Views:
A+
A-
প্রথমত। সুন্নাহ কাওলী বা মৌখিক আসন :
দ্বিতীয়ত সুন্নাহ ফি ' বা কর্মগত সদস্য :
দুই. নারীদের জন্যে তা ' আলার শুকরিয়া জ্ঞাপন করা । কেননা , মহিলারাই সেরা মত । আর এ সন্তান পার্থিব জীবনের জন্য । আল্লাহ তা'আলা বলেন ,
তিন. গাছ আছে নারীদের মুক্তি এবং তার আওতা প্রদান । যেমন আল্লাহ তা'আলা ইসমাঈল যবীহের ভিড়া কুরবানী দেন । জাহেলী যুগের পরও এটা কর এবং তারা এটাকে আকীকা বলত । আর শিশুর তারা রক্ত লাগায় । ইসলাম সেই নিয়মগুলিকে সমর্থন করে এবং নবজাতকের রক্ত লাগানো ব্যর্থ করে দেয় ।
আরও এ কথার সংবাদ ও প্রকাশের জন্য একজন ব্যক্তি তার পিতার এবং সন্তানের নাম অমুক পক্ষ হয়েছে । ফলে তার পরিজন , প্রতিবেশি ও বন্ধ-বান্ধব এ সংবাদ জানাবে এবং তাকে মোকারবাদ জানাবে । সৌহার্দ্য ও ভালোবাসা বন্ধন সুদৃঢ় হবে ।
পঞ্চম টার্গেট ইসলামের সামাজিক সংগঠনগুলি একটি প্রকারের অনুশীলন হয় । কেননা , তার সন্তানের সন্তানের জন্য আকীকা হিসাবে পশু জবাই করেন এবং তা বন্ধ-বান্ধব , প্রতিবেশি ও গরীব-মিসকিনদের জন্য তাদের পরামর্শ দেন । আর এটি গরীবদের অভাব মোচন কম মাত্রায় গণনাকারী গঠন ও দারিদ্র্য ।
দ্বিতীয় আকীকার অধিকার ও এর বর্জ্যসংক্রান্ত নীতি
আকীকা এবং এ সংক্রান্ত কিছু বিধান
আকীকা এবং এ সংক্রান্ত নীতিবালি
যে সুন্নত তাৎপর্য অনেক কিন্তু আমরা তার প্রতি গুরুত্ব দেই না আকীকা তার। ইসলাম কাল আসা আসা এই পূর্বের পূর্বের সাথে আপনার সামনে খোলা ওয়াসাল্লাম থেকে উত্তর দিয়েছেন। তিনি একটি নকশা তৈরি করেছেন, নিজে নিজে এবং অন্যদের বুদ্ধ করেছেন। কিন্তু সুন্নতি আজ বিস্মৃতপ্রায়। গণগণের অমলবাদ দিয়ে এর খাকে অংশে সংগঠিত করেছেন বিজাতীয় পরিস্কারাচ্ছন্ন শান্তি ও কুশল।
মহিলা ইসলামী মনস্তত্ত্ব আগাইয়া আকীকার গুরুত্ব অপরিসিম। এর প্রতি আমরা উন্নাসিকতা পুলিশি বিপদ নিজের ডেকে আনছি। অনেকটা অংশের ইঙ্গিত যেমন অনুমিত হয়, এর সঙ্গে শিশু পার্থিব ও অপার্থিব কল্যাণের সমষ্টি। আমরা নতুন জাতকের এটা-সেটা রোগ-বালাই যেমন থাকে। রোজই তার চিকিৎসার অধিকার, ব্যবহার করতে অনেক পথ অর্থ বাধ্য করতে হয়। হাজার টাকা আমরা অসন্তুষ্টি আর অভিযোগ নিয়ে শিশুসুখ-বিসুখের অক্ষর একাংশ করতে পারি আমি আকীকার মতো একটি আমল করতে না পারি, একটি বাদুটি ছাগল জবাইয়ের মাধ্যমে। যার মাধ্যমে অনেক বিপদাপদ পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে আমাদের প্রিয় আত্মজ।
সাধারণ ইসলাম তোকে নস্যি মোমুটিহীনদার ও আদর্শের আদর্শ অনুশীলনকারী ভাইয়েরা এ সুন্নতকে বড় অযত্নদ উপেক্ষা করেন। সতর্কতা ও তাৎপর্য সম্পর্কে না জানার কারণে অথবা যাপিত সদস্যদের সুন্নতের প্রতি উদাসীনতার অংশ হিসেবে। আমাদের ক্ষমা করুন।
এ পোর্টালের মাধ্যমে আমি আমাদের অনাদর ও উপক্ষায় অনালোচিত ও অচর্চিত এই সুন্নতের কথাই কথা বলে দেবার প্রয়াস চাই। গভীর বিন্যাসে আমি এ সংক্রান্ত বেশ- কিছু বিষয় ধরতে চেয়েছি। এ ক্ষেত্রে আমি বিভিন্ন নথিপত্রের সাহায্য নিয়েছি। বিশেষভাবে কিতাবটির কথায় অকৃতজ্ঞতার ডক্টর দেওয়া হয়, তাহা- হিসামুদ্দীন আফানা মুসলিম সংকলিত 'আহমুল আকীকা' নামক গ্রন্থ । এই চলুন মূল আলোচনা করা
আকীকা কাকে বলে:
আকী শব্দের অর্থ কাটা , সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে তাকে জবাই করা হয় তাকে আকী বলে । চাই তা তোমার ছেলে বা মেয়ে । কেননা , এ প্রাণীর হলক পালন করা সম্ভব ।
প্রাক-ইসলামী যুগে আকীকা
আকীকার প্রথা জাহেলী যুগের অংশ ছিল । মাওয়ারদী বলেন , ' আকী বলা হয় ছেলে ছাগলকে ইসলাম পূর্বযুগে আরবা যা নারী ভূমিষ্ট হলে জবাই কর । '
অলীউল্লাহ দেহলভী রহ. তিনি বলেন , ' আপনার নিজের , পরিবারের সদস্যরা তাদের সন্তানেরা আকী করতো । আকীকা তাদের গুরুত্বপূর্ণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং সুন্নতে মুয়াক্কাদা ছিল । স্থাপনা ছিল ধর্ম , নাগরিক ও আত্মিক অনেক নীতিগত দিক । টার্গেট উন্মুক্ত এলাকা ওয়াসাল্লাম তাই তাবু উন্মুক্ত করতে উদ্বুদ্ধ করেন । এর প্রধান আমরা দেখতে আব্দুল্লাহ ইবন বুরাইদা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু সংখ্যা অংশে । আব্দুল্লাহ ইবন বুরাইদা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন , আমার বাবা বুরাইদাকে বলতে বলতে আমি , তিনি বলেন ,
«كُنَّا فِي الْجَاهِلِيَّةِ إِذَا وُلِدَ لِأَحَدِنَا غُلاَمٌ ذَبَحَ شَاةً وَلَطَخَ رَأْسَهُ بِدَمِ اللَّهَا، فَلَمَّا جَالِمِهُ بِدَمِهَا، فَلَمَّا جَالِمِهَا حُ شَاةً، وَنَحْلِقُ رَأْسَهُ وَنُلَطِّخُهُ بِزَعْفَرَانٍ».
' জাহে যুগে নিয়ম ছিল , যখন আমাদের ছেলে সন্তান জন্ম নিতো , সে ছাগল জবাই করতো এবং এর রক্ত তার লাগিয়ে দিতো । কিন্তু আমরা যখন ইসলাম নিয়ে বাস্তবতা নিয়েছি , তখন আমরা একটি ছাগল জবাই করতাম এবং তার মাথা নেড়েছিল আর তাকে জাফরান মাখিয়ে দিতাম । ' [ আবূ দাউদ : ২৮৪৩ ; বাইহাকী : ১৯৭৬৬ ; মুস্তাদরাক : ৭৫৯৪ ]
মা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা আকী সংক্রান্ত তথ্য বর্ণনা করেন , তা থেকেও এমনটি প্রতিভাত হয় । তিনি বলেন ,
«وَكَانَ أَهْلُ الْجَاهِلِيَةِ يَجْعَلُونَ قُطْنَةً فِى دَمِ الْعَقِيقَةِ وَيَجْعَلُونَهُ عَلَى رَأْسِ الصَّبِى رَأْسِ الصَّبِى اللَّهُ فَيْرَأْسِ الصَّبِى اللهَ أَيْسِ الصَّبِىَ فَيْرَ الْأَرْسِ عَلَ مَكَانَ الدَّمِ خَلُوقًا».
' জাহে যুগের এগিয়ে আকীকার রক্তে তুলা ভেজাতো এবং তা শিশুর রাখতো । তাই নতুন উওর ওয়াসাল্লাম নির্দেশক তুলকে জাফরান জানা সুগন্ধি রাখা হয় । ' [ বাইহাকী , সুনান আল-কুবরা : ১৯৭৬৭ ]
আল্লামা সুয়ূতী রহ. উল্লেখ্য করেন , এনভাইউর পুলিশ দাদা আব্দুল মুত্তালিব তাঁর জন্মের সপ্তম সপ্তাহ তাঁর আকীকা করেন । তিনি বলেন , ' ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা ' আলা আনহু থেকে ইবন আসাকির বর্ণনা করেন , আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা ' আলা আনহুবলেন ,
لما ولد النبي صلى الله عليه و سلم عق عنه عبد المطلب وسماه محمدا فقيل له ما حملك على أن شامله محمدا ولم تسمه باسم آبائه فقال أردت أن يحمده الله في السماء ويحمده الناس في الأرض
' উইউ উওউওয়াসাল্লাম যখন জন্মগ্রহণ করেন , আব্দুল মুত্তালিব তার আকা করেন তার নাম প্রচার মুহাম্মদ । তাঁকে ভাড়া করা কিসে আপনাকে তাঁর নাম- বাবা-দাদার ব্যক্তি সঙ্গে না পালন করার জন্য মুহাম্মদ করতে ? তিনি বললেন , আমি চেয়েছি তার প্রশংসায় আর মানুষে যমীনে ' [ শাহরুয যারকানী আলা মুয়াত্তা মালেক , পৃ. ৫৫৮ ; ইবন আব্দিল বার , আল-ইস্তিয়াব । ]
মূসা মেমুস সালামের শরীয়তেও আকীকার প্রচলন ছিল । ভাগে যেমন অনেক হয়েছে আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে । তিনি বলেন , পুলিশ প্রশাসন পুলিশ ওয়াসাল্লাম ইশাদ করেন ।
«إِنَّ الْيَهُودَ تَعُقُّ عَنِ الْغُلاَمِ وَلاَ تَعُقُّ عَنِ الْجَارِيَةِ فَعُقُّوا عَنِ الْغُلاَمِ شَاتَيْنِ وَعَنِ الْجَارِيَةِ»
' ইহুদীরা সন্তানের আকীকা করতো কিন্তু শিশু সন্তান হলে তার আকীকা কর না । তাই তুমি সন্তানের সন্তানের জন্য দু'টি ছাগল এবং সন্তানের জন্য একটি ছাগল দিয়ে আকীকে করো । ' [ বাইহাকী , সুনান আল-কুবরা : ১৯৭৬০ ; মুসনাদ বাযার : ৮৮৫৭ । ]
ইসলামে আকীকা
আকীকার বিএনপি প্রবর্তিত হয়েছে বিএনপি নেতা ওয়াসাল্লামের কর্ম ও কর্তৃত্বকারী - দ্বিপ্রকারের মাধ্যমে । এ সম্পর্কে অনেক ' আছার ' ও অনেক হয়েছে । ব্যাখ্যা এর কিছু লেখা হচ্ছে :
প্রথমত। সুন্নাহ কাওলী বা মৌখিক আসন :
১. আমের দাব্বী সালাহ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা তা ' ' আলা আনহু বলেন , আমি বিনা পদে পদে পদ ওয়াসাল্লামকে বলতে বলতে উল্লেখ করছি , তিনি বলেন ,
«مَعَ الْغُلَامِ عَقِيقَةٌ فَأَهْرِيقُوا عَنْهُ دَمًا وَأَمِيطُوا عَنْهُ الْأَذَى»
' পুত্র সন্তানের সঙ্গে আকীকা । তাই তার রক্ত ব্যবহার করো এবং তার থেকে কষ্ট দূর করো । ' [বুখারী : ৫০৪৯ ; তমিযী : ১৫১৫ ; মুসনাদ আহমদ : ১৭৯০৭ । ]
২. সামুরা বিন জুনদুব রাদিয়াল্লাহু তায়ালা তা'আলা আনহা থেকে যোগ দেন তিনি বলেন , পাঁচটি পদে পদে পদে পদোন্নতি পান।
«كُلُّ غُلاَمٍ رَهِينَةٌ بِعَقِيقَتِهِ تُذْبَحُ عَنْهُ يَوْمَ سَابِعِهِ وَيُحْلَقُ وَيُسَمَّى»
' প্রত্যেক শিশুই তার আকিকা জরুরী । জন্মের সপ্তম সপ্তাহ তার জন্য জবাই করা হবে এবং তার মাথা নেড়ে রাখা হবে । [আবূ দাউদ : ২৮৪০ ; মুসনাদ আহমদ : ২০০৯৫ । ]
৩. উম্মে কুরুয আল-কা 'বিয়া রাদিয়াল্লাহু তা' আলা আনহ জা থেকে গণক তিনি বলেন , পাঁচটি পদে আমি ওয়াসাল্লামকে বলতে বলতে প্রচার করছি ,
«عَنِ الْغُلاَمِ شَاتَانِ مُكَافِئَتَانِ وَعَنِ الْجَارِيَةِ شَاةٌ»।
' ছেলে সন্তানের ছেলেদের সমবয়সী দু'টি ' ছাগল এবং মেয়ে সন্তানদের একটি ছাগল (দিয়ে আকীকা করা হবে) । ' [আবূ দাউদ : ২৮৩৬ ; মুসনাদ আহমদ : ২৭৪০৯ । ]
৪. উম্মে কুরুয আল-কা ' বিয়া রাদিয়াল্লাহু তা ' আলা আনহ র উপুর রয়েছে , তিনি একটি ক্ষেত্রের বর্ণনায় আকী ওয়াসাল্লামকে সম্পর্কে দাম , উত্তরে তিনি বলেন ,
«عَنِ الْغُلاَمِ شَاتَانِ وَعَنِ الْجَارِيَةِ وَاحِدَةٌ وَلاَ يَضُرُّكُمْ ذُكْرَانًا كُنَّ أَمْ إِنَاثًا»।
' ছেলে সন্তানের দেখায় দু ' টিটি ছাগল এবং মেয়ে সন্তানের জন্য একটি ছাগল (দিয়ে আকীকা দেওয়া যাবে) আর ছাগলের সাথে যোগ দিতে বা পাঠে আমার কোনো সমস্যা নেই । ' [তিমিযী : ১৫৯৯ ; মুসনাদ আহমদ : ২৭৩৭৩ । ]
৫. হাফ্সা বিনতে আবদুল রহমান রাদিয়াল্লাহু তায়ালা তা'আলা আনহ থেকে অংশ , তিনি বলেন , আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা ' আলা আনহা তাঁকে অবহিত করেছেন যে পুলিশ সদস্য পদাধিকারী বলেন ,
«عَنِ الْغُلامِ شَاتَانِ، وَعَنِ الْجَارِيَةِ شَاةٌ»
' সন্তানের সন্তানের জন্য দু ' টি ছাগল এবং সন্তানের জন্য একটি ছাগল । ' [ইবন হিব্বান : ৫৩১০ ; ইবন আবী শাইবা : ২৪৭২৯।]
৬. একই কথা , অপর এক বর্ণনা রয়েছে
«عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ، أَنَّهُمْ دَخَلُوا عَلَى حَفْصَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَسَأَلُوهَا عَنِ العَقِيقَةِ فَسَأَلُوهَا عَنِ العَقِيقَةِ فَسَأَلُوهَا عَنِ العَقِيقَةِ أَخْبَرَتْهَا، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهُمْ عَنِ الغُلاَمِ شَاتَانِ مُكَافِئَتَانِ، وَعَارَةِ، وَعَنَةِ ».
' ইউসুফ বিন মাহাক থেকে অনেকটাই , তিনি হাফসা বিন মাহাক রহমান রাদিয়াল্লাহু তায়ালা তা'আলা আনহের কাছে জানতে পারেন এবং তাঁকে আকী তা সম্পর্কে জানতে , তখন তিনি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ' আলা আনহ থেকে জানান , তিনি তাঁকে মর্মে অবহিত করেন আট ওয়াসাল্লাম তাদের ছেলে হলে সমবয়সী দু ' ছাগল ও মেয়ে হলে একটি ছাগল দিয়ে আকীকা দিতে নির্দেশ দেয় । ' [তিরমিযী : ১৫১৩ । ]
৭. আসমা বিনতে ইয়াযীদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা তা'আলা আনহ হা থেকে গ্রুপ , ন্যূন বড় ওয়াসাল্লাম বলেন ,
«الْعَقِيقَةُ حَقٌّ، عَنِ الْغُلامِ : شَاتَانِ، وَعَنِ الْجَارِيَةِ : شَاةٌ».
' পুত্র সন্তানের স্বামীর পক্ষ থেকে প্রায় সময়য় মহিলার সন্তানের পক্ষ থেকে ' [আল-আদাদ ওয়াল-মাছানী : ৩৩৫৩ ; মুসনাদ আহমদ : ২৭৫৮২ । ]
৮. ইয়াযী বিন আবদুল্লাহ মুয়ানী তার প্রতিনিধি থেকে বর্ণনা করেন , নির্বাচনের সামনে নির্বাচন ওয়াসাল্লাম বলেন ,
«يُعَقُّ عَنِ الْغُلاَمِ، وَلاَ يُمَسُّ رَأْسُهُ بِدَمٍ».
' পুত্র সন্তানদের দিয়ে আকীকা করা হবে আর তার জন্য রক্তপাত করতে হবে না । ' [ইবন মাজা : ৩১৬৬ ; আল-আদাদ ওয়ালামাছানী : ১১০৮ । ]
৯. আমর বিন শুয়াইব তার বাবা আর বাবা তার দাদার বর্ণনা করেন যে ,
«أَنَّ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- أَمَرَ بِتَسْمِيَةِ الْمَوْلُودِ يَوْمَ سَابِعِهِ وَوَضْعِ الأَذَى عَنْهُ وَالْعَقِّ».
' নবীর সকাল ওয়াসাল্লাম জন্ম সপ্তমে নবজাতকের নাম রাখা , তার আবর্জনা দূর করা (তথা নে করা) ও আকীকার নির্দেশ । ' [তিমিযী : ২৮৩২ । ]
১০. ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা 'তা ' ' আলাহু থেকে বিচ্ছিন্নভাবে , আলা আনহু বউসাল্লাম বলেন ,
«إذا كان يوم سابعه فأهريقوا عنه دما وأميطوا عنه الأذى وسموه».
' যখন তার (নবকের) সপ্তম দিন , তখন তার ব্যবহার রক্তবাহিত করো আর তার আবর্জনা (মাথার চুল) দূর করো এবং তার নাম করো । ' [তাবরানী , আল-মু ' জামুল আওসাত : ১৮৮৩ । ]
১১. আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা আকীকা যে বিষয়টি বর্ণনা করেন , তা থেকেও এমনটি প্রতিভাত হয় । তিনি বলেন ,
«وَكَانَ أَهْلُ الْجَاهِلِيَةِ يَجْعَلُونَ قُطْنَةً فِى دَمِ الْعَقِيقَةِ وَيَجْعَلُونَهُ عَلَى رَأْسِ الصَّبِى رَأْسِ الصَّبِى اللَّهُ فَيْرَأْسِ الصَّبِى اللهَ أَيْسِ الصَّبِىَ فَيْرَ الْأَرْسِ عَلَ مَكَانَ الدَّمِ خَلُوقًا.
' জাহে যুগের এগিয়ে আকীকার রক্তে তুলা ভেজাতো এবং তা শিশুর রাখতো । তাই নতুন উওর ওয়াসাল্লাম নির্দেশক তুলকে জাফরান জানা সুগন্ধি রাখা হয় । ' [বাইহাকী , সুনান আল-কুবরা : ১৯৭৬৭ । ]
১২. হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে দল , তিনি বলেন , পাঁচটি পদে পদে পদে উসাল্লাম ইরশাদ করেন ,
«إِنَّ الْيَهُودَ تَعُقُّ عَنِ الْغُلاَمِ وَلاَ تَعُقُّ عَنِ الْجَارِيَةِ فَعُقُّوا عَنِ الْغُلاَمِ شَاتَيْنِ وَعَنِ الْجَارِيَةِ».
' ইহুদীরা সন্তানের আকীকা করতো কিন্তু শিশু সন্তান হলে তার আকীকা কর না । তাই তুমি সন্তানের সন্তানের জন্য দু'টি ছাগল এবং সন্তানের জন্য একটি ছাগল দিয়ে আকীকে করো । ' [বাইহাকী , সুনান আল-কুবরা : ১৯৭৬০ ; মুসনাদ বাযার : ৮৮৫৭ । ]
দ্বিতীয়ত সুন্নাহ ফি ' বা কর্মগত সদস্য :
১. ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে তিনি বলেন ,
عَقَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْحَسَنِ، وَالْحُسَيْنِ بِكَبْشَيْنِ كَبْشَيْنِ.
' হাসাহাস পুলিশ হোটেল ওয়াসাল্লাম ও হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমার জন্য দু ' টি ' টি করে ভেড়া দিয়ে আকীকা করেন । ' [নাসায়ী : ১২১৯ । ]
২. আব্দুল্লাহ বিন রাইদা থেকে , তিনি তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন , তিনি বলেন
عَقَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُمَا.
' হাসপাতাল পুলিশ হোটেল ওয়াসাল্লাম ও হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুর জন্য আকা করেছেন । ' [মু ' জামুল কাবীর : ২৫১০ ; নাসায়ী : ৪২১৩ ; মুসনাদ আহমদ : ২৩০৫১ । ]
৩. আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা থেকে তিনি বলেন ,
عَقَّ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- عَنِ الْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ يَوْمَ السَّابِعِ وَسَمَّاهُمَا وَأَمَرَ أَنْ يُمَاطَ عَنْ رَأَمِهِمَهِمَا.
'( জন্ম সপ্তম ব্লকের সামনের) দূরের ওয়াসাল্লাম হাসান ও হুসাইনের আকা ব্রাহ্মণ , তার নাম কষ্টন এবং মাথা থেকে (চুল) করেছেন । ' [বাইহাকী : ১৯০৫৫ ; সহীহ ইবন হিব্বান : ৫৩১১।]
৪. আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা থেকে তিনি বলেন ,
عَقَّ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- عَنِ الْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ شَاتَيْنِ يَوْمَ السَّابِعِ وَأَمَرَ أَنْ يُمَاطَ عَنْ رَأْسَهِ. وَقَالَ« : اذْبَحُوا عَلَى اسْمِهِ وَقُولُوا بِسْمِ اللَّهِ وَاللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُمَّ لَكَ وَإِلَيْكَ هَذِهِ عَقِيقَةُ فُلاَنٍ.
' ওঁও সাঈনের (জনসপ্তম দিন হুসাইনের হুসাইনের) সপ্তম দিন হুসাইনের সামনে দু'টি ওয়াসাল্লাম টি ছাঁটা আকী দেন এবং মাথার কষ্ট দূর করার নির্দেশ দেন । আর তিনি বলেন , ' তাঁর (আল্লাহর) জবাই করো এবং বলো , বিসমিল্লাহ ওয়াল্লাহু আকবার , হে আল্লাহ , আপনার কাছে অমুকের জন্য এ আকীকা । ' [বাইহাকী : ১৯৭৭২ ; মুসনদ আবী ইয়া ' লা : ৪৫২১ । ]
৫. আব্দুল্লাহ ইবন উমরাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে তিনি বলেন ,
أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَقَّ عَنِ الْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ عَنْ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا كَبْشَيْنِيْنِ مِنْهُمَا كَبْشَيْنِ ئَيْنِ.
' নভীর উত্তাল ওয়াসাল্লাম হাসান ও হুসাইন- দুই দুইজনের জন্য প্রায় একই একই সময়সিকে ভেড়া দিয়ে আকীকা দেন । ' [হাকেম , মুস্তাদরাক : ৭৫৯০ । ]
৬. আলী বিন আবী তালেব রাদিয়াল্লাহু তায়ালা তা'আলা আনহু থেকে তিনি বলেন ,
عَقَّ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- عَنِ الْحَسَنِ بِشَاةٍ وَقَالَ « يَا فَاطِمَةُ احْلِقِى رَأْسَهُ وَتَصَدَّقِى بِزِنَةِ شَعْةً . قَالَ فَوَزَنَتْهُ فَكَانَ وَزْنُهُ دِرْهَمًا أَوْ بَعْضَ دِرْهَمٍ.
' সামনের পুলিশ খোলা ওয়াসাল্লাম একটি ছাগল দিয়ে হাসানের আকীকা দেখা এবং বললেন , ' হে ফাতেমা , তার মাথার চুলের মালিক এবং তার চুলের অংশে রূপা সাদকা করো । তিনি বলেন , অতপর ফাতেমা তা পরিমাপ করলো , এর পরিচালনা এক দিরহাম বা এক দিরহামের কিছু ভোট । ' [তিমিযী : ১৬০২ ; হাকেম , মুস্তাদরাক : ৭৫৮৯ । ]
নেড়ে নিতে হবে , কাযা করা যাবে না
থোকা থোকায় থেকে আমরা যেমন জানতাম , শিশু জন্মের সপ্তম প্রকাশম তার মাথা নেড়ে নেড়েছে । তবে কাযা ' থেকে নিষেধ করা হয়েছে । আর তাহিয়া , ' শিশুর মাথা এমনভাবে নেড়ে নেওয়া যে তার মাথার বিভিন্ন স্থান অমুন্ডিত থাকে ' । [ইবনুল আছীর , নিহায়া : কাযা ' অধ্যায় । ]
ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে তিনি বলেন ,
«أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- نَهَى عَنِ الْقَزَعِ. قَالَ قُلْتُ لِنَافِعٍ وَمَا الْقَزَعُ قَالَ يُحْلَقُ بَعْضُ رَأْسِ الصَّبِىِّ وَيُتْرَكُ بَعْضٌ».
' স্থান উত্তোলন ওয়াসাল্লাম কাযা থেকে বারণ করেছেন । তিনি বলেন , নাফে ' কে আমি বড় , কাযা ' কী ? তিনি বললেন , শিশুর মাথার কিছু অংশ মুন্ডানো আর কিছু অমুন্ডিত রাখা ' । [ কমিউনিটি : ৩৯৫৯ ; বুখারী : ৫৪৬৫ ; ইবন মাজা : ৩৬২৭ ; আহমেদ : ৪৯২৮ । ]
উদ্দেশ্য , নেড়ে নিতে হবে পুরো মাথাটা । কারণ , মাথার কিছু অংশ নেবে আর কিছু না করা ইসলামী ব্যক্তিত্বের পরিপ্রেক্ষিতে , যার মাধ্যমে একজন মুসলিম অন্য জাতি- এবং বিজাতীয় সংস্কৃতি থেকে স্বতন্ত্র্যের অধিকারী হয় । এই কাযা ' র মাধ্যমে সত্য কাফেরদের সঙ্গে দৃশ্য অবলম্বন হয় । আর তাদের দৃশ্যধারণ জায়য নয় ।
হুমাইদ বিন আবদুল রহমান বিন আউফ বিন আউফ থেকে বিন , মুয়াবিয়া সুফিয়ান রাদিয়াল্লাহু তায়ালা ' আলা আনহু যে বছর হজ করেন , তিনি মিম্বরে বসলেন , আমার ভৃত্যের হাতে চুল থেকে একগুচ্ছ চুল নিলেন এবং বললেন ,
يَا أَهْلَ الْمَدِينَةِ أَيْنَ عُلَمَاؤُكُمْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- يَنْهَى عَنْ مِثْلِ هَذِهِ وَيَقُلَ إِنَكَ هَذِهِ وَيَقُلَوَ «إِنْ مِثْلِ هَذِهِ» ِيلَ حِينَ اتَّخَذَ هَذِهِ نِسَاؤُهُمْ».
হে মদিনাবাসী , খোঁজে আলিম গণ ? ( তিনি কি আমি নিনি ? ) তিনি লিখেছেন , ' বনী ইসরাঈল চটি হয়েছিল যখন তাদের নারীরা এটাকে (কায়া ') ধারণ করে । ' [ সম্প্রদায় : ৫৭০০ ; বুখারী : ৩৪৬৮ ; আবূ দাউদ : ৪১৬৯ । ]
( এ থেকে বিএনপি যায় , মাথা চুল কিছু মুণ্ডানো আর কিছু দেওয়া তাদের শরীয়তে হারাম ছিল )
ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে তিনি বলেন ,
أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى صَبِيًّا قَدْ حُلِقَ بَعْضُ شَعَرِهِ وَتُرِكَ بَعْضُهِ وَتُرِكَ بَعْضُهِ وَتُرِكَ بَعْضُهُ فَنَهَكَ بَعْضُهُ فَنَهَكَ بَعْضُهُ َّهُ، أَوِ اتْرُكُوا كُلَّهُ».
' ন্যুই উত্তোল ওয়াসাল্লাম একটি শিশুকে জড়িয়েন তার (মাথার) কিছু চুল নেড়ে নেওয়া হয়েছে আর কিছু রাখা হয়েছে । তাকেও তাকে এ থেকে বারণ করতে এবং বললেন , তোমরা (মাথা) পুরোটাই মুণ্ডাও অথবা পুরোটাই অমুন্ডিত রাখো । ' [ মুসনাদ আহমদ : ৫৬১৫ ; আব্দুল রাজযাক , মুসান্নাফ : ১৯৫৬৪১ । ]
কেন এই আকীকার মূল্যায়ন
সন্দেহ নেই আকীকার রয়েছে তাৎপর্য ও কল্যাণময় দিকে । যেমন:
এক. অলীউল্লাহ দেহলভী রহ. তিনি বলেন , ' ধর্মাবলম্বী আন্দোলন , নাগরিক ও আত্মিক অনেক পদ্ধতি বর্ডারই স্থানীয় এলাকা পুলিশ ওয়াসাল্লাম তাবহাল সুবিধা , এর আমলা এবং আন্দোলন উদ্বুদ্ধ করেন । একমাত্র কল্যাণময়ের মধ্যে রয়েছে , যেমন:
ক. ভদ্রিত পহরায় নারীর নারী প্রকাশ করা । কারণ বংশ প্রকাশ নাকই নয় । তাই অনভিপ্রেত কথা না শুনতে হয় । আর এমনটি কখনো সুন্দর দেখায় না যে কেউ রাস্তার বিরুদ্ধেও বলেছে যে আমার সন্তান ।
খ. খ্রিস্টানদের যখন কোনো সদস্যের সদস্য , তারা তাকে জল জল দিয়ে হরিদ্রা দিত । তারা এর নাম দিয়েছিল ' মা ' মুদিয়া ' । তারা বলতো , এর মধ্য শিশুটি খ্রিস্টন হবে । এ কারণে দৃশ্যমান ভিডিওটি নাযিল করা হয়েছিল
﴿ صِبۡغَةَ ٱللَّهِ وَمَنۡ أَحۡسَنُ مِنَ ٱللَّهِ صِبۡغَةٗۖ وَنَحۡنُ لَهُۥ عَٰبِدُونَ ﴾ [البقرة :138]
'( বল ,) আমরা যুদ্ধে রং গ্রহণ করতে চাই । আর রং এর জন্য সতর্ক করতে চেয়ে আরও সুন্দর ? আর আমরা তাঁর ইবাদাতকারী । { সূরা আল-বাকারা, আয়াত : ১৩৮}
তাই তাদের সিদ্ধান্তের বিপরীতে হানীফদেরও কোনো কাজ বাঞ্ছনীয় । যে থেকে পছন্দ করা যাবে শিশুটি হানিফী বৈধ ইসমাঈল ও ইবরাহীম চাপাসল সালমের অনুসারী । আর সন্তানদের মধ্যে বংশানুক্রমে কাজ করার মধ্যে সবচে প্রসিদ্ধ পুত্র কুরবানীর পাত্র । ইবরাহীমস সালাম আপন পুত্র ইসমাঈলকে কুর্বানি করেন । আর আল্লাহ তা'আলাও তাঁকে নিয়ামতে ভূষিত করেন । তাঁর সন্তানকে মহান যহের মুক্তির মাধ্যমে এবং নিজের মধ্যে নিজের করে এবং যার জন্য তিনি কিয়াম আবধির জন্য স্থিতাবস্থা , তার মধ্যে রয়েছে মাথা নেবার জন্য যবেহ করা । ফলে এই আকীকা ও মাথার মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হবে । হানিফী মিল্লেতের প্রতি ইঙ্গিতও আবারও হবে যে সন্তানের সাথে উম্মতের কাজ করা হবে ।
গ. তার সন্তানের জন্মের পরই তার সন্তানকে কল্পনা করা হবে যে সে তার সন্তানকে সামনের পথ ইর্গেল করেছে , যেমন বরাহীম শান্তির সালাম তার পুত্রইসমাঈলকে ।
দুই. নারীদের জন্যে তা ' আলার শুকরিয়া জ্ঞাপন করা । কেননা , মহিলারাই সেরা মত । আর এ সন্তান পার্থিব জীবনের জন্য । আল্লাহ তা'আলা বলেন ,
﴿ ٱلۡمَالُ وَٱلۡبَنُونَ زِينَةُ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَاۖ ﴾ [الكهف :46]
' রাখা ও শোসন্তি দুনিয়ার জীবনভা... { সূরা আল-কাহফ, আয়াত : ৪৬}
আল্লাহ তা'আলা আইন এ প্রকৃতি দিয়ে দিয়েছেন যে সে সন্তান ভূমিষ্ট হবে আনন্দিত হয় । তাই মানুষের কাছে তার স্রষ্টা ও দাতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশই কাম্য । এ জন্য ইসাইন রাদিয়াল্লাহু তায়ালা তা ' আলা আনহু থেকে সদ্য সন্তানের হুকুম ব্যক্তি অভিবাদন এমন অনেক কথা হয়েছে ।
باركَ اللّه لكَ في الموهوب لك وشكرتَ الواهبَ وبلغَ أشدَّه ورُزقت برّه.
' দান করা হয়েছে ঈশ্বর বরকত দিন । তুমি দানকারী শুকরিয়া বর্ণনা করো , সে তার পুরানো পুরো করুক এবং তার পুণ্য প্রদান করবে । ' [মুসনদ ইবনুল জা ' দ : ১৪৪৮ ; ইবন আদী , আল-কামেল : ৭/১০১ ; ইনব আবিদ্দুনইয়া , আল-ইয়াল : ১/২০১ । ] [১]
এভাবে বলা চলে গেল , আকীকা করা শুকরিয়াও তার নৈকট্যের একটি উত্তরম উপায় ।
তিন. গাছ আছে নারীদের মুক্তি এবং তার আওতা প্রদান । যেমন আল্লাহ তা'আলা ইসমাঈল যবীহের ভিড়া কুরবানী দেন । জাহেলী যুগের পরও এটা কর এবং তারা এটাকে আকীকা বলত । আর শিশুর তারা রক্ত লাগায় । ইসলাম সেই নিয়মগুলিকে সমর্থন করে এবং নবজাতকের রক্ত লাগানো ব্যর্থ করে দেয় ।
নবীন উওর ওয়াসাল্লাম আমাদের দেন যে , নবজাতক যা-ই হবে তা হতে হবে কুর্নিশ ও হজের হাদীর মতো ইবাদত হিসেবে । তিনি বলেন ,
«مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَنْسُكَ عَنْ وَلَدِهِ فَلْيَنْسُكْ عَنْهُ عَنِ الْغُلاَمِ شَاتَانِ مُكَافَأَتَانِ وَعَنِ الْجَارِيةٌ».
' যে তার সন্তানের জন্য কোনো কুবানী দিতে চায় , তবে কবির সন্তান হবে সমবয় এবং ছাগল শিশু হলে একটি ছাগল গিয়ে ইবাদত (থাক আকীকা) করে । ' [নাসায়ী : ৪২২৯ ; শরহু মা ' আনিল আছার : ১০১৫ । ]
অন্যটি তাকে এটাকে কুরবানী হিসেবে দিতে বললেন , আল্লাহ তা ' আলা যে শেখাল ইসমাইল পোষাল সালামের জন্য কুর্নবানী ও প্রচার হিসেবে দিয়েছিলেন । আর আল্লাহ তা ' আলার ব্যবহার করতে পারেন না যে তিনি সন্তানের জন্য , তার সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও দীর্ঘায়ু জন্য এ বিবৃতি । যাতে শিশু যবেহকৃতের অঙ্গ এ শিশুর প্রচার করা হয় ।
আরও এ কথার সংবাদ ও প্রকাশের জন্য একজন ব্যক্তি তার পিতার এবং সন্তানের নাম অমুক পক্ষ হয়েছে । ফলে তার পরিজন , প্রতিবেশি ও বন্ধ-বান্ধব এ সংবাদ জানাবে এবং তাকে মোকারবাদ জানাবে । সৌহার্দ্য ও ভালোবাসা বন্ধন সুদৃঢ় হবে ।
পঞ্চম টার্গেট ইসলামের সামাজিক সংগঠনগুলি একটি প্রকারের অনুশীলন হয় । কেননা , তার সন্তানের সন্তানের জন্য আকীকা হিসাবে পশু জবাই করেন এবং তা বন্ধ-বান্ধব , প্রতিবেশি ও গরীব-মিসকিনদের জন্য তাদের পরামর্শ দেন । আর এটি গরীবদের অভাব মোচন কম মাত্রায় গণনাকারী গঠন ও দারিদ্র্য ।
পশু যবেহ করা তার মূল্য দানের চেয়ে যদিও তা বেশি হয়
একমাত্র তাপর্য ও প্রযুক্তিগত কারণেই আকী পশু হিসাবে যবেহ করা এর মূল্যদান করার চেয়ে কারণ তা একটি সুন্নত এবং প্রবর্তিত ইবাদত , যামাতার উপর নির্ভর করে নতুন নিয়ামতের ওপর শুকরিয়া করতে হবে । এর মধ্যে ইসমাঈল শান্তি সালামকে কুরবানী করার মতো অনুপম তাৎপর্য নিহিত রয়েছে , আল্লাহ তা ' আলা যার বিপরীত ভেড়া কুর্নিশ করেন । আকাবেহ করার সময় ভয়ঙ্কর নাম নেবার মধ্য দিয়ে সন্তানকে শয়তানের অনিষ্ট থেকে বাঁচানো হিকমত , যেমন সে গ্রুপে আছে গ্রুপের সময় (স্বামী- মিলনকালে দু ' আ পাঠের মাধ্যমে) শয়তানের দু'টি স্ত্রীর প্রভাব থেকে পাঠ করা হয় ।
আকীকার সম্পর্কিতকরণীয়
প্রথম। আকীকার গোশত ব্যবহার
আকীকার পশু যবেহ করার পর এর ব্যবহার ঠিক বানীর পশুর মতো । ফলে তা তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে । এক ভাগ পরিবার , এক ভাগ সাদাকা ও এক ভাগ হাদিয়ার জন্য ।
ইমাম নাবী রহ. তিনি বলেন ,
[ ويستحب أن يأكل منها ويتصدق ويهدي كما قلنا في الأضحية ]
' মুহাবকা আকীকার গোশত থেকে (নিজেরা) দেখা , ( গরীবদের) সদকা করা এবং (বন্ধুস্তাব ও আত্মীয়স্ব আত্মীয়) হাদিয়া আসন । যেমন আমরা বলেছি কুরবানীর পশুর ক্ষেত্রে। ' [নাসায়ী : ৪২২৯ ; শরহু মা ' আনিল আছার : ১০১৫ । ]
সর্বস্তরের আলেম আবার আকীকার গোশত প্রাকৃতিক সদকার তা রান্না করে সদকা করা এবং রান্নার তাগরিবদের কাছে না দিয়ে তাকে মোহাস্তাব লেখক । আপনি যদি আরও উত্তর দেন । যদি আক্কেল গোশত দিয়ে দেওয়ার ক্ষমতার করা হয় , তাহলে ধনী-গরীব , আত্মীয়-পরিজন , বন্ধু-প্রতিবেশী চারীক শরীক করতে পারবে । এক কথায় তিনি যেভাবে এটাকে লাগাবেন ।
প্রখ্যাত তাবেয়ী ইবন সীরীন রহ. তিনি বলেন ,
[ إصنع بلحمها كيف شئت ]
' আকী গোশত যেভাবে ইচ্ছা লাগাতে পার সেন । ' [আল-মাজমূ ' : ৮/৪৩০ । ]
ইমাম আহমেদ বিন হাম্বল রহ। এর সঙ্গে রান্নার কথাও যোগ করেন ।
[ فقد قيل له : تطبخ العقيقة ؟ قال : نعم . قيل له : يشتد عليهم طبخها . قال : يتحملون ذلك]।
তাকে খরচ করা , আকী গোশত কি রান্না করা হবে ? তিনি বললেন , ' হ ' । তাকে বলা , তাদের জন্য এটা রান্না করা কঠিন হবে । তিনি বললেন , ' তারা সদস্য সহ্য করবে । '
এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইবনুল কায়েম রাহ। তিনি বলেন ,
[وهذا لأنه إذا طبخها فقد كفى المساكين والجيران مؤنة الطبخ وهو زيادة في الإحسان وفي شكر هذه النعمة، ويتمتع الجيران والأولاد والمساكين بها هنيئة مكفية المؤنة والمساكين بها هنيئة مكفية المؤنة فإن من أهدي إليه لحم لطابح من أهدي لحم لطابح من الطبخ حم نيء يحتاج إلى كلفة وتعب ]।
' এটা ব্রাদার যে , তিনি যখন গোশত রান্না করে , গরীব , মিসকিন ও প্রতিবেশিদের রান্নার কষ্ট ও খরচ কিছুটা বোঝাতে হবে না । একটি ভাল ভাল তা নতুন যোগ যোগ করবে । নতের শুকরিয়ায় এটি অধিয়াম হিসাবে বরিত হবে । প্রতিবেশি সন্তান , ও অভাবীরা এর মাধ্যমে আরও বেশি আনন্দিত হবে । কারণ যদি রান্না করা হয় এবং খাবারের জন্য প্রস্তুত কোনো গোশত দেওয়া হয় তবে তিনি বিশদে গোশতে পাওয়া থেকে অবশ্যই আরও বেশি কিছু করতে হবে , যাতে পাক করা ও রান্নার কষ্ট সহ্য করা প্রয়োজন । ' [তুহফাতুল মাওদূদ : ৫৯-৬০ । ]
ইমাম মালিক রহ. যে থেকে অনেক হয়েছে, তিনি তার সন্তানের আকীকা করেন । তিনি আকীকা কিভাবে করেছেন আমাদের জন্য তার বর্ণনা তদীয় ' মাবসূত ' গ্রন্থে তিনি শিকারন ,
عققت عن ولدي وذبحت ما أريد أن أدعو إليه إخواني وغيرهم، وهيأت طعامهم، ثم ذبحت شاة العقيقة فأهديت منها للجيران، وأكل منها أهل البيت، وكسروا ما فقي من عظامها فطبخت، وكسروا ما بقي من عظامها فطبخت، فدعونا وكسروا ما بقي من عظامها فطبخت ة فأحب له أن يفعل هذا ومن لم يجد فليذبح عقيقة ثم ليأكل وليطعم منها
' আমি আমার সন্তানের আকীকা দিয়েছি । আমার সাথে সাথে ভাই অন্যদের দিয়ে দিয়েছি তাদের যাবার ইচ্ছা আমি তাজবাই করব । তারপর তাদের খাবার প্রস্তুত করুন । আকীকার ছাগলবাই জগৎ তা থেকে প্রতিবেশিদের হাদিয়া ইসলাম । এগিয়ে গোশত খেল । হাড়-হাড্ডি যা অবশিষ্ট ছিল টুকরো করে গড়ে তোলা । তারপর প্রতি শিক্ষিকাদের পক্ষ থেকে তারা খেল আর আমরাও খেলা । মালিক রহ. তিনি বলেন , তাই যার অর্থের প্রাচুর্য রয়েছে , আমি চাই তিনি এমন করবেন । আর যার না , তিনি জবাই এবং আখ্যায়িত করবেন । ' [আল-মুনতাকা : ৩/১০৪ । ]
দ্বিতীয় আকীকার অধিকার ও এর বর্জ্যসংক্রান্ত নীতি
ইমাম আহমেদ বিন হাম্বম্বল । আকীকার বর্জ্য সম্পর্কে ব্যয় করা হলে তিনি বলেন ,
الجلد والرأس والسقط يباع ويتصدق به
' মান , মাথা এবং বর্জ্য পরিশোধ করা হবে এবং তা সদকা করা হবে । ' [তুহফাতুল মাওদূদ : ৭০; কাশফুল পায়ঃ ৩/৩১ । ]
মধ্যবর্তী ইমাম যে বর্ণনারহ।- এর কোনো অংশের অংশ । তিনি বলেন ,
ولا يباع من لحمها شيء ولا جلدها
' আকীকার গোশত বা সম্পত্তির কোনো অংশই ভাগ করা হবে না । ' [আল-মুয়াত্তা বিহামিশিল মুনতাকা : ৩/১০৩ । ]
ইবন রুশদ বলেন ,
وأما حكم لحمها وجلدها وسائر أجزائها فحكم لحم الضحايا في الأكل والصدقة ومن البيع
' আকারেত , অধিকার এর গটীয় অংশের গোশত এবং সমর্থনের বিষয়ে , সদকা করা ও বেচার থেকে কুবনীর পশুর মতো । ' [বিদাতুল মুজতাহিদ : ১৩৭৭ । ]
একথায় আকীকার গোশত ও এর অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যবহার যেমন কুরবানীর পশুর গোশত এবং তার অন্যান্য অংশের ব্যবহার করতে হয়।
আকী সংক্রান্ত আরও কিছু মাসআলা
# অধিকাংশ আলিমের আকীকা সুন্নত। তবে কেউ আকীকা ওয়াজিব লেখক।
# জন্মের সপ্তম আকীকা দেওয়াটাই সুন্নতের পূর্ণ আনুগত্যের দাবী। তবে কোন সময় আকীকা দেওয়া যাবে। কারণ, সপ্তম বলা হয়েছে, তবে তা হবে না এমন কিছু বলা হয়নি।
# ছেলের আকীকা হিসাবে এবং মেয়ের জন্য একটি ছাগল জবাই করা সুন্নত। তবে কষ্টসাধ্য হলে একটি ছাগলও ছেলের আকীকা দেওয়া যাবে। কারণ, বিভিন্ন ধরনের
আল্লাহ তা'আলা আমাদের জীবনের পর্বকে তাঁর পাহাড়ের সুন্নতের রঙ্গে রাঙাবার এবং সকল অপসংস্কৃতি ও কুসংস্কার থেকে বারবার তাওফীক দিন। আমিন।
[১ ] উল্লেখ্য, এর সবগুলোই সহজে। এটা নয়; একটি আছর, যা হাসান রাদিয়াল্লাহু তা'আলাআনহুথেকে বিভিন্ন হয়েছে। এটা মনে রাখা না করে কেবল একটি দুটি'হিসেবে লেখা যাবে। (নাববী, আল-আযকার : ১/৬৪৮)
লেখক : আলী হাসান তৈয়ব
সমাপ্তি : ড. মো: আব্দুল কাদের
ইসলাম : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ, মডেলআরব
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন