Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

See Our Articles In Different Styles... Grid View List View

শনিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৮

কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে মদপান ও ধূমপানের অপকারিতা

Views:

A+ A-



সূচিপত্র

ক্রম বিষয়

1. অভিমত

2. অবতরণিকা

3. মদ্য পান অথবা যে কোনো মাদকদ্রব্য সেবন

4. মাদকদ্রব্য সেবনের অপকারসমূহ

5. মাদকদ্রব্য সেবনে অভ্যস্ত হওয়ার বিশেষ কারণসমূহ

6. মদখোরের শাস্তি

7. ধূমপান

8. ধূমপান সংক্রান্ত আরো কিছু কথা

9. ধূমপানের কাল্পনিক উপকারসমূহ

10. যেভাবে আপনি ধূমপান ছাড়বেন

Read More---

তওবা জান্নাতের সোপান

Views:

A+ A-




তওবা: জান্নাতের সোপান



ভূমিকা:

কোন মানুষই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। তবে সে ব্যক্তিই উত্তম যে ভুল করার পর তওবা করে। আমাদের সবারই ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে। কখনও মুখ ফসকে মুখের দ্বারা গুনাহ হয়েছে। অসাক্ষাতে কারও সমালোচনা করেছি, কাউকে গালি দিয়েছি, কখনো অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদের প্রতি হাত বাড়িয়েছি, কখনও এমন জিনিসের দিকে তাকিয়েছি যাতে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন। এভাবে কত ধরণের গুনাহর কাজ আমরা করেছি! এজন্যই দয়াময় আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের উপর তওবা করা অপরিহার্য করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন,

Read More---

হস্তমৈথুনের হুকুম এবং এটা থেকে বাঁচার উপায়

Views:

A+ A-






প্রশ্ন: আমার একটি প্রশ্ন আছে, আমি সে প্রশ্নটি পেশ করতে লজ্জাবোধ করছি। এক বোন নতুন ইসলাম গ্রহণ করেছেন। তিনি প্রশ্নটির জবাব জানতে চান। কুরআন-হাদিসের দলিল ভিত্তিক এ প্রশ্নের জবাব আমার জানা নেই। আমি আশা করব, আপনারা আমাদেরকে সহযোগিতা করবেন। আমি আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা করছি, যদি আমার প্রশ্নটি অশালীন হয় তাহলে তিনি যেন আমাকে ক্ষমা করে দেন। কিন্তু, মুসলিম হিসেবে জ্ঞানার্জনে আমাদের লজ্জাবোধ করা উচিত নয়।
সে বোনের প্রশ্ন হচ্ছে– হস্তমৈথুন করা কি ইসলামে জায়েয?
Read More---

কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে সদকা-খয়রাত

Views:

A+ A-

কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে সদকা-খয়রাত




সূচীপত্র



ক্রম বিষয়

1. ভূমিকা
2. লেখকের কথা
3. অবতরণিকা
4. সর্বদা সদকা-খয়রাত করা মানে এ সংক্রান্ত আল্লাহর নির্দেশ পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বাস্তবায়ন করা
5. আল্লাহ তা‘আলার পথে সদকা-খয়রাত করলে তা বহুগুণে পাওয়া যায়
6. আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টির জন্য সদকা-খয়রাত করলে তা কখনোই বৃথা যায় না
7. সদকা-খয়রাত এমন এক ব্যবসা যার কোনো ক্ষয়-ক্ষতি নেই
8. কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলার পথে সর্বদা সদকা-খয়রাত দানকারীর কোনো ভয়-ভীতি থাকবে না
9. আল্লাহ তা‘আলার পথে নিজের পছন্দনীয় বস্তু সদকা করা মানে সমূহ কল্যাণের নাগাল পাওয়া
10. শুধু সদকা করার মধ্যেই নয় বরং কাউকে সদকা দেওয়ার আদেশের মধ্যেও মহা কল্যাণ ও উত্তম প্রতিদান রয়েছে
Read More---

বুধবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৮

কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে ব্যভিচার ও সমকামিতার ভয়াবহ পরিণতি

Views:

A+ A-





সূচীপত্র





ক্রম বিষয়,



1. অবতরণিকা
2. ব্যভিচার
3. লজ্জাস্থান হিফাযতের বিশেষ কয়েকটি ফযীলত
4. লজ্জাস্থান হিফাযত সফলতা অর্জনের একটি বিশেষ মাধ্যম
5. লজ্জাস্থান হিফাযতকারী কখনো নিন্দিত নয়
6. লজ্জাস্থান হিফাযত জান্নাতে প্রবেশের একটি বিশেষ চাবিকাঠি
7. লজ্জাস্থান হিফাযত একান্তভাবে নেককারের পরিচয় বহন করে
8. লজ্জাস্থান হিফাযত আল্লাহ তা‘আলার ক্ষমা পাওয়ার এক বিশেষ মাধ্যম
9. লজ্জাস্থান হিফাযত আল্লাহ তা‘আলার বিশেষ ডাকে সাড়া দেওয়া
10. লজ্জাস্থান হিফাযত অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের এক বিশেষ মাধ্যম
11. লজ্জাস্থান হিফাযত সফলতাকামীদের পথ
12. লজ্জাস্থান হিফাযত সম্মানেরই মুকুট
13. লজ্জাস্থান রক্ষার পথে একান্ত বাধাসমূহ
14. মহিলাদের নতুন নতুন মডেলের পোশাক-পরিচ্ছদ
15. টিভি চ্যানেল
16. ইন্টারনেট
17. অশ্লীল ম্যাগাজিন ও রুচিহীন পত্র-পত্রিকা
18. ক্যামেরাযুক্ত অত্যাধুনিক মোবাইল সেট
19. নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা এবং গোপনে সহাবস্থান
20. অসৎ বন্ধু-বান্ধবী
21. বিলম্বে বিবাহ করা
22. অপর কোনো পুরুষ বা মহিলার সাথে যে কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখানো
23. যত্রতত্র চোখের দৃষ্টি ক্ষেপন
24. বিশেষভাবে চারটি অঙ্গকে শরী‘আত সম্মতভাবে পরিচালিত করলে অনেকগুলো গুনাহ থেকে বাঁচা সম্ভব
25. চোখ ও দৃষ্টিশক্তি
26. মন ও মনোভাব
27. মুখ ও বচন
28. পদ ও পদক্ষেপ
29. ব্যভিচারের অপকার ও তার ভয়াবহতা
30. ব্যভিচারের স্তর বিন্যাস
31. ব্যভিচারের শাস্তি
32. দণ্ডবিধি সংক্রান্ত কিছু কথা
33. দণ্ডবিধি প্রয়োগের সময় চেহারার প্রতি লক্ষ্য রাখবে
34. যে কোনো দণ্ডবিধি মসজিদে প্রয়োগ করা যাবে না
35. সমকাম বা পায়ুগমন
36. সমকামের অপকার ও তার ভয়াবহতা
37. ধর্মীয় অপকারসমূহ
38. চারিত্রিক অপকারসমূহ
39. মানসিক অপকারসমূহ
40. শারীরিক অপকারসমূহ
41. সমকামিতার শাস্তি
42. সমকামিতার চিকিৎসা
43. রোগাক্রান্ত হওয়ার আগের চিকিৎসা
44. দৃষ্টিশক্তি হিফাযতের মাধ্যমে
45. তা থেকে দূরে রাখে এমন বস্তু নিয়ে ব্যস্ততার মাধ্যমে
46. রোগাক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা
47. সংক্ষিপ্তাকারে প্রস্তাবিত চিকিৎসাসমূহ
48. নিম্নোক্ত কয়েকটি কাজ করলে কারোর মধ্যে ধীরে ধীরে লজ্জাবোধ জন্ম নেয়


Read More---

কুর’আনের অর্থ না বুঝার কারণে আপনি প্রতিদিন যে ১০টি জিনিস হারাচ্ছেন!

Views:

A+ A-





কুর’আনের অর্থ না বুঝার কারণে আপনি প্রতিদিন যে ১০টি জিনিস হারাচ্ছেন!

১-কুর’আন নাযিলের উদ্দেশ্য বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছেন !

আপনি যদি কুর’আনের অর্থ না বুঝেই কেবল উচ্চারণ করে পড়তে থাকেন, তাহলে কুর’আন নাযিলের মূল উদ্দেশ্য হারিয়ে যাবে। আল্লাহ বলেন,

“এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি বরকত হিসেবে অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসূহ লক্ষ্য করে এবং বুদ্ধিমানগণ যেন তা অনুধাবন করে”। [সূরা সা’দ ২৯]

কিভাবে এই উদ্দেশ্য আমাদের দ্বারা বাস্তবায়িত হবে যদি আমরা কুর’আন কি বলছে তা বুঝতে না পারি!
কোন ব্যক্তির পক্ষে কি সর্বদা অনুবাদ বহন করা সম্ভব, কিংবা সালাতে যখন কুর’আন তিলাওয়াত করা হয় তখন কি আমাদের পক্ষে কুর’আনের অনুবাদ বহন করা সম্ভব?

Read More---

আমাদের শেষ পরিণতি যেন ভাল হয়

Views:

A+ A-





আমাদের শেষ পরিণতি যেন ভাল হয়



শেষ পরিণতি বলতে যা বুঝায় তা হল, মানুষ মৃত্যুর পূর্বে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যা অ
ছন্দ করেন তা থেকে দূরে থাকবে, সকল পাপাচার থেকে তাওবা করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে তার আনুগত্যে আত্ননিয়োগ করবে ও সৎ কাজ করতে অগ্রণী হবে। এবং এ ভাল অবস্থায় তার ইন্তেকাল হবে। এমন হলেই বলা হবে তার শেষ পরিণতি ভাল হয়েছে। ভাল পরিনতি সম্পর্কে এ কথা হাদিসে এসেছে,


ﻋﻦ ﺃﻧﺲ ﺑﻦ ﻣﺎﻟﻚ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ‏( ﺇﺫﺍ ﺃﺭﺍﺩ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻌﺒﺪﻩ ﺧﻴﺮﺍ ﺍﺳﺘﻌﻤﻠﻪ ‏) ﻗﺎﻟﻮﺍ : ﻛﻴﻒ ﻳﺴﺘﻌﻤﻠﻪ؟ ﻗﺎﻝ : ‏( ﻳﻮﻓﻘﻪ ﻟﻌﻤﻞ ﺻﺎﻟﺢ ﻗﺒﻞ ﻣﻮﺗﻪ ‏) ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺣﻤﺪ
(১২০৩৬)


সাহাবী আনাস ইবনে মালেক রা. থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : 'যখন আল্লাহ কোন মানুষের কল্যাণ করতে চান তখন তাকে সুযোগ করে দেন।" সাহাবাগন জিজ্ঞেস করলেন, তিনি কিভাবে সুযোগ করে দেন ? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: 'মৃত্যুর পূর্বে তাকে সৎকাজ করার সামর্থ দান করেন।'[১]।

Read More---

জান্নাতের প্রতি আগ্রহী ও জাহান্নাম থেকে পলায়নকারীর জন্য বিশেষ উপদেশ

Views:

A+ A-

জান্নাতের প্রতি আগ্রহী ও জাহান্নাম থেকে পলায়নকারীর জন্য বিশেষ উপদেশ



জাহান্নাম ধ্বংসের ঘর



বান্দার ইহকালীন ও পরকালীন সফলতা অর্জন ও কৃতকার্য হওয়ার নিদর্শন হচ্ছে, তার অন্তকরণ আখেরাতের স্মরন, পরকালের ভাবনায় সঞ্জীবিত ও সিক্ত হয়ে যাওয়া। যেমন আল্লাহ তাআলা তার নৈকট্য-প্রাপ্ত বান্দা তথা অলি-আউলিয়াদের প্রশংসা করে বলেন :

Read More---

গুপ্ত অভ্যাস (হস্তমৈথুন) ব্যবহার করা বৈধ কি?

Views:

A+ A-






প্রশ্নঃ গুপ্ত অভ্যাস (হস্তমৈথুন) ব্যবহার করা বৈধ কি?


উত্তরঃ


গুপ্ত অভ্যাস (হাত বা অন্য কিছুর মাধ্যমে বীর্যপাত, স্বমৈথুন বা হস্ত মৈথুন) করা কিতাব, সুন্নাহ ও সুস্থ বিবেকের নির্দেশ মতে হারাম।

কিতাব বা কুরআনের দলীল:


আল্লাহ তা’আলা বলেন,

“যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে নিজেদের পত্নি অথবা অধিকারভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে অন্যথা করলে তারা নিন্দনীয় হবে না। আর যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।” (সূরা মু’মিনূন ৫-৭)


সুতরাং যে ব্যক্তি তার স্ত্রী ও অধিকারভুক্ত দাসী (অধিকারভুক্ত দাসী বলতে ক্রীতদাসী ও কাফের যুদ্ধবন্দিনীকে বুঝানো হয়েছে। এখানে কাজের মেয়ে, দাসী, খাদেম বা চাকরানী উদ্দেশ্য নয়।) ছাড়া অন্য কিছু দ্বারা কামলালসা চরিতার্থ করতে চায়, সে ব্যক্তি “এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে।” বলা বাহুল্য, এই আয়াতের পরিপেক্ষিতে সে সীমালঙ্ঘঙ্কারী বলে বিবেচিত হবে।

Read More---

মহান আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করা ও তাঁকে ভালোবাসা

Views:

A+ A-

মহান আল্লাহ তায়ালার বাণী ;


“আর যারা কাঁদতে কাঁদতে মুখ থুবড়ে পড়ে যায়, আর (কুরআন) তাদের ভয় ভীতি ও নম্রতাকে আরো বৃদ্ধি করে দেয়”। (সূরা বনী ইসরাঈলঃ১০৯)


“তবে কি তোমরা এই কথায় বিস্মিত হচ্ছো আর হাসছো কিন্তু কাঁদছো না” (সূরা নাজমঃ ৫৯-৬০)



১। হযরত ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বললেনঃ আমার সামনে কুরআন তিলাওয়াত করো। আমি বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ ! আমি আপনার সামনে পড়বো, অথচ আপনার কাছেই তা নাযিল হয়েছে? তিনি বললেন ; আমি অপরের তিলাওয়াত শুনতে ভালোবাসি। সুতরাং আমি তার সামনে সূরা নিসা পড়ে শুনালাম। পড়ার সময় যখন আমি এই আয়াতে এসেছি “তখন কি অবস্থা হবে যখন আমি প্রত্যেকে উম্মত থেকে একজন করে সাক্ষী উপস্থাপিত করবো এবং আপনাকে তাদের উপর সাক্ষীরুপে উপস্থিত করবো?”(সুরা নিসাঃ ৪১)। তিনি বললেন, বেশ যথেষ্ট হয়েছে, থামো। এ সময় আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে দেখলাম তাঁর মুবারক দু’চোখ দিয়ে অশ্রু প্রবাহিত হচ্ছে। [বুখারি মুসলিম]
Read More---

কুরআন ও হাদীসের আলোকে মহাসাফল্য ও বড় ব্যর্থতা (২য় পর্ব)

Views:

A+ A-

কুরআন ও হাদীসের আলোকে মহাসাফল্য ও বড় ব্যর্থতা (২য় পর্ব)



১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।


দ্বাদশ পরিচ্ছেদ
জান্নাত ও জাহান্নামের স্তরসমূহ
প্রথমত: জান্নাতের স্তরসমূহ:
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿ لَّا يَسۡتَوِي ٱلۡقَٰعِدُونَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ غَيۡرُ أُوْلِي ٱلضَّرَرِ وَٱلۡمُجَٰهِدُونَ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ بِأَمۡوَٰلِهِمۡ وَأَنفُسِهِمۡۚ فَضَّلَ ٱللَّهُ ٱلۡمُجَٰهِدِينَ بِأَمۡوَٰلِهِمۡ وَأَنفُسِهِمۡ عَلَى ٱلۡقَٰعِدِينَ دَرَجَةٗۚ وَكُلّٗا وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلۡحُسۡنَىٰۚ وَفَضَّلَ ٱللَّهُ ٱلۡمُجَٰهِدِينَ عَلَى ٱلۡقَٰعِدِينَ أَجۡرًا عَظِيمٗا ٩٥ دَرَجَٰتٖ مِّنۡهُ وَمَغۡفِرَةٗ وَرَحۡمَةٗۚ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورٗا رَّحِيمًا ٩٦ ﴾ [النساء: ٩٥،  ٩٦] 
“বসে থাকা মুমিনগণযারা ওযরগ্রস্ত নয় এবং নিজদের জান ও মাল দ্বারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীগণ এক সমান নয়। নিজদের জান ও মাল দ্বারা জিহাদকারীদের মর্যাদা আল্লাহ বসে থাকাদের উপর অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর আল্লাহ প্রত্যেককেই কল্যাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং আল্লাহ জিহাদকারীদেরকে বসে থাকা মুমিনদের উপর মহা পুরস্কার দ্বারা শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। তাঁর পক্ষ থেকে অনেক মর্যাদাক্ষমা ও রহমত। আর আল্লাহ ক্ষমাশীলপরম দয়ালু [সূরা আন-নিসা: ৯৫-৯৬]

আল্লাহ তা‘আলা আরো  বলেছেন,
﴿ أَفَمَنِ ٱتَّبَعَ رِضۡوَٰنَ ٱللَّهِ كَمَنۢ بَآءَ بِسَخَطٖ مِّنَ ٱللَّهِ وَمَأۡوَىٰهُ جَهَنَّمُۖ وَبِئۡسَ ٱلۡمَصِيرُ ١٦٢ هُمۡ دَرَجَٰتٌ عِندَ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ بَصِيرُۢ بِمَا يَعۡمَلُونَ ١٦٣ ﴾ [ال عمران: ١٦٢،  ١٦٣] 
“যে আল্লাহর সন্তুষ্টির অনুসরণ করেছে সেকি তার মত যে আল্লাহর ক্রোধ নিয়ে ফিরে এসেছেআর তার আশ্রয়স্থল জাহান্নাম এবং তা কতই না মন্দ প্রত্যাবর্তনস্থল! তাদের মর্যাদা আল্লাহর নিকট বিভিন্ন। আর তারা যা করেআল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা [সূরা আলে-‘ইমরান: ১৬২-১৬৩]
Read More---

কুরআন ও হাদীসের আলোকে মহাসাফল্য ও বড় ব্যর্থতা (১ম পর্ব)

Views:

A+ A-

কুরআন ও হাদীসের আলোকে মহাসাফল্য ও বড় ব্যর্থতা (১ম পর্ব)




২য় পর্ব দেখতে এখানে ক্লীক করুন

ভূমিকা
সব প্রশংসা আল্লাহর, আমরা তাঁর প্রশংসা করছি, তাঁরই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি, তাঁর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি, তাঁর কাছে আমাদের অন্তরের সব কলুষ ও আমাদের কৃত সব পাপ থেকে পানাহ চাই। তিনি যাকে হিদায়াত দান করেন কেউ তাকে গোমরাহ করতে পারে না, আর তিনি যাকে পথ-ভ্রষ্ট করেন কেউ তাকে হিদায়াত দিতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই, আমি আরো  সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহর অসংখ্য সালাত ও সালাম তাঁর উপর, তাঁর পরিবার পরিজন, সাহাবীগণ ও কিয়ামত পর্যন্ত একনিষ্ঠতার সাথে তাঁর অনুসারী সকলের উপর বর্ষিত হোক।  
অতঃপর, এটি একটি সংক্ষিপ্ত গবেষণা যাতে “মহাসাফল্য ও বড় ব্যর্থতা” বর্ণনা করেছি। 
Read More---

মুসলিম জীবনে সততা ও সত্যবাদিতা

Views:

A+ A-




আল্লাহ তাআলা বলেনঃ



ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁَﻣَﻨُﻮﺍ ﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﻛُﻮﻧُﻮﺍ ﻣَﻊَ ﺍﻟﺼَّﺎﺩِﻗِﻴﻦَ


"হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক।" (সূরা আত-তাওবা আয়াত- ১১৯)
Read More---

শনিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৮

ভাল মৃত্যুর উপায়

Views:

A+ A-

ভাল মৃত্যুর উপায়


প্রশ্ন: ভালো মৃত্যুর কোন আলামত আছে কি?


উত্তর:


সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

এক:

হুসনুল খাতিমা বা ভাল মৃত্যু...
ভাল মৃত্যু মানে- মৃত্যুর পূর্বে আল্লাহর ক্রোধ উদ্রেককারী গুনাহ হতে বিরত থাকতে পারা, পাপ হতে তওবা করতে পারা, নেকীর কাজ ও ভাল কাজ বেশি বেশি করার তাওফিক পাওয়া এবং এ অবস্থায় মৃত্যু হওয়া। এই মর্মে আনাস বিন মালিক (রাঃ) হতে সহিহ হাদিসে এসেছে তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
“আল্লাহ যদি কোন বান্দার কল্যাণ চান তখন তাকে (ভাল) কাজে লাগান।” সাহাবায়ে কেরাম বললেন: কিভাবে আল্লাহ বান্দাকে (ভাল) কাজে লাগান? তিনি বলেন: “মৃত্যুর পূর্বে তাকে ভাল কাজ করার তাওফিক দেন।” [মুসনাদে আহমাদ (১১৬২৫), তিরমিযি (২১৪২), আলবানি ‘সিলসিলা সহিহা’ গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ সাব্যস্ত করেছেন (১৩৩৪)।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
“আল্লাহ তাআলা যদি কোন বান্দার কল্যাণ চান তখন সে বান্দাকে ‘আসাল’ করেন। সাহাবায়ে কেরাম বলেন: আসাল কি? তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা বান্দাকে বিশেষ একটি ভাল কাজ করার তাওফিক দেন এবং এই আমলের উপর তার মৃত্যু ঘটান।[সহিহ আহমাদ (১৭৩৩০), আলবানি সিলসিলা সহিহা গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ ঘোষণা করেছেন (১১১৪)।
ভাল মৃত্যুর বেশ কিছু আলামত আছে। এর মধ্যে কোন কোন আলামত শুধু মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তি নিজে বুঝতে পারে এবং কোন কোন আলামত অন্যান্য মানুষও জানতে পারে।



দুই:
মৃত্যুকালে বান্দার নিকট তার ভাল মৃত্যুর যে আলামত প্রকাশ পায় সেটা হচ্ছে- বান্দাকে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও অনুগ্রহ লাভের সুসংবাদ দেয়া হয়। এই মর্মে আল্লাহ তাআলা বলেছেন-



“নিশ্চয় যারা বলে, আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ, অতঃপর তাতেই অবিচল থাকে, তাদের কাছে ফেরেশতা অবতীর্ণ হয় এবং বলে, তোমরা ভয় পেও না, চিন্তিত হইও না এবং তোমরা প্রতিশ্রুত জান্নাতের সুসংবাদ গ্রহণ কর।”[সূরা ফুসসিলত, আয়াত: ৩০]



মৃত্যুকালে মুমিন বান্দাদেরকে এই সুসংবাদ দেয়া হয়। দেখুন: তাফসিরে সাদী, পৃষ্ঠা- ১২৫৬।



এই মর্মে সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিমে এসেছে- যা আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,


“যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাতকে ভালবাসে আল্লাহও তার সাক্ষাতকে ভালবাসেন। যে ব্যক্তির কাছে আল্লাহর সাক্ষাত প্রিয়, আল্লাহর নিকটও তার সাক্ষাত প্রিয়। আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী! আপনি কি মৃত্যুর কথা বুঝাতে চাচ্ছেন? আমরা তো সবাই মৃত্যুকে অপছন্দ করি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: না, সেটা না। মুমিন বান্দাকে যখন আল্লাহর রহমত, তাঁর সন্তুষ্টি, তাঁর জান্নাতের সুসংবাদ দেয়া হয় তখন তিনি আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করাকে ভালবাসেন। আর কাফের বান্দাকে যখন আল্লাহর শাস্তি, তাঁর অসন্তুষ্টির সংবাদ দেয়া হয় তখন সে আল্লাহর সাক্ষাতকে অপছন্দ করে এবং আল্লাহও তার সাক্ষাতকে অপছন্দ করেন।”



Read More---

ইত্তেবায়ে রাসূল

Views:

A+ A-
ইত্তেবায়ে রাসূল



ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟﻠﻪِ ، ﻧَﺤْﻤَﺪُﻩُ ﻭَﻧَﺴْﺘَﻌِﻴْﻨُﻪُ ﻭَﻧَﺴْﺘَﻐْﻔِﺮُﻩُ ، ﻭَﻧَﻌُـﻮْﺫُ ﺑِﺎﻟﻠﻪِ ﻣِﻦْ ﺷُﺮُﻭْﺭِ ﺃَﻧْﻔُﺴِﻨَﺎ ، ﻭَﻣِﻦْ ﺳَﻴِّﺌَﺎﺕِ ﺃَﻋْﻤَﺎﻟِﻨَﺎ ، ﻣَﻦْ ﻳَّﻬْﺪِﻩِ ﺍﻟﻠﻪُ ﻓَﻼَ ﻣُﻀِﻞَّ ﻟَﻪُ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻳُّﻀْﻠِﻞِ ﺍﻟﻠﻪُ ﻓَﻼَ ﻫَﺎﺩِﻱَ ﻟَﻪُ ، ﻭَﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥْ ﻻَّ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳْﻚَ ﻟَﻪُ ، ﻭَﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥَّ ﻣُﺤَﻤَّﺪًﺍ ﻋَﺒْﺪُﻩُ ﻭَﺭَﺳُﻮْﻟُﻪُ


নিশ্চয়ই যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য। আমরা তারই প্রশংসা করি, তার কাছে সাহায্য চাই, তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি। আল্লাহর নিকট আমরা আমাদের প্রবৃত্তির অনিষ্টতা ও আমাদের কর্মসমূহের খারাবী থেকে আশ্রয় কামনা করি। আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেন, তাকে গোমরাহ করার কেউ নাই। আর যাকে গোমরাহ করেন তাকে হেদায়েত দেয়ার কেউ নাই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্যিকার ইলাহ নেই, তিনি একক, তার কোন শরিক নাই। আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। সালাত ও সালাম নাযিল হোক তার উপর, তার পরিবার-পরিজন ও তার সাহাবীদের উপর এবং যারা কিয়ামত অবধি এহসানের সাথে তাদের অনুসরণ করেন তাদের উপর।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন স্বীয় বান্দাদের প্রতি অধিক দয়ালু ও ক্ষমাশীল। তিনি তার বান্দাদের যে কোন উপায়ে ক্ষমা করতে ও তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করতে পছন্দ করেন।
আমরা সরল পথে চলতে চাই, হক জানতে চাই। অথচ সুপথ পেতে হলে রব হিসেবে আল্লাহকে মানতে হবে, তাগূতকে বর্জন করতে হবে; জীবনাদর্শ হিসেবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসরণ করতে হবে এবং তাকে অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে মানতে হবে। রাসূলের জীবনেই আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ রয়েছে। জীবনের সকল ক্ষেত্র থেকে বাতিল আদর্শ পরিত্যাগ করতে হবে। অন্ধ-
অনুকরণ, অন্ধ-বিশ্বাস ও বিদআত- কুসংস্কার বর্জন করে ইত্তেবায়ে রাসূল অর্থাৎ রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও হেদায়াতপ্রাপ্ত খলিফাদের অনুসরণ করতে হবে।

Read More---