাত কাটায় সন্তানের ঘুমের জন্য। মা পরম আদর আর সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে সন্তানকে ঘিরে রাখে সর্বক্ষণ। সন্তান কোথাও গেলে আল্লাহর নিকট দুআ করে যেন তার সন্তান নিরাপদে ঘরে ফিরে আসে। সন্তানও যে কোন বিপদে ছুটে আসে মায়ের কোলে। পরম নির্ভরতায় ভরে থাকে তার বুক। যত বিপদই আসুক না কেন মা যদি বুকের সাথে চেপে ধরে কিংবা স্নেহ মাখা দৃষ্টিতে একবার তাকায় তাহলে সব কষ্ট যেন নিমিষেই উধাও হয়ে যায়। এই হল মা।

আর পিতা? তাকে তো সন্তানের মুখে এক লোকমা আহার তুলে দেয়ার জন্য করতে হয় অক্লান্ত পরিশ্রম। মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়। সহ্য করতে হয় কতধরণের কষ্ট এবং ক্লেশ। সন্তানের জন্যই তো তাকে কখনো কখনো কৃপনতা করতে হয়। কখনো বা ভীরুতার পরিচয় দিতে হয়। সন্তান কাছে গেলে হাঁসি মুখে তাকে বুকে টেনে নেয়। তার নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য সে যে কোন ধরণের বিপদের সম্মুখীন হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। ইত্যাদি কারণে আমাদের অস্তিতের প্রতিটি কোণা পিতা-মাতার নিকট ঋণী। আর তাই তো আল কুরআনে আল্লাহ তা’আলার ইবাদতের পরই পিতা-মাতার প্রতি সদাচারণ করার কথা উচ্চারিত হয়েছে বার বার। ইরশাদ হচ্ছেঃ

Read More---

যিনি তার মৃত পিতাকে ভালবাসেন এবং তাঁর প্রতি ইহসান করতে চান

Views:

A+ A-

 যিনি তার মৃত পিতাকে ভালবাসেন এবং তাঁর প্রতি ইহসান করতে চান



যিনি তার মৃত পিতাকে ভালবাসেন এবং তাঁর প্রতি ইহসান করতে চান

প্রশ্ন: আমি আপনার কাছে এ প্রশ্নটি পাঠাচ্ছি ঠিক কিন্তু আমার পিতা (আল্লাহ্‌র তাঁকে দয়া করুন)-এর ব্যাপারে উদ্বিগ্নতা আমাকে তাড়িত করছে। আমার পিতা মারা গেছেন দুই বছর হল। বিশ্ব জাহানের প্রতিপালকের অধিকার আদায়ে তাঁর কসুর ছিল। যেমন- 
১. তিনি নিয়মিত ফরয নামায আদায় করতেন না। কখনও নামায পড়তেন। কখনও অলসতা করে নামায পড়তেন না। কিন্তু, নামাযের ফরযিয়তকে অস্বীকার করতেন না। 
২. তিনি খুব কম সময় রমযানের রোযা রাখতেন। তিনি যুক্তি দিতেন যে, তিনি অসুস্থ। তাকে হার্টের ঔষুধ খেতে হয়, তিনি দুর্বল রোযা রাখতে পারেন না। তিনি ধুমপায়ী ছিলেন। আমার ধারণা তিনি যেহেতু ধুমপান বাদ দিতে পারতেন না তাই নিয়মিত রোযা রাখতেন না। 
৩. দীর্ঘদিন আগে আমাদের একটি মুদি দোকান ছিল। আমার জানা মতে ও যতটুকু আমার স্মরণে আছে তিনি দোকানের পণ্য সামগ্রীর যাকাত আদায় করতেন না। আমাদের আর্থিক সংকট ছিল। ব্যবসাতে আমরা লাভবান হতে পারিনি। তাই পরবর্তীতে আমরা দোকানটি বিক্রি করে দিয়েছি। 
৪. কখনও তিনি হয়তো এমন পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন যা দিয়ে হজ্জ করতে পারতেন; কিন্তু তিনি হজ্জ আদায় করেননি। তিনি সব সময় আমাকে বলতেন: আমি হজ্জে যেতে চাই; কিন্তু পারছি না। কারণ তাঁর দুই চোখে জটিল সমস্যায় ভুগতেন। তাকে ভিড়, সূর্যের আলো ও ক্লান্তি এড়িয়ে চলতে হত। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর কিছু লোক তাঁর পক্ষ থেকে বদলি হজ্জ আদায় করেছেন। আমার মনে হয় আলাদা আলাদাভাবে তারা তিনজন। তারা কেউ তাঁর আত্মীয়-স্বজন নয়। 
আমি আমার বাবাকে অনেক ভালবাসি। যারাই বাবার সাথে পরিচিত হয়েছেন সবাই তাকে ভালবাসতেন। তাই আমি আপনাদের কাছে প্রত্যাশা করি, বাবার প্রতি আমার সদাচরণ হিসেবে আমি এখন কী করতে পারি? আমি তাকে ভালবাসি। তার ব্যাপারে কবরের আযাব ও কিয়ামত দিবসের আযাবের আশংকা করছি।

উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।
Read More---

সোনামণিদের হাদীস শিক্ষা আসর-১

Views:

A+ A-

 সোনামণিদের হাদীস শিক্ষা আসর-১



পূর্বকথা
ঘুমিয়ে আছে জাতির পিতা সব শিশুরই অন্তরে। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত। শিশুদের হাতেই নির্মিত হবে আমাদের আগামীর দিনগুলো। কথাগুলো আমরা প্রায়ই বলে থাকি। এসব বাক্য থেকে শিশুদের সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে গড়ে তোলার গুরুত্ব সহজেই অনুমেয়। এরা যদি যোগ্য, নৈতিকতাসম্পন্ন ও আদর্শে বলীয়ান হয়ে গড়ে ওঠে তাহলে আমাদের ভবিষ্যত আলোকিত হবে। অন্যথায় তা হবে তমসাপূর্ণ।
শিশুদের মেধার সুষ্ঠু বিকাশ ও নৈতিকতার উন্মেষ ঘটাতে সবচেয়ে জরুরী তাদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। তাদের পর্যাপ্ত সুস্থ বিনোদন ও নির্মল পঠনসামগ্রীর ব্যবস্থা করা। এতে ব্যর্থ হলে তারা ছুটবে অসুস্থ জগতে। বিশেষত অবাধ অনলাইন প্রযুক্তির বদৌলতে আজকাল শিশুদের ভবিষ্যত হুমকির মুখে। দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলা সাহিত্যে সবচেয়ে বেশি অভাব দেখা যায় নৈতিকতাসম্পন্ন শিশুসাহিত্যের। এ অভাব ঘুচানোর সামান্য প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই এ পুস্তিকা রচনা মাথায় আসে
শিশুদের আদর্শ জীবন গড়ার সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও স্বার্থক পাথেয় রয়েছে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ গুণাবলিসম্পন্ন মানুষ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস ভাণ্ডারে। তাই শিশুদের জন্য নৈতিকতার পাঠসম্বলিত হাদীসের পাঠ সিরিজের আয়োজন। সেই সিরিজের এটি প্রথম বই। আল্লাহর রহমত প্রলম্বিত হলে অচিরেই সিরিজের পরবর্তী বইগুলোও আলোর মুখ দেখবে।
সাহিত্য বোধসম্পন্ন বলতেই জানেন, সাহিত্যের সবচেয়ে কঠিন ও অনায়াস শাখার অপর নাম শিশুতোষ রচনা। অনেকে চেষ্টা করেও এতে সফল হতে পারেননি। তাদের তুলনায় আমি আরও অযোগ্য। তবুও আমার সদিচ্ছা ও চেষ্টা যদি আল্লাহ কবুল করেন, তাহলে অযোগ্যের জন্য যোগ্যতর হওয়া বিচিত্র কিছু নয়।
এ ধরনের বইয়ের বহুল প্রচার দরকার। কোনো উদ্যোগী প্রকাশক এগিয়ে এলে দ্রুত বইটি শেষ করে তার হাতে তুলে দিতে পারতাম। কিংবা যে কোনো দীনের প্রচারকামী নেককার ভাই-বোন প্রকাশের খরচের ভার নিলে ব্যক্তিগত উদ্যোগেও এটি প্রকাশ করা যাবে। আল্লাহ আমাদের সকল নেক আমল কবুল করুন। 

আলী হাসান তৈয়ব
মুঠোফোন : ০১৯১৩১৮৬৩৭২
alihasantaib@gmail.com



প্রতিবেশিকে কষ্ট দিও না

আবূ শুরাইহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিতরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«وَاللَّهِ لاَ يُؤْمِنُ، وَاللَّهِ لاَ يُؤْمِنُ، وَاللَّهِ لاَ يُؤْمِنُ» قِيلَ: وَمَنْ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «الَّذِي لاَ يَأْمَنُ جَارُهُ بَوَايِقَهُ»
আল্লাহর শপথ সে মুমিন নয়, আল্লাহর শপথ সে মুমিন নয়, আল্লাহর শপথ সে মুমিন নয় জিজ্ঞেস করা হলো হে আল্লাহর রাসূল কে মুমিন নয়রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনযার অনিষ্ট থেকে তার প্রতিবেশি নিরাপদ নয়’ [বুখার : ৬০১৬]
Read More---

শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪

নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নামায আদায়ের পদ্ধতি

Views:

A+ A-

 নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নামায আদায়ের পদ্ধতি




নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নামায আদায়ের পদ্ধতি

মূল আরবীঃ মহামান্য শায়খ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (রাহেমাহুল্লাহ) 
সাবেক প্রধান, ইসলামী গবেষণা,ইফ্‌তা, দাওয়াত ও এরশাদ বিভাগ, রিয়াদ
অনুবাদক : আব্দুন্‌ নূর বিন আব্দুল জব্বার
সম্পাদনা : যাকের হুসাইন বিন ওরাসাতুল্লাহ
সূত্র : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ - ইসলামী গ্রন্থাগার : http://www.islamicbook.ws

(لسماحة الشيخ : عبد العزيز بن عبد الله بن باز (رحمه الله
ترجمه : عبد النور بن عبد الجبار
راجعه: ذاكر حسين

الحمد لله وحده والصلاة والسلام على عبده ورسوله محمد وآله وصحبه ،،،
যাবতীয় প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য এবং দরূদ ও ছালাম বর্ষিত হোক তাঁর বান্দাহ ও তাঁর রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম , তাঁর পরিবার-পরিজন এবং সাহাবাগণের প্রতি।
আমি প্রত্যেক মুসলমান নারী ও পুরুষের উদ্দেশ্যে নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নামায আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্তাকারে বর্ণনা করতে ইচ্ছা করছি। এর উদ্দেশ্য হলো যে, যাঁরা পুস্তিকাটি পাঠ করবেন তাঁরা যেন প্রত্যেকেই নামায পড়ার বিষয়ে নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুসরণ করতে পারেন। এ সম্পর্কে নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন :
( صَلُّوْا كَمَا رَأَيْتُمُوْنِيْ أُصَلِّيْ ) رواه البخاري
অর্থঃ "তোমরা সেভাবে নামায আদায় কর, যে ভাবে আমাকে নামায আদায় করতে দেখ।" বুখারী

* পাঠকের উদ্দেশ্যে (নিম্নে) তা বর্ণনা করা হলো :-


১. সুন্দর ও পরিপূর্ণভাবে ওযু করবে : 
আল্লাহ্‌ পাক কুরআনে যে ভাবে ওযু করার নির্দেশ প্রদান করেছেন সে ভাবে ওযু করাই হলো পরিপূর্ণ ওযু। আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা এ সম্পর্কে এরশাদ করেন :
]يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُواْ إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلاةِ فاغْسِلُواْ وُجُوْهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُواْ بِرُؤُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ [ (৬) المائدة
অর্থঃ" হে মুমিনগণ! যখন তোমরা নামাযের উদ্দেশ্যে দন্ডায়মান হও তখন (নামাযের পূর্বে) তোমাদের মুখমন্ডল ধৌত কর এবং হাতগুলোকে কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নাও, আর মাথা মসেহ কর এবং পা গুলোকে টাখনু পর্যন্ত ধুয়ে ফেল।" [সূরা মায়েদাহ - ৬] এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ হলো :
Read More---

সালাতের আহকাম ও পদ্ধতি

Views:

A+ A-

সালাতের আহকাম ও পদ্ধতি


সালাতের আহকাম ও পদ্ধতি


সালাতের শর্তাবলি:

সালাতের শর্ত নয়টি।

এক : মুসলমান হওয়া :
সালাত ছাড়াও অন্যান্য যে কোন ইবাদতের ক্ষেত্রেই মুসলমান হওয়া পূর্বশর্ত। মুসলমান বলতে উদ্দেশ্য হল, যে ব্যক্তি আল্লাহকে রব হিসেবে বিশ্বাস করে এবং মুহাম্মদ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -কে রাসূল বলে স্বীকৃতি প্রদান, আর ইসলামকে একমাত্র দ্বীন বলে মনে-প্রাণে গ্রহণ করে। অবিশ্বাসীর যাবতীয় ইবাদত প্রত্যাখ্যাত । অবিশ্বাসীদের কোন ইবাদতই আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য নয়, যদিও তারা জমিনভর স্বর্ণ কল্যাণকর কাজে ব্যয় করে। আল্লাহ তাআলা বলেন :
وَقَدِمْنَا إِلَى مَا عَمِلُوا مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنَاهُ هَبَاءً مَنْثُورًا .الفرقان :23
আমি তাদের কৃতকর্মগুলো বিবেচনা করব, অতঃপর সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধুলি-কণায় পরিণত করব। (সূরা আল-ফুরকান : ২৩)

দুই : বুঝার বয়সে উপনীত হওয়া:
বুঝার মত বয়সে উপনীত হওয়া হল শরীয়তের বিধানাবলী উপলব্ধি ও গ্রহণ করার একমাত্র উপায়। জ্ঞানহীন ব্যক্তির উপর শরীয়তের কোন বিধানই ওয়াজিব নয়। প্রমাণ :রাসূল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন :
رفع القلم عن ثلاثة: النائم حتى يستيقظ والمجنون حتى يفيق والصغيرحتى يكبر. رواه الترمذى:1343
তিন ব্যক্তি দায়মুক্ত, তাদের কোন গুনাহ লিখা হয় না। ক-ঘুমন্ত ব্যক্তি ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া পর্যন্ত। খ-পাগল সুস্থ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত।গ-ছোট বাচ্চা বড় হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত। (তিরমিযি:১৩৪৩)
Read More---

সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী

Views:

A+ A-

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী


আল্লাহ তাআলা বলেন,
﴿إِنَّ ٱللَّهَ وَمَلَٰٓئِكَتَهُۥ يُصَلُّونَ عَلَى ٱلنَّبِيِّۚ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ صَلُّواْ عَلَيۡهِ وَسَلِّمُواْ تَسۡلِيمًا ٥٦﴾ (الاحزاب: ٥٦) 
“নিশ্চয় আল্লাহ ও তাঁর ফিরিশতাগণ নবীর নবীর প্রতি সালাত-দরুদ পেশ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি সালাত পেশ করো এবং তাঁকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।” (সূরা আহযাব ৫৬ আয়াত)
1/1405 وَعَنْ عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاص، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: أَنَّه سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: «مَنْ صَلَّى عَلَيَّ صَلاَةً، صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ بِهَا عَشْراً» . رواه مسلم
১/১৪০৫। ‘আব্দুল্লাহ ইবনে ‘আমর ‘আস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিততিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, “যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করবেআল্লাহ তার দরুন তার উপর দশবার দুরুদ পাঠ করবেন।” (মুসলিম) [1]


2/1406 وَعَنِ ابنِ مَسعُود رضي الله عنه:أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «أَوْلَى النَّاسِ بِي يَومَ القِيَامَةِ أَكْثَرُهُمْ عَلَيَّ صَلاَةً» . رواه الترمذي، وقال: حديث حسن .
২/১৪০৬। ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিতরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কিয়ামতের দিন সেই ব্যক্তি সব লোকের চাইতে আমার বেশী নিকটবর্তী হবেযে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী আমার উপর দরূদ পড়বে।” (তিরমিযীহাসান) [2]
Read More---

বিত্‌র নামায

Views:

A+ A-

 বিত্‌র নামায




বিত্‌র নামায সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। এ নামায আদায় করতে মহানবী (সাঃ) উম্মতকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করতেন। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, ‘বিত্‌র ফরয নামাযের মত অবশ্যপালনীয় নয়; তবে আল্লাহর রসূল (সাঃ) তাকে সুন্নতের রুপদান করেছেন; তিনি বলেছেন, “অবশ্যই আল্লাহ বিত্‌র (জোড়হীন), তিনি বিত্‌র (জোড়শূন্যতা বা বেজোড়) পছন্দ করেন। সুতরাং তোমরা বিত্‌র (বিজোড়) নামায পড়, হে আহলে কুরআন!” (আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, নাসাঈ, সুনান, ইবনে মাজাহ্‌, সুনান, ইবনে খুযাইমাহ্‌, সহীহ, সহিহ তারগিব ৫৮৮নং)

বনী কিনানার মুখদিজী নামক এক ব্যক্তিকে আনসার গোত্রের আবূ মুহাম্মাদ নামক এক লোক বলল যে, বিতরের নামায ওয়াজেব। এ কথা শুনে সাহাবী উবাদাহ্‌ বিন সামেত (রাঃ) বললেন, ‘আবূ মুহাম্মাদ ভুল বলছে।’ আমি আল্লাহর রসূল (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি, “পাঁচ ওয়াক্ত নামায আল্লাহ বান্দাগণের উপর ফরয করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি তা যথার্থরুপে আদায় করবে এবং তাতে গুরুত্ব দিয়ে তার কিছুও বিনষ্ট করবে না, সেই ব্যক্তির জন্য আল্লাহর এই প্রতিশ্রুতি আছে যে, তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আর যে ব্যক্তি তা আদায় করবে না, সে ব্যক্তির জন্য আল্লাহর কোন প্রতিশ্রুতি নেই। তিনি ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তি দেবেন, নচেৎ ইচ্ছা হলে জান্নাতেও দিতে পারেন।” (মালেক, মুঅত্তা, আবূদাঊদ, সুনান, নাসাঈ, সুনান, ইবনে হিব্বান, সহীহ, সহিহ তারগিব ৩৬৩ নং)

মহানবী (সাঃ) সওয়ারীর উপর বিতরের নামায পড়েছেন। (বুখারী, মুসলিম,  সুনানু আরবাআহ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ্‌) দারাক্বুত্বনী, সুনান ১৬১৭নং)  অথচ ফরয নামাযের সময় তিনি সওয়ারী থেকে নেমে কিবলামুখ করতেন। (আহমাদ, মুসনাদ, বুখারী)
Read More---

বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

তারাবীহ -এর সালাতের রাক্‌‘আত সংখ্যা

Views:

A+ A-

 তারাবীহ -এর সালাতের রাক্‌‘আত সংখ্যা



তারাবীহ -এর সালাতের রাক্‌‘আত সংখ্যা

প্রশ্ন : আমি প্রশ্নটি আগেও করেছিলাম। আশা করি এর উত্তর দিয়ে আমাকে উপকৃত করবেন কারণ আমি এর কোনো সন্তোষজনক জবাব পাই নি। প্রশ্নটি হলো তারাবীহ সম্পর্কে, তা কি ১১ রাক্‌‘আত নাকি ২০ রাক্‌‘আত? সুন্নাহ মতে তো তা ১১ রাক্‌‘আত । শাইখ আল-আলবানী –রহিমাহুল্লাহ –“আল-ক্বিয়াম ওয়া আত-তারাউয়ীহ”-বইতে বলেছেন (তা) ১১ রাক্‌‘আত । কেউ কেউ সেই মাসজিদে যায় যেখানে ১১ রাক্‌‘আত সালাত  আদায় হয়, আবার অনেকে সেই মাসজিদে যায় যেখানে ২০ রাক্‌‘আত সালাত আদায় হয়। তাই এই মাসআলাটি এখানে যুক্তরাষ্ট্রে সংবেদনশীল হয়ে গেছে। যে ১১ রাক্‌‘আত সালাত আদায় করে সে ২০ রাক্‌‘আত সালাত আদায়কারীকে দোষারোপ করে; আবার এর বিপরীতটিও হয়। তাই (এই ব্যাপারটি নিয়ে) ফিতনাহ সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি আল-মাসজিদ আল-হারামেও ২০ রাক্‌‘আত সালাত  আদায় করা হয়।
কেন আল-মাসজিদ আল-হারাম ও আল-মাসজিদ আন-নাবাউয়ীতে সুন্নাহ থেকে বিপরীত করা হয়? কেন তারা আল-মাসজিদ আল-হারাম ও আল-মাসজিদ আন-নাবাউয়ী-তে ২০ রাক্‌‘আত তারাউয়ীহ-এর সালাত  আদায় করেন?

উত্তর : সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
আমরা মনে করি না যে ‘আলিমগণের মধ্যে ইজতিহাদী মাসআলাসমূহ নিয়ে একজন মুসলিমের এ ধরনের সংবেদনশীল আচরণ করা উচিত যা মুসলিমদের মাঝে বিভেদ ও ফিতনাহ সৃষ্টির কারণ হয়।


যে ব্যক্তি ইমামের সাথে ১০ রাক্‌‘আত আদায় করে উইতর (বিতর)-এর সালাতের অপেক্ষায় বসে থাকে এবং ইমামের সাথে তারাউয়ীহর সালাত পূর্ণ করে না, তার সম্পর্কিত মাস‘আলাহর ব্যাপারে বলতে গিয়ে শাইখ ইবনু ‘উসাইমীন রহিমাহুল্লাহ উল্লেখ করেন :
“এটি খুবই দুঃখজনক যে আমরা এই উন্মুক্ত ইসলামী উম্মাহর মধ্যে এমন একটি দল দেখি যারা ভিন্ন মতের সুযোগ আছে এমন ব্যাপার নিয়ে বিভেদের সৃষ্টি করে। এর ফলে তারা সেই ভিন্ন মতকে অন্তরসমূহের বিভেদের কারণ বানিয়ে দেয়। সাহাবীদের সময় থেকেই এই উম্মাতের মাঝে ভিন্ন মত ছিল, কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁদের অন্তরসমূহ ছিল ঐক্যবদ্ধ।
Read More---

রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩

ছহীহ্‌ সুন্নাহ্‌র আলোকে বিতর নামায

Views:

A+ A-

 ছহীহ্‌ সুন্নাহ্‌র আলোকে বিতর নামায

ছহীহ্‌ সুন্নাহ্‌র আলোকে বিতর নামায

সূচীপত্র
                                                                    
বিষয়:
ভূমিকা
বিতর নামাযের গুরুত্ব ও ফযীলত 
বিতর নামায কি ওয়াজিব না সুন্নাত?
বিতর নামায ওয়াজিব নয় তার দলীল
বিতর নামাযকে ওয়াজিব বলার পক্ষে দলীল এবং তার জবাব।
বিতর নামাযের সময়
বিতর নামাযের রাকাত সংখ্যা ও তার পদ্ধতি
ক) এক রাকাত বিতর
খ) তিন রাকাত বিতর
মাগরিবের মত তিন রাকাত বিতর পড়া
গ) পাঁচ রাকাত বিতর
ঘ) সাত রাকাত বিতর
ঙ) নয় রাকাত বিতর
চ) এগার রাকাত বিতর
ছ) তের রাকাত বিতর
বিতরে কোন সূরা পাঠ করবে
দুআ ক্বনূতের বিবরণ
দুআ ক্বনূত রুকূর আগে না পরে?
ফরয নামাযে ক্বনূত
ক্বনূত পাঠ করার সময় কোন দুআ পড়বে?
দুআ কুনুতের সময় তাকবীর দেয়া ও তাকবীরে তাহরীমার মত দু’হাত উত্তোলন
দু’হাত তুলে দুআ ক্বনূত পড়া
দুআ ক্বনূত না জানলে
বিতর নামায শেষ করলে
বিতরের পর নামায পড়া
বিতর নামাযের কাযা
একরাতে দু’বার বিতর পড়া
পরিশেষে
তথ্যসূত্র
Read More---

শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৩

রমযানে কিয়ামুল লাইলের বিধান

Views:

A+ A-

 রমযানে কিয়ামুল লাইলের বিধান



রমযানে কিয়ামুল লাইলের বিধান

সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি নিজ দয়ায় সামনে অগ্রসরমান পাগুলোকে সাহায্য করেন, আপন করুণায় ধ্বংসপ্রায় জীবনগুলোকে উদ্ধার করেন এবং যাকে তিনি ইচ্ছা করেন তাকে সহজতর পথ জান্নাতের রাস্তাকে সহজ করে দেন, ফলে তাকে আখিরাতের প্রতি আগ্রহী করে তোলেন। আমি তাঁর স্তুতি গাই তাবৎ সুস্বাদ ও বিস্বাদ বিষয়ের জন্য।
আমি সাক্ষ্য প্রদান করি যে একমাত্র তিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই; তাঁর কোনো অংশীদার নেই, তিনি সম্মান ও প্রতিপত্তির অধিকারী; প্রতিটি অন্তরই (তাঁর সামনে) লাঞ্ছিত ও দুর্দশাগ্রস্ত। আর আমি আরও সাক্ষ্য দেই যে মুহাম্মদ তাঁর বান্দা ও রাসূল, তিনি প্রকাশ্যে ও গোপনে আপন রবের নির্দেশ বাস্তবায়ন করেছেন। 
Read More---

তারাবীহ -এর সালাতের রাক্‌‘আত সংখ্যা

Views:

A+ A-

 তারাবীহ -এর সালাতের রাক্‌‘আত সংখ্যা



তারাবীহ -এর সালাতের রাক্‌‘আত সংখ্যা

প্রশ্ন : আমি প্রশ্নটি আগেও করেছিলাম। আশা করি এর উত্তর দিয়ে আমাকে উপকৃত করবেন কারণ আমি এর কোনো সন্তোষজনক জবাব পাই নি। প্রশ্নটি হলো তারাবীহ সম্পর্কে, তা কি ১১ রাক্‌‘আত নাকি ২০ রাক্‌‘আত? সুন্নাহ মতে তো তা ১১ রাক্‌‘আত । শাইখ আল-আলবানী –রহিমাহুল্লাহ –“আল-ক্বিয়াম ওয়া আত-তারাউয়ীহ”-বইতে বলেছেন (তা) ১১ রাক্‌‘আত । কেউ কেউ সেই মাসজিদে যায় যেখানে ১১ রাক্‌‘আত সালাত  আদায় হয়, আবার অনেকে সেই মাসজিদে যায় যেখানে ২০ রাক্‌‘আত সালাত আদায় হয়। তাই এই মাসআলাটি এখানে যুক্তরাষ্ট্রে সংবেদনশীল হয়ে গেছে। যে ১১ রাক্‌‘আত সালাত আদায় করে সে ২০ রাক্‌‘আত সালাত আদায়কারীকে দোষারোপ করে; আবার এর বিপরীতটিও হয়। তাই (এই ব্যাপারটি নিয়ে) ফিতনাহ সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি আল-মাসজিদ আল-হারামেও ২০ রাক্‌‘আত সালাত  আদায় করা হয়।
কেন আল-মাসজিদ আল-হারাম ও আল-মাসজিদ আন-নাবাউয়ীতে সুন্নাহ থেকে বিপরীত করা হয়? কেন তারা আল-মাসজিদ আল-হারাম ও আল-মাসজিদ আন-নাবাউয়ী-তে ২০ রাক্‌‘আত তারাউয়ীহ-এর সালাত  আদায় করেন?

উত্তর : সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
আমরা মনে করি না যে ‘আলিমগণের মধ্যে ইজতিহাদী মাসআলাসমূহ নিয়ে একজন মুসলিমের এ ধরনের সংবেদনশীল আচরণ করা উচিত যা মুসলিমদের মাঝে বিভেদ ও ফিতনাহ সৃষ্টির কারণ হয়।

যে ব্যক্তি ইমামের সাথে ১০ রাক্‌‘আত আদায় করে উইতর (বিতর)-এর সালাতের অপেক্ষায় বসে থাকে এবং ইমামের সাথে তারাউয়ীহর সালাত পূর্ণ করে না, তার সম্পর্কিত মাস‘আলাহর ব্যাপারে বলতে গিয়ে শাইখ ইবনু ‘উসাইমীন রহিমাহুল্লাহ উল্লেখ করেন :
Read More---